লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক জানুন

কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুনলবঙ্গ হল একটি ফুলের কুঁড়ি যা ভালোভাবে শুকিয়ে লবঙ্গ নামে বাজারে বিক্রি করা হয়। লবঙ্গ বা লং কে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের রান্নাঘরের খুবই পরিচিত একটি মসলা হলো লবঙ্গ। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য লবঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক জানুন উপকৃত হবেন।
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক জানুন
বিভিন্ন গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে লবঙ্গ মানুষের শরীরে রোগ নিরাময়ের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে। লবঙ্গে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ নামক খনিজ উপাদান। ম্যাঙ্গানিজ মানব শরীরের হাড় শক্ত রাখতে ও মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা সঠিক রাখতে সহায়তা করে। 

পোস্ট সূচীপত্রঃতাই লবঙ্গের ঔষধি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা-ভূমিকা

বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে লবঙ্গের বেশ কিছু উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে লবঙ্গ খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন লবঙ্গ পুরুষদের জন্য খুবই উপকার করে থাকে। 

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে লবঙ্গের যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব তা হল প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত,লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়,খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা,রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা,লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে লবঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত

লবঙ্গ মসলা ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ ভালোভাবে পেতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে লবঙ্গ দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন অথবা গোটা লবঙ্গ ১-২ টি চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে খুব ভালো উপকার পাবেন আশা করা যায়। লবঙ্গ চা তৈরি করার পদ্ধতি খুবই সহজ। 


এক কাপ পানিতে ছয় থেকে সাতটি লবঙ্গ দিয়ে ভালোভাবে জাল করলেই তৈরি হয়ে যাবে লবঙ্গ চা। এই লবঙ্গ চা সর্দি কাশিতেও খুবই উপকারী। লবঙ্গে উপস্থিত থাকে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নানা ধরনের উপাদান যেমন ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সহ আরও অনেক ধরনের উপকারী উপাদান। যা আমাদের শরীরে নানা ধরনের উপকার করে থাকে।

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়

লবঙ্গ কে মসলা হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হলেও লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা আস্ত লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে সর্দি, কাশি ও অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ও সুফল পাওয়া যায়।এছাড়াও পেটে যেকোনো সমস্যায় লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। 

আপনি যদি প্রতিদিন দুইটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে পেট ব্যথা, গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট পরিষ্কার রাখতে খুবই কার্যকর। তাই আপনি যদি এই ধরনের কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিয়মিত এক থেকে দুইটি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার। 

এতক্ষণে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গের আরো উপকারিতা জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আশা করছি লবঙ্গের উপকারিতা সম্পর্কে আরো বেশ কিছু ধারনা আপনি পাবেন।

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গের সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খেতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ১-২ টি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা লবঙ্গ চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন। বিশেষ করে সর্দি কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই শক্তিশালী হবে। 

এছাড়াও লবঙ্গের অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হজম ক্ষমতা উন্নত করে, দাঁতের ব্যথা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বমি বমি ভাব দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ভাইরাল ফিভার কমায়, বাতের ব্যথা কমায় এছাড়াও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে। 

তাই আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা লবঙ্গ দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গের অনেক উপকারিতা রয়েছে। রান্নার স্বাদ বারানো থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লবঙ্গের গুরুত্বের কথা কম বেশি সকলেই জানে। সকালবেলা খালি পেটে লবঙ্গ খেলে যেমন আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী তেমনি আপনি যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে একগ্লাস কুসুম গরম পানি খান তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। 

লবঙ্গ খাওয়ার ফলে আপনার হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে। আপনার পেটের নানা ধরনের সমস্যা কমতে শুরু করবে। বদহজম, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ও গ্যাস বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যায় লবঙ্গ খুবই উপকারী। 

তাই আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কোন কারনে লবঙ্গ না খেতে পারেন তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে লবঙ্গ প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আপনি অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গ গাছে প্রায় নয় বছর পরে ফুল আসতে শুরু করে। লবঙ্গ ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে লবঙ্গ নামে বাজারে বিক্রি করা হয়। লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ হলো ইউজেনাল নামক একটি যৌগ।ইউজেনাল নামক যৌগটির বেদনা নাশক ও জীবাণুন নাশক গুণ রয়েছে। এছাড়াও অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সমূহ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

লবঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরকে যেকোনো রোগ বা সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে। এছাড়াও মানবদেহে অনেক সময় দেখা যায় না না কারণে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। 


যার কারনে আমাদের শরীরের নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে শুরু করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত লবঙ্গ বা লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার শরীরের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার কারনে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আর কোন আশঙ্কা থাকে না।

হজম ক্ষমতা উন্নত করে

সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খেলে পাচনতন্ত্রের যে কোন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। লবঙ্গ পাচক এনজাইমের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে যার কারনে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মত পাচন জনিত সমস্যা খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। লবঙ্গে রয়েছে ফাইবার যা পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

বর্তমানে অনেকের পেটের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি যদি নিয়মিত লবঙ্গ খান তাহলে উপকার পাবেন।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

