মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪-স্বাধীনতা দিবস রচনা
মক্কা মদিনার দর্শনীয় স্থান জানুনআপনারা যারা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কোন আয়োজনে বক্তব্য পেশ করতে চান তাদের জন্য মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪-স্বাধীনতা দিবস রচনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন।
বাঙালি জাতির ত্যাগ, তিতিক্ষা ও গৌরবের নাম হলো স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪-ভূমিকা
স্বাধীনতা দিবস বাঙালি জাতির গর্বের নাম। সারা বিশ্বের কাছে বাঙালি জাতি বুক ফুলিয়ে বলতে পারে আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো তা হলো
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪,স্বাধীনতা দিবস রচনা,বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্বাধীনতা দিবস রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এই রচনাটি শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস রচনা হিসেবে নয় এটিকে তোমরা মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা হিসেবে ও ব্যবহার করতে পারবে। তোমাদের সুবিধার জন্য আমি খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় রচনাটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি তোমরা রচনাটি পড়ে খুব সহজেই স্বাধীনতার চেতনা এবং স্বাধীনতা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। চলো তাহলে আর দেরি না করে এবার রচনাটি শুরু করা যাক।
ভূমিকা
স্বাধীনতা এমন একটি জিনিস যা ছাড়া কোন জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। স্বাধীনতা হলো প্রত্যেক জাতির কাছে অমূল্য সম্পদ। সারা পৃথিবীতে স্বাধীনতার জন্য সকল জাতিকেই সংগ্রাম করতে হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লাখ লাখ মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে এবং জীবন দিতে হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে।
তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হল ২৬ শে মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ। ২৬ শে মার্চ দিনটিতে সমস্ত পরাধীনতা ও গ্লানি ধুয়ে মুছে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। যার কারনে বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে পরিচিতি লাভ করেছে।
প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় জাতীয় মর্যাদার সাথে। এই দিনটি প্রত্যেক বাঙালির কাছে আনন্দ এবং গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার পটভূমি
পাকিস্তান সৃষ্টি হয় ১৯৪৭ সালে তখন থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে পূর্ব বাংলার মানুষ তথা বাঙ্গালীদের উপর। পাকিস্তান আমলে বাঙ্গালীদের কোন কিছুতেই স্বাধীনতা ছিল না। সর্বপ্রথম তারা বাঙ্গালীদের মাতৃভাষা ও সাংস্কৃতিকে দুর্বল করে দেয়। সমস্ত পাকিস্তানের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার মর্যাদা দিয়েছিল।
যা বাঙালিরা কোনমতেই মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে গড়ে উঠেছিল ভাষা আন্দোলন। যা ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার তরুণদের জীবন দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৫৪ সালের বাঙ্গালীদের রাজনৈতিক ঐক্য যুক্ত ফ্রান্ট বিজয় অর্জন করে। এরপর পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙে দিল প্রাদেশিক যুক্ত ফ্রান্ট সরকার।
যার কারনে খুব কম সময়ের মধ্যেই গড়ে উঠলো ছয় দফা ও ১১ দফা আন্দোলন। এই আন্দোলনে ধীরে ধীরে প্রবল গণও আন্দোলনে রূপ লাভ করল। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। যার কারণে গণ-আন্দোলন পরবর্তীতে গণবিস্ফোরণে পরিণত হলো। এই আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগ করলেন।
এরপর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসে নির্বাচনের ডাক দিলেন। এরপর ১৯৭০ সালেরর সাধারণ নির্বাচনে বাঙ্গালীদের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। কিন্তু বিজয়ের জন্য করার পরেও বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানিরা শুরু করল নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও তালবাহানা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে শহরবাদী উদ্যান নামে পরিচিত)। যেখানে মূল কথা ছিল “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
এরপরই ঘটে জঘন্যতম ষড়যন্ত্র তা হল ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর। ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানিরা জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়। পর ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি দেওয়া হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি পড়ে সেনাবাহিনীর প্রধান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধ
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর , ১০ এপ্রিল সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। এরপর ১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগর এ বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ করার পর স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই যুদ্ধে সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয় কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী কে।
