পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি - কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচা পেঁপের উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুনসারা বিশ্বে পেঁয়াজের অনেক কদর রয়েছে। তবে বিশেষ করে বাঙালিরা যেন পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কথাই ভাবতে পারেনা। নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।তাই চলুন জেনে নেই পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি - কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি - কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
পেঁয়াজে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আমাদের চুল, ত্বক ও রক্তে সঠিক চলাচলেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পেঁয়াজে থাকা এসেনসিয়াল ওয়েল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী উপাদান।

পোস্ট সূচিপত্রঃবিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনারা উপকৃত হবেন। 

কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা - ভূমিকা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য সঙ্গীর মধ্যে একটি উপাদান হল পেঁয়াজ । আমাদের প্রতিদিনই রান্নার কাজে পেঁয়াজ ব্যবহৃত হয়। রান্না ছাড়া অনেক ধরনের মুখরোচক খাবারের কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁয়াজ শুধু স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই ব্যবহার করা হয় না, কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। 

আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি,পেঁয়াজ চাষের সময়,পেঁয়াজ চাষে সার প্রয়োগ,কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও কাঁচা পেঁয়াজের অপকারিতা সম্পর্কে।

পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি

অর্থকরী ফসলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল হল পেঁয়াজ। মসলা হিসেবে বহুল পরিচিতি থাকলেও সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় পেঁয়াজ। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পেঁয়াজ চাষ হয়। পেঁয়াজ আগে শুধু শীতকালে চাষ করা হতো কিন্তু বর্তমান সময়ে বর্ষাকালেও পেঁয়াজ চাষ করা হয়। 


আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে ২৮৫.৬৬ হাজার একর জমিতে পেঁয়া চাষ করা হয় এবং প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ ৬৯ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

পেঁয়াজের ব্যবহার : পেঁয়াজ তরকারি রান্নাতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযুক্ত জমি তৈরি : পেঁয়া চাষের জন্য উঁচু জমি দরকার যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না। এছাড়াও জমিতে সেচ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি : পেঁয়াজ চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম মাটি হলো উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি।

পেঁয়াজের জাত : বিভিন্ন মৌসুমে পেঁয়া চাষ করার জন্য বিভিন্ন জাত রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজের কি কি জাত রয়েছে। বারি পেঁয়াজ-১,বারি পেঁয়াজ-২,বারি পেঁয়াজ-৩,বারি পেঁয়াজ-৪ ও বারি পেঁয়াজ-৫ এছাড়াও বেশ কিছু স্থানীয় জাত রয়েছে যেমন তাহেরপুরী, ফরিদপুরের ভাতি, কৈলাস নগর, ঝিটকা উল্লেখযোগ্য।

পেঁয়াজ রোপনে ভালো বীজ চেনার উপায় :
  • ভালো বীজ শক্ত প্রকৃতির হয়। আপনি যদি হাতে নিয়ে চাপ দেন তাহলে চাপ বসবে না। আর যদি খারাপ বীজ হয় তাহলে চাপ দিলে চাপ বসবে।
  • এছাড়া ভালো বীজ মুখে নিয়ে যদি দাঁত দিয়ে চাপ দেন তাহলে ভেঙে যাবে এবং খারাপ বীজ হলে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও ভালো বীজ চেনার আরেকটি উপায় হল আপনি যদি ভালো বীজ পানিতে দেন তাহলে ভালো বীজ পানিতে ডুবে যাবে এবং খারাপ বীজ হলে ভেসে উঠবে।

পেঁয়াজ চাষের সময়

পেঁয়াজ ২ মৌসুমে চাষ করা যায়। পেঁয়াজ চাষের উপযুক্ত সময় হলো রবি ও খরিপ মৌসুম। সাধারণত জুলাই-আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) এই সময়কে খরিপ সময় বলা হয়। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি-মার্চ ( মাঘ-ফাল্গুন ) এই সময় কালকে রবি মৌসুম বলা হয়। এই সময়কালে বিষ তলায় বীজ বপন করতে হয়। 

