ইসলামে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৪ টি মাস সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো ইসলামে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৪ টি মাস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চেষ্টা করব আপনাদের এই বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মাস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরতে। তাই আর দেরি না করে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন চারটি মাস সম্পর্কে জানুন।
ইসলামে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৪ টি মাস সম্পর্কে জানুন
পোস্ট সূচিপত্রঃআর্টিকেলটিতে ইসলামের বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন চারটি মাসের ইবাদত ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি এই ফজিলত সম্পূর্ণ মাস গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইসলামে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মাস - ভূমিকা

মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা নির্দেশে এই জীবজন্তু, পশুপাখি, সু বিশাল আকাশ, পৃথিবী, নদী, সাগর, পাহাড়-পর্বত, চন্দ্র, সূর্য, তারকা সকল কিছু সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার বেঁধে দেওয়া নিয়ম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়তে পারে না। আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহারের উপযোগী করে প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছেন এবং গতিপথ গুলো নির্ধারণ করে দিয়েছেন। 


যেমন দিন-রাত, মাস, বছর ইত্যাদি। আল্লাহতালা বেঁধে দেওয়া ১২ টি মাসই ফজিলত সম্পন্ন। তবে এই ১২ টি মাসের মধ্যে ৪ টি মাস বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মাস হিসেবে পরিচিত। আজ আর্টিকেলটিতে এই ফজিলত সম্পূর্ণ মাস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন আর দেরি না করে এই বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মাস গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

ইসলামের ১২ টি মাসের নাম সমূহ

আল্লাহ তালার কাছে প্রকৃতপক্ষে মাসের সংখ্যা ১২ টি এই মাসগুলো শুধু আরবদের সন নয় এটা পুরো মুসলিম জাতির সন। এই সন গণনা করে ইসলামে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুসরণ করা হয়। ইসলামের ১২ টি সনের নাম নিচে দেওয়া হল:
  • মহররম মাস
  • সফর মাস
  • রবিউল আউয়াল মাস
  • রবিউস সানি মাস
  • জুমাদাল উল (জমাদিউল আউয়াল) মাস
  • জুমাদাল উখরা (জমাদিউস সানি) মাস
  • রজব মাস
  • শাবান মাস
  • রমজান (রামাদান) মাস
  • শাওয়াল মাস
  • জিলকদ মাস
  • জিলহজ মাস
আবার এই মাসগুলোর মধ্যে চারটি মাস খুবই মর্যাদাসম্পন্ন। যেমন-জিলকদ মাস, জিলহজ মাস, মহরম মাস ও রজব মাস।

বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন জিলকদ মাস

জিলকদ মাস- আল্লাহতালার কর্তৃক মর্যাদা সম্পন্ন মাসের মধ্যে জিলকদ মাস একটি। আরবি ১২ মাসের মধ্যে একাদশ মাসটি হলো জিলকদ মাস। আরবিতে এই মাসকে বলা হয় জুল-আল কাআদাহ, বাংলায় অর্থ হল স্থির বা বিশ্রাম নেয়া। জিলকত মাস হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এই সময় আরবের লোকজন যুদ্ধ অথবা বাণিজ্য থেকে ফিরে আসতো। 

আরবদের সংস্কৃতি অনুযায়ী জানা যায় তারা এই মাসে যুদ্ধ অথবা অন্যায়-অপরাধ কাজ হতে বিরত থাকতো। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে আরবের লোকজন তেমন একটি কাজ না করে ঘরে থাকার চেষ্টা করত। জিলকাদ মাস যেহেতু বিশ্রামের অথবা অবসর সময় কাটানোর মাস তথাপি এ মাসে রয়েছে কিছু স্মরণীয়, ফজিলত ও আমল ঘটনা। 

এ মাসের আগের চার মাস আর পরবর্তী দুই মাস ইবাদতের ব্যস্ততম মাস। জিলকদ মাসে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়া অন্য কোন বিশেষ আমলের কথা কোরআনে আসেনি। জিলকদ মাসে যেহেতু মাসে কিছুটা বিশ্রাম পাওয়া যায় সেহেতু পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোতে আমলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। 


এ মাসে অন্যান্য ১,১০,২০,৩০ তারিখে রোজা রাখা এবং ১৩,১৪ ও১৫ তারিখে আইয়ামের বিজের অত্যন্ত ফজিলতের এবং সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার সুন্নত তার পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উচিত। জিলহজ মাসে যেহেতু কোরবানির সে উপলক্ষে জিলকদ মাসে চুল, গোঁফ, হাত ও পায়ের নখ কেটে নেওয়া যেতে পারে। 

