টাইগার মুরগি চেনার উপায় - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম

ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতাপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো টাইগার মুরগি চেনার উপায় - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে টাইগার মুরগী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমি চেষ্টা করব আপনারা যেন আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হন।
টাইগার মুরগি চেনার উপায়-টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম
পোস্ট সূচিপত্রঃআর্টিকেলটিতে টাইগার মুরগি চেনার উপায়, বাচ্চার দাম,পালন পদ্ধতি, ভ্যাকসিন ও খাবার তালিকা এবং টাইগার মুরগির ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আর দেরি না করে টাইগার মুরগি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

টাইগার মুরগি চেনার উপায় - ভূমিকা

টাইগার মুরগির বিষয়ে মোটামুটি যাদের আগ্রহ আছে আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। টাইগার মুরগী হলো দ্রুত বর্ধনশীল দেশী সোনালি মুরগির সাথে ক্রস করে তৈরি করা হয়েছে।টাইগার মুরগী হল একটি হাইব্রিড জাতের মুরগি। যারা অল্প সময়ে অধিক মাংসের জন্য মুরগি পালন করতে চান তাদের জন্য এই টাইগার মুরগি। 

টাইগার মুরগির নির্দিষ্ট কোন জাত না থাকলেও এটি দেশীয় সোনালি মুরগির একটি হাইব্রিড জাত হিসেবে পরিচিত। টাইগার মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়ার এবং যেকোনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারায় বর্তমানে এই মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। 

পর্যাপ্ত পরিমান মানুষের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি এই টাইগার মুরগী আশানুরূপ ডিম ও প্রদান করে থাকে। তাই যারা খামার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য টাইগার মুরগি পালন হবে একটি লাভজনক ব্যবসা।

টাইগার মুরগি চেনার উপায়

আপনি কি টাইগার মুরগি চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগি চেনার উপায় সম্পর্কে। 
এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • অন্যান্য মুরগি থেকে টাইগার মুরগি দেখতে অনেকটাই আলাদা। অন্য মুরগির তুলনায় টাইগার মুরগির চেহারা ও স্বাস্থ্য অনেকটা ভালো হয়ে থাকে।
  • বয়স অনুযায়ী অন্যান্য মুরগীর তুলনায় টাইগার মুরগির ওজন অনেকটা বেশি হয়। বিশেষ করে মাংস উৎপাদনের জন্য এই মুরগি বেশি পালন করা হয়।
  • অনেক সময় টাইগার মুরগির গায়ের রং দেখেও এই মুরগি চিহ্নিত করা যায়। টাইগার মুরগির গায়ের রং লাল, কালো, বাদামি, ধূসর এবং মিশ্র বর্ণের হয়ে থাকে।
  • টাইগার মুরগির পায়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন স্বাস্থ্যের সাথে সাথে এর পায়ের আকৃতি অনেকটা মোটা হয়ে থাকে।
  • অন্যান্য মুরগি তুলনায় টাইগার মুরগির বডি অনেকটা গোলাকার হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও টাইগার মুরগি চেনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য মুরগি তুলনায় টাইগার মুরগি শরীরে অধিক পরিমাণে মাংস থাকে।

টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম

আপনি কি টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে জেনে নেই।

বর্তমান সময়ে টাইগার মুরগির পালন বেশ লাভজনক হওয়ায় বেশিরভাগ খামারীরাই এই মুরগি পালনে আগ্রহী হচ্ছে। যার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা সুযোগ বুঝে টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে বর্তমান বাজার অনুযায়ী টাইগার মুরগির বাচ্চা ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

আপনি যদি টাইগার মুরগির খামার করতে চান তাহলে মুরগির বাচ্চা কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে বাচ্চা কিনবেন। যেহেতু বিভিন্ন কারণে বাচ্চার দাম ওঠানামা করে তাই বাচ্চা কেনার আগে অবশ্যই দাম সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় টাইগার মুরগির বাচ্চা ঝুড়িতে করে বিক্রি করা হয়। 

আপনি চাইলে সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন বড় বড় খামারীদের কাছ থেকে ভালো মানের টাইগার মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারবেন।

টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি

আপনি কি টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

আপনি যদি টাইগার মুরগি পালন করতে চান সবার আগে আপনাকে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হল ভালো বাচ্চা, ভালো খাবার এবং ভালো বাসস্থান। তাহলে আপনি টাইগার মুরগী পালন করে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 
আমাদের দেশের আবহাওয়া টাইগার মুরগী পালনের জন্য বেশ উপযোগী। আপনি যদি সঠিক বাচ্চা বাছাই করে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে মুরগি পালন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভবান হবেন।

