লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন। কিন্তু সঠিক কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। আজ আমি আপনাকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ,লং টেলই কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃএখানে আরো আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ - লং টেলই কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ ছাড়াও বেশ কিছু ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
যে কোন বিষয়ে শুধু আর্টিকেল লিখলেই হবে না। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখবেন সে বিষয়ে সব তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং আর্টিকেলটি অন্য সব আর্টিকেলের থেকে ইউনিক এবং সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে পনার আর্টিকেলটি গুগলের র্যাংকিং এ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর্টিকেল লিখতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয় সে বিষয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ
আর্টিকেল স্পিনিং বলতে আসলে কোন একটি আর্টিকেল থেকে অন্য একটি আর্টিকেল তৈরি করা কে বোঝায়। এবং নতুন আর্টিকেলটা আগের আর্টিকেলে থেকে ভিন্ন। ভিন্ন বলতে আগের আর্টিকেলটি যেভাবে তৈরি করা ছিল পরের আর্টিকেলটি তৈরি করতে সেম শব্দগুলো থাকবে না অন্যান্য শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করা হবে। এই ধরনের আর্টিকেলকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে।
আপনি যদি একটি আর্টিকেল থেকে কিছু অংশ কপি করে Free- Article- Spinner.Com ওয়েব সাইটে গিয়ে পেস্ট করে ওপরে যে লেখাটি আসবে সেটি লিখে Spin Test এ ক্লিক করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই আর্টিকেলটি কনভার্ট হয়ে নতুন একটি আর্টিকেল তৈরি হবে।
এখন আসা যাক মূল কথায় আপনি যদি আর্টিকেল স্পিনিং করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে সেটা গুগলে র্যাংক করবে কিনা। এর উত্তর হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে র্যাংক করবে আবার অনেক ক্ষেত্রে করবে না। আর গুগল যদি এটা বুঝতে পারে যে আপনার প্রত্যেকটা আর্টিকেল স্পেনিং করে লেখা তাহলে যেটা হবে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল কিক করতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য কোন পোস্ট গুগলের র্যাংক নাও করতে পারে। এটা যেহেতু আর্টিকেল লেখার লিগেল কোন উপায় না সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এভাবে লিখেন আর গুগলের কাছে ধরা খেয়ে যান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি হতে পারে।
আর্টিকেল স্ক্রাপিং জিনিসটা আসলে কি চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেই। যেকোনো আর্টিকেল স্ক্রাপার ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি কোন একটি কিওয়ার্ড দেওয়া হয় তাহলে সেই কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে একটি পুরো আর্টিকেল লিখে আপনাকে দিবে। সেটাকেই বলা হয় আর্টিক্যাল স্ক্রাপিং।
Buying কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা ইনকাম করা
Buying কিওয়ার্ড বলতে এমন কোন কিছু সম্পর্কে যদি কেউ গুগলে সার্চ দেয় সেটা হতে পারে কোন প্রোডাক্ট যে সে প্রোডাক্টটি ভালো না খারাপ, এটার উপকারিতা কি, বা এটা আসল নাকি নকল। আপনি হয়তো টার্গেট করবেন ওই টাইপের কাস্টমারদের যারা এইসব লিখে গুগলে সার্চ দেয়।
আপনি সেই সকল ব্যক্তিদের টার্গেট করে পোস্ট লিখ এবং সেই পোষ্টের ভিতর প্রোডাক্টটা কিভাবে বিক্রি করবেন সেই সংক্রান্ত ব্যাপার স্যাপার আলোচনা করবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যে নিজে বিক্রি করবেন ব্যাপারটা সেরকম নয়। আপনি চাইলে অন্য কারো প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিয়ে এই সিস্টেমে ইনকাম করতে পারবেন। যেটাকে আমরা অ্যাফিলিয়াত মার্কেটিং বলি।
যেমন ধরেন শীতকালে মানুষ খেজুরের গুড় খায়। বর্তমানে খেজুরের গুড়ে অনেক ভেজাল রয়েছে যার ফলে মানুষজন এখন গুগলে এটা লিখে সার্চ দেয়। আসল খেজুরের গুড় চেনার। উপায় আপনি যেটা করতে পারেন তা হল এরকম একটা পোস্ট লিখতে পারেন খেজুরের গুড় সম্পর্কে।
সম্পর্কে লিখে যদি আপনার পোস্টটি google এ র্যাঙ্ক করতে পারেন তাহলে যেটা হবে আপনার ওই বিষয়টি লিখে যদি কেউ সার্চ করে শুরুতেই আপনার পোস্ট চলে আসবে। এরপর আপনি আপনার পোষ্টের ভেতরে ব্যাখ্যা করবেন আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায় বা নকল খেজুরের গুড় চেনার উপায়। যে ব্যক্তি এই খেজুরের গুড় সম্পর্কে সার্চ দিয়েছে তা নিশ্চয়ই গুড় খেতে ইচ্ছে করছে।
