এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - জ্বরের এন্টিবায়োটিক

শুকনো কাশি দূর করার উপায়আপনারা অনেকেই আছেন যারা এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - জ্বরের এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি জানাবো কিভাবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করবেন সেই সম্পর্কে।
এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - জ্বরের এন্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক এমন একটি ঔষধ যা শরীরের রোগের জীবাণুকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে থাকে। আপনি যদি নিয়ম মেনে এন্টিবায়োটিক সেবন করেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই এন্টিবায়োটিক সেবনের নিয়ম সম্পর্কে।

এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - ভূমিকা

কোন রোগে আক্রান্ত হলেই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে এমন কোন কথা নেই। রোগের ধরন অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করবে। তবে আপনি যদি প্রথম পর্যায়ে থেকে থাকেন তাহলে নরমাল ওষুধেই আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর যদি আপনার রোগটি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে ডাক্তার আপনাকে রোগের ধরন বোঝে এন্টিবায়োটিক সেবন করার জন্য পরামর্শ দিবেন। সে অনুযায়ী আপনি এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন।

আজ এই আর্টিকেলের মধ্যে এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম, এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম, অ্যান্টিবায়োটিক কত দিন কাজ করে, জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর দুর্বল হয়, এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম

আপনি কি এন্টিবায়োটিক ঔষুধের নাম জানতে চাচ্ছেন? বিভিন্ন রোগের কারণে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। সাধারণত আপনি যে ধরনের রোগে আক্রান্ত তার ওপর ভিত্তি করে আপনার ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিবে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে জ্বরের এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। 

এছাড়াও আপনি যদি অন্য ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে তার ওপর ভিত্তি করে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করবে। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে চান সে ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম আপনাদের জানাবো। 

তবে আপনি যদি এন্টিবায়োটিক সেবন করতে চান তাহলে আপনার রোগ অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই নিয়ম মেনে এন্টিবায়োটিক সেবন করবে। চলুন তাহলে জেনে নেই কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম-
  • পেনিসিলিন
  • নিস্টাটিন
  • হ্যামাইসিন
  • গ্রিসোফুলভিন
  • ফুমজিলিন
  • এরিথ্রোমাইসিন
  • জেন্টামাইসিন
  • পলিমিক্সিন
  • স্ট্রেপ্টোমাইসিন
  • ব্যাসিট্রাসিন
  • অরিওমাইসিন
  • টেরামাইসিন
উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। তবে এগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।

এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

আপনি কি এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অ্যান্টিবায়োটিক এমন একটি ওষুধ যা আমাদের শরীরের খারাপ জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে থাকে। তবে তা যদি খান নিয়ম অনুযায়ী। আপনি যদি এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানেন তাহলে তা আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

তাই এন্টিবায়োটিক সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে সেবন করবেন। অপ্রয়োজনে এবং ভুল নিয়মে এন্টিবায়োটিক সেবন করলে তা পরবর্তীতে আমাদের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।


১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এন্টিবায়োটিক সচেতনতা মূলক সপ্তাহ। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পূর্বে কিছু সর্তকতা মেনে চলা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই সেই সম্পর্কে-

১. অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ডায়রিয়া হলে আমরা খুব সহজেই কোন একটা ফার্মেসী থেকে মেট্রোনিডাজন অথবা অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কিনা সেবন করে। তবে বেশিরভাগ ডায়রিয়া এমনিতেই সেরে যায়। 

বরং ডায়রিয়া রোগীকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য এবং তার শরীরে লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য বরাবর ওরস্যালাইন খাওয়ানো উচিত। তবে আমরা ওরস্যালাইন এর বিপরীতে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকি। যা মোটেও উচিত নয়।

২. এছাড়াও সাধারণ সর্দি-কাশি বা জ্বরের ক্ষেত্রে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ না করে সাধারণ উপশমকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেতে পারি। তবে আমরা দুইদিন না দেখেই সরাসরি ঝুঁকে পড়ি এন্টিবায়োটিকের দিকে। যা মোটেও উচিত নয়। আর এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম মানা উচিত। 

অনেক সময় দেখা যায় জ্বর সর্দি কাশি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে ভালো হয়ে যায়। তবে আপনার ক্ষেত্রে যদি এন্টিবায়োটিক সেবন করতেই হয় তাহলে আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করুন। তবে তা সেবন করতে হবে অবশ্যই নিয়ম মেনে।

৩. অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অন্য কেউ এই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছে বলে যে আপনি খাবেন এটি মোটেও করবেন না। অথবা কোন দোকান থেকে কিনে এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।

৪. আপনি যদি এন্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ খাওয়া শুরু করেন তাহলে তার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ মেয়াদ শেষ করবেন। এর মধ্যে যদি আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন তবুও এর মেয়াদ শেষ করতে হবে। মাঝ পথে এন্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করতে পারবেন না। 

যতদিন না পর্যন্ত আপনার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঠিক ততদিন পর্যন্তই আপনাকে এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায় বলে অনেক মানুষ খুব সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করে দেয়। এটাও শরীরের জন্য খুবই খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলবে।

৫. অনেক সময় দেখা যায় একই রোগের উপসর্গ দেখা দেয় অন্য রোগের ক্ষেত্রে। যার কারণে একজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক অন্য কারো ক্ষেত্রে সেবন করা উচিত নয়।

৬. সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেট খোলার পরে খুব বেশি দিন ধরে এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একবার সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে ওই এন্টিবায়োটিক আবার সেবন করানো মোটে উচিত নয়।

