কবুতর পালন পদ্ধতি-কবুতরের রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই কবুতর পালন পদ্ধতি-কবুতরের রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কাজে আর্টিকেলের মাধ্যমে কবুতর পালন পদ্ধতি ও কবুতরের বেশ কিছু রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকবুতর পালনের সহজলভ্যতা ও অল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এটি পালন করা হচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতর সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য।
কবুতর পালন পদ্ধতি-ভূমিকা
আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জে বাড়ির উঠানে এক কোণে এবং শহরে বাড়ির ছাদে গৃহপালিত পাখির মধ্যে কম বেশি সবাইকে কবুতর পালন করতে দেখা যায়।দিন দিন কবুতর পালনের জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে।সৌখিনভাবে কবুতর পালতে গিয়ে ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক আকার ধারণ করছে।
প্রাচীনকাল থেকেই কবুতর পালন করা হচ্ছে এটা সত্য কিন্তু রাজা-বাদশারা তাদের বার্তা অন্য জনের কাছে প্রেরণের জন্য কবুতর ব্যবহার করতেন এই কথাটার সত্যতা পুরোপুরি পাওয়া যায়নি কিন্তু পৃথিবী জুড়ে কবুতরকে শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে কবুতর কিনে এনে অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
কবুতর পালন লাভজনক হওয়ার কারণ
পাখির মধ্যে কবুতরকে খুব সহজে পোষ মানানো যায় অল্প জায়গাতেই ছেড়ে অথবা খাঁচায় রেখে কবুতর লালন পালন করা যায়। একটি খাঁচার ভেতরে দুটি কবুতর বসতে পারে এমন ঘরে কবুতর ডিম পারে। একটি কবুতর ৫ মাস হতে ৬ মাসের মধ্যে ডিম পাড়া শুরু করে তবে জাত ভেদে ডিম পাড়ার সময় ভিন্ন হতে পারে।
স্বামী স্ত্রী দুজনে সমানভাবে ডিমের তা দেওয়ার কারণে ১৭ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে বাচ্চা হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ডিমে সমানভাবে তাপ দেওয়া কালীন কবুতরের খাদ্য থলিতে এক ধরনের দুধ উৎপন্ন হয় যাকে বলা হয় পিজিয়ন মিল্ক বাংলায় বলে কবুতরের দুধ। বাচ্চা হওয়ার ১ম দিন থেকে ১০ম দিন পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চারা এই দুধ খায় বিধান এদের কোন বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না।
এই পিজিয়ন মিল্ক কবুতরের বাচ্চার জন্য একটি আদর্শ খাবার। স্বামী-স্ত্রী দুজনে বাচ্চার মুখে মধ্যে মুখ প্রবেশ করিয়ে খাবার সরাসরি খাদ্যনালীতে পৌঁছিয়ে দেয়। ২৬ থেকে ২৭ দিন বয়সে কবুতরের বাচ্চা খাওয়ার উপযোগী হয় তাই একে খাওয়া অথবা বাজারজাত করা যায়। কবুতরের রোগ ব্যাধি কম হয় তাই কবুতরের থাকার জায়গা ও অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।
ব্যবসায়িক ভাবে কবুতর পালন অবশ্যই লাভজনক। এক জোড়া সুস্থ স্বাভাবিক কবুতর হতে বছরে ১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। ৩ থেকে ৪ জোড়া কবুতর থেকে ধীরে ধীরে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তাই কিছু কিছু রোগীদের অন্যান্য মাংস পরিবর্তে কবুতরের মাংস খেতে বলা হয়। কবুতরের বিষ্ঠা জৈবসার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়।
কবুতর পালনে পদ্ধতি
কবুতর পালন খুবই সহজ। কবুতর পালনের পূর্বে কবুতরের স্থানটি নির্বাচন করুন। যাতে কুকুর বিড়াল বা অন্যান্য প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে এবং কবুতর থাকার স্থানটিতে প্রচুর পরিমাণে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টির পানি, ঝড় ও বাতাস, শীতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে যেন না প্রবেশ করে।
কবুতরের ঘর তৈরির জন্য পাতলা কাঠ, পাতলা টিন, বাঁশ অথবা কার দিয়ে খাঁচার তৈরি করা যায়। কবুতরের খোপ মূলত দুই বা তিন তলা বিশিষ্ট তাক করে খাঁচা তৈরি করতে হবে। খাঁচার ভিতর সাধারণ কবুতর পালার জন্য প্রতি খোপ ৩০ সে. মি. x ৩০ সে.মি. x ২০ সে.মি. এবং বড় আকারে কবুতরের জন্য ৫০ সে. মি. x ৫৫ সে.মি. x ৩০ সে.মি. তৈরি করতে হবে।
খাঁচার ভিতর শুকনো খোড়-কুটা রেখে দিলে ডিম পাড়ার সময় হলে ঠোঁট দিয়ে নিজেরাই খোপের ভিতরে নিয়ে যাবে।কবুতরকে মুক্ত ও আবদ্ধ ভাবে পালন করা যায়। কবুতরকে মুক্তভাবে পালন বলতে, সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুড়ে বেড়াবে মাঠে ঘাটে পড়ে থাকা শস্য দানা খাবে এবং সন্ধ্যা হলেই ঘরে ঢুকবে।
