ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
মরিয়ম ফুল সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ঢেঁড়সের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ঢেঁড়স আমাদের জন্য কতটা উপকারী এবং অপকারী।
পোস্ট সূচিপত্রঃএই আর্টিকেলটিতে ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ, কাঁচা ঢেঁড়স খেলে কি হয়, কাঁচা ঢেঁড়সের উপকারিতা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। তাই আর দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ
ঢেঁড়স পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি সবজি। ঢেড়সে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়োডিন এছাড়া বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। আপনি যদি নিয়মিত ঢেঁড়স খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গলগন্ডের মত রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন। এছাড়াও ঢেড়সে আরও রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম।
অন্যান্য সবজির তুলনায় ঢেঁড়সের রিবোফ্লাবিনের পরিমাণও বেশি রয়েছে। ঢেড়স কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ঔষধি গুনসম্পন্ন একটি সবজি। আমাদের শরীরের উপকারিতায় ঢেঁড়স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এবার চলুন জেনে নেই ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
- ১০০ গ্রামে রয়েছে শক্তি ১৪৫ কিলোক্যালরি
- ফাইবার ৩.২ গ্রাম
- প্রোটিন ২.০ গ্রাম
- ভিটামিন সি ২১ মিলিগ্রাম
- শর্করা ৭.৬ গ্রাম
- স্নেহ পদার্থ ০.১ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৭৫ মিলিগ্রাম
- এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম ৫৭ মিলিগ্রাম
কাঁচা ঢেঁড়স খেলে কি হয়
কাঁচা ঢেঁড়স শরীরের জন্য বেশ উপকারী। লোক্যালরি হওয়ায় এটি কোলেস্টেরলের লেভেল কমিয়ে ওজন কম করে থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঢেঁড়স ভেজানো পানি পান করেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস ও কোলেস্টরেলের মত সমস্যা সমাধান হবে। এক গ্লাস পানিতে দুইটি ঢেঁড়স নিন। মাথার দিকে এবং নিচের দিকে কেটে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর সকালে খাওয়ার আগে পানিটি পান করুন। এই কাঁচা ঢেঁড়সের পানি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। ব্লাড সুগার কমিয়ে দিবে যা ডায়বেটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবে। কিডনির রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
অ্যাজমা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করবে। আপনি যদি এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কাঁচা ঢেঁড়স শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
ঢেঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। ঢেঁড়স রান্না করে খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি কাঁচা ঢেঁড়সের ও উপকারিতা অনেক। আজ আমি আপনাদের কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
আশা করছি পুরো বিষয়টি পড়লে বুঝতে পারবেন কাঁচা ঢেঁড়স আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়। আপনি যদি নিচে উল্লেখিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিয়মিত কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার শুরু করবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- নিয়মিত যদি আপনি কাঁচা ঢেরস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। তাই চেষ্টা করবেন কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তোলার জন্য।
- এছাড়াও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি হৃদযন্ত্র সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন কাঁচা ঢেঁড়স খাবেন।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে কাঁচা ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী। তাই আপনি যদি দৃষ্টি শক্তি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাচা ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলুন।
- হজমের সমস্যা দূর করতে রান্না ঢেঁড়সের পাশাপাশি কাঁচা ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী। তাই আপনার যদি হজমজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার শুরু করে দিন।
- ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং শর্করার মাত্রা কমাতে কাঁচা ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী। তাই যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে অবশ্যই কাচা ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলবেন। যা আপনাদের ঔষধের মতো কাজ করবে।
- আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার শুরু করবেন। কাচা ঢেড়সে থাকা পুষ্টি উপাদান গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বেশ কার্যকরী।
ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়
অনেক মানুষ রয়েছে যাদের বিভিন্ন সবজিতে এলার্জি রয়েছে। তবে আমরা যেহেতু কথা বলব ঢেঁড়স নিয়ে তাই আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে রাখছি অনেক জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পেরেছি ঢেঁড়সে এলার্জি নেই। তবে আপনার ঢেঁড়স খাওয়ার ফলে এলার্জি হবে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে ঢেঁড়স খেতে হবে।
আপনি যদি ঢেঁড়স খাওয়ার পর লক্ষ্য করেন আপনার শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে বা এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর যদি লক্ষ্য করেন এলার্জিজনিত কোন সমস্যা নেই তাহলে আপনি অনায়াসে ঢেঁড়স খেতে পারেন। কারণ ঢেঁড়স এমন একটি সবজি যাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা
ঢেড়সে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী কারণ এই সবজিটির গ্লাইসেমিক সূচক অনেক কম। আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন থেকে জানা যায় লো ফ্যাট ও হাই ক্যালোরির এই সবজিটি ডায়াবেটিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
