আম গাছের বৈশিষ্ট্য - আম গাছের পরিচর্যা
সজনে পাতার উপকারিতা জানুনফলের রাজা আম এবং জাতীয় গাছ হিসেবে পরিচিত হলো আমগাছ। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আম গাছ সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানবো তা হল আম গাছের বৈশিষ্ট্য - আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে।
আম সম্পর্কে তো আমরা অনেকেই জানি তবে আম গাছ সম্পর্কে কজনী বা জানে। তবে আম গাছেরও যে রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা তাই আমরা জানব।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন তাহলে জেনে নেই আম গাছ সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য - ভূমিকা
সুমিষ্ট ও রসালো ফল হিসেবে পরিচিত আম। আম যেমন খেতে সুস্বাদু তেমন এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তবে শুধুমাত্র আম নয় আমের গাছে এবং পাতাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আম গাছের যে সকল গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবো তা হল।
আম গাছের বর্ণনা,আম গাছের পরিচর্যা,আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি,আমের মুকুল আসার পর করনীয়,আম গাছের বৈশিষ্ট্য,আম গাছের উপকারিতা,আম গাছের রচনা সম্পর্কে।বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
আম গাছের বর্ণনা
অনেকেই আম গাছের বর্ণনা জানতে চান। আজ আর্টিকেলের এই পর্বে আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়লে আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে।
রসালো ও সুমিষ্ট ফল হিসেবে পরিচিত আম। অনেকে আছেন আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে জানতে চান।আম গাছ সাধারণত গভীর মূল যুক্ত হয়ে থাকে। আম গাছ চিরসবুজ যা লম্বায় সাধারণত ৩৫-৪০ মিটার এবং ব্যাসার্ধ সাধারণত ১০ মিটার হয়ে থাকে। আম গাছ সাধারণত বহু বছর বেঁচে থাকে। কিছু কিছু আমের জাত রয়েছে যেগুলো প্রায় ৩০০ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে।
আম গাছের প্রধান শিকড় মাটির প্রায় ছয় মিটার গভীর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। আম গাছে গাড় সবুজ রংয়ের পাতা দেখা যায়। চিরসবুজ আমের পাতা সরল পর্যায়ক্রমিক ১৫ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৬ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে।
আমের কচি পাতার রং সাধারণত লালচে ও গোলাপি রং এর হয়। আম গাছের মুকুল বের হয় সাধারণত ডগা থেকে। মুকুল আশা থেকে শুরু করে আম পাকা পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগে। আশা করছি আপনারা আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আম গাছের পরিচর্যা
অনেকেই আছেন যারা আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো। আরটিকালের এই পর্বটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই আম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।
আম গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন পরগাছা বা আগাছা দমন, সার প্রয়োগ এবং সেচ ব্যবস্থা। এই তিনটি বিষয় যদি আপনারা খেয়াল রাখতে পারেন তাহলে আম গাছের ফলন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আমগাছ প্রতিবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলন দিবে। চলুন তাহলে এবার এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
পরগাছা বা আগাছা দমন: আম গাছের নিচে একাধিক ধরনের আগাছা জন্মাতে দেখা যায়। যা আম গাছে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের প্রতীক ক্ষতিকারক। গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পরগাছা জন্মালে তা গাছের মধ্যে প্রবেশ করে রস শোষন করে এবং গাছকে দুর্বল করে দেয়।
অতিরিক্ত পরিমাণে যদি পরগাছার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় তাহলে গাছের পাতার আকার ছোট হয় এবং ফ্যাকাসে হয় যে কারণে অনেক সময় গাছ মারা যায়। যার কারণে গাছের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। তাই আপনি যদি ভালো ফলন পেতে চান তাহলে অবশ্যই পরগাছা অপসারণ করতে হবে।
