লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা - লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
টাইগার মুরগি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুনডিম উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বেশি পালন করা হয় লেয়ার মুরগি। লেয়ার মুরগি যদি একদিন বয়স থেকে পালন করা হয় তবে তা ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়সে এসে ডিম দেওয়া শুরু করে। সঠিক খাবার ব্যবস্থাপনা ও ভ্যাকসিন প্রদান করা একজন খামারিকে লাভবান করতে সহায়তা করে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা - লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সেই সম্পর্কে।
তবে ডিম দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই মুরগির সঠিক পরিচর্যা করা প্রয়োজন।প্রচুর ডিম উৎপাদন ও অধিক মাংশ উৎপাদনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগি পালন বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য নির্ণয়ের মানুষ জন ডিমের ওপর নির্ভরশীল। যার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে লেয়ার মুরগির চাহিদা অনেক বেশি।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক লেয়ার মুরগি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা - ভূমিকা
মুরগি পালন করা শুরু করলে অবশ্যই মুরগির খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ সঠিকভাবে যদি আপনি মুরগির খাবার ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে পারেন এবং পরিপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেন তাহলে আপনার মুরগি পরবর্তীতে সুস্থ থাকবে এবং ভালো ভাবে ডিম দিবে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা কোন কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন লেয়ার মুরগির জাত,লেয়ার মুরগির দাম,লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা,লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল,লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার আর্টিকেলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
লেয়ার মুরগির জাত
বাংলাদেশের ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগি সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারণ ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ও মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগি পালন লাভজনক। লেয়ার মুরগি সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে বেশি পালন করা হয়। বাংলাদেশের লেয়ার মুরগির দুটি জাতকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে হাই- লাইন এর জনপ্রিয় লেয়ার মুরগির দুটি জাত খুবই জনপ্রিয়।
গুণগত মান ও ডিমের জন্য হাই- লাইন ব্রাউন ও হাই- লাইন হোয়াইট বাংলাদেশে সবথেকে পরিচিত দুটি জাত। বাংলাদেশের কাজী ফার্মস সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি হাইলাইনের লেয়ার মুরগি উৎপাদন ও বিপণন করে থাকে।
লেয়ার মুরগির দাম
বর্তমান সময়ে মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কারণ সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুরগির খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। খাবারের পাশাপাশি মুরগির প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুরগির দাম আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে এক কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।
তবে এই দাম আপনার এলাকা ভেদে কমবেশি হতে পারে। বর্তমান সময়ে আমার এলাকায় যে দামটি চলছে সেই দাম আপনাদের সুবিধার জন্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনি মুরগি ক্রয় করার পূর্বে আপনার এলাকার বাজার দর যাচাই করে নিবেন।
লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা
সব ধরনের হাইব্রিড মুরগির আলাদা আলাদা পুষ্টিমান চাহিদা থাকে। আপনি যদি লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা তৈরি করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন হল উক্ত লেয়ার মুরগি কোন ব্রিডের। এছাড়াও তার পুষ্টিমান চাহিদা কেমন। বিভিন্ন ডেভেলপকৃত প্যারেন্টস কোম্পানি হতে এই নিউট্রিশন মান
দিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেসব কোম্পানি তাদের নিজেদের ফর্মুলা অনুযায়ী খাবার তৈরি করে থাকে। প্রত্যেকটা কোম্পানি খাবার তৈরি করতে তাদের মূল লক্ষ্য হলো খাদ্যে এনার্জি ও প্রোটিন মান ঠিক রাখা। বিশেষ করে লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে নিউট্রিশন চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা খুবই জরুরী।
পরিপূর্ণ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যদি লেয়ার মুরগিকে সরবরাহ না করা হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশের প্রচলিত খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে একটি আদর্শ লেয়ার খাদ্য তালিকা নিতে উল্লেখ করা হলো।
লেয়ার মুরগির খাবার তৈরির তালিকা
