মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন
নফল নামাজ সম্পর্কে জানুনআপনি হয়তো মক্কা-মদিনার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সুবিধার্থে আমি মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যারা হজ পালন করতে মক্কায় যান। তারা সেখানকার বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জানার চেষ্টা করেন। তাই তাদের জন্য আমি আজ মক্কা ও মদিনার বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই মক্কা ও মদিনার দর্শনীয় স্থান কি কি সেই সম্পর্কে।
মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান-ভূমিকা
প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে প্রচুর লোক হজ্জ পালন করতে মক্কা নগরীতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখে বা দেখতে চায়। এই স্থানগুলো সম্পর্কে যদি আগে থেকেই আপনাদের ধারণা থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই সেই স্থানগুলো আপনারা দর্শন করতে পারবেন। তাই তাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বেশ কিছু জায়গার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চলুন তাহলে জেনে নেই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কি কি জানতে পারবেন মদিনায় দোয়া কবুলের স্থান,মদিনা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম,মদিনা শরীফ নবীজির রওজা মোবারক,মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান,ইসলামিক দর্শনীয় স্থান,তায়েফের দর্শনীয় স্থান,মক্কার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মদিনায় দোয়া কবুলের স্থান
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যারা ভালোবাসে তাদের কাছে খুবই প্রিয় একটি জায়গার নাম হলো মদিনা।, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আশেকগণ মদিনা জিয়ারতের জন্য অস্থির হয়ে থাকে। সব মুসলমানেরই চাওয়া থাকে মদিনায় যাওয়ার জন্য। বিশ্ব নবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করার জন্য।
এছাড়াও মদিনায় মসজিদে নববীর অন্তর্গত অনেক অংশ ও স্থাপনা বিভিন্ন কারণে মর্যাদা লাভ করেছে। সেই সব স্থানগুলোতে যদি দোয়া করা যায় আল্লাহ তা'আলা সেই দোয়া কবুল করে নেন। যে কারণে হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য মসজিদে নববীর দোয়া কবুলের ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের কয়েকটি স্থান আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুনঃ নবীর রওজা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম জানুন
আপনারা যারা হজ ও ওমরা পালন করতে যাবেন তারা মদিনাতে গিয়ে এই স্থানগুলোতে অবশ্যই দোয়া করবেন। কারণ এই পবিত্র স্থানে দোয়া করলে সেই দোয়া মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই মদিনায় দোয়া কবুলের স্থানগুলোর নাম সম্পর্কে।
- রিয়াজুল জান্নাহ
- মসজিদে নববীর স্তম্ভ
- উস্তুওয়ানা সারির
- উস্তুওয়ানা হান্নানা ( সুবাস স্তম্ভ)
- উস্তুওয়ানা উফুদ
- উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)
- উস্তুওয়ানা আয়িশা (আয়িশা স্তম্ভ)
- উস্তুওয়ানা জিবরাইল
- জান্নাতুল বাকি
- মিহরাবে নববি
মহান আল্লাহ তায়ালা হজ ও ওমরা পালনকারীদের স্থান সমূহ ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুক। সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে এ সকল স্থান জিয়ারত করার তৌফিক দান করুক। আমিন।
মদিনা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম
আপনি কি মদিনা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? মদিনা শরিফ জিয়ারতের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে । চলুন তাহলে জেনে নেই মদিনা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম সম্পর্কে।
- জিয়ারতকারী পবিত্র শরীরে পবিত্র কাপড় পরিধান করে যাবে।
- জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে থাকবে। এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করবে যেন জিয়ারতের মাধ্যমে সে উপকৃত হয়।
- রওজায় প্রবেশের আগে মন থেকে জাগতিক সব চিন্তাভাবনা দূর করে দেবে এবং তার ভালোবাসার অন্তর পূর্ণ করে নেবে।
- নবী (সা.) এর প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে রওজায় প্রবেশ করবে।
- সেখানে এমন কোন আচরণ যেন প্রকাশ না পায় যা নবী (সা.) এর মর্যাদার পরিপন্থী।
- নবী (সা.) কে অনুচ্চ আওয়াজে সালাম দেবে। কোন ভাবেই আওয়াজ উঁচু করবেন না।
- রওজার দিকে ফিরে দাঁড়াবে, তবে সামান্য দূরত্ব বজায় রাখ।
- বে অন্তরকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চিন্তা ও ভালোবাসায় বিভোর করবে।
- যে কক্ষে নবী (সা.) শুয়ে আছেন, সেটি এবং তার মিম্বার ইত্যাদি স্পর্শ করা, তাতে চুমু খাওয়াও তাওয়াফ করা থেকে বিরত থাকবে।
- আল্লাহর কাছে যেভাবে কোন কিছু চাওয়া হয়, সেভাবে নবী (সা.) এর কাছে চাইবে না। কোন চাওয়ার থাকলে মহান আল্লাহর কাছে চাইবে। দোয়া করার সময় কিবলামুখী হয়ে দোয়া করবে।
- রওজা শরীফের দীর্ঘ সময় অবস্থান করবেন না। সেখানে ভিড় করে থাকা এবং ধাক্কাধাক্কি করা নবী (সা.) এর মর্যাদা পরিপন্থী। যতক্ষণ অবস্থান করবেন প্রশান্তির সঙ্গে অবস্থান করবেন।
- ফেরার সময় দরুদ পাঠ করতে থাকবেন।
- সম্ভব হলে রিয়াজুল জান্নাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন।(আল ইজাহ ফি মানসিকিল হাজ্জি ওয়াল ওমরাহ,পৃ.৪৪৬-৪৫০)
মদিনা শরীফ নবীজির রওজা মোবারক
আপনি কি মদিনা শরীফ নবীজির রওজা মোবারক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মদিনা শরীফ নবীজির রওজা মোবারক সম্পর্কে। পবিত্র নগরী মদিনা সব সময়ই আশেকে রাসুলের পদচারণায় মুখরিত থাকে। হজের সময় এ ভিড় বেড়ে যায় আরো ৩০ থেকে ৪০ গুন বেশি। সারা বিশ্ব থেকে হজ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ওমা আসে পবিত্র নগরী মক্কায়।
এক্ষেত্রে যারা প্রথমদিকে হজে যায় তাদের গন্তব্যস্থল হল মদিনা মুনাওয়ারা। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মদিনার মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। অর্থাৎ তারা সেখানে আট দিন অবস্থান করেন। জিয়ারতকারীদের মূল উদ্দেশ্য থাকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা শরীফ জিয়ারত করা।
রওজা শরীফের পাশে দাঁড়িয়ে নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ এবং নবীজিকে সালাম ও সালাত প্রদান করা। এছাড়া প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসা উৎসর্গ করা এবং শ্রদ্ধা জানানো জিয়ারতকারীদের মূল লক্ষ্য। রওজা শরীফের পাশে দাঁড়িয়ে সালাম প্রদান করলে প্রিয় নবী সরাসরি সালাম প্রদানকারীর সালামের উত্তর দেন।
প্রিয় নবীর খাঁটি মুমিন বান্দা ও আশেকে রাসুল তাদের অন্তর দিয়ে সালাম আদান প্রদান বিষয়টি উপলব্ধি করে থাকে। এক অন্যরকম অনুভূতি যা শুধু মাত্র আশিকে রাসুলের বান্দারা অনুভব করতে পারে। প্রিয় নবীর প্রিয় বান্দারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবীর ফায়েজ, ভালোবাসা ও বরকত গ্রহণ করে।
মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান
আপনি কি মক্কা-মদিনার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? মক্কা ও মদিনার অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেখানে হজ যাত্রীরা যান।বিভিন্ন দেশ থেকে যারা হজ পালন করতে যান তাদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
মক্কার দর্শনীয় স্থান: এর মধ্যে মক্কার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো হল আরাফাত, মিনা, মুজদালিফা, নবী করিম (সা.) এর জন্মস্থান বর্তমানে যেখানে মক্কা লাইব্রেরী, জিন মসজিদ, খাইফ মসজিদ, মুয়াল্লা কবরস্থান, নামি রামমসজিদ, জাবালে নূর, জাবালে সাওর, কিসওয়াহ