সার প্রয়োগ: আম গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন বৃদ্ধির জন্য সার প্রয়োগ করা খুবই প্রয়োজন। আম গাছের বয়স ও আকারের উপর নির্ভর করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। তাই মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই সার প্রয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে দুপুরবেলা যতটুকু স্থানেছায়া পড়ে সেটুকু স্থানে মাটি কুপিয়ে সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।
সেচ ব্যবস্থা: অনেক সময় দেখা যায় খরা মৌসুমে সেচের অভাবে গাছ মারা যায়। তাই সাধারণত জমির ওপর স্তরে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকে বা সাল হিসেবে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় তাই আম বাগানের ওপরে দুই থেকে তিন মিটার অংশকে জমির পানি সংরক্ষণ স্তর হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
যে কারণে শুষ্ক মৌসুমে আম বাগানে পানি সেচ দেওয়া খুবই দরকার। এছাড়াও আমের গুটি যখন মটর দানার মতো আকৃতি ধারণ করবে তখন থেকে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর দুই থেকে তিনবার শেষ দিলে আমের গুটি ঝরা বন্ধ হয়।
আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। তাই তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বে আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই পর্বটি পড়লে আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে।
আম গাছের বয়স ভেদে নির্ধারিত সম্পূর্ণ পরিমান সার যেমন গোবর, জিপসাম, ড্রিঙ্ক সালফেট,, এবং বারিক এসিড, অর্ধেক এমওপি সার সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আম গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
অবশিষ্ট যে ইউরিয়া ও এমওপি সার থাকবে সেগুলো সমান দুই ভাগে ভাগ করে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন আমের ফল মটর দানার আকৃতিতে আসবে তখন এবং অবশিষ্ট ইউরিয়া ও এমওপি সার মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রয়োগ করতে হবে।
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গাছের চারিদিকে গোড়া থেকে কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ মিটার দূরে হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে সার মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। যদি গাছের বয়স বেশি হয়ে থাকে তাহলে এই দূরত্ব বাড়তে পারে। তবে প্রতিবার সার প্রয়োগের পরে অবশ্যই হালকা ভাবে সেচ দিতে হবে। আশা করছি আপনারা আম গাছে সার প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আমের মুকুল আসার পর করনীয়
আমের মুকুল আসার পর করণীয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। যারা মুকুলাসার আগে আম গাছের কোন পরিচর্যা করেননি তাদের জন্য এই পরবর্তী। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই আমের মুকুল আসার পর করণীয় কি সেই সম্পর্কে।
সাধারণত আমের মুকুল আসার আগে থেকেই আম গাছের পরিচর্যা করতে হয়।তবে আপনারা যারা আগে থেকে আম গাছের পরিচর্যা করেননি তারা যদি আম গাছের ভালো ফলন পেতে চান তাহলে অবশ্যই এখন থেকে আম গাছের পরিচর্যা শুরু করতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে নজর রাখতে হবে আমের মুকুল বের হয়েছে কিন্তু ভুলগুলো ফোটেনি এই অবস্থায় আপনাকে আম গাছে স্প্রে করতে হবে। এই স্প্রে করার মূল কারণ হলো আম গাছকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করা। আপনি যদি আম গাছ থেকে ভালো ফলন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মুকুল রক্ষা করতে হবে।
আমের মুকুল ফোটার আগে দুইটি স্প্রে করতে হবে একটা হল ছত্রাক নাশক আরেকটা হল কীটনাশক। এক্ষেত্রে আপনারা অনুমোদিত যে কোন ডেল্টামেথিন গ্রুপের কীটনাশক এক মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। সাথে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক দুই গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আম গাছে যদি ৫০% ফুল ফুটে যায় সেক্ষেত্রে আর স্প্রে করা যাবে না। কারণ এই সময় হলো আম গাছের মুকুলের পরাগায়নের সময়। তবে আপনি যদি আমের মুকুলে কোন ধরনের স্প্রে না করতে চান সেক্ষেত্রে আম গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। তবে আম গাছে পানি দেওয়ার একটা নিয়ম রয়েছে।
