খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় জানুন

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার উপায়আপনারা অনেকেই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি জানাবো কিভাবে খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করবেন সেই সম্পর্কে।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় জানুন
কাশি একটি সাধারন রোগ হলেও দীর্ঘদিন ধরে যদি থাকে তাহলে তা একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাশি এমন একটি সমস্যা যা যেকোনো সময় যে কারোরই হতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই খুসখুসে বিরক্তি কর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় - ভূমিকা

কাশি সাধারণত দুই ধরনের। শুকনো কাশি এবং স্লসাযুক্ত কাশি। তবে এই দুই ধরনের কাশির মধ্যে শুকনো কাশিটা হলো বিরক্তিকর । কারণ এই কাশি হলে সহজে সারে না। যা আমাদের সামাজিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আজ আপনারা জানতে পারবেন কাশি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। 

যেসব বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ,রাতে কাশি কমানোর উপায়,শুকনো কাশি সিরাপ,শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ, শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায়,খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

দ্রুত কাশি কমানোর উপায়

দ্রুত কাশি কমানোর উপায় জানতে চাচ্ছেন? দ্রুত কাশি কমাতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের মাথায় যে কথাটি আসে তা হল কাশির ঔষধ। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাশির ঔষধ সেবন করা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 

তাই কাশির ঔষধ সেবন না করেও ঘরোয়া উপায়ে আপনারা দ্রুত কাশি নির্মূল করতে পারেন। বেশ কিছু ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যেগুলো কাশি নির্মূল করতে খুবই কার্যকর। চলুন তাহলে জেনে নেই দ্রুত কাশি কমানোর জন্য কোন উপায় গুলো অবলম্বন করা যায়।


আদা খুবই উপকারী একটি উপাদান। আদাততে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। আদা শুষ্ক ও হাঁপানির মত কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর। আদার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই ধারণা রয়েছে। তাই কাশি জনিত সমস্যায় আধা সেবন করুন। যা আপনার বমি বমি ভাব দূর করার পাশাপাশি গলা ব্যথা দূর করতে সহায়তা করবে। 

তাই আপনি যদি দ্রুত কাশি কমাতে চান তাহলে আদা চা পান করতে পারেন। আপনি যদি শুধুমাত্র আদা চা পান করতে না পারেন তাহলে এর স্বাদ বৃদ্ধি করতে মধু ও লেবুর রস মিশাতে পারেন। এগুলো কাশির জন্য খুবই উপকারী উপাদান।

মধু কাশি উপশমের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এক গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদের রাতের কাশির চিকিৎসায় মধুকে কাশি দমনকারী ঔষধ ডেক্সট্রোমেথরফানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে মধু কাশি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দিতে পারে। 

কাশি থেকে দ্রুত উপশম পাওয়ার জন্য ২ চা চামচ গরম পানি বা ভেষজ চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারে। প্রতিদিন এক থেকে দুইবার এই মিশ্রণটি পান করলে কাশি থেকে দ্রুত উপশম পাওয়া যাবে।ক্লেশা যুক্ত কাশি বা কফের চিকিৎসায় গরম পানির ভাপ খুবই উপকারী। 

এছাড়াও আপনি গরম পানিতে গোসল করলে উপকার পাবেন। পাশাপাশি আপনি হালকা গরম পানি পান করুন। তবে আপনার যদি একটানা কয়েক সপ্তাহ কাশি স্থায়ী হয় কোন ধরনের ঔষধ কিংবা ঘরোয়া প্রতিকার আপনার কাজে না আসে তাহলে অবশ্যই কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

রাতে কাশি কমানোর উপায় জানতে চাচ্ছেন? চলুন তাহলে জেনে নেই রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে। যখন আমরা কাশির সমস্যায় ভুগে থাকি সারাদিন যায় যেমন তেমন রাত হলে কাশির প্রকোপ যেন কমতেই চায় না। বিশেষ করে আমরা যখন বিছানায় শুতে যাই বা শুয়ে পড়ি ঠিক তখনই শুরু হয় কাশির অত্যাচার। কোন মতেই যেন আমাদের ঘুমাতে দিতে চায় না। 

