পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
নিম পাতা ও হলুদের উপকারিতা জানতে ক্লিক করুনআমরা প্রায় সকলেই পেয়ারার পুষ্টি গুনের কথা জানি। তবে পেয়ারা পাতার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। অবহেলিত এই পাতাটি একাধিক রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য।
এই পাতাটির পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে জানলে সত্যিই আপনি অবাক হয়ে যাবেন।আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা পেয়ারা পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা - ভূমিকা
পেয়ার পাতায় রয়েছে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও লাইকোপেন পাওয়া যায়। যার কারনে সুগার কোলেস্ট্ররেল সহ একাধিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই পাতা খুবই উপকারী। আমরা আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেয়ারা পাতা সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতে পারবো তা হল।
পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম ,পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য,পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,পেয়ারা পাতার গুনাগুন ও পেয়ারা পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেই।
পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের সকলের পরিচিত এই পেয়ারা পাতা বিশেষ পদ্ধতিতে যদি আপনি গ্রহণ করেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে পেয়ারা পাতা গ্রহণ করবেন। পেয়ারা পাতা বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। পেয়ারা পাতা খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন।
পেয়ারা পাতার চা তৈরি করার জন্য বিশুদ্ধ পানিতে কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর থেকে চায়ের মত পান করুন। এছাড়াও আপনি কচি পেয়ারা পাতা কুচি কুচি করে কেটে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারে অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতেও আপনি উপকার পাবেন।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
চুলের জন্য পেয়ারা পাতার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। পেয়ারা পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন চুল লম্বা করতে ও ব্রতত চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পেয়ারা পাতা চুলকে উজ্জ্বল ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও পেয়ারা পাতা ব্যবহার করার ফলে পেয়ারা পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে।
পেয়ারা পাতা ব্যবহারের নিয়ম:
কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা নিন একটি পরিষ্কার পাত্রে ৩ থেকে ৪ কাপ পানি নিয়ে তাতে কচি পেয়ারার পাতাগুলো দিয়ে ২০ মিনিটের মতো ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ভালোভাবে ছেকে ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিন। এরপর আপনার চুলে এটি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। এরপর একটি স্প্রে বোতলে উঠিয়ে চুলের গোড়াতে ভালোভাবে স্প্রে করে ১ ঘন্টার মত রেখে দিন।
১ ঘন্টা পর আপনার মাথা ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। যদি আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে এই পদ্ধতিটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রয়োগ করুন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন প্রয়োগ করুন।
প্রাকৃতিক এই সিরামটি যদি মাসখানেক আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। এই পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশেই চায়ের মধ্যে পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে খেয়ে থাকে। এতে প্রচুর উপকারিতা পাওয়া যায়। আজ আমরা জানবো পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন প্রথমে আমরা পেয়ারা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
ওজন কমাতে সাহায্য করে
শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিক্স, হাই ব্লাড প্রেসার, হৃদরোগ সহ অন্যান্য রোগ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেয়ারা পাতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। তবে শুধু পেয়ারা পাতা খেয়ে ওজন কমানো যাবে না। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট কন্ট্রোল ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
হজম ক্ষমতা উন্নত করে
মানুষের পাচনতন্ত্র যদি ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে ডানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন পেট ব্যথা, গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের সকলের পরিচিত পেয়ারা পাতা হজম ক্ষমতা উন্নত করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর করে হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি এক কাপ চা খেতে পারেন এতে গজবের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিকসের আক্রান্ত। মানবদেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমলে রক্তে শর্করার পরিবাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিকস আক্রান্ত মানুষের খাবার তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন যা ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে।
আসলে পেয়ারা পাতায় রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে সেবন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকারিতা পাবেন।
দাঁতের ব্যথা কমায়
দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে পেয়ারা পাতা হতে পারে অন্যতম একটি মহা ঔষধ। কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লোভেটরি উপাদান তাই ব্যথা কমাতে এই পাতা বিশেষভাবে কার্যকরী। আপনি যদি দাঁতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে কয়েকটি কচি পাতা আপনার দাঁতে রাখুন।
আস্তে আস্তে দাঁত দিয়ে চিবতে থাকুন। এই উপাদান টি প্রাথমিকভাবে আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
পেয়ারা পাতায় রয়েছে লাইকোপেন, কোয়ার্কেটিন, ভিটামিন এবং আরো কিছু পলিফেনল রয়েছে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগ সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। অবশ্যই এই বিষয়ে সকলের সচেতন থাকা উচিত। কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করতে পেয়ারা পাতা আপনাকে দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে।