ঘরের মাপঃ ব্রিডের জন্য ১ হাজার টাইগার মুরগির জন্য শেড তৈরি করতে হবে ১০০ ফিট লম্বা,চওড়া ৩০ফিট অর্থাৎ৩ হাজার স্কয়ার ফিট। মুরগির জন্য জায়গার প্রয়োজন হয় ৪ স্কয়ার ফিট, ৩ স্কয়ার ফিটেও রাখতে পারেন।

আপনি যদি মাংসের জন্য টাইগার মুরগি পালন করতে চান তাহলে ১০০০ মুরগির জন্য অবশ্যই এর থেকে জায়গা বাড়িয়ে নিবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোবাতাস পেলে মুরগি সুস্থ থাকবে ফলে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে।

খাবার ব্যবস্থাপনাঃ টাইগার মুরগিকে অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে। খাবারের উপর নির্ভর করছে আপনার মুরগির গ্রোথ। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে আপনার মুরগি মাংস ও ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণ পাবেন। তাই চেষ্টা করবেন মুরগিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও নিরাপদ পানি খাওয়াতে।

সুস্থ বাচ্চাঃ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যখন টাইগার মুরগির বাচ্চা নির্বাচন করবেন সেই বাচ্চা গুলো যেন অবশ্যই সুস্থ ও সফল বাচ্চা হয়। সুস্থ বাচ্চা না হলে বাচ্চাগুলো যখন আপনার খামারে নিয়ে আসবেন তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বাচ্চাগুলো আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে এবং মারা যাবে। 

যার ফলে আপনি লসের সম্মুখীন হবেন। তাই চেষ্টা করবেন যেখান থেকেই বাচ্চা আনেন না কেন বাচ্চা গুলো যেন অবশ্যই সুস্থ বাচ্চা হয়।

টাইগার মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা

আপনি কি টাইগার মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
মুরগিকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের কিছু নিয়ম রয়েছে।সেই নিয়মগুলো যদি সঠিকভাবে পালন করা যায় তাহলে মুরগির বাচ্চাকে অনেক ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা করা যায়। চলুন জেনে নেই টাইগার মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে।

  • ডিম থেকে যখন মুরগির বাচ্চা বের হয় তখন থেকে ঠিক ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটা ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয় সেটি হল SBDI5. এই ভ্যাকসিনটি অবশ্যই কোন কিছু খাওয়ার আগে মুরগির বাচ্চাকে প্রদান করতে হবে।
  • এরপর তিন দিনের দিন মুরগির বাচ্চাকে আই বার্ড এবং ব্রোমকাইটিস এই দুইটা ভ্যাকসিন যদি একসাথে করতে পারেন তাহলে মোটামুটি ৪০ দিন পর্যন্ত আপনার মুরগিকে ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে রক্ষা করবে।
  • এক থেকে সাত দিনের ভিতর এনডিকেল কে নামক ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। এই ভ্যাকসিনটি রানীক্ষেত রোগ থেকে আপনার মুরগিকে রক্ষা করবে।
  • এরপর নয় থেকে ১২ দিন পর্যন্ত পানির সাথে মিশিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াতে হবে। এতে আপনার মুরগির বাচ্চা গাম্বুরা রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।
  • ২১ থেকে ২৭ দিন পর্যন্ত রানীক্ষেতের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • ২৭ থেকে৩১ দিনের মধ্যে ফাউল ফক্স প্রতিহত করতে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
  • ফাউলক্ করার পর ৩১ থেকে ৩৪ দিনের মধ্যে মাইক্রোপ্লাজমা ( FMG)করতে হবে। এই ভ্যাকসিনটি পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
  • এরপর ৪২ দিনে করতে হবে ক্রিমের ডোজ। এই ভ্যাকসিনটি প্রদান করলে আপনার মুরগির কৃমির সমস্যা হবে না।
  • এরপর ৪৫ দিনে একটা ভ্যাকসিন বাট ফ্লু করে নিতে হবে সেটা হল H5। একটা মুরগির বাচ্চা হওয়ার পর থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত তার শরীরে এক ধরনের অ্যান্টি বডি থাকে। ৪৫ দিন পর যখন অ্যান্টিবডিটন নষ্ট হয়ে যাবে তারপর বার্ডফ্লোর ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। তাহলে আপনার মুরগিকে আবার ২৫ দিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখা যাবে।
  • ৪৫ থেকে ৫০ দিনে আবার আপনাকে ব্লাড ফ্লু ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে সেটা হলো H9
  • ৫৬ দিনে করতে হবে কলেরার ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনটি আপনার মুরগিতে কলেরা রোগ থেকে রক্ষা করবে।
  • এরপর ৬৭ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে আপনাকে করতে হবে মাইক্রোপ্লাজমা। এটা ঠান্ড জনিত রোগ থেকে আপনার মুরগিকে রক্ষা করবে। এই ভ্যাকসিনটি মুরগির ঘাড়ে পুশ করতে হয়।

