সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃসাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তির উপায় ছাড়াও বেশ কিছু সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম এর শিকার হলে কিভাবে এ থেকে মুক্তি পেতে পারেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট মানুষের কাছে সহজলভ্যতার পরিণত হচ্ছে । যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কেউ আবার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃত ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। আর এভাবেই ডিজিটাল অপরাধের রূপান্তর হচ্ছে। এটাই হল সাইবার অপরাধ।
ব্যক্তি থেকে শুরু করে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার আক্রমণে শিকার হচ্ছে| এই ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না জানা এবং এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে এ ধরনের অপরাধে ভূক্তভোগির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
সাইবার ক্রাইম জিনিসটা কি
সাইবার ক্রাইম বলতে আমরা বুঝি ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ করা। সাইবার ক্রাইম মূলত কম্পিউটার ডিভাইস, যার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা দেশব্যাপী অপরাধ পরিচালনা করে থাকে অপরাধীরা। যেমন- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা, অন্যকে বিকৃতি করা, অনলাইনে মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করা ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয় বলেই একে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ বলে।
সাইবার ক্রাইম এর উদাহরণ
সাইবার ক্রাইমের ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে, যেমন- ই-মেইলে মাধ্যমে হুমকি দেওয়া, বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করে তথ্য চুরি করা, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া, মানহানিকর ছবি বা ভিডিও আপলোড করা ও মিথ্যা অপপ্রচার চালানো।
কিংবা সেগুলোর শেয়ার বা লাইক দেওয়া, ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার চুরি করা, ব্ল্যাকমেইল করা, পর্নোগ্রাফি, অনলাইনে মাধ্যমে মাদক, নারী পাচার, দোয়া প্রভৃতি। সাধারণত এইগুলোই সাইবার ক্রাইমের উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা
এককথায় বলতে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হওয়াকেই সাইবার ক্রাইম বলে।
যে বিষয়গুলো কে সাইবার ক্রাইম ধরা হয়
হ্যাকিং - সাইবার ক্রাইমের প্রথমেই আমরা হ্যাকিং সম্পর্কে জেনে আসি। সাধারণত হ্যাকিং বলতে কারো অনুমতি ব্যতিত তার ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কন্ট্রোল নিজের কন্ট্রোলে নেওয়া এবং তার ক্ষতি করা। যারা হ্যাকিং-এর জড়িত থাকেন তাদেরকে হ্যাকার বলা হয়। একজন হ্যাকার আপনার কম্পিউটার, মোবাইল বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ভাইরাস প্রেরণ করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পারে।
এছাড়াও হ্যাকাররা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হ্যাক করে আপনার যেকোন ক্ষতি করতে পারে। বিভিন্ন ধরণের হ্যাকিং আছে। সেগুলোর মধ্যে ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকরক। ব্লাক হ্যাট হ্যাকাররা তাদের টার্গেটের চাইতে বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম।
জাঙ্ক মেইল - সাধারণ মানুষদের ঠকানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো এই জাঙ্ক মেইল। বিভিন্ন সময় এরা মানুষকে বিভিন্ন ফেইক অফিস নম্বর থেকে ফোন করে বলে আমি অমুক মোবাইল ব্যাংকিং থেকে বা কোম্পানি থেকে বলছি, আপনি লাখ টাকার লটারি জিতেছেন। এভাবে তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের কাছে থেকে বিভিন্ন একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য হাতিয়ে নেয়।
ফলে লটারির লোভে পড়ে অনেকে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মখীন হয়। এছাড়া এমন আরো অনেক সমস্যার কথা বলে তারা বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, একাউন্ট নম্বর হাতিয়ে নেয়। এই কাজ গুলো হ্যাকাররা সাধারণত ফোন কলের মাধ্যমে আবার অনেক সময় মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমেও করে থাকে।
আবার ম্যালওয়্যার স্পামিং বা জাঙ্ক মেইল সম্পূর্ণই মেইল ভিত্তিক। ভুয়া আইডি/ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম, ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার এমনকি ফোন নাম্বার নিয়ে মিষ্টি কথায় বলাতে চেষ্টা করবে অপরাধীচক্র। দেখবেন স্প্যাম ফোল্ডারে এমন অনেক মেইল প্রায়ই আসে।