অর্থাৎ কাবার গিলাব তৈরির কারখানা, বিল্লাল মসজিদ, মক্কাই সালামি জাদুঘর, আবু কুবাইস পাহাড়, মসজিদে হারামের লাইব্রেরী এবং মসজিদে হারামের ভেতরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ প্রদর্শনী হল। এই দর্শনীয় স্থানগুলো ছাড়াও মক্কায় রয়েছে বেশ কিছু পাহাড় ও সুরঙ্গ সড়ক।ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম নগরী হিসেবে পরিচিত হলো মক্কা।
মক্কা শহরেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম এবং মক্কা নগরীতেই তিনি কুরআনের প্রথম ওহি লাভ করেন। হেরা গুহায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) কুরআনের ওহি লাভ করেন যা মক্কা নগরী শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। সারা বিশ্বের মুসল্লীরা প্রতিবছর হজ ও ওমরা পালন করতে সেখানে যায়। মক্কার প্রাণকেন্দ্রে কাবা অবস্থিত।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কাবাঘর হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ। সারা বিশ্বের মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সময় এই কাবার দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। এটি মুসল্লীদের প্রার্থনার সময় দিক নির্দেশ করে।
মদিনার দর্শনীয় স্থান: মদিনা হল মহানবী (সা.) এর শহর। মদিনা শহরের অন্যতম আকর্ষণ হল মসজিদে নববী এবং রওজায়ে আতহার। এছাড়াও মদিনাতে রয়েছে অসংখ্য খেজুর বাগান। ছাড়াও দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হলো মদিনার মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত কুরআন মিউজিয়াম। বাকিউল গারকাদ কবরস্থান অর্থাৎ এর মানে হল জান্নাতুল বাকী কবরস্থান।
মসজিদের আবু বক্কর, মসজিদে ওমর ফারুক, মসজিদে আলী, গামামা মসজিদ, কুবা মসজিদ, বিলাল মসজিদ, মসজিদে কিবলাতাইন, জুমা মসজিদ,উহুদ পাহাড়, ওসমান ইবন আফফান মসজিদ, ইমাম বুখারী মসজিদ, ওসমানীয় আমলের আলহেজাজ রেলস্টেশন জাদুঘর,
খন্দক এলাকা, সালমান ফারসির কথিত বাগান, এই বাগানটি মসজিদে নববীর দক্ষিণে অবস্থিত খেজুর বাগান, ইজাবা মসজিদ, কেন্দ্রীয় খেজুর মার্কেট ও আল শাজারাহ মসজিদ।
ইসলামিক দর্শনীয় স্থান
আপনি কি ইসলামের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? চলুন আজ আমি আপনাদের কিছু ইসলামিক দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানাবো। ইসলামের দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে সমস্ত সম্প্রদায়ের সর্বসম্মত ইসলামের পবিত্র শহর হল মক্কা ও মদিনা। মক্কা এবং মদিনাতে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেখানে গেলে মন শান্ত হওয়ার পাশাপাশি চোখ জুড়িয়ে যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা প্রতিবছর হজ পালন করতে মক্কায় যায়। সেখানে গিয়ে ইসলামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান তারা দেখতে যায়। মক্কা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে আরাফাত, মিনা, মুজদালিফা, নবী করিম (সা.) এর জন্মস্থান বর্তমানে যেখানে মক্কা লাইব্রেরী, জিন মসজিদ, খাইফ মসজিদ, মুয়াল্লা কবরস্থান, নামি রামমসজিদ, জাবালে নূর, জাবালে সাওর, কিসওয়াহ
অর্থাৎ কাবার গিলাব তৈরির কারখানা, বিল্লাল মসজিদ, মক্কাই সালামি জাদুঘর, আবু কুবাইস পাহাড়, মসজিদে হারামের লাইব্রেরী এবং মসজিদে হারামের ভেতরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ প্রদর্শনী হল। এই দর্শনীয় স্থানগুলো ছাড়াও মক্কায় রয়েছে বেশ কিছু পাহাড় ও সুরঙ্গ সড়ক।ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম নগরী হিসেবে পরিচিত হলো মক্কা।
এছাড়াও মদিনা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মদিনা শহরের অন্যতম আকর্ষণ হল মসজিদে নববী এবং রওজায়ে আতহার। এছাড়াও মদিনাতে রয়েছে অসংখ্য খেজুর বাগান। ছাড়াও দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হলো মদিনার মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত কুরআন মিউজিয়াম। বাকিউল গারকাদ কবরস্থান অর্থাৎ এর মানে হল জান্নাতুল বাকী কবরস্থান।