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের প্রতিহত করার জন্য প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে গড়ে ওঠে প্রতিরোধ ব্যূহ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের ওপর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড চালায়। অসংখ্য ঘরবাড়ি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও বাঙ্গালীদের নির্দ্বিধায় গুলি করে হত্যা করে এছাড়াও লুটপাট ও ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অত্যাচার শুরু করে। এ অবস্থায় সামরিক বাহিনীতে নিযুক্ত বাঙালিরা পাকিস্তানের সাথে বিদ্রোহ করে যোগ দেয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। যুদ্ধ চলাকালীন পর্যায়ে দেশের প্রায় এক কোটি লোক প্রাণ বাঁচানোর জন্য পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়।
সেখানে গিয়ে তারা অনেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এই সময় শিক্ষক, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী প্রত্যেককেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের হাত থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য। যার ফলে ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ লাভ করে। পরবর্তীতে বিপর্যস্ত হতে থাকে হানাদার বাহিনীরা।
সারাদেশ থেকে মুক্তি বাহিনীদের হাতে তারা প্রবল ভাবে আক্রমণে মার খেতে থাকে। 1971 সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। যার ফলে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ। যে কারণে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। তারপর থেকেই এই ২৬ শে মার্চ কে একটি স্মরণীয় দিবস হিসেবে জাতীয় মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে আসছে।
এই দিনটিকে স্মরণে রাখার জন্য দেশের সকল বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদযাপন করার জন্য সকল বিদ্যালয় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সমস্ত ভবনে এবং প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। ঢাকার স্টেডিয়াম সহ সারা দেশের সকল স্টেডিয়ামে উদযাপন করা হয় স্বাধীনতার অনুষ্ঠান।
সেনাবাহিনীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ভোরের সূর্য ফোটার সাথে সাথে গণজমায়েত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে । এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে এই দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা শোভা পায়। এভাবেই সমস্ত দেশে ঘটা করে এবং বিশেষ মর্যাদা সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
উপসংহার
কথায় আছে পরাধীন জাতি পশুর চেয়েও অধম। তাই তো লক্ষ কোটি প্রাণের বিনিময়ে মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা যে কতটা আনন্দের এবং গৌরবের তা শুধুমাত্র স্বাধীন জাতি জানে। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ জাতীয় জীবনে নতুনদের প্রাণের সঞ্চার করে। এই দিনটিতে দেশের প্রতি মানুষের মনে নতুন করে ভালবাসার জন্ম নেয়। প্রত্যেক মানুষ নতুন চেতনায় উজ্জীবিত হয়।
তবে একটি কথা হলো স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাইতো স্বাধীনতা দিবসে সকলে মিলে স্বাধীনতা রক্ষা করার শপথ গ্রহণ করা উচিত। চলুন আমরা সকলে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার শপথ গ্রহণ করি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য নিচে আলোচনা করা হলো।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগ্নিঝরা বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে মানুষ নিজেদেরকে স্বাধীনতার রঙে রাঙিয়ে দিতে চেয়েছিল। চেয়েছিল প্রিয় বাংলাদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করতে।
চেয়েছিল স্বাধীন বাতাসে স্বাধীন আকাশে নিজেদেরকে মেলে ধরতে। ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস হিসেবে পরিচিত। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লেকটারনেল জেনারেল জিয়াউর রহমানের সেনাপতিত্বে মুক্তিবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর লড়াই ও অসংখ্য স্বাধীনতা কামি বীর শহীদের সংগ্রাম এবং মুক্তিকামি লাখো কোটি জনগণের সংগ্রাম।
এবং জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মুক্তির ইতিহাস স্বাধীনতার ইতিহাস। পলাশীর প্রান্তরে বাংলা স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিতার হওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে ব্রিটিশদের পরাস্ত করে উপমহাদেশের জনগণ পেয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তান রাষ্ট্রের দুটি অংশ ছিল।
অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান যা বর্তমানে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান পাকিস্তান। কিন্তু স্বাধীনতার পর নতুন করে শুরু হয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কর্তৃক বাঙালিদের নতুন করে শোষণ। এবং পরাধীনতার শৃংখলে বাঙ্গালীদের বেঁধে রাখার ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানি সেনাবাহিদের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙ্গালীদের বীর জাতি।
বাঙালি জাতিকে মুক্তির মন্ত্রণালয় উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে ১৯৪৮ বাংলাদেশের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচনের জয় লাভ , ১৯৫৬ সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন,
১৯৫৮ মার্শাল ল বিরোধের আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা কমিশন বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ ছয় দফার আন্দোলন, ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ এর রক্ত ঝরা গন অভ্যুত্থান ছয় দফা ভিত্তিক, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন
এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ। এবং বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। ৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে।