এন্টিবায়োটিক কতদিন কাজ করে

অ্যান্টিবায়োটিক কত দিন কাজ করে আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অ্যান্টিবায়োটিক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া দমনের মেডিসিন হিসেবে পরিচিত। মানুষের শরীরে নানা ধরনের ইনফেকশনাল জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। ইনফেকশন হওয়ার প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া। আর এই ব্যাকটেরিয়া গুলো মারতে প্রয়োজন হলো এন্টিবায়োটি। 

এইসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা এন্টিবায়োটিক সেবন করে থাকি। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে অ্যান্টিবায়োটিক কখনো ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে না। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় এন্টিভাইরাল। আমাদের শরীরের ভেতরে এবং বাহিরের নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। 

তবে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া কিন্তু আমাদের ক্ষতি করে না। কিছু কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই আপনি যদি কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে পারেন। 

নিয়ম মেনে যদি আপনি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ করলে তা আপনার শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। তবে খুব বেশিদিন যে এর প্রভাব থাকবে তা কিন্তু নয়। আপনাকে সে ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে পরবর্তীতে কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হওয়ার ক্ষেত্রে।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক

আপনি কি জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অনেকে দেখা যায় জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক সেবন করে। তবে আপনার জ্বরের ধরন অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করা যেতে পারে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সব জ্বরের ক্ষেত্রে কিন্তু এন্টিবায়োটিক প্রযোজ্য নয়।

আপনার যদি প্রথম পর্যায়ে জ্বর এবং শরীর ব্যথা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সাধারণ প্যারাসিটামল গ্রহণ করতে পারেন। আপনার যদি শুধু জ্বরের পাশাপাশি শরীর ব্যথা থেকে থাকে তাহলে সেটি হল ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ। তবে অনেকেই আছেন যারা জানেন যে জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। 


এর পরও দেখা যায় অনেকেই ভুলবশত বাজানে শুনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে ফেলে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। শুধুমাত্র জর হলেই যে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। লক্ষণ বুঝে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। যেমন জ্বর হলে প্রথম পর্যায়ে আপনি প্যারাসিটামল খেতে পারেন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। 

এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। প্যারাসিটামল নিয়মিত সেবন করার ফলে অনেকেরই জ্বর ঠিক হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনার জ্বর ঠিক না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনারা নিজে নিজে বা ফার্মেসি থেকে কিনে কখনো এন্টিবায়োটিক খাবেন না। 

না জেনে এন্টিবায়োটিক খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় একই ঔষুধ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ভাবে কাজ করে। অনেক সময় দেখা যায় একই ঔষুধ কারো ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত আবার কারো ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত নয়। তাই আপনার শরীরের ধরন বুঝে ডাক্তার আপনাকে ঔষধ প্রেসক্রাইব করবে। 

তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কখন আপনার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর দুর্বল হয়

আপনি কি জানতে চাচ্ছেন এন্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর দুর্বল হয় সে সম্পর্কে? কোন রোগের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। কারণ এন্টিবায়োটিক এমন একটি ঔষধ যা শরীরে রোগের জীবাণু একদম মেরে ফেলে। তবে আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না করেন তাহলে তা আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। 

অ্যান্টিবায়োটিক যেহেতু একটি পাওয়ারফুল ঔষধ তাই এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। আপনি ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন দুধ ডিম ও ফলমূল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরকে দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করবে। 

এছাড়াও অসুস্থ রোগীর জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তা না হলে আপনার যদি এন্টিবায়োটিক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে শরীরের দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। তবে এই দুর্বলতা বেশিদিন থাকে না। যদি আপনি নিয়ম মেনে এন্টিবায়োটিক সেবন করেন এবং পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে ধীরে ধীরে আপনি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। 

তাই এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে যে শরীর দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে আপনার কোন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন এবং পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন।

এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনি কি এন্টিবায়োটিক এর বাসা প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের ঔষধের মিশ্রণে। যার ফলে এক একটি ঔষধের উপাদান শরীরে একেক ভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে গলা, গালে, মুখের তালুতে বা জিহ্বায় সাদা দাগ পড়তে পারে। 


এছাড়াও দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের সময় বা গিলে ফেলার সময় ব্যথা অনুভব হয় এছাড়াও দাঁত মাজার সময় অনেক সময় রক্তপাত হতে পারে।

এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে আরো দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঠোঁট মুখ জিব্বা ফুলে যাওয়ার মত এলার্জিজনিত বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে এ ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা না দিলেও আপনার যদি এ ধরনের কোন সমস্যা খেয়াল করেন তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

সাধারণত যাদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তারা যদি এন্টিবায়োটিক কোর্স টি সম্পন্ন করে ফেলেন বা বন্ধ করে দেন ধীরে ধীরে এ ধরনের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। আপনারা যারা ইতোমধ্যেই নানা ধরনের ওষুধ সেবন করেন তারা এন্টিবায়োটিক সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অনেক সময় দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে অন্য ঔষধের বিক্রিয়ায় নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের সময় যদি মদ পান অথবা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন তাহলে ওষুধের কার্যকারিতা অনেক কমে যায়। এছাড়াও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

লেখকের মন্তব্য-এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম-জ্বরের এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম, এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম, অ্যান্টিবায়োটিক কত দিন কাজ করে, জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কি শরীর দুর্বল হয়, এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। 

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url