মসজিদের আবু বক্কর, মসজিদে ওমর ফারুক, মসজিদে আলী, গামামা মসজিদ, কুবা মসজিদ, বিলাল মসজিদ, মসজিদে কিবলাতাইন, জুমা মসজিদ,উহুদ পাহাড়, ওসমান ইবন আফফান মসজিদ, ইমাম বুখারী মসজিদ, ওসমানীয় আমলের আলহেজাজ রেলস্টেশন জাদুঘর, খন্দক এলাকা, সালমান ফারসির কথিত বাগান,
এই বাগানটি মসজিদে নববীর দক্ষিণে অবস্থিত খেজুর বাগান, ইজাবা মসজিদ, কেন্দ্রীয় খেজুর মার্কেট ও আল শাজারাহ মসজিদ।
তায়েফের দর্শনীয় স্থান
আপনি কি তায়েফের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তায়েফ হল সৌদি আরবের মক্কা প্রদেশের একটি প্রসিদ্ধ শহর। তায়েফ শহরের আয়তন ৩২১ বর্গ কিলোমিটার বা ১২৪ বর্গমাইল। এই শহরে জনসংখ্যার দিক থেকে রাজ্যের ষষ্ঠতম জনবহুল শহর। তায়েফকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী নাম দেওয়া হয়েছে।
কারণ সৌদি আরবের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশে তায়েফের মতো জায়গায় তুলনামূলক তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। যার কারণে সেখানে চাষাবাদ হয় প্রচুর পরিমাণে শস্য এবং গোলাপ। তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকার কারণে অন্যান্য দেশের পর্যটকদের কাছে শহরটি বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও প্রচুর গোলাপের চাষ হয় বলে শহরটিকে গোলাপের রাজধানী ও বলা হয়।
এছাড়াও এই শহরে রয়েছে সৌদি আরবের বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই তায়েফের দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম সম্পর্কে-
- তায়েফস রোজ ফিল্ড
- আল হাদা পর্বত
- আল সাফা পর্বত
- আল ওয়াহবা ক্রেটার
- সাইসাদ ন্যাশনাল পার্ক
- আল ফয়সালিয়া গার্ডেন
- শুভ্রা প্যালেস
- গ্রীন মাউন্টেন পার্ক
- তায়েফ সৌক মার্কেট
- তায়েফ সেন্ট্রাল মার্কেট
মক্কার দর্শনীয় স্থান সমূহ
সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরী। যেখানে নির্মিত হয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কাবাঘর। বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়েছে এই কাবা ঘর থেকে। যে কাবা ঘরে প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক । যে শহরে অবস্থিত নবী ইসমাইলের জমজম কূপ। এছাড়াও মা হাজেরার স্মৃতি বিবাহ সাফা মারওয়া। নবী ইব্রাহিমের মাকাম।
নবী ইব্রাহিম ও মা হওয়ার আরাফা। আরো অবস্থিত যেখানে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গারে হেরা, গারে সাওর। ঐতিহাসিক মিনা মুজদালিফা ছাড়াও আরো অনেক স্মৃতি। মক্কার নগরীতে প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে প্রচুর মানুষ হজ পালন করতে এবং আল্লাহর রহমতে ছায়ায় যায়। হজ পালনের পাশাপাশি বরকত গ্রহণ করে সেখানকার ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন থেকে।
আজ আমরা জানবো মক্কার দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই মক্কায় কি কি দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেই সম্পর্কে-
- কাবা শরীফ
- সাফা মারওয়া পাহাড়
- মাকামে ইব্রাহিম
- আরাফাত ময়দান
- হাতিমে কাবা
- হাযরে আসওয়াদ
- মুজদালিফা
- জমজম কূপ
- মসজিদে নামিরা
- মিনা প্রান্তর
- জাবালে শাওর
- জাবালে রহমত
- মসজিদে খাইয়েফ
- জাবালে নূর
- মসজিদের জিন
- জান্নাতুল মোয়াল্লা
- মক্কা জাদুঘর
লেখকের মন্তব্য- মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান
প্রিয় পাঠক আশা করছি মদিনায় দোয়া কবুলের স্থান,মদিনা শরীফ জিয়ারতের নিয়ম,মদিনা শরীফ নবীজির রওজা মোবারক,মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান,ইসলামিক দর্শনীয় স্থান,তায়েফের দর্শনীয় স্থান,মক্কার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url