কাজু বাদামের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - কাজু বাদামের পুষ্টিগুন
মেথির উপকারিতা জানতে ক্লিক করুনএকাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি নিয়মিত তিন থেকে চারটি কাজুবাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে নানা ধরনেরপুষ্টিগুণের অভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা জানব কাজু বাদামের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - কাজু বাদামের পুষ্টিগুন সম্পর্কে।
সুস্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজুবাদামের কোন বিকল্প হয় না। কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ ও পুষ্টিকর উপাদান। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কাজু বাদাম সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।
কাজু বাদামের উপকারিতা - ভূমিকা
গবেষণায় দেখা যায় যে যারা নিয়মিত কাজু বাদাম খান তারা অন্যদের থেকে বেশি দিন বাঁচে। এছাড়াও নিয়মিত কাজ বাদাম খাওয়া মানুষের মধ্যে ক্যান্সার ও হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। শুধু তাই নয় কাজুবাদামের ভিটামিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। যার কারনে চিকিৎসকরা এঁকে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামে ডেকে থাকে।
আজ আমরা জানবো কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম,কাজু বাদামের দাম,সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা ও কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাজু বাদামের পুষ্টি উপাদান
পুষ্টিগুণের পরিপূর্ণ হল কাজুবাদাম। কাজুবাদামের পুষ্টি উপাদান পেতে হলে নিয়মিত তিন থেকে চারটি কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই কাজুবাদামে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
কাজুবাদামে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম
পুষ্টিগুণে ভরপুর কাজুবাদাম শরীরের জন্য এতটাই উপকারী যে এটি খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক ধরনের কঠিন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নেই কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। কাজুবাদাম বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়।
আপনি চাইলে কাঁচা অবস্থাতেও খেতে পারেন অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন পায়েস, ক্ষীর অথবা সেমাই রান্নাতেও কাজুবাদাম ব্যবহার করতে পারেন। অথবা কাজুবাদাম পেস্ট তৈরি করে দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে কাজু বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে উপকারী উপায় হলো রাতে কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
সেক্ষেত্রে সকালবেলা প্রথমে আপনাকে খালি পেটে পানি পান করতে হবে। কুসুম গরম পানি পান করার 30 মিনিট পরে আপনি কাজুবাদাম খেতে পারেন। যারা বয়সে ছোট অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে তারাও একগ্লাস পানি পান করে তারপর কাজুবাদাম খেতে হবে। এক্ষেত্রে যারা ওজন কমাতে চান তারা সকালে খালি পেটে একগ্লাস পানি পান করার পর তারপর কাজুবাদাম খেতে পারেন।
আর যারা ওজন বাড়ানোর জন্য কাজুবাদাম খেতে চান তারা সকালে কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে বিকেলে খেতে পারে। বিকেলে কাজুবাদাম খেলে স্বাস্থ্য ভালো হয়। কাজুবাদাম তো খাবেন তবে এটা একটা পরিমাণ আছে চলুন তাহলে সেটা জেনে নেই। যদি আপনি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন চারটি করে কাজুবাদাম খেতে পারেন।
আর আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন দুটি করে কাজুবাদাম খেতে হবে। তবে কখনোই চারটির বেশি কাজুবাদাম একদিনে খাবেন না। আরেকটি প্রয়োজনীয় কথা হল কাজুবাদাম কখনো লবণে ভেজে খাবেন না অথবা বাজারে যে সকল সল্টেট কাজুবাদাম কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো খাবেন না। কারণ এই ধরনের কাজুবাদাম আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কাজু বাদামের দাম
সবচেয়ে উপকারী বাদাম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাজুবাদাম। কাজুবাদাম বাংলাদেশের চাষ হয় না বললেই চলে। বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলে বর্তমানে কাজুবাদাম উৎপাদন শুরু হয়েছে। কাজু বাদামের উৎপাদন বাংলাদেশের কম তাই অনেক মূল্য দিয়ে কাজুবাদাম ক্রয় করতে হয়। কাজুবাদাম মূলত আমদানি কারক পণ্য।
তাই এর দাম অন্যান্য বাদামের তুলনায় বেশি। তবে ভিন্ন জায়গায় কাজুবাদাম বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। তাই আপনি যেন কাজুবাদাম কিনে না ঠকে যান তার জন্য আজ আমি আপনাদের কাজু বাদামের দাম জানাবো। আপনি যদি এক কেজি ভালো মানের কাজুবাদাম কিনতে যান তাহলে আপনাকে ১ হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা গুনতে হবে।
যদি আপনি বেশি পরিমাণে কাজু বাদাম না কিনতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ১০০ গ্রাম কাজু বাদাম কিনতে যান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। তবে কাজুবাদাম কেনার পূর্বে অবশ্যই যাচাই করে কিনবেন।
সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজ করে থাকে। কাজুবাদাম নিয়মিত খাওয়ার ফলে মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগের উপশম পাওয়া যায়। কাজুবাদাম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ড্রাই ফ্রুটস এর মধ্যে কাজু সবচেয়ে পরিচিত একটি বাদাম।
কাজুবাদামের উপকারিতা সত্যিই অবাক করার মত। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খেতে পারেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে আপনি রাতে কাজুবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে উঠে প্রথমে একগ্লাস কুসুম গরম পানি খেয়ে তার আধা ঘন্টা পর কাজুবাদাম খেতে পারে।
এভাবে যদি আপনি কাজুবাদাম খান তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি কাজুবাদাম বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। নিয়মিত কাজ বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে যেসব উপকার গুলো করবে তা হল হাড় মজবুত করবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, রক্তের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করবে। এছাড়াও ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে কাজুবাদাম। তাই অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম রাখার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করবে।
কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
বাদাম মানে শরীরের জন্য উপকারী একটি উপাদান। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি বাদামে থাকা স্বাস্থ্যগুণ সহজেই শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সেক্ষেত্রে কাজুবাদাম খুবই উপকারী একটি খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে, কাজু বাদামে রয়েছে ফাইবার, ফসফরাস, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদান।
এছাড়াও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান যেমন ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি। নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের অনেক কঠিন রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কাজুবাদাম রাখার।
তবে অবশ্যই সীমিত পরিমানে কাজুবাদাম খেতে হবে। আজ আমরা কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই কাজুবাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেই সম্পর্কে।
কাজু বাদামের উপকারিতা
কাজুবাদাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নেই নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ও বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চিকিৎসকেরা কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কাজুবাদামের উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ও মস্তিষ্কের টিস্যুগুলির শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনের উন্নতি ঘটে। এই কারণে কাজুবাদাম কে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিকস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমানে প্রায় সব ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আপনার কাছে আছে এর সমাধান। গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর এই কাজু নিয়মিত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। কাজুবাদামে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের গ্লুকোজের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে।
এছাড়াও দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কাজুবাদাম খান তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। কাজুবাদামে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে ও সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজুবাদাম অনবদ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
হাড় শক্ত করে ও অ্যানিমিয়া দূর করে
কাজুবাদামের প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস এর মত খনিজ উপাদান বর্তমান হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আর্থাইটিস এর মত হাড়ের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দূর করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে কাজুবাদামের প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
তাই আপনার শরীরে যদি আয়রনের মাত্রা কমে যায় তাহলে কাজুবাদাম খাওয়া মাত্রই আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কাজুবাদাম খেয়ে অ্যানিমিয়ার মত রোগের সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও কাজুবাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
কাজুবাদামের উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনাদের যাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কাজুবাদামে আরজেনিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওলিসিক নামক এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা দেহের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এর ফলে আপনার হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কাজুবাদামে থাকা আস ও প্রোটিন অতি যত্ন সহকারে শরীরে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
পেটের সমস্যা দূর করতে
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এসিডিটি, গ্যাস, বদহজম, টক ঢেকুর দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি প্রতিরোধ করতে কাজু বাদামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা। কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি টিউমার যেন না দেখা দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।
দাঁতের সমস্যা দূর করতে
কাজুবাদামে উপস্থিত ফসফরাস দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্য দিয়ে মুখ গহবরের নানারকম রোগ দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দাঁতকে শক্ত ও সুন্দর রাখতে প্রতিদিন কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
স্কিন ও চুলের সমস্যায়
কাজুবাদাম যে শুধু পুষ্টিগুণে ভরপুর শুধু তাই নয় কাজুবাদাম আমাদের স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। কাজুবাদামের প্রচুর পরিমাণে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস আছে এছাড়াও কাজুবাদাম প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত। যা আমাদের স্কিনকে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। শুধুমাত্র স্কিন নয় চুলের সৌন্দর্যের জন্য কাজু বাদামের উপকারিতা অপরিসীম।
কাজুবাদামে উপস্থিত কপার চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পুতুলের গোড়াকে মজবুত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনার স্কিন ও চুলকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
সংক্রমণ দূর করে
কাজুবাদামে উপস্থিত জিংক থাকার কারণে শরীরকে যে কোন ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি কোন ধরনের ইনফেকশনের শিকার হয়ে থাকে তাহলে কাজুবাদাম খেতে পারে। এতে সংক্রমনের হাত থেকে অতি অবশ্যই মুক্তি পাবে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
কাজুবাদামের একটি বিশেষ গুণ হল চোখের জ্যোতি কয়েকগুণ বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি যদি আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে চান অথবা আপনার দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কাজুবাদাম খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
কারণ কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখকে আলোক রোশনির খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করে। চোখকে ছানি পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক
প্রত্যেকটা জিনিসেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। কাজু বাদামের অপকারিতার দিক হলো কাজুবাদাম কখনো লবণে ভেজে খাবেন না অথবা বাজার থেকে কিনতে পাওয়া সল্টেড কাজুবাদাম কখনো খাবেন না। কারণ এগুলো আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
এর কারণ হলো কাজুর সোডিয়াম ও লবণের যে সোডিয়াম রয়েছে তা হৃদরোগ, ব্লাড সুগার ও হাই কোলেস্টেরল সহ অন্যান্য রোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যে কোন উপকারী জিনিসই সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ বুঝে যদি না খান অবশ্যই তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তেমনি কাজুবাদাম এ সোডিয়ামের পরিমাণ একটু বেশি থাকে তারপর যদি আপনি সল্টেড কাজু বাদাম খান তখন তা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এছাড়াও কেউ যদি দিনে প্রচুর পরিমাণে কাজু বাদাম খেয়ে থাকে তাহলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে ও হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।তাই অতি অবশ্যই আপনাকে কাজু বাদামের পরিমানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাজুবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।
যদিও ক্যালোরি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খেতে থাকলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাজুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এই ফাইবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা সকলের জানা।
কিন্তু নিয়মিত যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খেতে থাকেন তাহলে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে বা গ্যাস হতে পারে ।তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু খেলে আপনার শরীল কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।তাই কাজু বাদাম সঠিক পরিমাণের সঠিক সময় খাওয়া উচিত।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো কাজু বাদামের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - কাজু বাদামের পুষ্টিগুন জেনে উপকৃত হয়েছেন।চেষ্টা কোরব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও নতুন নতুন আর্টিকেল অপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন।আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url