পেঁয়াজের বীজ তলা তৈরি করতে প্রথমে জমির আগাছা ভালোভাবে পরিষ্কার করে খুব ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে ৩.১ মিটার আকারে বীজ তলা তৈরি করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে দিতে হয়। জমিতে বীজ বপনের আগের দিন রাতে পেঁয়াজের বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরের দিন পানি থেকে তুলে এক ঘন্টা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে তারপরে বীজতলায় বপন করতে হবে। 

বীজ বপন করে ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজগুলোকে ঢেকে দিতে হবে। এছাড়াও বীজ বপণের পরের দিন অবশ্যই বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন দিনের বেলায় বিষ তলা ঢেকে রাখতে এবং রাতে বীজতলা খোলা রাখতে। এরপরও যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে হালকা সেচের মাধ্যমে পানি দিতে হবে।

পেঁয়াজের চারা রোপন পদ্ধতি : অবশ্যই ৪-৫ চাষ এবং মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরে করে নিবেন। এরপর১৫.১০ সেন্টিমিটার দূরত্বে চারা রোপণ করবেন।

পেঁয়াজ চাষে সার প্রয়োগ

পেঁয়াজ চাষের জমিতে হেক্টর প্রতি গোবর সার লাগবে ৮-১০ টন, টিএসপি লাগবে ১৯০ - ২২০ কেজি, ইউরিয়া লাগবে ২৫০ - ২৭০ কেজি এবং এমওপি লাগবে ১৫০ - ১৭০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। 

জমি প্রস্তুত করার সময় ইউরিয়া সার দিতে হবে ১৬০-১৭০ কেজি এছাড়াও বাকি সমুদয় সারগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। চারা রোপণ করার ২০ দিন পর বাকি ইউরিয়া সার গুলো উপরি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

সেচ ব্যবস্থা : আপনি যদি লক্ষ্য করেন জমিতে রসের অভাব রয়েছে তাহলে সেচ দিতে হবে। এছাড়াও বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি যাতে আটকাতে না পারে সেজন্য নিষ্কাশন নালা রাখতে হবে।


আগাছা দমন : অবশ্যই পেঁয়াজের জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে সেচের পর জমি ভালোভাবে নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। এছাড়াও পেঁয়াজের করন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কুঁড়ি দেখামাত্রই তা ভেঙ্গে দিতে হবে।

পেঁয়াজের রোগ ও পোকার নাম : পেঁয়াজে এক ধরনের পোকা আক্রমণ করে যা পেঁয়াজের পাতা রস চুষে খায় বিধায় গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পোকার নাম হল থ্রিপস। এই পোকা খুবই ছোট আকৃতির হয়ে থাকে। এই ধরনের পোকা দমনের জন্য সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো স্প্রে করতে পারেন। 

আর এক ধরনের পোকা হলো জাব পোকা। এই জাব পোকা দলবদ্ধ ভাবে পেঁয়াজ পাতার রস চুষে খায় এবং পেয়াজ পাতাকে দুর্বল ও হলুদা বর্ণের করে তোলে। যার ফলে পেঁয়াজের ভালো ফলন আসে না। আপনার পেঁয়াজ ক্ষেত যদি এ ধরনের পোকার আক্রমণ হয় তাহলে সাইপারমেক্সিন গ্রুপের সাইপেরিন, সাইবার এ ধরনের ঔষধ ১ লিটার পানিতে গুলিয়ে স্প্রে করে দিতে পারেন। 

এছাড়াও আরো বেশ কিছু পেঁয়াজের রোগ রয়েছে যেগুলো দেখতে পেলে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা দরকার।

ফলন সংগ্রহের সময় : পেঁয়াজ গাছের ঘা ড় যদি শুকিয়ে ভেঙে যায় বা নরম মনে হয় এরকম সময় পেঁয়াজ উত্তোলন করতে হয়। বীজ বপন থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ১১০ থেকে ১২০ দিনের মতো।

কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা

রান্নার প্রধান উপকরণ হিসেবে আমরা পেঁয়াজকে জানি। পেঁয়াজ ছাড়া যেন রান্না জমেই না। রান্না ছাড়াও আমরা বিভিন্নভাবে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। বিশেষ করে ভুনা খিচুড়ি, পান্তা ভাত, সালাদ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের সাথে আমরা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। 

কিন্তু আমরা শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্যই পেঁয়াজ খাই। পেঁয়াজের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানি না। কাঁচা পেঁয়াজ আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে থাকে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে

কাঁচা পেঁয়াজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। আপনারা যারা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার।

কোলেস্টরেল কমাতে

পেঁয়াজ ভাজালো গন্ধযুক্ত একটি উপাদান। পেঁয়াজের জৈবালপার থাকার জন্য এই ঝাঁজালো গন্ধটা হয়। পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে পেঁয়াজে থাকা জৈবালপার আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টরেল কে কমাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

ইনসুলিন বৃদ্ধি করে

কাঁচা পেঁয়াজে অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। যেমন কাঁচা পেঁয়াজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার এছাড়াও কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে কুয়ারসেটিন ও জৈব সালফার। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে শরীরে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে ডায়াবেটিকস রোগীরাও নির্দ্বিধায় কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন।

শরীরকে দূষণমুক্ত রাখে

কাঁচা পেঁয়া যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা আমাদের শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এর কারণে আমাদের শরীরকে তরতাজা অনুভব হয়।

চুলের যত্নে

পেঁয়াজ চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। চুল পড়া কমাতে ও চুল বৃদ্ধি করতে পেঁয়াজের ঝুড়ি নেই। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার যা চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে দেখা যায় যাদের চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায় চুল ভাঙ্গা রোধ করতে প্রাকৃতিক ভাবে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী একটি উপাদান।

সংক্রমণ সারায়

পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক জাতীয় পদার্থ। শরীরে যদি কোন ধরনের সংক্রমণ থেকে থাকে তাহলে আপনি কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে খুব ভালো উপকার পাবেন। 


এছাড়াও সর্দি কাশি সমস্যা এবং ঠান্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা এলার্জি এবং সামান্য গা ব্যাথায় পেঁয়াজ দারুন কাজ করে। আপনি যদি পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে এটি সর্দি কাশি সারাতে খুবই উপকারী।

দাঁতের সংক্রমণ রোধে

দাঁতের সংক্রমণ রোধ করতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী একটি উপাদান। আপনি যদি কাঁচা পেঁয়াজটিবিয়ে খান তাহলে দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো মরে যায়। যার ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই উপরে উল্লেখিত উপকারিতা গুলো পেতে হলে পরিমিত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন।

কাঁচা পেঁয়াজের অপকারিতা

কাঁচা পেঁয়াজের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কাঁচা পেঁয়াজ যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সব জিনিসই পরিমাণ বুঝে খাওয়া ভালো। পরিমাণের থেকে বেশি হয়ে গেলে তা আমাদের শরীরে অপকারিতা বয়ে আনে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা পেয়াজের অপকারিতা সমূহ।

এসিডিটি সমস্যা

পেঁয়াজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ। এছাড়া বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ ভালোভাবে হজম করতে পারে না। যার ফলে দেখা দিতে পারে এসিডিটির মত সমস্যা। যারা কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে এসিডিটি অনুভব করেন তারা কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অথবা সীমিত পরিমানে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

হজমে সমস্যা

কোন কারণে যদি আপনাদের হজমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ খেলে আপনার পেটে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মুখে দুর্গন্ধ

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে মুখে এক ধরনের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। যা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর অবশ্যই ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

বুক জ্বালাপোড়া

অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। যা এক সময় আমলের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

চোখের সমস্যা

পেঁয়াজ কাটার সময় যে ঝাঁঝালো রস বাতাসে ভেসে আমাদের চোখের পানি ঝরায় তাতে রয়েছে সালফিউরিক অ্যাসিড। অতিরিক্ত পরিমাণে এই সালফিউরিক এসিডের কারণে আমাদের চোখের জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি সহ মানুষের চোখ অন্ধ করে দিতে পারে।

এলার্জি সমস্যা

আপনাদের যাদের এ পেঁয়াজে অ্যালার্জি রয়েছে তারা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এলার্জির অন্যতম একটি উৎস হল পেঁয়াজ। আপনি যদি পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে এলার্জি অনুভব করেন তাহলে পেঁয়াজ খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।

আপনারা যারা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন তাদের যদি উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে পেঁয়াজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন। পেঁয়াজ চাষের সঠিক পদ্ধতি ও পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পেরেছেন। 

আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মন্তব্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো লাগলে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন এবং কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url