কারণ কোরবানির ১০ দিন আগে চুল নখ কাটা থেকে বিরত থাকা সুন্নত। মহানবী (সা:) বলেছেন জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর এবং কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার আগ মুহূর্ত নিজের চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকো (মুসলিম, মিশকাত)।

বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন জিলহজ মাস

জিলহজ মাস- আরবি মাসের শেষ মাস কে বলা হয় জিলহজ মাস। মর্যাদাপূর্ণ চার মাসের মধ্যে অন্যতম হলো জিলহজ মাস। মুসলমানদের হজের মাস এই জিলহজ মাস। আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের মাস হল এই মাস। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত মোট ছয় দিন হচ্ছে হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করার সময়। 

তাই এই মাসে মর্যাদা ও ফজিলত অন্যান্য মাসের চাইতে অনেক অনেক বেশি। মহান আল্লাহতালা বলেছেন তোমরা এই মাসে হজ করার মানসিকভাবে স্থির কর, হজের সময় স্ত্রীসম্ভোগ, অন্যায় আচার আচরণ এবং কলহ বিবাদ তোমাদের জন্য বৈধ নয়। তোমরা উত্তম কাজ কর, কারণ আল্লাহ তাআলা তা জানেন এবং দেখেন। উৎকৃষ্ট পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া বা আত্মসংযম। 

সুতরাং হয়ে মুমিনগণ তোমরা আমাকে ভয় কর (সূরা বাকারা-১৯৭)। আবু হুরাইয়া (রা:) থেকে বর্ণিত আছে রাসুল (সা:) বলেছেন, জিলহজ মাসের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহ তায়ালার কাছে অন্যান্য দিনের ইবাদতের চাইতে অনেক প্রিয়। প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজা রাখার মত এবং প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মত(তিরমিজি, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫৮)। 

জিলহজ মাসে চাঁদ উঠার পর থেকে 9 তারিখ পর্যন্ত রোজা পালন করা, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, কুরআন তেলাওয়াত করা দোয়া-দরূদ, তওবা, ইস্তিগফার ইত্যাদি ইবাদত করা আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল। জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে আমলের ফজিলত। আরাফার দিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ মাসে নফল রোজা রাখা বিশেষ সুন্নত। 

তবে আরাফায় উপস্থিত হাজী সাহেবদের জন্য এ রোজা বেশি একটা প্রযোজ্য নয়। আবু কাতাদা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে-রাসূল (সা:) বলেছেন-আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে মহান আল্লাহ তা'আলা রোজাদার ব্যক্তিদের এক বছরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন (তিরমিজি শরীফ-খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫৭)। 

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার তাকবীর বলা ওয়াজিব (ইলাউস সুনান-খন্ড-৮, পৃষ্ঠ-১৪৮)। যে ব্যক্তি অতিরিক্ত ৭ ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা পরিমাণ সম্পদ থাকবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। 

রাসূল (সা:) এর কাছে সাহাবাগণ বলেন-কোরবানি দেওয়ার কারণ কি এবং তাতে আমাদের জন্য কি সওয়াব রয়েছে? তখন রাসূল (সা:) বলেন-আল্লাহতালাকে রাজি খুশি করার জন্য যে পশু কেকোরবানি দেই সেই পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে আমাদের সওয়াব দান করেন। 

আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত আছে-রাসূল (সা:) বলেছেন যে ব্যক্তির আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দেয়ার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করলো না সে যেন ঈদগাহে কাছেও না যায় (ইবনে মাজাহ-২২৬)। মহানবী (সা:) এই জিলহজ মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকতেন। এই মাসে হজ, রোজা, সালাত, সাদকা-এর মত ইবাদতগুলোর সমন্বয় ঘটেছে। 

যা অন্যান্য সময় ঠিকমতো আদায় করা হয় না। তাই মুমিনদের উচিত জিলহজ মাসে নিয়ম মেনে ইবাদত সমূহ আমল করা। এভাবে নিজেকে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় বান্দা হিসেবে তুলে ধরার সঠিক সময়। আল্লাহ তাআলা আমাদের বেশি বেশি করে সালাত, সাদকা, রোজা ও হজ-এর মত নেক কাজ তৌফিক দিন। আমিন।

বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মহরম মাস

মহরম মাস-মহরম মাসের অর্থ হল সম্মানিত। এক জন সাহাবি হযরত মুহাম্মদ (সা:) জিজ্ঞাসা করেছিলেন রমজানের পর কোন মাসে আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? উত্তরে হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছিলেন রমজানের পর যদি রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহরম মাসে রাখ। 

মহরম মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা ফজিলত। কারণ মহরম মাস হল বরকতম মাস। হযরত মুহাম্মদ (সা:) ইরশাদ করে বলেছেন-তোমরা যদি রমজানের পর রোজা রাখতে চাও তাহলে মহরম মাসে রোজা রাখো। এই মাসটি আল্লাহর মাস। 

এই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিনে আল্লাহ তায়ালা জাতি কুলে সবার তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সবার তওবা কবুল করবেন (জামে তিরমিজি-১, পৃষ্ঠা-১৫৭)। এতেই বোঝা যাচ্ছে এই মাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ফজিলত ও বরকতময়। এই মাস হল মুক্তির মাস-
  • এ মাসে হযরত নূহ (আ:) এর জাহাজ প্লাবন হতে রক্ষা পায়।
  • এ মাসে ফেরাউনের অত্যাচারে থেকে মুসা (আ:) মুক্ত হন এবং ফেরাউন ও তার অনুসারীগণ লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়।

  • এই মাসে হযরত ইউনুস (আ:) মাছের পেট হতে মুক্তি পান।
  • এই মাসে হযরত ঈসা (আ:) জন্মগ্রহণ করেন এবং নমরুদের অগ্নিকুণ্ড হতে এই দিনে ই মুক্তি।
  • এই মাসেই হযরত সুলাইমান (আ:) কে আল্লাহতালা সর্বোচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বাদশা পৃথিবীতে নিযুক্ত করেন।
আল্লাহ তাআলা এই মাসের উছিলায় সকলকে ছোট বড় গুনাহ গুলো হতে মাফ করুন। আমিন

বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন রজব মাস

রজব মাস-হিজরীর মাস গুলোর মধ্যে রজব মাস একটি মহিমান্বিত মাস। এই মাস রমজানের আগমনী সংবাদ নিয়ে আসে। রজব মাসের অর্থ হলো সম্মানিত। জাহেলিয়ার যুগ থেকে আরবেরা এ মাস কে অন্যান্য মাসে তুলনায় অধিক সম্মান করতেন। তাই তারা এ মাসে নাম রেখেছিলেন রজব মাস। মহানবী (সা:) এ মাস কে খুবই গুরুত্ব দিতেন। 

রজব মাসের চাঁদ দেখা দিলে তিনি বেশ কিছু আমল করা শুরু করে দিতেন। হাদিসে শরীফে আসছে, হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা:) যে দোয়া পড়তেন তা হল- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়পা শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান। 

এর বাংলা অর্থ হল- হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতমত করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন (আল মুজামুল আওসাত, হাদিস -৩৯৩৯)। হাদিসে এসেছে পাঁচটি রাতে দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না। যেমন-জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, সাবানের ১৫ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহার রাত (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক- হাদিস-৭৯২৭)।

 রজব মাসে রোজা রাখার ব তেমন একটা ফজিলত নেই তবে নফল রোজা হিসেবে রোজা করা যায়। কারণ রমজান মাসে প্রস্তুতি হিসেবে আমরা রজব মাস থেকেই নফল রোজার শুরু করতে পারি আর আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি করে তওবা ও ইস্তেগফার দোয়া করব যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের রমজান মাসে সুস্থ থাকার তৌফিক দান করেন। 

পাশাপাশি রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী, দান-খয়রাত, কোরআন পাঠ সহ সকল পূর্ণ কর্ম গুলো ঠিকভাবে করতে পারি। তাহলে আশা করা যায়, ইহকালের কল্যাণ ও পরকালের মুক্তি লাভের সচেষ্ট হব। ইনশাল্লাহ।

শেষ কথা

আপনার আমার সকল মুসলমানেরই উচিত এই ৪ টি বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন মাস গুলোর ফজিলত সম্পর্কে জানা। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা এই ৪ টি মাস বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়ে হয়তো আপনি বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ৪ টি মাসের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অথবা কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url