সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাশরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাদাম। বাদাম খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে শরীরের প্রচুর উপকারিতা পাবেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের যে ক্ষতিগুলো হবে সে সম্পর্কেও আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক বাদাম আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং কতটা উপকারী সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বাদামের উপকারিতা - ভূমিকা
বাদামের উপকারিতা কথা কম বেশি সকলেরই জানা।বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি আরও হাজারো গুন রয়েছে বাদামে।পুষ্টিবিদরা খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখতে বলেন কারণ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও কার্বোহাইড্রেট। উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাদাম সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতে পারবো সেগুলো হল বাদাম খাওয়ার নিয়ম,বাদাম কত প্রকার,কাচা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। বাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাদাম খাওয়ার নিয়ম
মুখরোচক খাদ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাদাম। বাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমাদের পরিচিত বাদাম গুলোর মধ্যে রয়েছে চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কাজুবাদাম প্রত্যেক বাদামের মধ্যেই রয়েছে আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এই পুষ্টিকর খাবারটি খাওয়ারও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় যদি আপনি বেশি বাদাম খেয়ে ফেলেন তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আজ আমরা জানবো বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যেকোনো বাদাম যদি ভিজিয়ে খান তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে।
সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। আপনি যদি পরিমাণ মতো বাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই বাদাম খান তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে। এছাড়াও আপনি সকালের ব্রেকফাস্ট ও বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা বাদামের মাখন তৈরি করে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বাদাম পেস্ট করে দুধের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন তাও আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
বাদাম কত প্রকার
বাদাম মানুষের শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান। পৃথিবীতে অনেক ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। তবে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত মধ্যে বাদাম হল চার প্রকার। বাদাম কত প্রকার সে বিষয়ে বলতে গেলে আপনার মাথায় নিশ্চয়ই অনেক ধরনের বাদামের কথায় আসবে। তবে প্রকৃতপক্ষে বাদাম হল চার প্রকার। যেমন ধরুন কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কাজুবাদাম।
এছাড়াও বাজারে নানা ধরনের বাদাম পাওয়া যায় যা আলাদা আলাদা ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। এছাড়া এ ধরনের বাদাম গুলোর স্বাদ ও ভিন্ন ভিন্ন। আমরা বাঙালিরা এই চার ধরনের বাদাম বেশি চিনি। কারণ যে কোন উৎসবের কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন ক্ষীর, পায়েস, সেমাই বা পোলাও যে কোন খাবারে এই চার ধরনের বাদামী আমরা বেশি ব্যবহার করে থাকি।
যে কারণে বাঙ্গালীদের কাছে এই চার ধরনের বাদাম খুবই পরিচিত। আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাদামের প্রকারভেদ সম্পর্কে।
কাচা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
বাদাম জাতীয় খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনাকে ভেতর থেকে শক্তি জোগাতে এবং শরীর চাঙ্গা রাখতে বাদামের জুরি মেলা ভার। যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাদের বাদাম খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাদাম অনেকেরই হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যে কারণে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
১. বাদামে রয়েছে এক ধরনের যৌগ যা ট্যানিন নামে পরিচিত। এই ট্যানিন যৌগটি সহজে হজম হয় না। যার কারণে দেখা যায় বাদাম খাওয়ার ফলে অনেকেই বদহজমজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই ট্যানিন শরীরে প্রোটিন পরিপাক জটিল করে তোলে। যার কারণে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ আগে থেকে ভিজিয়ে রাখলে বাদামে ট্যানিন এর পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়।
২. বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিজেনফাইটিক এসিড শরীরে আয়রন ও জিংক এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে লবণ তৈরি করে তা খাদ্যনালীতে দ্রবীভূত হয় না। এতে উৎপন্ন সাইটেক অ্যাসিড শরীরে পেপসিন, টিপসিন উৎসেচকের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন পরিপাকেও বাধা দেয়।
যার কারণে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বাদামের ফাইটিক এসিডের পরিমাণ কমে। যার কারণে পুষ্টিবিদরা কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
৩. বাদাম গুলোর মধ্যে কাঠবাদাম হল শক্ত প্রকৃতির একটি বাদাম। এই বাদাম গুলো খাওয়ার ফলে পরিপাকেও সহজ হয় না। এ ধরনের কাঠবাদাম গুলো যদি ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায় তাহলে তা নরম হয়ে যায়। এর ফলে সহজে ভাঙা যায়। ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে এই ধরনের বাদামগুলো হজম করতেও অসুবিধা হয় না।
৪. সব ধরনের বাদামী বেশিক্ষণ ভেজানোর প্রয়োজন পড়ে না। কাঠ বাদাম যেহেতু শক্ত প্রকৃতির বাদাম তাই এটিকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা উচিত। তবে আরও যে সকল বাদাম রয়েছে যেমন আখরোট, পাইন নাট বা হেজেল নাট আট ঘন্টা ভেজালেই যথেষ্ট।
এরপর কাজু বাদামের ক্ষেত্রে ছয় ঘন্টা ভেজালে চলবে। বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে তার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনারা কাঁচা বাদাম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভিজিয়ে রেখে খাবেন। কারণ ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীরের পুষ্টি শোষণ করতে সময় কম লাগে।
সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাচা বাদাম এবং ভাঁজা বাদাম এর মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ভাজা বাদামে থেকে কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ তুলনামূলক অনেক বেশি। কাঁচা বাদামের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি, ভিটামিন ই ও আয়রন পাওয়া যায়।
আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কাঁচা বাদাম রাখেন তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হার গঠনে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও ত্বকের বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলকে ভালো রাখতে কাঁচা বাদাম খুবই উপকারী। চলুন তাহলে আর দেরি না করে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাঁচা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিনের মত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান। যা আমাদের শরীরকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। যেজ্ঞদের মতে, যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাদের অন্যদের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে।