২৫ শে মার্চ গভীর রাতে গ্রেফতারের আগে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করে। ঘোষণাটি ছিল এমন এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।
আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয়ের জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
২৬ শে মার্চ বেলাল মোঃ আবুল কাশেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান প্রথম শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র টি মাইকিং করেন। ২৭ শে মার্চ লেফটারনাল জেনারেল সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান
শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সর্ববাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে দীর্ঘ নয় মাসে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য শহীদের আত্মত্যাগ ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে
এবং কোটি কোটি আমজনতার ত্যাগ তিতিক্ষার ফলে অর্জিত হয় বাংলাদেশের প্রিয় স্বাধীনতা ।বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুথান ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। একটি পতাকা ও একটি মানচিত্র। জাতীয় সংগীত এবং সংবিধান। বিশ্বের বুকে একটি পরিচয় সকল স্তরের জনগণ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪
আপনি কি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দিতে চাচ্ছেন? আজ আমি আপনাদের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি বক্তব্য উপস্থাপন করব। কারণ একটি ভাল মানের বক্তব্যই পারে আপনার সৃজনশীল দক্ষতাকে উপস্থাপন করতে।
তাই আপনি যদি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কোন অনুষ্ঠানে সবার সামনে বক্তব্য রাখতে চান তাহলে নিচের বক্তব্যটি হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ একটি বক্তব্য। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বক্তব্যটি জেনে নেওয়া যাক।
সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি ও উপস্থিত সুধী মন্ডলী সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু য়ালাইকুম,
আজ ২৬ শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস, উপলক্ষে আজকের আয়োজিত এই আলোচনা সভার শুরুতে আপনাদের প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতা এমন একটি জিনিস যা হলো পরাধীনতার না মেনে, মাথা নত না করে কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার নামই হল স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৭১ হল একটি বিদ্রোহ, সংগ্রাম ও বিপ্লবের নাম।
স্বাধীনতা দিবস হল নিজের দেশের সম্মান রক্ষা করা এবং মায়ের ভাষায় কথা বলা, রাজপথ কাঁপানো মিছিল, স্লোগান আন্দোলনে মুখরিত একটি মুহূর্ত। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ এ দেশের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় ও কাল রাত নামে পরিচিত।
আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসকে কেন্দ্র করে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা ঘটে এবং শোষণ ও পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় এ দেশ ও জাতি। ২৬ শে মার্চের এই দিনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত রাজপথে সিক্ত করে মায়ের সম্মান দেশের মানুষের অধিকার কে আদায় করেছে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর কবল থেকে।
সম্মানিত সুধিবৃন্দ, বাংলাদেশ নামক দেশটি বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো ভাষার জন্য সংগ্রাম, আত্মত্যাগ পৃথিবীর অন্য কোন দেশে যা সংঘটিত হয়নি। পৃথিবীর সমস্ত জাতি জন্মগতভাবে তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
ভাষায় স্বাধীনতা মানুষের জন্মগতই থাকে ভৌগোলিক স্বাধীনতা না থাকলেও। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিরা কতটা আত্মত্যাগ করতে পারে তা এই ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ইতিহাস ঘাটলে জানতে পারবেন।
জন্মগত অধিকার হিসেবে মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলার ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী মজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরে লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অসংখ্য তাজা প্রাণ।
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয় এবং সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি নতুন রাষ্ট্রের অদ্ভুদয় ঘটে। অপূর্ব এবং পশ্চিম উভয় পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। পশ্চিম পাকিস্তান প্রথম থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ওপর নিপীড়ন চালাত।
হাজার ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসভা পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়। এছাড়াও ২৪ মার্চ কার্জন হলের অনুষ্ঠানেও তিনি এ ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এরপর ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঊর্ধ্বকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীরা। এরপর গঠিত হয় তমুদ্দিন মজলিস ও ভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
এরপর সমস্ত বাঙালিরা মিছিল মিটিং এর মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনেক রক্ত ও অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা বাংলাকে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এখানেই শেষ হয়নি একুশে ফেব্রুয়ারি কে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা।