এভাবে কবুতর পালন করলে কবুতরের খাবার খরচ অনেক কম হয় আর আবদ্ধভাবে কবুতর পালন করলে ঘরের সামনে খাবার ও পানি পাত্র রাখতে হবে সময় মত খাবার পানি দিতে হবে। এতে করে মুক্তভাবে পালন করা কবুতরের চাইতে একটু বেশি খাবার খরচ হবে।
কবুতরের রোগের কারণ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা
কবুতরের দেহে খাদ্য ও পানির মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। সব সময় চেষ্টা করতে হবে কবুতরের ঘর পরিষ্কার রাখা। বিশুদ্ধ পরিষ্কার খাবার পরিবেশন করা। অসুস্থ কবুতরকে সুস্থ কবুতর হতে সরিয়ে অন্যত্রে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
কবুতর রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম রোগের লক্ষণ হলো - শ্লেষ্মাযুক্ত দুর্গন্ধ যুক্ত ডায়রিয়া দেখা দিবে, ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে এন্টিবায়োটিক এর সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।
পাসটিউরেলা মালটোসিডা রোগের লক্ষণ হলো- হঠাৎ করে ডায়রিয়া, জ্বর আবার কোন লক্ষণ ছাড়াই ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা মধ্যে কবুতর মারা যায়। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে এন্টিবায়োটিক এর সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।
হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ হলো- সর্দি, চোখের পাতাদ্বয় ফুলে প্যাঁচার মাথার ন্যায় দেখায়, অক্ষিঝিলি্ল প্রদাহের ফলে চোখ দিয়ে এক ধরণের পদার্থ নির্গত হয়। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে এন্টিবায়োটিক এর সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস।
খাওয়াতে হবে।মাইকোপ্লাজমোসিস রোগের লক্ষণ হলো- সর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে প্রথমে পানি এবং পরে এক ধরণের পদার্থ নির্গত হয়। মুখ ও কন্ঠ অত্যধিক প্রদাহে স্ফীত থাকে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট হয়। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে টিয়ামুলিন, টাইলোসিন এনরোফ্লুক্সসিন, স্পাইরামাইসিন, লিনকোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ খাওয়াতে হবে।নিউক্যাসল অথবা প্যারামিক্সো ভাইরাস-১
আরও পড়ুনঃ সোনালি মুরগি পালনের সঠিক পদ্ধতি
রোগের লক্ষণ হলো- সবুজ রংয়ের ডায়রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মুখ হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা, পাখা ও পায়ের পক্ষাঘাত ইত্যাদি। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ইমিউনো স্টিমুলেটর ঔষধ খাওয়াতে হবে।
পক্স (বসন্ত রোগ) রোগের লক্ষণ হলো- পালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন ঔষধ খাওয়াতে হবে।
পরজীবী রোগ রোগের লক্ষণ হলো- দুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও অবশেষে মৃত্যু ঘটে। এই রোগের চিকিৎসা হিসেবেকৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, এমাইনো এসিড ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
কবুতরের ভিটামিন জনিত রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ভিটামিন এ এর অভাব- কবুতরের দেহে ক্ষত হয়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় এবং অক্ষিঝিল্লির প্রদাহ দেখা দেয়। ক্ষুধা কমে যায়, দৈহিক বৃদ্ধি ও পালকের গঠণ ব্যাহত হয়। উৎপাদ ও ডিম তা দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ অবস্থায় কবুতরকে নিয়মিত ভিটামিন, প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান অথবা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে।
ভিটামিন ডি এর অভাব- কবুতরের অস্থি নরম ও বাঁকা হয়ে যায়, ডিম উৎপাদন ও তা দেওয়ার ক্ষমতা কমে। এ অবস্থায় কবুতরকে ভিটামিন ডি ও মিনারেল প্রিমিক্স প্রদান, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (কডলিভার অয়েল, ফিস মিল) প্রদান করতে হবে।