এছাড়াও কাঁচা বাদাম নিয়মিত খাওয়ার ফলে হার শক্তিশালী হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দূর করতে সহায়তা করে। তাই অবশ্যই প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কাঁচা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে
আপনারা যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছেন তাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কাঁচা বাদাম রাখা উচিত। আপনারা যদি প্রতিদিন পরিমাণ মতো চিনা বাদাম ভেজানো খেতে পারেন তাহলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নিয়মিত যদি চিনা বাদাম ভেজানো খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এছাড়াও সুগারের রোগীরা যদি নিয়মিত সকালে ৫০ গ্রাম পরিমাণ চিনা বাদাম খেতে পারেন তাহলে অনেক উপশম পাবে।
রক্তস্বল্পতা সমস্যা প্রতিরোধ করে
আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিনা বাদাম রাখেন তাহলে আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর হবে্ এছাড়াও রক্ত স্বল্পতা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হবে। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
যা ভেজানো অবস্থায় বৃদ্ধি পেয়ে থাকে্ তাই আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় ভেজানো চিনা বাদাম রাখেন তাহলে তা আপনার হজম প্রক্রিয়া ভালো করবে। কারণ চিনা বাদামে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন ও সেলেনিয়াম এর মত নানা পুষ্টি উপাদান।
এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন সকালে পানিতে ভিজিয়ে বাদাম খান তাহলে তা আপনার গ্যাস ও এসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে।
যে কোন ব্যাথা থেকে মুক্তি
স্বাভাবিকভাবেই শীতের সময় শরীরের জয়েন্ট ব্যথা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি শীতের মৌসুমে গুড়ের সঙ্গে চিনা বাদাম ভিজিয়ে খান তাহলে তার শরীরের জয়েন্ট ও কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করবে। এই উপাদানটি শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
এছাড়াও আপনারা যারা বাতের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি নিয়মিত গুড়ের সঙ্গে চিনা বাদাম ভেজানো খেয়ে থাকেন তাহলে অনেকটা উপশম পাবেন। ভেজানো চিনা বাদাম যদি নিয়মিত খান তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শারীরিক শক্তি ও প্রাণ শক্তি ও বজায় থাকে চিনাবাদাম সেবনের ফলে।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রত্যেক বাদামি পুষ্টিগুণে ভরপুর। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি নিয়মিত যেকোনো বাদাম রাখেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন। এই উপাদানগুলো স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম এতটাই সুস্বাদু খাবার যে এই খাবারটি খেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করে।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখার ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু বাদামের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে তার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও বিদ্যমান। তাই আজ আমরা আলোচনা করব বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সার থেকে বাঁচায়
কাজু বাদাম প্রনোথোসিনিডিন ফ্লাভোনিওাইডের একটি প্রকার যা ক্যান্সার কোষগুলিকে ক্রমবর্ধমান থেকে আটকায়। নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে তা ক্যান্সারের কিছু রূপ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কাজুবাদাম রাখা উচিত।
মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে
বাদামে রয়েছে এক প্রকার তেল যা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। যার কারণে বাদাম খুবই শক্তিশালী খাবার হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি যা মেমোরি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার অথবা আপনার বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কিছু পরিমাণ বাদাম রাখেন তাহলে তা আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
ক্লান্তি দূর করে
শক্তির ভালো উৎস হলো বাদাম। প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার ফলে দেহে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
বাদামে পটাশিয়ামের পরিমাণ উচ্চ মাত্রায় থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। শরীরে যদি সোডিয়ামের মাত্রা রক্তচাপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখা উচিত।
কোলেস্টরেল কমায়
নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন সামগ্রী যা দ্রুত হজম শক্তি বাড়ায়। তাই আপনারা যারা কোলেস্টরেলের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখতে পারেন।
মেজাজ ভালো রাখে
আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন একবার অন্তত বাদাম খান তাহলে আপনাকে ক্যালরির জন্য অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে বিষণ্ণতা দূর করে মন রিফ্রেস করে তোলে।
স্বাস্থ্যকর হৃদয়
বাদামে থাকা এক প্রকার এসিড যা হার্টের জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও রয়েছে দস্তা, তামা, ম্যাগনেসিয়াম এবং লোহার মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদরোগের হাত থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
ওজন বাড়াতে পারে
বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট। যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কোন বাদাম কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনার নিয়মিত খাবার তালিকায় বাদাম যোগ করলে পরিমিত পরিমাণে যোগ করবেন।
এলার্জি সমস্যা
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। তবুও আপনি যদি বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করেন তাহলে এর সাইড এফেক্ট দেখা যায়। তার মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হলো এলার্জি। কারণ বাদামে এলার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। তাই বাদাম খাওয়ার আগে সচেতন হন যে বাদামে আপনার এলার্জি বেশি সেই বাদাম এড়িয়ে চলুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
আপনার যদি কোন বাদাম পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে তা পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ গ্যাস্টিক হল বাদামের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
আশা করছি উপরে উল্লেখিত কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো ভালোভাবে আপনি বুঝতে পেরেছেন। অবশ্যই কাঁচা বাদাম খাওয়ার পূর্বে আপনাকে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো মাথায় রাখতে হবে। পরিমাণ মতো বাদাম খান সুস্থ থাকুন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো সকালে কাচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা।
প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url