এরপর ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন, ১৯৬২ সালের ছাত্র অভ্যুত্থান। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন বাঙালির অভাবনীয় সফলতা একুশ কে কেন্দ্র করে অর্জিত হয়েছিল। যার কারণে 1971 সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অদ্ভুত হয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। যে কারণে জাতির জীবনে সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।
পরিশেষে একটি কথা সবারই মাথায় রাখা উচিত কারণ স্বাধীনতা একটি অর্জন। স্বাধীনতা দিবস আমরা ছিনিয়ে এনেছি পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অবশ্যই আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বোঝাবো।
যাতে করে তারাও সারা জীবন বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা সারা জীবন স্মরণে রাখে। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে
আপনি কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে উদযাপিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয় বলে এই দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর যখন দেশ স্বাধীন হয় এরপর ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে স্বাধীনতা দিবস পালন শুরু হয়। ২৬ শে মার্চ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে সারা বাংলাদেশের মানুষ উদযাপন করেন। এখন নিশ্চয়ই আপনারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস মার্চের ২৬ তারিখে উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে
আপনি কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বর নির্যাতন।
যা রূপ নেয় ভয়াবহ ভাবে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং দুই লক্ষ মা বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত হয় নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিজয়। এরপর থেকে ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ উদযাপন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
এ দিনটিতে সারা বাংলাদেশের স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি অফিস সহ সকল অফিস আদালত বন্ধ থাকে। এবং এই দিনটিকে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা মাধ্যমে পালন করা হয়। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে পালন করা হয়ে আসছে।
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা প্রত্যেক বাঙালি দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে উদযাপন করে থাকে। প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ উদযাপন করা হয় সারা বাংলাদেশে। এই দিনটিতে সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২৬ শে মার্চ এ প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও ঢাকা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও সেনাবাহিনীদের কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই দিনটিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস
আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস সেই সম্পর্কে? ২৬শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় কারণ। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দাজ করতে পারেন হয়তো তাকে গ্রেফতার করা হবে। তাই তো সে 26 শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ডাক দেন।
যেখানে তিনি বলেছেন এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, তোমরা যে যেখানে আছো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় নেওয়ার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাও।
বঙ্গবন্ধুর এই কথাগুলো পরের দিন ২৬ মার্চ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় নয় মাস রক্তক্ষই যুদ্ধ।
এভাবেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু ২৫ শে মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেওয়ায় সেই দিনটিকেই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
২৬শে মার্চের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিচে উপস্থাপন করা হলো। আপনারা যারা ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য খুঁজছেন তাদের জন্য নিচের বক্তব্যটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বক্তব্যটি জেনে নেই।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় উপস্থিত সুধিবৃন্দ, আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। এই দিনটিতে আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে স্মরণ করি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শৌর্য বীর্যের এক গৌরবের দিন আজ। এই দিনটিকে স্মরণ করে বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন এই স্বাধীনতা দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে বাঙালি জাতি একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেন।
৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। শুধুমাত্র স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে বলে সব কাজ শেষ হয়ে যায়নি। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাই আমরা সকলে মিলে মিশে স্বাধীনতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি নেব ইনশাআল্লাহ।
আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্যে, আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
আমি আশা করি, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো
ধন্যবাদ।
লেখকের মন্তব্য- মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪
প্রিয় পাঠক আশা করছি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪,স্বাধীনতা দিবস রচনা,বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url