টাইগার মুরগির খাবার তালিকা

আপনি কি টাইগার মুরগির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগির খাবার তালিকা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগির খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।

মুরগি পালনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক মাপে খাবার মিশ্রণ করা। আপনি যদি পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে সঠিক পরিমাণে খাবার মিশ্রণ করতে পারেন।তাহলে মুরগি পরিমাণ মত সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে। 

তাই আজ টাইগার মুরগির জন্য ১০০ কেজি খাবারে কি কি উপাদান কতটুকু পরিমাণে মিশিয়ে পরিপূর্ণ খাবার তৈরি করা হয় তার একটি পরিপূর্ণ ধারণা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই টাইগার মুরগী খাবার প্রস্তুত প্রণালী।
  • ১০০ কেজি খাবার তৈরীর জন্য ৬০ কেজি ভুট্টা
  • ১৬ কেজি ছয়া মিল  
  • ব্রকেন রাইস বা খুদি ৬ কেজি ৬০০ গ্রাম 
  • লবণ ২৮০ গ্রাম 
  • খাবার সোডা ১৫০ গ্রাম 
  • মিথনিন ১৬০ গ্রাম 
  • সয়াবিন তেল ১ কেজি 
  • এনজাইম ৬০ গ্রাম
  • সানমোলিনা কিলার ২০০ গ্রাম 
  • টক্সিন ১৫০ গ্রাম 
  • লাইমস্টোন ৩ কেজি 
  • ডিসিপি ৬১০ গ্রাম 
  • কলিন১২০ গ্রাম 
  • প্রোটিন এক্স এন ৩০ গ্রাম 
  • ভিটামিন সি 
  • ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই ৬ কেজি
ডিআরবি এর পরিবর্তে ফিস মিল ব্যবহার করতে পারেন অথবা এর পরিবর্তে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ডিআরবি ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে ১১ কেজি ১০০ গ্রাম ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ৬ কেজি ব্যবহার করলেই হবে।

আপনারা যখন মুরগিকে খাবারগুলো দিবেন তখন সারাদিনে ১০০ কেজিতে ছয় কেজি ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই মিশিয়ে নিবেন। এই হিসেবে মুরগিকে মেজারমেন্ট করে খাবার দিতে হবে সকালে এবং বিকেলের দিকে। দুপুরবেলা খাবার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এভাবে খাদ্য তালিকা যদি মিশ্রণ করে মুরগিকে খাওয়াতে পারেন তাহলে মুরগির প্রোটিনের পারসেন্টেন্স ঠিক থাকবে।

টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে

আপনি কি টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পারে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

টাইগার মুরগির ডিমের জন্য খাবার ম্যানেজমেন্ট টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে টাইগার মুরগী আশানুরূপ ডিম দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পারে।

টাইগার মুরগি সাধারণত ৫ মাস থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে। যদি আপনি ১০০ টি মুরগি পালন করে থাকেন তাহলে পাঁচ মাস থেকে ৫০ পার্সেন্ট ডিম পেতে পারেন। পুরোপুরি ডিম আসতে টাইগার মুরগির সাড়ে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আপনার পালনকৃত টাইগার মুরগী ১০০% ডিম দেওয়া শুরু করবে।

১০০ মুরগি থেকে গড়ের প্রতিদিন ৭৫ টি ডিম সর্বোচ্চ। সবার ক্ষেত্রেই যে ৭৫ পার্সেন্ট ডিম আসবে এটা নাও হতে পারে কারো কারো ক্ষেত্রে এই পারসেন্টেন্সটা কম বেশি হতে পারে। এই পার্সেন্টেজটা নির্ভর করবে আপনার মুরগির পালন পদ্ধতির উপর।

লেখকের মন্তব্য - টাইগার মুরগি চেনার উপায়

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি থেকে টাইগার মুরগি চেনার উপায়, টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম, খাবার তালিকা,টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম দেয় এসব বিষয়ে জানতে পেরেছে। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটির ফলো করে রাখুন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url