কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা - কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
আদার উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুনকিসমিস হল একটি ন্যাচারাল সুগার যুক্ত খাবার। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। ছোট থেকে বড় যে কোন রোগের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী একটি উপাদান। বিভিন্নভাবে আপনি কিসমিস খেতে পারেন। তবে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে সব থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা - কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কিসমিসের উপকারিতার কথা এক কথায় বলে শেষ করার মত নয়। এমনকি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা - ভূমিকা
কিসমিস শরীরে শক্তি জোগাতে এবং রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিসমিসের কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারব।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম,প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত,শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়,কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
আমরা সাধারণত বাজার থেকে কিসমিস কিনে নিয়ে আসি। তবে আপনারা যদি চান ঘরেও কিন্তু আঙ্গুর ফল বিশেষ উপায়ে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করে নিতে পারেন। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। তবে প্রমাণিত হয়েছে যে কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। শুধু ভেজানো কিসমিস নয়, কিসমিস ভেজানো পানী খেলেও মিলবে বিভিন্ন উপকারিতা।
আরও পড়ুনঃ আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
পরিমাণ মতো কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, পানি শূন্যতা ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে অধিক কার্যকর। শুধু খালি পেটেই নয় খাবার খাওয়ার পরেও কিসমিস খেতে পারেন।
বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে গোটা কিসমিস খেতে পারেন আবার বিভিন্ন মুখরাচর খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। শিশু থেকে বড় সবাই কিসমিস খেতে পারেন।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারী খাবার গুলোর মধ্যে কিসমিস অন্যতম। প্রত্যেকটা উপকারী উপাদানেরই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। তেমনি প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সেটারও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। কিসমিসের উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন আপনি ৮ থেকে ১৫ টা পর্যন্ত কিসমিস খেতে পারেন।
তবে সরাসরি কিসমিস না খেয়ে রাতে শোয়ার সময় কিসমিস ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে সরাসরিও খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন পরিমাণ মতো কিসমিস খাওয়ার জন্য। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেয়ে ফেলেন তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
সাধারণত আঙ্গুর ফলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। ড্রাই ফ্রুটস গুলোর মধ্যে কিসমিস অন্যতম। সাধারণত শুকনো অবস্থাতেই পাওয়া যায়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে সহায়তা করে থাকে।
শুকনো কিসমিসে রয়েছে এনার্জি, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ওসডিয়াম। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এই শুকনো কিসমিসে।
আপনি যদি নিয়মিত শুকনো কিসমিস খেতে পারেন তাহলে তা আপনার শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, সুস্থভাবে ওজন বাড়াতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ঘুম ভালো করতে সহায়তা করে থাকে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত শুকনো কিসমিস রাখতে।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরের খারাপ কোলেস্ট্রল দূর করতে কিসমিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস ও ভিটামিন। আপনি সরাসরি কিসমিস না খেয়ে যদি কিসমিস ভেজানো পানি খান তাতেও আপনার শরীরে প্রবেশ করবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার এছাড়াও অন্যান্য খুবই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ সব উপাদান। এই উপাদান গুলো আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনার ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কোনটি ? আপনি যদি সারারাত এক চা চামচ পরিমাণ কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকাল বেলা সেই পানি খান তাহলে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার প্রয়োজনীয় উপাদান গুলোর ঘাটতি হবে না।
এছাড়াও আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণেও কিসমিস ভেজানো পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাই ব্লাড প্রেসার
কিসমিসের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো কিসমিস। আপনি যদি হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন।
রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়তা করে
আপনি যদি রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারে। কারণ কিসমিসে রয়েছে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কিসমিসে আরও রয়েছে তামা যা রক্তের লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হলে আপনি নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি ও ভেজা কিসমিস খেতে পারেন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুনঃ কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে
মানুষের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই আপনি যদি আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে রোজ রাতে একটা চামচ কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন।এভাবে যদি আপনি কিছু দিন খেতে পারেন তাহলে তফাত আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য জাদুর মত কাজ করে কিসমিস। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেতে পারেন। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা ঔষধের বদলে নিয়মিত কিসমিস ভেজানো খেতে পারেন।
বিষমুক্ত শরীর
আপনার শরীরকে দূষণমুক্ত করতে নিয়মিত ভেজানো কিসমিস অথবা কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার শরীর দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
আপনারা যারা নিয়মিত এসিডিটির মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য রাতে কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে যদি আপনি কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের মেলাটোনিন, টিপ্রোফ্যান ও ফলেডের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
১. যা আপনার ঘুমের গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করে এবং আপনার স্নায়ু স্বাস্থ্য কে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আপনারা যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে শরীরে ব্যথা অনুভব করেন তাদের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী।
২. এছাড়াও কিসমিস অন্ত্রের আন্দোলন সহজ করতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিস তন্ত্রের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