অনেক সময় দেখা যায় হাড়ের কম ঘনত্ব এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, যা বয়স্ক মানুষদের অস্টিওপরেসিস রোগের ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দেয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ইউজেনাল হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে এটি মজবুত করতে সাহায্য করে। 

আমাদের দেহে ক্যালসিয়ামের মতো এই যৌগটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুটি লবঙ্গ খেতে পারেন অথবা লবঙ্গ চান নিয়মিত পান করতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

বমি বমি ভাব দূর করে

আপনার যদি দূরে কোথাও জার্নি করতে হয় যেমন বাসে বা ট্রেনে করে তাহলে যদি আপনার বমি বমি ভাব অনুভূত হয় তাহলে মুখে একটি লবঙ্গ রাখলে বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা অনেকাংশে কমে যায়। লবঙ্গের সুগন্ধি বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রেগনেন্সির সময় সকালে বমি বমি ভাব দূর করার জন্য লবঙ্গ খুবই কার্যকরী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে লবঙ্গ। কারণ লবঙ্গে রয়েছে এক ধরনের নাইযেরেসিক নামক যৌগ। এই যৌগটি মানুষের শরীরের ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও ইনসুলিন উৎপন্নকারী কোষগুলোর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

অধিক পরিমাণে ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে থাকে। যার কারনে খুব সহজে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

দাঁতের ব্যথা কমায়

লবঙ্গে উপস্থিত রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন ভাবে বিক্রিয়া করে যে নিমিষে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। আপনার যদি দাতে অস্বস্তি বা মারি ফোলার মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এক কাপ লবঙ্গ চা খেয়ে নিতে পারেন। 

এতে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও দাঁতের যন্ত্রণায় আপনি লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো তুলোর মধ্যে লবঙ্গ তেল লাগিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে রেখে দিন। এই উপাদানটি দাঁতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর।

ভাইরাল ফিভার কমায়

লবঙ্গে রয়েছে ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমতে খুব বেশি সময় লাগে না। যার কারণে ভাইরাল ফিভার খুব সহজেই কমে যায়। এছাড়াও সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে লবঙ্গ বহু বছর আগে থেকে ব্যবহার করা হয়। লবঙ্গ চিবিয়ে সেই রস গিলে খেলে সর্দি কাশি ও হাঁপানিতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বাড়ে। লবঙ্গে উপস্থিত থাকা ইউজেনাল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ইউজেনাল উপাদানটি ভিটামিন ই এর থেকে ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী। যে উপাদানটি আমাদের দেহের ফ্রি রেডিকেলস এর উপাদান কমাতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকরা ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য লবঙ্গ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বাতের ব্যথা কমায়

লবঙ্গে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান বাতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও জয়েন্ট পেইন্ট কমানোর পাশাপাশি পেশীর ব্যথা হাঁটুর ব্যথা কমাতে এই ঘরোয়া উপকরণটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও লবঙ্গে রয়েছে ফ্লাইবোনয়েড, ম্যাঙ্গানিজ ও ইউজেনাল যা হারের জন্য বিশেষ উপকারী।

যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে

বিশেষজ্ঞদের মতে, লবঙ্গ পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী মনে করা হয়। লবঙ্গের শুভ্রাণ অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। লবঙ্গ কাম উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও যৌন রোগে খুবই উপকারী লবঙ্গ। লবঙ্গ ও জাইফল ঘোষের নাভিতে লাগালে পুরুষের ইরেকটাইল শক্তি বৃদ্ধি পায়।

উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও লবঙ্গের আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন লবঙ্গ মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে, লিভারের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাকস্থলীর আলসার কম করে ইত্যাদি।

লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক

শরীরের জন্য লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। বিশেষ করে সর্দি কাশি ও জ্বর সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লবঙ্গ। এছাড়াও গলা ব্যথা, দাঁতের ব্যথা ও মারি ফুলে যাওয়ার মত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে লবঙ্গ। লবঙ্গে রয়েছে নাইজেরিসিন নামক একটি উপাদান যার রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে। 

তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।লবঙ্গ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে অতিরিক্ত পরিমানে লবঙ্গ খেলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
  • যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম রয়েছে তারা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাবেন না। কেননা বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হাইপারগ্লাইসিনিয়ার কারণ হতে পারে।

  • আপনার যদি রক্তে কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে যেমন হিমোফিলিয়ার মত রক্তক্ষরণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে লবঙ্গ কোনভাবেই খাবেন না।
  • লবঙ্গের এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের রক্তকে পাতলা করে দিতে সাহায্য করে।
  • এমন অবস্থা আঘাতের কারণে কেটে গেলে বা বড় ধরনের কোন চোট লাগলে রক্তপাত তাড়াতাড়ি বন্ধ হতে যায় না।
  • এছাড়াও লবঙ্গ অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে লিভার, কিডনি ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে।
  • আবার যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ খাওয়ার ফলে চুলকানি বা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকায় উত্তম।
আপনার যদি উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো থেকে থাকে তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন।

এছাড়াও আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url