সজনে পাতার ১১ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

সর্দিকাশির ঘরোয়া উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুনপ্রিয় পাঠক আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম শতভাগ কার্যকর সম্পর্কে। আপনারা নিশ্চয়ই জেনে উপকৃত হবেন যে সজনে পাতা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। তাই আর দেরি না করে চলুন সজনে পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।
সজনে পাতার ১১ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
আপনারা হয়তো সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা জানেন। তবে আজ এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে বুঝতে পারবেন সজনে পাতার অলৌকিক কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। যা হয়তো আপনাদের জানা নাও থাকতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃসজনে পাতার উপকারিতার পাশাপাশি সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং সজনে পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কেও আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সজনে পাতার অলৌকিক কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

সজনে পাতার উপকারিতা - ভূমিকা

বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজনে পাতা পুষ্টিগুণের আঁধার। নিরামিষ ভজিরা সজনে পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পেতে পারে। পরিমাণের দিক থেকে আলোচনা করলে একই ওজনের সজনে পাতায় কমলালেবুর ৭ গুন ভিটামিন সি, গাজরের থেকে ৪ গুণ ভিটামিন এ এবং কলা থেকে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম পাওয়া যায়। 

বিজ্ঞানীরা আরো বলেন সজনে পাতায় ৩৮% আমিষ,৬১% ম্যাগনেসিয়াম,৪১% পটাশিয়াম,৭১% আয়রন , এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি সহ দেহের অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।সজনের ইংরেজি নাম ড্রামস্টিক এবং বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা অলিভেরা। শীত প্রধান দেশ ছাড়া সারা পৃথিবীতেই এই পাতা পাওয়া যায়। 


বারোমাসি সজনে সারা বছর ধরে ফলন দেয়। গাছে সব সময় ফুল এবং কচি পাতা দেখা যায়। ভারতীয় আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে, সজনে পাতা প্রায় ৩০০ প্রকারের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। বর্তমান সময়ের আধুনিক বিজ্ঞানের এই ধারণাকে সমর্থন করে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব সজনে পাতার অলৌকিক কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

সজনে পাতার পুষ্টি উপাদান

সজনে পাতাকে সাধারণত সুপারফুড মনে করা হয়। বিজ্ঞানীরা পুষ্টির দিক দিয়ে সজনে পাতাকে পুষ্টি ডিনামাইট বলে থাকেন। এই গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে পুষ্টি, ঔষধি গুণ ও সারা বছর ফল পাওয়া যায় বলে বাড়ির আঙিনায় এটি একটি মাল্টিভিটামিন বৃক্ষ নামে পরিচিত। 

পুষ্টিগণের আধা হিসেবে সজিনা পাতা পরিচিত। এখন চলুন জেনে নেই সজনে পাতাতে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজনে পাতাতে কমলালেবুর থেকে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের থেকে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম এবং ২ গুন আমিষ, গাজরের থেকে ৪ গুণ ভিটামিন এ ,কলার থেকে ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। 

ছাড়াও বিজ্ঞানীরা আরো বলেন সজনে পাতায় ৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনেসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ ২৭২% ভিটামিন এ এবং ২২% ভিটামিন সি সহ দেহের প্রয়োজনীয় বহু পুষ্টি উপাদান।

সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

সজনে পাতাতে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে অন্য কোন উপাদানে এত পুষ্টি উপাদান নেই বললেই চলে। সজনে পাতার সিজনে যখন প্রচুর পরিমাণে সজনে পাতা পাওয়া যায় তখন যদি আপনি প্রতিদিন তাজা সোজনে পাতার জুস খেতে পারেন তাহলে তা হবে আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী একটি পানীয়।

সজনে পাতার জুস তৈরি করার জন্য আপনাকে কিছু পরিমাণ তাজা সোজনে পাতা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর ভালো করে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারের জারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে ।স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিছু আদা কুচি, জিরা ও একটু বিট লবণ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ছাকনার সাহায্যে ছেঁকে খাওয়ার সময় একটু মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। 