ভিটামিন ই এর অভাব- কবুতরের এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ হয়, পক্ষাঘাতের ফলে চলতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বুক ও পেটের নিচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। ডিমের উর্বরতা কমে যায়। এ অবস্থায় কবুতরকে সেলিনিয়ামসহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার (শস্য দানা, গম, চাউলে কুড়া, শুটকি মাছ) খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন কে এর অভাব- কবুতরের রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় কবুতরকে ভিটামিন কে প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান করতে হবে এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাদ্য (সবুজ শাকসবজি ও মাছের গুঁড়া) খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন বি ১ এর অভাব- কবুতরের পা, ডানা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত হয়। ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে, চলনে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এ অবস্থায় কবুতরকে ভিটামিন বি ১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (চাউলের কুড়া, গমের গুঁড়া, শাক সবজি) খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন বি ২ এর অভাব - কবুতরের ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় কবুতরের ভিটামিন বি ২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (সবুজ শাক সবজি, ছোলা, খৈল, আলফা-আলফা, ঈষ্ট) দিতে হবে।
ভিটামিন বি ৬ এর অভাব- কবুতরের ক্ষুধামন্দ্যা দেখা দেয়। ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে। ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (শস্য, মাছের গুঁড়া, আলফা-আলফা, ঈষ্ট ইত্যাদি) খাওয়াতে হবে
ভিটামিন বি ১২ এর অভাব- কবুতরের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ডিমের উর্বরতা হ্রাস পায়। এ অবস্থায় কবুতরকে ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাদ্য (যকৃত, মাংস ফিসমিল ইত্যাদি) খাওয়াতে হবে।
ফলিক এসিড এর অভাব- কবুতরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও পালক কম গজায়। ০.০১৪ মিগ্রা প্রতিদিনের প্রয়োজন। এ অবস্থায় কবুতরকে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও সাথে ম্যানগানিজ (সহ) প্রদান করতে হবে। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য (যকৃত, ঈষ্ট) খাওয়াতে হবে।
ম্যানটোথেনিক এসিড এর অভাব- কবুতরের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও চর্ম রোগ হয়। পা ও চোখের চারিপাশে নেক্রোসিস হয়। ডিমের উর্বরতা হ্রাস। ০.৩৬ মিগ্রা প্রতিদিনের প্রয়োজন। প্যানটোথেনিক এসিড সমৃদ্ধ ভিটামিন (চীনাবাদাম, আখের গুড়, ঈষ্ট, চাউলের কুড়া, গমের ভূষি ইত্যাদি) খাওয়াতে হবে।
বায়োটিন এর অভাব- কবুতরের পেরোসিস, ডিমের উর্বরতা হ্রাস ও চর্ম প্রদাহ দেখা দেয়। ০.০০২ মিগ্রা প্রতিদিনের প্রয়োজন। বায়োটিন সমৃদ্ধ ভিটামিন ও খাদ্য খাওয়াতে হবে।খনিজ পদার্থ (সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, ম্যানগানিজ, কপার এন্ড কোবাল্ট, আয়রন : হাড় গঠন ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
ডিমের খোসা নরম হয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পেরোসিস ও প্যারালাইসিস হয়।পাখিকে নিয়মিত ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও খাদ্য খাওয়াতে হবে।
এমাইনোএসিড এর অভাব- আমিষ বিভিন্ন প্রকার এমাইনো এসিড সরবরাহ করে যা দেহ গঠনের জন্য জরুরী। কবুতরকে এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য (শুটকি মাছের গুড়া, সরিষা, তিল ও চীনাবাদামের খৈল) খাওয়াতে হবে।
শেষ কথা
সবচেয়ে বড় কথা হল কবুতর পালনে খরচ খুবই কম, ঝুঁকি কম , পালনে সহজ একটি স্বাভাবিক কবুতর দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করে। এরা খুব সহজেই পোষ মানে। কবুতর পালন করা সহজ বলে ছাত্র-ছাত্রী এবং সকল পেশার মানুষ পালন করতে পারে।
কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর, আত্মকর্মসংস্থান বাড়তি আয় ও দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। এই পৃথিবীতে সম্ভবত ১২০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে সচরাচর ২০ জাতের কবুতর দেখতে পাওয়া যায়। কবুতরের গড় আয়ু ১০ থেকে ১২ বছর।
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অথবা কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url