আপনি যদি হাইব্রিড লেয়ার মুরগি পালন করতে চান তাহলে এর জন্য সাধারণত ৫ প্রকার খাবার সরবরাহ করা হয়। যথা:
- লেয়ার স্ট্যাটার - ০ থেকে ৬ সপ্তাহ
- লেয়ার গ্রোয়ার - ৭ থেকে ১৬ সপ্তাহ
- প্রি-প্লেয়ার - ১৭ থেকে ২২ সপ্তাহ
- লেয়ার লেয়ার ১ - ২৩ থেকে ৬০ সপ্তাহ
- লেয়ার লেয়ার ২ - ৬০ থেকে ৯৫ সপ্তাহ
চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক খাদ্য তালিকার একটি লেয়ার ফিট ফর্মুলেশন।
- খাদ্য উপাদান ভুট্টা - স্ট্যাটার ৫২ কেজি - গ্রোয়ার ৫৩.৫ কেজি - প্রি লেয়ার ৫৪.৫ কেজি - লেয়ার ১, ৫৫ কেজি - লেয়ার ২, ৫৬ কেজি।
- খাদ্য উপাদান সয়াবিন মিল - স্টাটার ২৬ কেজি - গ্রোয়ার ২৫ কেজি - প্রিলেয়ার ২২.৫ কেজি - লেয়ার ১, ২৩ কেজি - লেয়ার ২, ২২ কেজি।
- খাদ্য উপাদান রাইস পালিশ - স্টার্টার ১০ কেজি - গ্রোয়ার ১০ কেজি - প্রিলেয়ার ১২ কেজি - লেয়ার ১,৮ কেজি - লেয়ার ২, ৭.৫ কেজি।
- খাদ্য উপাদান প্রোটিন ৬০% - স্টার্টার ৭ কেজি - গ্রোয়ার ৬ কেজি - প্রিলেয়ার ৫ কেজি - লেয়ার ৪ কেজি - লেয়ার ২, ৩ কেজি।
- খাদ্য উপাদান লাইমস্টোন/ঝিনুক চূর্ণ - স্টার্টার ২ কেজি - গ্রোয়ার ২.৫ কেজি - প্রিলেয়ার ৩ কেজি - লেয়ার ১, ৮ কেজি - লেয়ার ২, ১০ কেজি।
- খাদ্য উপাদান লবণ - স্টার্টার ৩০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ২৮০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ২৫০ গ্রাম - লেয়ার ১,২৮০ গ্রাম - লেয়ার ২, ২৮০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান ডিসিপি - স্টার্টার ৩০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ৩০০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ২৫০ গ্রাম - লেয়ার ১,৫০০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৫০০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান সালমোনেরা কিলার - স্টার্টার ৩০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ২৫০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ২৫০ গ্রাম - লেয়ার ১,৩০০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৩২০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান প্রিমিক্স - স্টার্টার ২০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ২৫০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ২০০ গ্রাম - লেয়ার ১,৩০০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৩০০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান ডি এল/মিথিও নিন - স্টার্টার ১৫০ গ্রাম - গ্রোয়ার ১৩৫ গ্রাম - প্রিলেয়ার ১২০ গ্রাম - লেয়ার ১,১৩০ গ্রাম - লেয়ার ২, ১২৫ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান এল লাইসিন - স্টার্টার ১০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ৯০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ৭০ গ্রাম - লেয়ার ১,৮০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৬০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান কোলিন ক্লোরাইড - স্টার্টার ৬০ গ্রাম - গ্রোয়ার ৫০ গ্রাম - প্রিলেয়ার ৪০ গ্রাম - লেয়ার ১,৫০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৫০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান টক্সিন বাইন্ডার - স্টার্টার ১২৫ গ্রাম - গ্রোয়ার ১৩৫ গ্রাম - প্রিলেয়ার ১৫০ গ্রাম - লেয়ার ১,১৫০ গ্রাম - লেয়ার ২, ১৫০ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান সোডা - স্টার্টার - গ্রাম - গ্রোয়ার - গ্রাম - প্রিলেয়ার - গ্রাম - লেয়ার ১,৫০ গ্রাম - লেয়ার ২, ৭৫ গ্রাম।
- খাদ্য উপাদান সয়াবিন তেল - স্টার্টার ২০০ গ্রাম - গ্রোয়ার ১৫০ গ্রাম - প্রিলেয়ার - গ্রাম - লেয়ার ১,১০০ গ্রাম - লেয়ার ২,- গ্রাম।
- মোটঃ স্টার্টার ১০০ কেজি - গ্রোয়ার ১০০ কেজি - প্রিলেয়ার ১০০ কেজি - লেয়ার ১,১০০ কেজি - লেয়ার ২, ১০০ কেজি।
লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল
আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে লেয়ার মুরগি পালন করতে চান তাহলে তার ভ্যাকসিন শিডিউল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার খামারকে যদি ভাইরাসজনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যথাযথভাবে টিকা প্রদান পরিকল্পনা মেনে চলতে হবে। তাই মুরগির টিকা প্রদান তালিকা প্রণয়নে অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করা খুবই প্রয়োজন।
বিশেষ করে লেয়ারের জাত, প্রাপ্ত ইমিউনিটি, আবহাওয়া, এলাকা ও মুরগির স্বাস্থ্য ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের টিকার কর্মসূচি প্রস্তাব করে থাকেন খামারিদের। তবে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত যে টিকাদান কর্মসূচি তা নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য উল্লেখ করা হলো।
লেয়ার মুরগির প্রস্তাবিত টিকাদান কর্মসূচিঃ
- মুরগির ১-৩ দিন বয়সে ম্যারেক্স রানীক্ষেত + ব্রংকাইটিস রোগের জন্য ম্যারেক্স, আইবি + এনডি ভ্যাকসিন সরাসরি ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশন অথবা চোখে ফোটা আকারে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৭-৯ দিন বয়সে গামবোড়া রোগের জন্য আইবিডি ভ্যাকসিন সরাসরি মুখে ফোটা আকারে খাওয়াতে হবে।