৩. হাড় সুস্থ রাখতে কিসমিস খুবই উপকারি।আপনি যদি দুধের সাথে কিসমিস সিদ্ধ করে খেতে পারেন তা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর সাথে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য হাড়ের খনিজ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও হাড়কের শক্তিশালী করে।
৪. কিসমিস ওজন কমাতে খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারনে কিসমিস অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। আপনি যদি রাতের খাবারের পরে কয়েকটি কিসমিস খান তাহলে তা আপনার শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৫. এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে অন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা আপনাকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন হৃদরোগ, বাত, ডায়াবেটিস বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ জনিত রোগ অ্যালজাইমা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও এনটিঅক্সিডেন্ট খাবার ঘুমের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ঘুমের মানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অক্সিডেটিভ ট্রেস দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি কমায়। এছাড়াও কোষ এবং টিস্যু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এইসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য ঘুমানোর আগে অবশ্যই কিছু পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত।
কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা
সাধারণত বিশেষ পদ্ধতিতে আঙ্গুর ফল শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও অন্যান্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
যারা স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই সচেতন তারা চাইলে তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কিসমিস রাখতে পারেন। কিসমিস প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও উচ্চ ক্যালরিতে পরিপূর্ণ একটি খাবার। তবে আপনাকে অবশ্যই কিসমিস পরিমাণ মতো খেতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন পরিমাণ মতো কিসমিস সেবন করেন তাহলে তা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
কিসমিসে থাকা আয়রন আপনার হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করবে।সাধারণত আমরা সবাই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্নাতে যেমন পায়েস, সেমাই, ফিরনি ও সুস্বাদু কুকিস ও কেক তৈরিতে।
কিসমিসের উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান হল কিসমিস। আজ আমরা জানবো কিসমিসের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।চলুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
অনেকে আছেন যারা ওজন কমাতে চান আবার অনেকে আছেন যারা ওজন বাড়াতে চান। কিসমিস ওজন বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। আপনারা যারা স্বার্থপর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা অনায়াসে কিসমিস খেতে পারেন। কারণ নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
কিসমিসে রয়েছে গ্লুকোজ ও ফ্রুট্রোজ যা শরীরে প্রচুর শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। কিসমিসে থাকা উপাদান আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই প্রয়োজনীয়। আপনি যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখুন। কারণ কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলনের মত অন্যান্য যৌগ। প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের সিস্টেমের ফ্রি জার্ডিকেলের সাথে লড়াই করে।
তাদের শিথিলতর করতে এবং আমাদের ইমিউন ক সিস্টেমের মেরুদন্ড গঠনকারী শ্বেত রক্তকণিকা সহ আমাদের কোষ গুলির অক্সিডেটিভ ক্ষতি হতে বাধা দেয়। যা বিভিন্ন সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কিসমিস রাখতে।
ব্রেন ভালো থাকে
কিসমিসে রয়েছে একাধিক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন যার কারণে কিসমিস হয়ে ওঠে ব্রেনের জন্য দরকারি একটি খাবার। কিসমিসে থাকা বরণ ব্রেনের সঠিক ও সুস্থ স্বাভাবিক কার্যক্রমে খুবই সহায়তা করে থাকে। স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ানো, নায়ক দুর্বলতা কাটাতে কিসমিস সাহায্য করে থাকে। তাই ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী একটি খাবার।
ভালো ঘুমে সহায়তা করে
রাতে যদি শান্তিপূর্ণভাবে না ঘুমানো যায় তাহলে সকালটা ভালো যায় না। তাই আপনার যদি রাতে ঘুমানোর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিসমিস খেয়ে নিতে পারেন।
কারণ কিসমিসে রয়েছে লোহার মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান যা অনিদ্রার চিকিৎসায় বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে আয়রন যা অত্যাবশকীয় খনিজ যা শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়ায় না বরং আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং অক্সিজেন বহন করে যা ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে
বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ ও খারাপ খাদ্যাভ্যাস এর জন্য আমাদের রক্তচাপ বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খান তাহলে কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম আপনার শরীরের রক্তনালী গুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করবে এবং যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকবেন। এছাড়াও কিসমিসে থাকা ফাইবার আপনার শরীরের রক্তনালী গুলোর কঠোরতা কমিয়ে রক্তচাপ উন্নত করে এবং রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখতে পারেন তাহলে তা আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। কারণ কিসমিসে রয়েছে কেটেচিনের উপস্থিতির কারণে অ্যান্টিকার্সিনো জেনিক সুবিধা দেয়। কেটেছেন গুলিতে পলিফেলন যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ ও ধারণ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও কিসমিসের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। অবশ্যই চেষ্টা করবেন পরিমাণ মত আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখতে।
কিসমিসের অপকারিতা
আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস খুবই উপকারী একটি উপাদান হিসেবে পরিচিত তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে তা আপনার শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিসমিসের অপকারিতা সম্পর্কে।
- কিসমিস খেলে যারা এলার্জি অনুভব করেন তারা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ কিসমিস খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
- এছাড়াও আপনাদের যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না। কিসমিস যেহেতু মিষ্টি জাতীয় খাবার তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে আপনার ডায়াবেটিকস বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে আপনার খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।তাই পরিমাণের অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না।
এতক্ষণে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে আপনার শরীরের কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কিসমিস সেবন করবেন। তবে পরিমাণ মতো সেবন করবেন, পরিমাণ এর চেয়ে বেশি কোন জিনিসই ভালো নয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন।
এছাড়াও আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি আমরা খুব দ্রুত আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url