মিষ্টি কুমড়ার বীজের ২০ টি উপকারিতা - অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
ঘি খাওয়ার উপকারিতা জানতে ক্লিক করুনমিষ্টি কুমড়া বীজের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সঠিকভাবে অনেকেরই অজানা। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের অন্যতম উৎস হল মিষ্টি কুমড়ার বীজ। যার কারণে সারা বিশ্বে মিষ্টি কুমড়ার বীজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব মিষ্টি কুমড়ার বীজের ২০ টি উপকারিতা - অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বা পামকিন সীড রাখেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা - ভূমিকা
রঙিন শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হলো মিষ্টি কুমড়া। অনেকেই হয়তো জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বীজ শরীরের জন্য উপকারী একটি উপাদান। তবে আমরা এই বীজকে খাওয়ার অযোগ্য ভেবে ফেলে দেই। তবে পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ এই বীজ যদি আপনি প্রতিদিন সেবন করেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
চলুন তাহলে জেনে নেই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কি কি বিষয় জানতে পারবো মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ,মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম,মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম,মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয়,মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ার বীজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ
সকলের পরিচিত একটি সবজি হলো মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি সকলেই খেতে পছন্দ করেন। তবে অনেকে আছেন যারা মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পর মিষ্টি কুমড়ার বীজ অবহেলা করে ফেলে দেন। কিন্তু তারা হয়তো জানেনা মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে-
- আয়রন
- প্রোটিন
- ফাইবার
- জিংক
- ফসফরাস
- ক্যালসিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- ফাইটোকেমিক্যাল
- বিটা ক্যারোটিন
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
মিষ্টি কুমড়ার বীজের এইসব প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে থাকে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে, মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালের খাবার বা নাস্তার সাথে খাওয়া। আপনি চাইলে বিকেলেও স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজ আপনি রান্নার সাথেও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অল্প সেকে বা আপনি চাইলে কাঁচা ও খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
এতেও প্রচুর উপকার পাবেন। আপনি চাইলে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। এরপর সালাদ অথবা তরকারির মধ্যে বীজ যোগ করে খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি চাইলে মিষ্টি কুমড়ার বীজ ড্রাই ফ্রুট হিসেবেও খেতে পারেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম
শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। বর্তমানে অনেক জায়গায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে অনেক জায়গায় এক কেজি মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে আপনি চাইলে ১০০ গ্রাম বীজও কিনতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।তবে আপনি যেখান থেকেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ ক্রয় করেন না কেন অবশ্যই যাচাই করে ক্রয় করবেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয়
মিষ্টি কুমড়ার বীজ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই বীজ ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও আপনারা যারা যৌন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ ম্যাজিক এর মত কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে প্রচুর উপকারিতা পাওয়া যায়।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এর রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণ। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হজম শক্তি উন্নত হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই উপকারী।
অনিদ্রা জনিত সমস্যা ও বাতের ব্যথায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এছাড়াও তো চুল ও ত্বকের যত্নে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই উপকারী। মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার অনুরোধ রইল।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা অপকারিতা
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানেনা। বিশেষ করে তাদের জন্য আজ আমার এই আর্টিকেলটি। বাংলাদেশের পরিচিত সবজির মধ্যে একটি হলো মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর বীজের রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ার বীজ শুধু পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ নয় এর রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণ।
শরীর সুস্থ রাখতে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন অনিদ্রা দূর করে, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও। তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া পূর্বে অবশ্যই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। চলো তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা
পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ মিষ্টি কুমড়ার বীজের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা জানবো মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা গুলো কি কি।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
দেহের অতিরিক্ত ওজনের জন্য নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মিষ্টি কুমড়ার বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার ও প্রোটিন পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া বীজে আরো রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অনেক উপকারী উপাদান। এইসব প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে একাধিক ভূমিকা রাখে এই বীজ। তাই চেষ্টা করবেন রোজ নিয়ম করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার।