তাই কাশির এ ধরনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একটি কফ ড্রপ (থ্রোড লজেন্স) চুষতে পারেন। এছাড়াও যেসব হার্ড ক্যান্ডি রয়েছে যেগুলো প্লেশা উৎপাদন করে না সেগুলোও চুষতে পারেন। এগুলো খাওয়ার ফলে গলা প্রশান্তি পাবে এবং কাশি মাত্রাও কমবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে রাত্রে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত। 

তরল জাতীয় খাবার খান। কারণ পানি বা তরজাতীয় খাবার গলার স্লেশা পাতলা করে। যার কারনে আপনি আরাম পাবেন। এছাড়াও কাশি কমাতে রাতে শোয়ার পূর্বে গরম পানি অথবা চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারে। এতেও খুবই উপকার পাবেন।

শুকনো কাশি সিরাপ

আপনি কি শুকনো কাশির সিরাপের নাম জানতে চাচ্ছেন? শুকনো কাশি খুবই বিরক্তকর। কারণ যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় শুকনো কাশি দেওয়ার ফলে একটা বিরক্ত অনুভব হয়। আশেপাশের মানুষ কিভাবে সেটা ভেবে আমরা লজ্জিত হই। তাই এই শুকনো কাশির দ্রুত নিরাময়ের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করি। 

তার মধ্যে ওষুধ সেবন একটি। শুকনো কাশির ক্ষেত্রে সিরাপ খুবই কার্যকর। বাজারে শুকনো কাশির জন্য বেশ কয়েকটি সিরাপ পাওয়া যায়। যা সেবন করলে এই বিরক্তিকর শুকনো কাশি থেকে অনায়াসে রেহাই পাওয়া যায়। আজ আমি কয়েকটি শুকনো কাশির সিরাপের নাম আপনাদের জানাবো। 

আপনারা যারা এই বিরক্তিকর শুকনো কাশিতে ভুগছেন আপনারা চাইলে এই সিরাপ গুলো যে কোন ফার্মেসি থেকে ক্রয় করে সেবন করতে পারেন। তাহলে এই বিরক্তিকর শুকনো কাশি থেকে খুব সহজে রেহাই পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিরাপ গুলোর নাম-
  • Abex
  • Ocof
  • Nectar
  • Madhuvas

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? চলুন তাহলে জেনে নেই দীর্ঘদিন যাবত কাশি হলে তা কিসের লক্ষণ প্রকাশ করে। কাশি একটি সাধারণ রোগ। তবে সেই কাশি যদি দীর্ঘদিন যাবত আপনি বয়ে বেড়ান তাহলে তা বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। সাধারণত স্বল্প স্থায়ী কাশির বয়স হলো এক থেকে দুই সপ্তাহ। 

তবে আপনি যদি এর অধিক সময় অর্থাৎ দুই সপ্তাহের অধিক কাশি বয়ে বেড়ান তাহলে তার দীর্ঘস্থায় কাশি হিসেবে পরিচিত। স্বল্পস্থায়ী কাশি সাধারণত সর্দি জ্বর, ফ্লু ও নিউমোনিয়ার কারণ হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনার কাশি যদি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে তা অ্যাজমা, ফুসফুসের টিউমার, ব্রংকাইটিস ও যক্ষার জন্য দায়ী হয়ে থাকে। 

আপনি অনর্গল কাশছেন, তবে আপনার কাশির সঙ্গে কোন প্রকার কফ বের না হলে তা শুকনো কাশি। এ ধরনের কাশির ক্ষেত্রে আপনি ঔষধ হিসেবে এসিই ইনহিবিটর অথবা বিটা ব্লগার খেতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি দিলে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা হলে শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া আক্রান্ত হয়।

এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে শুকনো কাশির ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যার কারণে শুকনো কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। শুকনো কাশির লক্ষণ গুলো হল-
  • যক্ষা হওয়ার কারণে শুকনো কাশি হয়।
  • হাঁপানিস সমস্যার জন্য শুকনো কাশি হয়।
  • ক্যান্সার হওয়ার জন্য শুকনো কাশি হয়।
  • লাঞ্চ নষ্ট হয়ে গেলে শুকনো কাশি হয়।
  • ফুসফুসের সমস্যার জন্য শুকনো কাশি হয়।

শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায়

আপনি কি শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায় জানতে চাচ্ছেন? চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। মানুষের সাধারণ কয়েকটি রোগের মধ্যে কাশি অন্যতম। তবে কাশি যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তাহলে তা বিপদজনক হতে পারে। দীর্ঘসময় শুকনো কাশি থাকার ফলে নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। 

কাশি এমন একটি সমস্যা যা যেকোনো সময় যেকোনো কারোর হতে পারে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে এর সামঞ্জস্য রয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যাটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। ঠান্ডা সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের পুরো গলা বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিভিন্ন চিকিৎসার ফলে ঠান্ডা নিরাময় হলেও অনেক সময় দেখা যায়কাশি দীর্ঘদিন যাবত থেকে যায়।


যা শুকনো কাশিতে রূপান্তরিত হয়। আমরা দ্রুত কাশি নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাশির সিরাপ খেয়ে থাকি। যা আমাদের শুষ্ক কাশি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ করে থাকে। তবে আপনি চাইলে ঔষধ না খেয়ে ঘরোয়া অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে খুব সহজেই শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

মধু

শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আপনি প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খেতে পারেন। মধুতে থাকা উপকারী এনজাইম যা শুকনো কাশি উপশম করতে সহায়তা করে। তবে সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ মধু। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ। এই মধু কাশি দূর করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।

গরম পানি

আপনি যদি শুকনো কাশিতে ভুগে থাকেন তাহলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে সকালে এবং সন্ধ্যায় শোষণ করুন। এই গরম পানি আপনাকে শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণে সহায়তা করবে। কাশির সাথে গলা ব্যথা দূর করতে গরম পানির সাথে লবণ খুবই কার্যকর।

কালো মরিচ

কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান হলো কালো মরিচ। কালো মরিচ তার ঔষধি গুনাগুনের জন্য পরিচিত। কালো মরিচ গুড়া করে ঘীর সাথে ভেজে তা যদি আপনি খান তাহলে শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

মসলা চা

শুকনো কাশি দূর করার জন্য মশলাটা খুবই উপকারী। আপনি শুকনো কাশি দূর করার জন্য বিভিন্ন মসলা দিয়ে যেমন আদা, গোলমরিচ ইত্যাদি মসলা দিয়ে যদি মশলা তৈরি করে খেতে পারেন তা শুকনো কাশির জন্য খুবই কার্যকর।

বেসিল গুচ্ছ

শুকনো কাশি দূর করার জন্য কয়েকটি বেসিল পাতা থেকে ভালোভাবে রস বের করে নিন। এরপর আদা ও মধু মিশিয়ে তা পান করুন। এটা আপনার শুকনো কাশি দূর করার জন্য খুবই উপকারী।

লেবু

ঠান্ডা জনিত যেকোনো সমস্যা দূর করতে লেবু পরিচিত একটি না। কাশির ক্ষেত্রেও লেবুর জুড়ি মেলা ভার। এক চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে দিনে চারবার এটি গ্রহণ করুন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা দূর করার পাশাপাশি আপনাকে শুকনো কাশি থেকে পরিত্রাণ দিবে।

এছাড়াও আরও বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যা শুকনো কাশি দূর করার জন্য কার্যকর যেমন আদা, হলুদ, রসুন, পেঁয়াজ এই উপাদান গুলো শুকনো কাশি দূর করার জন্য খুবই উপকারী। এই সমস্ত ঘরোয়া প্রতিকার শুকনো কাশির জন্য একটি সর্বরোগনিবারক ঔষধ হিসেবে পরিচিত। 

আপনি যদি শুকনো কাশি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত উপাদান গুলো অনায়াসে সেবন করতে পারেন। কারণ এই উপাদান গুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা যাবে না। 