পেয়ারা পাতা তে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এই ফাইবার রক্তের খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। সকলের পরিচিত পেয়ারা পাতা কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
অনেক সময় দেখা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চোখের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পেয়ারা পাতায় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও চোখের ছানি ও বয়সজনিত চোখের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বর্তমান সময়ে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য নামক এই সমস্যায় ভুগছেন। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করার পরেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেতে শুরু করেন তাহলে এই রোগ থেকে অবশ্যই পরিত্রাণ পাবেন।
প্রাকৃতিক এই উপাদানে রয়েছে লেকজেটিক উপাদান তাই পেট পরিষ্কার করতে পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও খুব কম পরিমাণে তেল ঝাল ও মসলা যুক্ত খাবার খেতে হবে।
চুল ভালো রাখে
আমাদের চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে ও মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। আপনি যদি নিয়মিত চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবে। কারণ পেয়ারা পাতা ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া কবে এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় থাকে। পেয়ারা পাতা কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে।
আর কোলাজেন নামক উপাদানটি ফিরিয়ে দিতে পারে আপনার ঘন চুল। এর জন্য কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা পানিতে ২০ মিনিটের মতো ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ভালোভাবে থেকে ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিন। এরপর আপনার চুলে এটি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। প্রাকৃতিক এই সিরামটি যদি মাসখানেক আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন।
কালো দাগছব দূর করতে
মুখের কালো দাগছোপ ও একনে সত্যিই খুব অস্বস্তিকর। যা আপনার ত্বকে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা কিন্তু একনে সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও মুখের কালো দাগ ছোপ সারাতে সাহায্য করে। কারণ পেয়ারা পাতায় রয়েছে এমন কিছু এন্টিসেপটিক উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
তাই একনে দূর করার জন্য কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা ভালো করে থেঁতো করে নিন। তারপরে তা একনের উপর কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।
উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও পেয়ারার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন সর্দি কাশি কপাতে সাহায্য করে, এলার্জি প্রতিরোধ করতে পারে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
পেয়ারা পাতার অপকারিতা
পেয়ারা পাতার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে পেয়ারা পাতার অপকারিতা উপকারিতা থেকে অনেক কম। কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুন। ঔষধি গুন থাকা সত্ত্বেও পেয়ারা পাতার কিছু অপকারিতা রয়েছে।
যদি আপনি পরিমাণের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে পেয়ারা পাতার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার অপকারিতা সম্পর্কে।
- পেয়ারা পাতা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা পাতার রস বা পেয়ারা পাতা খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের রক্তচাপ প্রয়োজন হয়েছে বেশি কমে যেতে পারে। যার কারনে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
- বিশেষ করে গর্ববতী মহিলাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা না খাওয়াই ভালো। যদিও এই বিষয়ে এখনো তেমন কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা খাওয়ার পূর্বে গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেয়ারা ফলে এবং পাতাতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা বলে শেষ করার মত নয়। তাই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিমাণ পেয়ারা পাতা রাখতে পারেন। পেয়ারা পাতাতে কোন ধরনের ক্ষতিকারক কোন উপাদান না থাকায় এটি আপনি নির্দ্বিধায় প্রতিদিন খেতে পারেন। পেয়ারা পাতা সেবন করার ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আপনি রেহাই পাবেন।
পেয়ারা পাতার গুনাগুন
পেয়ারা পাতার অনেক গুনাগুন বা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারা পাতা তে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আমরা নিচে আলোচনা করেছি। চলো তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
- কার্বোহাইড্রেট - ৭ মিলিগ্রাম
- প্রোটিন - ১৬>.৮ মিলিগ্রাম
- স্টার্চ - ৬>.৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি - ১০৩>.০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি - ১৪>.৮০ মিলিগ্রাম
- অ্যামাইনো এসিড - ৮ মিলিগ্রাম
- আয়রন - ১৩>.৫০ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম - ১৬৬০>.০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম - ৪৪০ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস - ৪১৭ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম -৩৬০ মিলিগ্রাম
পেয়ারা পাতার বৈশিষ্ট্য
এতক্ষণে হয়তো আপনারা সবাই জানতে পেরেছেন পেয়ারা পাতা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসায় পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা যায়। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই পেয়ারা পাতা কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- দাঁতের সমস্যায় পেয়ারা পাতা খুব ভালো কাজ করে থাকে।
- পেয়ারা পাতার পেস্ট ব্রণের উপর লাগালে ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
- নিয়মিত পেয়ারা পাতার চা খেলে পেটে সমস্যা দূর হয় ও কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে।
- পেয়ারা পাতার টনিক বানিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
- এছাড়াও পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে মাথার চুল পড়া কমেও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url