এছাড়াও গবেষণায় আরো বলেছেন প্রতিদিন যদি আপনি ৬-৮ টি ঢেঁড়স খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার কারণে শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে মুক্ত রাখতে অনেক আছে সাহায্য করে।
তাই যারা উচ্চ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা অবশ্যই আপনাদের খাবার তালিকায় প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে আটটি রাখার চেষ্টা করবেন। যা আপনাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনারা যারা ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত।
তারাও চেষ্টা করবেন খাবার তালিকায় প্রতিদিন ঢেঁড়স তরকারি অবস্থায় অথবা কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার জন্য। যা আপনাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ঢেঁড়সের উপকারিতাঃ
অধিকাংশ বাঙালি ঢেড়সের উপকারিতার কথা না জানলেও সুস্বাদু সবজি হিসাবে ঢেঁড়স কে সবাই পছন্দ করে। বাঙ্গালীদের পাতে ঢেঁড়সের তরকারি খুবই জনপ্রিয়। সবজিটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ঢেঁড়সের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানলে অবশ্যই আপনাদের খাবার তালিকায় ঢেঁড়স রাখার চেষ্টা করবেন। এতটাই পুষ্টিকর এই সবজিটি যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজে পরিত্রাণ দিতে পারে। আজ আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ঢেঁড়সের উপকারিতা সম্পর্কে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়সে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে সহায়তা করে। যার কারণে ঢেঁড়স কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
কোলেস্টরেল কমায় ঢেঁড়সঃ ঢেড়সে থাকা সলিউবল ফাইবার ও পেকটিন রক্তের বাজে কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়সে থাকা উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে ঢেঁড়সঃ আপনি যদি নিয়মিত ঢেঁড়স খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের লৌহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যাবে। যার কারণে খুব সহজেই রক্তশূন্যতা দূর হবে। এছাড়াও গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গর্বের সন্তানের সঠিক বিকাশের সহায়তা করে ঢেঁড়স। কারণ ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট উপাদান।
ভ্রুণ তৈরিতে কার্যকর ঢেঁড়সঃ গর্ভের শিশুর সঠিক বিকাশের সহায়তা করে থাকে ঢেঁড়সে থাকা ফলেট উপাদানটি। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে ঢেঁড়স। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়সঃ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে ঢেঁড়স। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
হজমে সহায়তা করে ঢেঁড়সঃ অন্ত্রের দূষিত বর্জ্য পরিষ্কার করতে এবং পেকটিন অন্ত্রের স্ফীতিভাব কমাতে ঢেড়স বেশ কার্যকরী। এছাড়াও উচ্চমাত্রায় আঁশ থাকার কারণে ঢেঁড়স হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধক ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়সের বীজের তেল সাধারনত শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে।অ্যাজমার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী।কারন ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন সি,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি উপাদান।
ত্বকের যত্নে ঢেঁড়সঃ মুখের ব্রন দূর করতে ও শরীরের টিস্যু পুনর্গঠন করতে এবং ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দুর করতে ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী।
চুলের যত্নে ঢেঁরসঃ উস্কখুস্ক চুলকে কন্ডিশনিং করতে ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী। এছারাও খুশকি দূর করতেও বেশ ভালো কাজ করে।
গলগন্ড রোগ দুর করে ঢেঁড়সঃ আয়োডিনের অভাবে সাধারনত গলগন্ড রোগ হয়ে থাকে।ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়োডিন যা গলগন্ড রোগ দুর করতে সহায়তা করে।এছারাও কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ঢেঁড়স খাওয়া উচিৎ।অবশ্যই চেষ্টা কোরবেন খাবার তালিকায় প্রতিদিন ঢেঁড়স রাখার।
ঢেঁড়সের অপকারিতাঃ
প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করার ফলে অপকারিতা ও বিদ্যমান। তাই অবশ্যই পরিণত পরিমাণে গ্রহণ করা উত্তম। ঢেঁড়সের যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেই ঢেঁড়সের অপকারিতা সম্পর্কে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণঃ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স খেয়ে ফেলেন তাহলে ঢেঁড়সে থাকা অক্সালেট নামে একটি যৌগ থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহণ করার পরে আপনার কিডনিতে পাথর হতে পারে। আপনি যদি কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
পেটের সমস্যাঃ যেহেতু ঢেঁড়স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে আপনার ডায়রিয়া, গ্যাস এবং অন্ত্রের প্রদাহে মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের ক্ষতঃ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স গ্রহণ করেন তাহলে ঢেঁড়স থেকে নিঃসৃত প্রোটিওলাইটিক নামক এনজাইম সংস্পর্শে আসার কারণে ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরক্ত থাকবে।
রক্ত খুব ঘন হয়ে যেতে পারেঃ অতিরিক্ত ঢেঁড়স খাওয়ার কারণে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে। ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন কে। যা রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনারা যারা রক্ত ঘন করার ঔষধ খাচ্ছেন তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঢেঁড়স খাবেন। তা না হলে পরবর্তীতে শরীরের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি থেকে ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ, কাঁচা ঢেঁড়সের উপকারিতা জেনে উপকৃত হয়েছেন।
তাই চেষ্টা করবেন আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ঢেঁড়স রাখার। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মন্তব্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url