আইপি স্পুফিং - এটাও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম। এখানে কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিশেষ কমপিউটারে আইপি অ্যাড্রেস পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা।
ফিশিং - এটাও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম। প্রতারণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের চুরি করা হয় কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সামনে রেখে। লগইন/অ্যাকসেস, তথ্যচুরি, বিশেষত ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং সাইটগুলো ফিশিং এর লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে।
সাইবার স্টকিং - কোনও ব্যক্তি যদি এক বা একাধিক প্রোফাইলের মাধ্যমে অন্য কোনও ব্যক্তির কার্যকালাপ সামাজিক মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে তা সাইবার স্টকিংয়ের আওতায় পড়ে।
সাইবার হয়রানি- ই-মেইল বা ব্লগ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া, ব্যাক্তির নামে মিথ্যাচার/অপপ্রচার, নারী অবমাননা, যৌন হয়রানি ইত্যাদিকে সাইবার হয়রানি বলে। অর্থ আত্মসাৎ- ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকের এক অ্যাকাউন্টের অর্থ চুরি করে অন্য অ্যাকাউন্টের অর্থ স্থানান্তর করাকে অর্থ আত্মসাৎ বলে।
সাইবার বুলিং- ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে হেয় করাকে ‘সাইবার বুলিং’ বলে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনো কিছুতে প্রলুব্ধ করা ইত্যাদি হলো সাইবার বুলিং।
আরও পড়ুনঃ কর্ণফুলী টানেল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
অথবা একজনের ছবি বা ভিডিও বিকৃতি করে অনলাইনে তুলে ধরাও বুলিংয়ে পড়ে। সাইবার বুলিং মূলত সাইবার অপরাধেরই একটি অংশ। বিশেষ করে উঠতি বয়সী ছেলে ও মেয়েরা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। ফলে অনেক তরুণ-তরুণীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে এবং জঘন্য পথ গুলো বেছে নিচ্ছে।
ক্র্যাকিং- ক্র্যাকিং এর অর্থ হল ক্রেডিট কার্ড নাম্বার চুরি করে গোপনে অনলাইন ব্যাংক থেকে ডলার চুরি করা।
পাইরেসি- প্রকাশিত গান ও সিনেমার অনুমতি ব্যতিত ইন্টারনেটে শেয়ার করাকে পাইরেসি বলে।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি - ব্লগ ও ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন লেখা খুব সহজেই কপি পেস্ট করে নিজের নামে পোষ্ট করাকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বলে।
পর্নোগ্রাফি - পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে হ্যাকাররা পর্ণসাইটে ভিজিটকারী ব্যক্তিদের ডিভাইস খুব সহজেই হ্যাক করে নিতে পারে। এছাড়া অনেক সাইট পপ-আপ বিজ্ঞাপন প্রচার করে, আবার অনেক সাইট সরাসরি ই-মেইল এড্রেস চেয়ে থাকে।
এই সকল সাইট থেকে যারা ভিডিও ডাউনলোড দেয় তারা না জেনে বুঝেই ভাইরাস যুক্ত ভিডিও ডাউনলোড করে নেয়। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা ডাউনলোডকারী ব্যাক্তির ডিভাইস নিজের কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারে। ফলে ডাউনলোডকারী ব্যাক্তি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
নারী নির্যাতন শিকার- শত শত নারী প্রতিনিয়ত সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। অভিনেত্রী থেকে শুরু করে একটা সাধারণ মেয়েও বাদ যাচ্ছে না সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে। ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতার অভাব বা সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে ভাল জ্ঞান না থাকার কারণেই নারীরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়।
তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো হ্যাক করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে, যৌন দৃশ্য প্রকাশ করার হুমকি দিচ্ছে কিংবা তাদের ছবি ব্যবহার করে ফেইক একাউন্ট খোলার মতো অপরাধ সংঘটিত প্রায়ই ঘটে চলছে।
ড্রাগ ব্যবসা - ড্রাগ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে মাদকদ্রব্যের ক্রয়, বিক্রয় ইত্যাদি কাজগুলো সারা বিশ্বব্যাপী করে যাচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়িরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ইদানিং তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে।
সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে যা করবেন