এই জুস আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী একটি পানীয়। যা আপনাকে একাই হাজারো শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে পারে।এছাড়াও আপনি যদি জুস বানাতে বিরক্ত মনে করেন। অথবা প্রতিদিন জুস বানানো আপনার পক্ষে সম্ভব না হয় ।তাহলে আপনি তাজা সজনে পাতা ভর্তা করে খেতে পারেন। 

আপনি যদি সজনে পাতা ভেজে অথবা সিদ্ধ করে খান তাহলে এর পুষ্টিগুণ অনেকাংশে কমে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন কাঁচা সজনেপাতা পাটায় পিষে অথবা ব্লেন্ড করে এর সাথে আদা, রসুন অথবা পেঁয়াজ দিয়ে এর টেস্ট বাড়িয়ে নিতে পারেন। এরপর এই ভর্তাটি আপনি ভাতের সাথে খেতে পারেন। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।


সজনে পাতার সিজনে আপনি এভাবে খেতে পারেন। কিন্তু যখন সৃজন চলে যাবে আন সিজনে আপনি সজনে পাতার গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন। যখন সজনে পাতার সৃজন থাকবে তখন সজনে পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। এই গুড়ো আপনি ছয় মাস পর্যন্ত অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। 

আনসিজনে সজনে পাতার গুড়ো সকালে এবং রাতে এক চামচ করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। যা আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে শতভাগ সহায়তা করবে। তাই আমি বলব এই মূল্যবান পাতাটিকে আপনারা অবহেলা করবেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। 

আপনি যদি সারা বছর এভাবে সজনে পাতা অথবা সজনে পাতার গুড়ো খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন। এই পাতাটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর আগের থেকে সুস্থ সবল ও প্রাণবন্ত হবে।

সজনে পাতার উপকারিত

সজনে গাছের পুষ্টিগুণ, ঔষধি গুন ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আরো ব্যাপকভাবে সজনে পাতা ও ফলের ব্যবহার বাড়ানো উচিত। আমাদের প্রত্যেকের সারা বছরই সজনে খাওয়ার অভ্যাস আরো বাড়ানো দরকার। কারণ সজনে পাতায় আট ধরনের অ্যামাইনো এসিড সহ ৩৮% আমিষ আছে যা অনেক উদ্ভিদেই নেই। 

বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এই পাতাকে অলৌকিক পাতা মনে করেন। অনেকেই সজনে পাতাকে পুষ্টির ডিনামাইট বা মাল্টিভিটামিনের উৎস মনে করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সজনে পাতার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।

হৃদরোগের চিকিৎসায়ঃ সজনে পাতার রস হৃদরোগের চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সজনে পাতার রসে বহুমূত্র রোগ সারে। যারা এ রোগে আক্রান্ত তারা নিয়মিত সজনে পাতার রস খেলে অবশ্যই সুফল পাবেন।

বাচ্চাদের পেটের সমস্যাঃ সজনে পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেলে বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর হয়। এছাড়াও ১ টেবিল চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো থেকে বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় ১৪% আমিষ,৪০% ক্যালসিয়াম,২৩% আয়রন ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাবঃ বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মহিলারাই ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাবে ভুগে থাকেন। যার ফলে দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মহিলারা যদি সজনে পাতার গুড়া রোজ খেতে পারেন তাহলে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাবজনিত সমস্যাগুলো দূর হবে।


দাঁতের মাড়ির সমস্যাঃ আপনারা যারা দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন যেমন দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা বর্তমান সময়ে অনেকেই ভুগছেন। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সজনে পাতার পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে যদি রোজ কুলি করতে পারেন তাহলে সহজেই উপকার পাবেন।

উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যাঃ বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। অল্প বয়সের পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে এই উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে সজনে পাতার টাটকা রস দুবেলা খাবার খাওয়ার আগে দুই থেকে তিন চামচ করে খেলে ধীরে ধীরে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা কমে যাবে।

ঋতু পরিবর্তনঃ ঋতু পরিবর্তনের কারণে ছোট থেকে বড় অনেকেই জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার দেখা যায় অনেকেই আছেন যারা সারা বছরই সর্দি জনিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন। এক্ষেত্রে যদি আপনারা সজনে পাতার শাক নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে যন্ত্রণাদায়ক জ্বর ও সর্দি অনেকাংশে কমে যাবে।

অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেঃ সজনে পাতার রস অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি কোথাও কোন ধরনের পোকা কামড় দেয় তাহলে সেই স্থানে সজনে পাতার রস লাগাতে পারেন অথবা ক্ষতস্থানে সজনে পাতার পেস্ট লাগালে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কুকুরের বিষ দূর করতেঃ কুকুরের কামড় বা খামচিতে যে বিষ আমাদের শরীরে তৈরি হয় সেই বিষ দূর করতে সজনে পাতা বেটে রসুন, হলুদ , লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়ে যায়। কুকুর কামড়ালে এই মিশ্রণটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে দারুন ফল পাওয়া যায়।

চোখের সমস্যাঃ চোখের দৃষ্টি সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত সজনে পাতা খেতে পারেন। কারণ সজনে পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ । যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি চাইলে সজনে পাতা শাক হিসেবে খেতে পারেন আবার সজনে পাতার গুড়োও খেতে পারে।

এসিডিটির সমস্যাঃ আমাদের মধ্যে গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসিডিটির ক্ষেত্রে সজনে পাতা বেশ উপকারী। আপনি যদি সজনে পাতার বড়ি তৈরি করে নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

খুশকি দূর করে এবং চুল পড়া কমায়ঃ আপনি যদি খুশকি জনিত সমস্যায় ভুগেন এবং খুশকি জনিত সমস্যায় আপনার চুল পড়ে যায় । তাহলে আপনি সজনে পাতা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে সেই ঘন পেস্ট মাথার ত্বকে লাগাতে পারে । যা আপনার খুশকি সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও সজনে পাতার পেস্ট চুলের গোড়া মজবুত করতেও সহায়তা করে।

সজনে পাতার অপকারিতা

আমরা কমবেশি সকলেই জানি সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। সজনে পাতার তেমন কোন ক্ষতিকর দিক না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন সজনে পাতার নিজস্ব একটা ঘ্রাণ আছে। যা অনেকেই সহ্য করতে পারে না। এই ঘ্রানের কারণে অনেক সময় সজনে পাতার গুড়ো খেতে অসুবিধা হয়। 

তবে যারা এই ঘ্রান উপেক্ষা করে সজনে পাতা গ্রহণ করতে পারবে তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। প্রথম কয়দিন খেতে অসুবিধা হলেও পরে আর খেতে সমস্যা হবে না। চলো তাহলে এবার জেনে নেই সজনে পাতার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
  • সজনে পাতার নিজস্ব একটা ঘ্রাণ আছে সেই গানটি অনেকটা মেহেদী পাতার মতো। যা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না।
  • সজনে পাতার ঘ্রাণের জন্য অনেকেই এই পাতা খেতে গিয়ে বমি করে দেয়।
  • এছাড়াও সজনে পাতা যদি আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন এতে আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সজনে পাতার গুড়াতে যেহেতু অন্য কোন কেমিক্যাল জাতীয় উপাদান মেশানো হয় না। তাই এই পাতার গুড়া সেবন করলে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে বর্তমান সময়ে সজনে পাতা গুড়ার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে থাকেন। 

এই ধরনের পাউডার যদি আপনারা সেবন করে থাকেন তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন আপনারা নিজেই বাড়িতে সজনে পাতার গুঁড়ো তৈরি করার জন্য। তবে আপনাদের পক্ষে যদি সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন অথেনেটিক কোন সোর্স থেকে এই পাতার গুড়া সংগ্রহ করার জন্য। 

কারণ সজনে পাতা শুকানোর সময় যদি কোন ধরনের ধুলাবালি মিশে যায় তাহলে সেই পাতার গুড়ো খেলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন ধুলোবালি মুক্ত অথেনেটিক সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার জন্য। অথবা টাটকা সজনে পাতার ভর্তা অথবা জুস খাওয়ার জন্য।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেকটা উপকৃত হয়েছেন। কারণ আর্টিকেলটিতে সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম, সজনে পাতার পুষ্টি উপাদান এবং সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন আমাদের শরীরের জন্য সজনে পাতা কতটা উপকারী। তাই সম্ভব হলে নিয়মিত সজনে পাতা খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য লিখে জানাবেন।ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url