কলার পুষ্টিগুন - কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
রূপচর্চা ক্যাটাগরির পোস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো কলার পুষ্টিগুন - কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কলা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে। কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃআর্টিকেলটিতে কলা খাওয়ার সঠিক সময় এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই উপকারিতা গুলো কি কি।
কলা খাওয়ার উপকারিতা - ভূমিকা
পাকা কলা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর।কলা এমন একটি ফল যা খেতে সবাই পছন্দ করে। কারণ কলা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল, সব জায়গায় পাওয়া যায়, দামেও কম আবার কলা খেলে অনেক সময় পর্যন্ত আপনার পেট ভরা থাকবে।
এর জন্য পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ এই ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। সহজলভ্য ও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফলটি যদি আপনি প্রতিদিন একটি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা লক্ষ্য করবেন।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
আপনারা যারা কলা কে আপনাদের রেগুলার ডায়েটে অ্যাড করেছেন বা করতে চান। কিন্তু কলা কখন, কিভাবে, কতটুকু পরিমানে খেতে হবে সে সম্পর্কে জানেন না। যে কারণে কলার সঠিক উপকারিতা ও গুনাগুন পাচ্ছেন না। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কলা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
চলুন জেনে নেই কলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন। কলার উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পেতে হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কলা সেবন করবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কলা খেলে এটি আপনার পেটের জন্য, শরীরের জন্য ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি কলা খেতে পারেন।
কলা আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।কলা মানবদেহের ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে থাকে। চেষ্টা করবেন কলা সব সময় সূর্য ডোবার আগেই খেতে। কেননা সূর্য ডোবার পরে যদি কলা সেবন করেন তাহলে আপনার সর্দি , কাশি, ঠান্ডার ও হাতে পায়ে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলা নিয়মিত সেবন করলে অসংখ্য রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
কলার মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম ও ফাইভার এর মাত্রা। এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। প্রত্যেকেরই কলা নিয়মিত সেবন করা উচিত।
কলার পুষ্টিগুণ
একটি পাকা কলায় অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস। সবকিছু মিলিয়ে একটি পাকা কলা একজন সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কলা হলো হাই ক্যালোরি ফুড।একটি মিডিয়াম সাইজের কলার মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ থাকে ১১০ ক্যালরি।
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যে সমস্ত খাবারের মধ্যে পটাশিয়াম বেশি রয়েছে সে সমস্ত খাবার আমাদের শরীরের সোডিয়াম কে বাইরে বের হতে সহায়তা করে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন একটি করে কলা খান। কলাতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন। কলার মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। কলার পুষ্টিগুণ গুলো চলুন জেনে নেই।
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬,রিবোফ্লাবিন, ফলেট, এসিড, নিয়াসিন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম কপার, ডায়েটারি ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ।
কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে দুর্বলতার মত সমস্যায় ভুগে থাকেন। অল্প একটু কাজ করাতেই আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাহলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে কলা যোগ করুন।
- এছাড়াও আপনার স্বাস্থ্য যদি একেবারেই কম হয়ে থাক এবং আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা কলা রাখতে পারে।
- হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কলার মধ্যে তেমন ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় না ।তার পরেও কলা আমাদের হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে কলা খেতে পারেন তাহলে কলাতে থাকা কিছু উপাদান আপনার প্রতিদিনের খাদ্য থেকে আহরিত ক্যালসিয়ামকে আপনার হাড়ের গঠনকে শক্ত করতে সহায়তা করবে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উচিত। কারণ কলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- কলাতে থাকা আইরন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনার শরীরের যদি রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকা কলা রাখার চেষ্টা করবেন।
- ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। শরীর থেকে পটাশিয়াম বের হয়ে যাওয়ার কারণে ডায়রিয়া পেশেন্টরা খুব সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ডায়রিয়া রোগীকে অবশ্যই কলা খাওয়াবেন। কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের পটাশিয়াম লেভেল কে মেনটেইন করতে সহায়তা করে।
- যারা প্রতিনিয়ত এক্সারসাইজ করে থাকেন তারা প্রতিদিন খাদ্য তালিকা অবশ্যই করার রাখবেন। কারণ কলার মধ্যে থাকা ক্যালরির জন্য এক্সারসাইজ করার সময় আপনি হাপিয়ে ওঠেন না। এজন্য অনেক বেশি সময় ধরে আপনি এক্সারসাইজ করতে পারেন।
কলা খাওয়ার উপকারিতা
মানব দেহের জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। সুস্থ থাকতে হলে চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে। কলাতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেই কলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
কলা শক্তির উৎসঃ কলা শক্তির অত্যন্ত ভালো উৎস হওয়ার কারণে খেলোয়াড়কেই বেশি পরিমাণে কলা খেতে দেখা যায়। কারণ কলা খেলে শরীরের এনার্জি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি খুব ক্লান্ত ক্লান্ত বা নিজেকে শক্তি হীন মনে হয় তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে পারে। কলা আপনার এনার্জেটিভক করে তুলতে সহায়তা করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কলাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা বাউলের মুভমেন্ট কে মসৃণ করে। যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এছাড়াও অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কলা বেশ উপকারী। কোলেস্টেরল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও কলা সহায়তা করে থাকে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃপ্রতিদিন যদি আপনি একটি করে কলা খান তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে।