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনেও (বিটিআরসি) লিখিতভাবে জানিয়ে রাখতে পারেন। আপনাকে কেউ মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে আপনি কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন।আপনি সাইবার ক্রাইমে শিকার হন এবং এ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর আশ্রয় নিতে পারেন। এ আইনের আওতায় থানায় একটি এজাহার করতে পারেন।
যদি সাইবার ক্রাইমে মিথ্যাভাবে কেউ ফাঁসাতে চেষ্টা করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে আপনি এই পরিস্থিতির শিকার। যদি আদালতে আপনাকে প্রেরণ করা হয় তাহলে আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করতে হবে। আইনের আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি সচেতন থাকাও জরুরি।
সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করার উপায়
আপনার ওয়েবসাইট কেউ হ্যাক করলে, যেমন- ফেসবুক বা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যাক হলে অথবা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কেউ চুরি করলে দেরি না করে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারে আপনি উক্ত পোস্টটির লিংকসহ স্কিনশর্ট এবং পোস্ট প্রদানকারী একাউন্টটির প্রোফাইল লিংক সংগ্রহ করে অনতিবিলম্বে আপনি সরাসরি নিজে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়া হাটলাইন- 01730-336431, ই-মেইল -smmcpc2018@gmail.com অথবা ফেসবুক পেইজ- https://www.facebook.com/cpccidbdpolice/ অভিযোগ পাঠাতে পারেন।
সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচতে সচেতনতা
বর্তমানে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশি ভাগ মানুষের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কে জ্ঞান কম। তাই না বুঝে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তেমনি যারা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন, তারাও সঠিক আইন সম্পর্কে জানে না।
তাই সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আইনের প্রচার বাড়াতে হবে ও প্রয়োগে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সাম্পর্কে সচেতন হতে হবে। যেমন- আপনার ই-মেইল, ফেসবুক কিংবা অন্য কোন অনলাইন একাউন্টের নিরাপত্তার বিষয়ের সেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
অ্যাওয়ারনেস (সিসিএ) ফোউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীগণ সাইবার ক্রাইম বিষয়ে জনসচেতনতা প্রচার করছেন। তাদের হটলাইন নাম্বার-০১৯৫৭-৬১৬২৬৩। এছাড়াও তাদের facebook.com/pagCCA পেজে গিয়ে তাদের সহায়তা নিতে পারেন। তাদের কাছে থেকে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা টিপসও পাওয়া যায়। সংগঠনটির ওয়েবসাইট ccabd.org।এছাড়াও সাইবার সিকিউরিটি সেক্টরে যারা কাজ করতে চান তারা সংগঠনটিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে পারেন।
আধুনিক বিশ্বে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আবিষ্কার একদিকে আমাদের যেমন আশীর্বাদ বয়ে এনেছে তেমনি অন্যদিকে কিছুটা অভিশাপও বয়ে এনেছে। সাইবার অপরাধ রোধে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
উল্লেখ্য যে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার জন্য পূর্বে ঢাকায় একটিমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনাল ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ বিভাগে ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এটি অবশ্যই সাইবার অপরাধ রোধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ। কার্যত এ অপরাধের লাগাম টানতে দেশে যে আইন গুলো প্রচলিত রয়েছে সে গুলোর সুষ্ঠু প্রয়োগ করতে হবে।
সর্বোপরি সাইবার বুলিংয়ের শিকার তরুণ তরুণীদের মনোবল শক্ত করতে পরিবারকেও সচেতন হতে হবে। আমদের সকলের প্রচেষ্টায় সাইবার ক্রাইম দূর করা সম্ভব।
শেষ কথা
বর্তমান যুগটা যেহেতু ইন্টারনেট নির্ভর তাই এখন বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্নভাবে বোলিং এর শিকার হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু হ্যাকারদের কারণে বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় ফেসবুক আইডি, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলি হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যা সাইবার ক্রাইম নামে পরিচিত।
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন ।ধন্যবাদ
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url