- মুরগির ১০-১২ দিন বয়সে রানীক্ষেত + গামবোরো ভ্যাকসিন সরাসরি ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ১৬-১৭ বিন বয়সে রানীক্ষেত রোগের জন্য লেসোটা ভ্যাকসিন সরাসরি চোখে ড্রপের সাহায্যে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ১৮-২০ দিন বয়সে গামবোরো রোগের জন্য আই বি ডি সরাসরি খাবার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ২৪-২৮ দিন বয়সে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) রোগের জন্য এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) ভ্যাকসিন সরাসরি চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৩০-৩৫ দিন বয়সে ফাউল পক্স রোগের জন্য ফাউল পক্স ভ্যাকসিন সরাসরি ডানায় সূচ ফুটানোর মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৪০-৪৫ দিন বয়সে মাইকোপ্লাজমা রোগের জন্য মাইটোপ্লাজমা ভ্যাকসিন ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন এর মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৬-৭ সপ্তাহে রানীক্ষেত রোগের জন্য এনডি ভ্যাকসিন ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৮ সপ্তাহে ফাউল কলেরা রোগের জন্য ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ৯ সপ্তাহে ইনফেশাস করাইজা, সালমনেলা রোগের জন্য করাইজা + সালমানেলা ভ্যাকসিন নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ১০ সপ্তাহে ব্রংকাইটিস (ভ্যারিয়ান্ট) রোগের জন্য আইবি ভ্যারিয়ান্ট অফ ভ্যাকসিন খাবার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ১২ সপ্তাহে ফাউল কলেরা রোগের জন্য ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োগ করতে হবে। মুরগির ১৫-১৬ সপ্তাহে এভিএন ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) রোগের জন্য এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) ভ্যাকসিন চামড়ার নিচে ইনজেকশন এর মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
- মুরগির ১৬ সপ্তাহে করাইজা, সালমোনেলা, রানীক্ষেত, ব্রংকাইটিস ও এগ ড্রপ সিনড্রোম রোগের জন্য+ এনডি+আইবি+ইডিএস ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে নির্দেশনা মোতাবেক।
প্রতি ছয় মাস অন্তর রানীক্ষেত কিল্ড ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন টাইটার কমে গেলে লাইভ ভ্যাকসিন করা যেতে পারে। আপনার খামারের মুরগিকে সালমোনেল ভ্যাকসিন করার পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে আপনার খামারের মুরগি সালমোনিলা মুক্ত কিনা।
উল্লেখ্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে ভ্যাকসিন বাজারজাত করে থাকে। এক্ষেত্রে রোগের নাম অনুযায়ী ভ্যাকসিন নির্বাচন করতে হবে।এলাকা আবহাওয়া, মুরগির স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিবেচনায় উল্লেখিত লেয়ার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।
লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
মুরগি পালন করতে গেলে সবার আগে একটা প্রশ্ন মাথায় আসে যে মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? মুরগির ডিম পাড়া আসলে কয়েকটি বিষয়ের উপর সরাসরি নির্ভর করে থাকে। যেমন ধরুন মুরগির জাত, স্থান, কাল, খাদ্যমান , ওজন ইত্যাদি। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয়।
হাইব্রিড জাতের লেয়ার মুরগি সাধারণত ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে ২৩ থেকে ২৪ সপ্তাহ বয়সে সর্বোচ্চ উৎপাদনে চলে আসে। এরপর একটানা ৭২ থেকে ৭৮ সপ্তাহ পর্যন্ত লাভজনকভাবে ডিম দিয়ে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে ডিম দেওয়ার হাড় কমে আসে। একটি ভালো জাতের লেয়ার মুরগি বছরে সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০ টি পর্যন্ত ডিম দিতে পারে।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক লেয়ার মুরগির ডিম পাড়া যে সকল বিষয়ের উপর নির্ভর করে।আপনি যদি বাণিজ্যিক ভাবে লেয়ার মুরগি পালন করতে চান বা লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন করতে চান । তাহলে লেয়ার মুরগির সর্বোচ্চ ডিম পাড়া সক্ষমতা কতগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সে বিষয়গুলি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
- লেয়ার মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লাইটিং শিডিউল সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।
- ১৭ সপ্তাহ শেষে মুরগির কাঙ্খিত ওজন থাকতে হবে।
- জাত ভেদে যা ১.১২৫ থেকে ১.২০০ কেজি হতে হবে।
- ডিম পাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে।
- লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকার মান ঠিক রাখতে হবে।
- সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুস্থ সবল রাখতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি লেয়ার মুরগির খাবার তালিকা - লেয়ার মুরগি কত দিনে ডিম দেয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url