তাই আপনি কি করতে পারেন তার কাছে খেজুরের গুড় বিক্রি করতে পারেন। যেহেতু আপনি নিজের গুড় বিক্রেতা নয় তাই যে ব্যক্তির খেজুরের গুড় বিক্রি করে তার যদি কোন পেজ থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই পেজের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে পারেন। আর বলতে পারেন যে আপনি এই পেজ থেকে খেজুরের গুড় কিনতে পারেন।
যে এই পেজে শতভাগ আসল খেজুরের গুড় পাওয়া যায়। এভাবে আপনি নিজেরও যদি খেজুরের গুড়ের ব্যবসা থাকে সেই ব্যবসাটাও ভালোভাবে চালাতে পারবেন। অথবা অন্য কারো খেজুরের গুড়ের ব্যবসা থাকলে সেই ব্যবসাটা কি আপনি প্রমোট করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য কারো ওয়েবসাইটে অথবা পেজ থেকে যদি খেজুরের গুড় কেনে সেক্ষেত্রে আপনি সেলের বিপরীতে আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশন দাবি করতে পারেন। এভাবে আপনি ইনকাম করতে পারেন। এভাবে আপনি অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন এতে আপনি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন
লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ
লং টেলই কিওয়ার্ড সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমরা যখন গুগলে কোন কিছু জানার জন্য সার্চ দেই সাধারণত ছোট ছোট আইটেম লিখে সার্চ দেওয়া হয়। ছোট একটি শব্দের সাথে যদি অনেক শব্দ জুড়ে দেওয়া হয় তখন সেটাকে লং টেলই কিওয়ার্ড বলা হয়।
যদি ছোট কোন শব্দ দিয়ে গুগলে সার্চ করা হয় তাহলে সেটাকে বলে জাস্ট কিওয়ার্ড আর সেই ছোট কিওয়ার্ডে আগে পরে যদি কোন কিছু জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটাকে বলে টেইল কিওয়ার্ড। আপনি যদি শুরুতে ব্লগিং করেন সে ক্ষেত্রে আপনি যে কাজটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে লং টেল কিওয়ার্ড যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আপনি পোস্ট লিখতে পারেন।
এতে করে কি হবে লং টেলই কিওয়ার্ড নিয়ে তেমন কোন ব্যক্তি পোস্ট লেখে না সে ক্ষেত্রে আপনি সেই লংটেন কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখলে গুগলে সেটা খুব দ্রুত র্যাংক করবে। আপনি যখন সাজেশন থেকে কোন লং টেল কিওয়ার্ড খুঁজে বের করবেন এবং সে সম্পর্কে পোস্ট লিখবেন সে ক্ষেত্রে গুগল র্যাংকে আসার পরে আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।
ধীরে ধীরে গুগল সার্চ থেকে ডিজিটাল আসা শুরু করবে। যখন আপনার ওয়েবসাইট ভালো একটি পর্যায়ে চলে আসবে তখন আপনি ছোট ছোট কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে পোস্ট লিখতে পারেন।
আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোঁজা, কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস
আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি আগে থেকেই সে বিষয়ে জানা থাকে না বা আমরা সে বিষয়ে এক্সপার্ট না। আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখি সে বিষয়টি নিয়ে গুগলে সার্চ করি। যদি দেখতে পাই যে কীওয়ার্ড টা নিয়ে আমরা সার্চ করছি সেটি একটি কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড সেটা নিয়ে আমরা লেখা শুরু করি।
আর যেসব কিওয়ার্ডের কোন ভ্যালু নেই সেসব কিওয়ার্ড দিয়ে সাধারণত আমরা লেখালেখি করি না।কোন বিষয়ে আপনি আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়টি যদি আপনি খুজে না পান তাহলে গুগলে গিয়ে একটি শব্দ লিখে সার্চ করলে আপনাকে গুগল থেকে সাজেশন দিবে মানুষ কি কি বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে। সে বিষয়গুলোকে আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড হিসাবে ধরে নিতে পারবেন।
কেননা ওই বিষয়গুলোতে গুগলে সার্চ হয়। তাই ওই বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখলে আপনার ওয়েবসাইট গুগল রেঙ্কে আসার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেড়ে যায়। এভাবে আপনি বিভিন্ন টপিক খুঁজে নিতে পারেন। নিশ্চয়ই টপিক খোঁজার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
কিওয়ার্ড এনালাইসিস কোন একটি বিষয়ে যখন গুগলে সার্চ করা হয় গুগল সেই সম্পর্কে যে সাজেশন গুলা দেয় সেগুলোর মধ্যে একটি সিলেক্ট করবেন এবং সেই সম্পর্কে সার্চ করলে বুঝতে পারবেন সে সম্পর্কে কি কি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। আপনার পোস্ট গুগল রাঙ্কিং এ সবার শুরুতে দেখাতে বাদবাকি সবার থেকে আপনার পোস্টটা ভালো হতে হবে।
শেষ কথা
একটি আর্টিকেল লেখার সময় অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি আর্টিকেল গুগলের রেংক করতে হলে আর্টিকেলটি হতে হবে ইউনিক এবং বিভিন্ন বিষয় তথ্য দিয়ে পরিপূর্ণ। যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি লেখালেখি করবেন সে বিষয়টি যেন অন্য কারো সাথে না মিলে যায়। চেষ্টা করবেন সবার থেকে আলাদা রাখার।
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url