অনিদ্রা দূর করে
সুস্থ থাকার জন্য শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম খুবই প্রয়োজন। তবে বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা অনিদ্রার মত সমস্যায় আক্রান্ত। এক্ষেত্রে আপনাকে মিষ্টি কুমড়ার বীজ দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই উপাদানটি ছেরোটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদান তৈরি করতে সহায়তা করে।
যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রাজনিত সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ হলো ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিডের একটি প্রাকৃতিক উৎস। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রতিদিন এক গ্রাম ট্রিপটোফ্যান ঘুমের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমান সময়ে প্রচুর মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত মানুষের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন যে খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। এক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বীজ দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। কারণ মিষ্টি কুমড়ার ভিজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়।
যা টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার ভিজে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। যার কারনে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ নিয়মিত সেবন করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এই উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কম করে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কুমড়া বীজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই বীজে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে আরজেনিন নামক এমাইনো এসিড এবং নাইট্রিক অক্সাইড।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নাইট্রিক এসিড স্নায়ু শীতল করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ওজন কমাতে এবং হৃদ যন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও রক্তে ট্রাইগ্লিসাইডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়া বীজে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।যার কারনে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
পুরুষদের জন্য উপকারী
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি কুমড়ার বীজ শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম। মিষ্টি কুমড়া বীজে জিঙ্ক পাওয়া যায় যার কারণে শুক্রানুর গুণমান ভালো হয়। এছাড়াও পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিকে শক্তিশালী করতে এবং স্বাস্থ্যকর হরমোনের প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে মিষ্টি কুমড়া বীজ খুবই উপকারী।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ পুরুষ পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
মিষ্টি কুমড়া বীজে থাকে ট্রিপটোফ্যান এবং টাইরোসিন নামক এমাইনো এসিড যা সবচেয়ে উপকারী ভূমিকা পালন করে। কারণ এগুলো হলো ছেরোটোনিন এবং ডোপামিনের পূর্বসরী।এই ছেরোটোনিন এবং ডোপামিন আমাদের উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি অ্যাংজাইটি ও স্ট্রেস সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে মানসিকভাবে চনমনে থাকবেন।
চুল ভালো রাখে
মিষ্টি কুমড়া ভিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক, সালফার, ভিটামিন এ ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো চুল উজ্জ্বল ও ঘন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
এই উপাদানটি চুলের গঠন উন্নত করে ও চুলের ফলিকল মসৃণ করার পাশাপাশি চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার চুল ভালো রাখতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ যোগ করতে পারেন।
ত্বক ভালো রাখে
মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে কোলাজেনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে।এছাড়াও এতে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড পাওয়া যায় যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া বীজ খাওয়ার ফলে একনের মত সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
হাড় ভালো রাখে
মিষ্টি কুমড়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক পাওয়া যায়। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অস্টিওপরেসিসের মত হাড়ের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বীজের। যেমন মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং হজম শক্তি উন্নতি করতে সহায়তা করে থাকে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের অপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই বলে কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৩০ গ্রাম বা দুই টেবিল চামচ পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারে। তবে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া একদমই উচিত নয়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার পর যারা এলার্জি অনুভব করেন বা এলার্জি হয় তাদের এই বীজ খাওয়া উচিত নয়।
- এছাড়াও প্রেগনেন্ট মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত নয়।
- হাইপার টেনশনে আক্রান্ত মানুষদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া একদমই উচিত নয়।
- এছাড়াও আপনি যদি কম ক্যালরিযুক্ত ডায়েটে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার মিষ্টি কুমড়ার বীজের ব্যবহার সীমিত পরিমানে করা উচিত। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজে ক্যালোর পরিমাণ বেশি থাকে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত খেলে পেটের ব্যথা, পেট ফাঁপা, ফোলা ভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে।
- এছাড়াও যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগ রয়েছে অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম তাদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি মিষ্টি কুমড়ার বীজের ২০ টি উপকারিতা অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url