আলসারঃ প্রাচীন যুগ থেকে কলা অ্যান্টাসিড ফুড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ কলা অন্ত্রের এসিডের নিঃসরণ কমিয়ে থাকে। কলাতে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো পাকস্থলী আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সহায়তা করে। হার্টের সঞ্চালন ঠিক রাখতেও কলা বেশ কার্যকর।
স্বাস্থ্য কমায়ঃ একটি মাঝারি সাইজের কলাতে ৯০ থেকে ১১০ ক্যালোরি থাকে। তাই আপনার যদি মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাহলে আপনি কলা খেতে পারেন। কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে। কলাতে কোন ফ্যাট না থাকার কারণে কলা খেলে ওজন বাড়ে না।
কলা ক্ষুধা সৃষ্টিকারী হরমোন গ্রেলিং নিঃসরণে বাধা দেয় তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি ওজন কমতেও সাহায্য করে কলা। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্য কমাতে চান তাহলে আপনার ডায়েটে কলা রাখতে পারেন।
হাড় কে শক্তিশালী করেঃ হারকে শক্তিশালী করতে কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলাতে রয়েছে ফ্রুটকো লাইকো স্যাকারাইড যা এক ধরনের প্রিবায়োটিক। যা অবশেষে প্রবায়োটিকে পরিণত হয়। প্রবায়োটিক এমন কার্বোহাইড্রেট যা মানুষের শরীরে হজম হয় না।
অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে প্রোবায়োটিক পরিচিত। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া খনিজ ও পুষ্টি উপাদানের দ্বারা উদ্দীপিত হয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধিম করার মাধ্যমে হাড়কে শক্তিশালী করে।
আর্থাইটিসঃ কলাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। আর্থাইটিসের উপসর্গ ফোলা ও যন্ত্রণা কমাতে পারে কলা। আর্থাইটিসের রোগীরা প্রতিদিন একটি করে কলা খেয়ে ব্যথা মুক্ত থাকতে পারেন। তাই চেষ্টা করবেন আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটি করে কলা রাখতে।
ওজন বাড়াতেঃ কলা যেমন ওজন কমাতে সহায়তা করে তেমনি ওজন বাড়াতেও বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে দুধের সাথে কলা খেতে পারেন যেমন দুধ ও কলার মিল্কশেক তৈরি করে খেতে পারেন অথবা দুধ কলা একসাথে চটকেও খেতে পারেন।দুধে রয়েছে প্রোটিন আর কলাতে রয়েছে চিনি।
এছাড়াও কলা খুব সহজে হজম হয়ে যাওয়ার ফলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি কলা খেতে পারে। এর ফলে আপনার শরীরে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরি গ্রহণ করা যায় যার মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও কলা খুবই দ্রুত এনার্জি প্রদান করতে সহায়তা করে।
কিডনি ডিসঅর্ডারঃ কিডনির বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কলা বেশ কলাতে থাকা পটাশিয়াম দেহের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে কার্যকরী একটি উপাদান। পটাশিয়াম মূত্র ত্যাগে উৎসাহিত করতে সহায়তা করে। বেশি পরিমাণে মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীর বিষমুক্ত হয়। এছাড়াও কলাতে রয়েছে এই অক্সিডেন্ট উপাদান যা কিডনির কর্ম ক্ষমতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গর্ভবতীদের জন্যঃ নারীর জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী। কেননা এটি সকালবেলার দুর্বলতা কাটাতে কাজ কর এছাড়াও রক্তের শর্করা সামঞ্জস্য বজায় রাখে।
চোখের স্বাস্থ্যঃ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল উপাদান রয়েছে তার বেশিরভাগ উপাদান কলাতে পাওয়া যায়। যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিনের পরিপূর্ণ এবং সঠিক মাত্রায় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। স্বাভাবিক মাত্রায় কলা ও অন্যান্য ফল খাওয়ার সাথে চোখের ছানি, রাতকানা ও গ্লুকোমার মত রোগের প্রকোপ কমায়।
এনিমিয়াঃ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়া যেসব রোগীর রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী একটি ফল।
কার্ডিও ভাস্কুলার সুরক্ষাঃ কলা কার্ডিওভাস্কুলার সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করে। কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আর পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। শরীরে অক্সিজেনের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান খুবই কার্যকরী।
কলা খাওয়ার অপকারিতা
যেকোনো জিনিসের ভালো খারাপ দুই দিকই রয়েছে। কলা যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমনি একটু খাওয়ার একটি পরিমাণ রয়েছে। পরিমাণে তুলনায় কলা বেশি খেয়ে ফেললে আপনি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তাই চেষ্টা করবেন করে নিতে পরিমানে কলা খাওয়া। চলুন জেনে নেয়া যাক কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
ওজন বৃদ্ধিঃ আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মাইগ্রেনঃ আপনারা যারা মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কলা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কেননা কলাতে রয়েছে এক ধরনের টাইরামাইন নামের পদার্থ যা মাইগ্রেনের কারণ।
হাইপার ক্যালিমিয়াঃ রক্ত পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হাইপার ক্যালেমিয়া রোগ দেখা দেয়। যারা অল্পতেই দুর্বল হয়ে পড়েন এবং হৃদপিন্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে এ ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।
দাঁতের ক্ষয়ঃ কলাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকায় আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খান তাহলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
ক্লান্তি বেড়ে যায়ঃ পাকা কলাতে রয়েছে ক্রিপটফেন নামের এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকা ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় যার ফলে ক্লান্তি আসে এবং ঘুম পায়।
নার্ভঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন বি৬ খাওয়ার প্রভাবে নার্ভের ক্ষতি হয়। কলাতে ভিটামিন বি৬ প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়। তাই বেশি পরিমাণে কলা খেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শ্বাস নিতে সমস্যাঃ যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খায় তাহলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে সঠিক সময়ে কলা খাওয়ার নিয়ম, কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।
ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url