কারণ কোন উপাদানই অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা উচিত নয়। তাহলে তা আপনার শরীরে উপকারের থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

আপনি কি খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সাধারণত ঠান্ডার কারণে কাশি হয়ে থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু কারণ রয়েছে কাশি হওয়া যেমন অ্যাজমা, শুষ্ক আবহাওয়া, এলার্জি, ধূমপান এছাড়াও কিছু ঔষধ সেবনের ফলেও শুষ্ক কাশির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আপনার যদি দীর্ঘদিন যাবত খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে তাহলে সেটি খুবই বিরক্তিকর। অনেক সময় দেখা যায় বুকে কফ জমে কাশি ভয়ানক রূপ ধারণ করে। আপনি যদি একটু সচেতন থাকতে পারেন তাহলে ঔষধ ছাড়াও এ ধরনের কাশি খুব সহজে নিরাময় করা যায়। শুষ্ক কাশি দূর করার জন্য আপনি ঘরেই বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। 

আমাদের রান্নাঘরে থাকা বেশ কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজেই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করা সম্ভব। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই কিভাবে আপনি উপাদান গুলো ফুসফুসে কাশি দূর করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন।

আদা

আদাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা গলার অস্বস্তিকর ভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে। আপনার যদি ফুসফুসে কাশি হয়ে থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। 


অথবা এক গ্লাস পানিতে আদা কুচি করে বা থেতলে ভালোভাবে পানি ফুটিয়ে হাফ গ্লাস করে নিতে হবে। এরপর সেই পানি দিনে ৩-৪ বার খেতে হবে। তাহলে দেখবেন খুশখুসে বিরক্তিকর কাশি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

হলুদ

আমাদের রান্নাঘরে থাকা খুবই পরিচিত দুইটি উপাদান হলো হলুদ ও মৌরি। আপনি যদি অস্বস্তিকর খুসখুসে কাশির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাহলে এক কাপ পানিতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়া ও মৌরি একসাথে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে চা তৈরি করে দিনে ৩-৪ বার খেতে পারেন। তাহলে খুসখুসে অস্বস্তিকর কাশি অনায়াসে কমে যাবে।

পেঁয়াজ

একটি পেঁয়াজ ভালোভাবে থেঁতো করে তার রস বের করে নিন। এরপর এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চা এর মত করে দিনে দুইবার পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। খুশখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য পেঁয়াজ খুবই কার্যকর।

মধু

মধু ঠান্ডা জনিত যেকোনো সমস্যায় খুবই উপকারী। আপনি যদি খুশখুসে কাশির শিকার হয়ে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ১ টেবিল চামচ করে বিশুদ্ধ মধু খান। কারণ মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য খুবই উপকারী। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেতে পারেন।

গোলমরিচ

খুশখুসে কাশি দূর করার ক্ষেত্রে গোলমরিচ খুবই উপকারী। এক চা চামচ গোল মরিচের গুড়া ও এক চা চামচ হলুদ একগ্লাস পানিতে ভালোভাবে জাল দিয়ে অর্ধেক গ্লাস করে নিন। এরপর একটি লবঙ্গ দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল করে নিন। প্রতিদিন এই জাল করা পানির সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে চায়ের মত পান করুন।

রসুন

রসুন খুসখুসে কাশির জন্য খুবই উপকারী। রসুন এ রয়েছে এক্সপেকটোরেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা কাশি উপশমে সহায়তা করে থাকে। আপনি যদি চার থেকে পাঁচটি রসুনের কোয়া নিয়ে এক চা চামচ ঘিয়ে ভেজে গরম গরম অবস্থায় খেতে পারেন তাহলে তা ফুসফুসে কাশি উপশমের জন্য খুবই উপকারী হবে।

লেখকের মন্তব্যঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো খুসখুসে বিরক্তি কর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায়, শুকনো কাশির সিরাপ, শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ, রাতে কাশি কমানোর উপায় ও দ্রুত কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। 

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url