গেস্ট ব্লগিং কি সুবিধা - অসুবিধা ও কিভাবে করবেন
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো গেস্ট ব্লগিং কি সুবিধা-অসুবিধা ও কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গেস্ট ব্লগিং কি সুবিধা-অসুবিধা ও কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।পোস্ট সূচিপত্রঃএখানে আরও গুগোল কন্টেন্ট পলিসি সম্পর্কে বেশ কিছু ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
একটি ব্লগিং ওয়েবসাইটের প্রাণ হলো আর্টিকেল। আপনি যত ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবেন এবং সেই আর্টিকেলকে ডেকোরেশন করতে পারবেন। তার ওপর নির্ভর করে আপনার আর্টিকেলটি গুগল রাঙ্কিং এ থাকবে। একটি আর্টিকেলের সর্বশেষ ধাপ হল SEO করা। আর্টিকেলটি যদি আপনার মানসম্মত হয় তাহলে আপনি সেই আর্টিকেল থেকে লাইফটাইম এডসেন্স দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
গেস্ট ব্লগিং কি?
আমরা অন্য কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে আমরা নিজেরা অতিথি হিসেবে সেখানে কাজ করব এবং তার বিনিময়ে আমরা পেমেন্ট পাব এই ব্যাপারটাকে গেস্ট ব্লগিং বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি আমার ওয়েবসাইটে দুইটা পোস্ট লিখে দেয় তার বিনিময়ে আমি তাকে যে পেমেন্টটা দিব সেটাই হলো গেস্ট ব্লগিং।
সুবিধা-অসুবিধা ও কিভাবে করবেন?
গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধা সমূহঃ কেউ যদি তার ইচ্ছামতো আর্টিকেল লিখে আমাদের দিয়ে দেয় এবং আমি তাকে সেই আর্টিকেলের বিনিময়ে পেমেন্ট করে দেব। সেই আর্টিকেলটি নিয়ে আমরা লাভ করতে পারলাম নাকি লস হল এটার সাথে আর্টিকেল রাইটারের কোন সম্পর্ক থাকবে না। কারণ এটা একটা জব বলতে পারেন। লাভ লস এর হিসাব আর্টিকেল রাইটারকে করতে হবে না। উনি শুধু লেখার বিনিময়ে পেমেন্ট পাবেন।
আরও পড়ুনঃ লং টেল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানুন
গেস্ট ব্লগিংয়ের অসুবিধা সমূহঃ অনেক সময় এমন হয় কিছু কিছু আর্টিকেল থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়। আপনার যদি কোন আর্টিকেল সেই কোয়ালিটির হয়ে থাকে এবং সে আর্টিকেলটি যদি আপনি অন্য কোন ওয়েবসাইটে লিখে দেন এবং সেটার বিনিময়ে অল্প কিছু টাকা পান এবং আপনার লেখা আর্টিকেলটি দিয়ে সেই ওয়েবসাইট লাইফ টাইম অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে। কিন্তু আপনি অল্প কিছু টাকার বিনিময় সেই মূল্যবান আর্টিকেলটি অন্য একটি ওয়েবসাইটে লিখে দিবেন এটাই হল গেস্ট ব্লগিংয়ের অসুবিধা।
গুগল কনটেন্ট পলিসি
Blogger- এর কনটেন্ট সম্পর্কিত নীতিমালা গুলো রয়েছে আপনার যদি মনে হয় কোন ওয়েবসাইট গুগলের যে নীতিমালা গুলো রয়েছে এর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে সে ক্ষেত্রে আপনি সেই ওয়েবসাইটের মালিক কে জানাতে পারেন। বলতে পারেন আপনি গুগলের নীতিমালা বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।
যদি আপনার কথা ওই ব্যক্তি না শুনে তাহলে আপনি গুগলের নীতিমালা যে লিংক রয়েছে সেই লিংকে ক্লিক করে অভিযোগ জানাতে পারেন। গুগল প্রত্যেকটা অভিযোগ খুব গুরুত্বের সাথে দেখে। আপনার অভিযোগটা যদি এপ্রুভ হয়ে থাকে তাহলে গুগল সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে।
গুগলের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে পোস্ট লিখতে হবে। আপনি যদি চান প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কনটেন্ট লিখবেন। সে ক্ষেত্রে লিখতে পারেন কারণ গুগল থেকে এটা এপ্রুভ করা আছে।
এজন্য আপনার ওয়েবসাইটের সেটিংস এর মধ্যে থেকে এডাল্ট কন্টেন্টের ওয়ার্নিং চালু করে রাখবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু গুগলের নিয়ম নীতি মেনে কাজ করতে হবে।
এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিকস
আমাদের ওয়েবসাইটে যারা আর্টিকেল পড়তে আসবে তাদের যেন আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে সেই ধারণাটা হল ইন্টারেস্ট ধরে রাখা।
ইন্টারেস্ট ধরে রাখতে আর্টিকেলের টাইটেলটি হতে হবে এট্রাক্টিভ। আর্টিকেলটির মধ্যে আমি আপনি কথাগুলি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে যে ব্যক্তি আর্টিকেলটি পড়বে তার মনে হবে আপনি হয়তো তার সাথে কথা বলছেন। আর একটা ব্যাপার হল পুরো আর্টিকেল এর ভিতর কোন কোন ব্যাপার গুলো থাকবে না থাকবে সেগুলো আর্টিকেলের শুরুতেই বলে দিতে হবে।
যাতে করে সেই ব্যাপারে জানার জন্য লোকজনের আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর সবচেয়ে এক্সট্রিম যে ব্যাপারগুলো রয়েছে সেটি সবথেকে শেষে শেয়ার করবেন যাতে করে সেই পর্যন্ত লোকজন আপনার আর্টিকেলটি পড়তেই থাকে।
আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি লিংক রাখবেন তত বেশি অ্যাড দেখানোর পসিবিলিটি বেড়ে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন আর্টিকেলের মধ্যে লিংক রাখা। আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে অন্যান্য পেজের লিংকিং করলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাদের ইনকাম বেশি হবে।
অ্যাকশন বাটন যোগ করা আপনি আপনার পোষ্টের ভিতর বিভিন্ন অ্যাকশন বাটন যোগ করে রাখতে পারেন এতে করে মানুষজন সে ব্যাপারে আগ্রহী হলে অ্যাকশন বাটনে চাপ দিয়ে মানুষ অন্য পোস্ট পড়তে পারে।
শেষ কথা
আর্টিকেল লিখে বিভিন্নভাবে আই ইনকাম করা যায়। নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি অন্যের কাছে আর্টিকেল লিখে বিক্রি করা যায়। গুগলের নিয়ম নীতিগুলো মেনে আর্টিকেল লিখলে সেই আর্টিকেল রেংকে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। বিভিন্ন অ্যাডভান্স বিষয়গুলো মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখলে সেখান থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url