দেখতে হবে সূর্য যখন মাথার উপরে ঠিক তখন আম গাছের নিচে যতটুকু জায়গা তো থাকবে সেখানে নালী করে পানি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের শিকড় গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ রস পায়। যদি বৃষ্টি না হয় সেক্ষেত্রে ১০-১২ দিন পর পর এরকম সেচ চালিয়ে যেতে হবে।
এরপর আমের মুকুল থেকে যখন মটর দানার মতো আম বের হবে তখন আবার পর্যায়ক্রমে স্প্রে করতে হবে। এরপর আবার যখন আমগুলো মার্বেল আকৃতি ধারণ করবে তখন আবার আম গাছে স্প্রে করতে হবে অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। আশা করছি আপনারা আমের মুকুল আসার পর করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আম গাছের বৈশিষ্ট্য
অনেকেই আছেন যারা আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্যই আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। আশা করছি আপনারা যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
রসালো ও সুমিষ্ট ফল হিসেবে পরিচিত আম। অনেকে আছেন আম গাছের বর্ণনা সম্পর্কে জানতে চান।আম গাছ সাধারণত গভীর মূল যুক্ত হয়ে থাকে। আম গাছ চিরসবুজ যা লম্বায় সাধারণত ৩৫-৪০ মিটার এবং ব্যাসার্ধ সাধারণত ১০ মিটার হয়ে থাকে। আম গাছ সাধারণত বহু বছর বেঁচে থাকে। কিছু কিছু আমের জাত রয়েছে যেগুলো প্রায় ৩০০ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে।
আম গাছের প্রধান শিকড় মাটির প্রায় ছয় মিটার গভীর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। আম গাছে গাড় সবুজ রংয়ের পাতা দেখা যায়। চিরসবুজ আমের পাতা সরল পর্যায়ক্রমিক ১৫ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৬ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে। আমের কচি পাতার রং সাধারণত লালচে ও গোলাপি রং এর হয়। আম গাছের মুকুল বের হয় সাধারণত ডগা থেকে।
মুকুল আশা থেকে শুরু করে আম পাকা পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগে। আমের জাত ভেদে পাকা আমের আকার, আকৃতি, মিষ্টতা, রং এবং গুণগত মান নির্ভর করে। বিভিন্ন আম জাতের উপরে এর রং নির্ভর করে। কাঁচা আমের ভেতর পুই নামের বীজ থাকে। এবং আম পেকে গেলে পরিপক্ক আমের ভিতর পুঁই থেকে আঁটির আকার ধারণ করে।
আম পাকলে চারিদিকে এর সুমিষ্ট সুবাস ছড়ায়। কাঁচা আম খেতে টকশাদ যুক্ত হলেও কিছু কিছু কাঁচা আম খেতেও মিষ্টি হয়ে থাকে। তবে পাকা আম খুবই রসালো এবং সুমিষ্ট হয়ে থাকে। তবে জাত ভেদে কিছু কিছু আম টক হয়ে থাকে। আশা করছি আপনারা আম গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আম গাছের উপকারিতা
আম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই আর্টিকেলের এই পর্বে আম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
ফলের রাজা আমের গুণাগুণের কথা তো সবাই জানে। তবে আম গাছের প্রতিটি অংশের যে উপকারিতা রয়েছে সে বিষয়ে কয়জন জানেন।আম গাছের প্রতিটি অংশই আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমের ছাল, আমের পাতা, আমের আঠা ও আম সবগুলো উপাদানই মানব শরীরের জন্য উপকারী।
আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর আছে। চলুন তাহলে জেনে নেই আম গাছের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে।
- আমাশয় রোগের ক্ষেত্রে কচি আম পাতা ও জাম পাতার রস সিদ্ধ করে সেই পানি খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
- আমের পাতা পানিতে ফুটিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন ওই পানি পান করুন এতে পেটের নানান সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
- বারবার যদি হেঁচকি আসে হেঁচকি যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমের পাতা পুড়িয়ে এর ধোয়া গ্রহণ করুন।
- ঠান্ডা লেগে গলাতে ব্যথা হলে বা কফ হলে আমের পাতায় সরষের তেল দিয়ে অল্প গরম করে ওই তেল কানের কাছাকাছি জায়গায় আর ছাতিতে মালিশ করুন।
- ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটি কচি আম পাতা পানিতে খুব ভালো করে ফুটিয়ে ওই পানি পান করুন। এভাবে নিয়মিত করুন।
- যাদের পা ফাটা সমস্যা রয়েছে তারা যদি আমের আঠা ফাটা স্থানে লাগায় তাহলে পা ফাটা অনেকাংশেই কমে যায়।
- কানে ব্যথা হলে আমের পাতার রস উষ্ণ গরম করে কানের মধ্যে কয়েক ফোঁটা দিন।
- আমের পাতা তে থাকা হাইপোগ্লাইসেমিক ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর জন্য কচি, নরম পাতার পাউডার বানিয়ে নিয়মিত হাফ চামচ পানির সাথে মিশিয়ে খান।
- যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা যদি কচি আমের আটি থেতলে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছু সময় পরে ওই পানি চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়া অনেক অংশে কমে যায়।
- নিয়মিত আমের পাতার পাউডার এক চামচ রাতে পানিতে মিশিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পান করুন এটা কিডনি স্টোন এর চিকিৎসায় সাহায্য করে।
আম গাছের রচনা
অনেকেই আম গাছে রচনা সম্পর্কে জানতে চান। আর্টিকেলের এই পর্বে আম গাছের রচনা উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি রচনাটি আপনাদের উপকারে আসবে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই আম গাছের রচনা।
ভূমিকা
বাঙ্গালীদের জীবন ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো আমগাছ। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক সব সাহিত্যের আম গাছের কথা উল্লেখ রয়েছে। আম গাছ আমাদের জাতীয় গাছ। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে আম গাছ।
ঐতিহ্যের আম গাছ
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন বৃক্ষ হল আম। গাছ পূর্ব ভারতে বিশেষ করে বাংলাদেশ, আসাম ও মায়ানমারের আদি বৃক্ষ। আম শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ সংরক্ষিত খাদ্য। এ থেকে আমের গুরুত্ব বোঝা যায়। চীনা পর্যটক ইউয়েন সাংও আমের খুব প্রশংসা করেন। ভারতের প্রাচীন ধর্ম ও লোকসাহিত্যে আম গাছের উল্লেখ আছে।
আম গাছের বর্ণনা
আম গাছ চির সবুজ বৃক্ষ। এ গাছ বেশ বড় হয়। পূর্ণবয়স্ক আম গাছ ছাতার আকৃতি ধারণ করে এবং ২০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার প্রস্থ হতে পারে। এর কান্ড মোটা, এব্রো থেব্রো এবং থাইরঙা ছাল দ্বারা আবৃত। আম গাছের পাতা কচি অবস্থায় হালকা সবুজ ও পরিণত হলে ঘন সবুজ হয়। আম গাছের মুকুল আসে ছোট ছোট। ফুলগুলো গুচ্ছ অবস্থায় লতার মতো ঝুলে থাকে।
ফুলের রং হলুদাস সাদা। চৈত্র বৈশাখ মাসে আমের ফুল ফুটলে সুমিষ্ট গন্ধে চারিপাশে ভরে ওঠে। আম গাছের কাঠ খুবই শক্ত হয়। কাঠ দিয়ে ঘরের থাম, নৌকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ইত্যাদি তৈরি করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পূজায় আমের পল্লব ও সব দাহে চন্দন কাঠের পাশাপাশি আম গাছের কাঠ ও ব্যবহার করে।
আমের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ
আম একটি গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল। তবে বর্তমানে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছ রয়েছে যা বছরের প্রায় সব ঋতুতে জন্মে। সাধারণত বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই আম পাওয়া যায়। পাকা আম নরম ও রসালো হয়। কাঁচা আম কিছুটা শক্ত ও টক স্বাদ যুক্ত হয়। পাকা আম বেশিরভাগই মিষ্টি স্বাদযুক্ত, আবার কিছু টক আমও পাওয়া যায়। আম বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে।
ডিম্বাকৃতি, গোল লম্বা ইত্যাদি আকৃতির আম পাওয়া যায়। আম আঁশযুক্ত অথবা আঁশ ছাড়া হতে পারে। কাঁচা আম সাধারণত সবুজ রঙের হয়। আম পাকলে তা সবুজাভ হলুদ, হলুদ, কমলা, লাল ইত্যাদি রং ধারণ করে। আবার অনেক আমি বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ দেখা যায়।
এমনকি পাকা আম সবুজও থাকতে পারে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায়। যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসা, হিমসাগর, অম্রপলি, গোপাল ভোগ, মোহনভোগ ইত্যাদি। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই আম গাছ পাওয়া যায়। তবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও দিনাজপুরের বেশ খ্যাতি রয়েছে।
উপসংহার
আম গাছের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার রয়েছে। আম গাছের ছাল, পাতা, ও আঠা সব উপাদানই মানুষের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে আমের পাতা বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে কাজ করে। এছাড়াও আমি তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
লেখকের মন্তব্য - আম গাছের বৈশিষ্ট্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি আম গাছের বর্ণনা,আম গাছের পরিচর্যা,আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি,আমের মুকুল আসার পর করনীয়,আম গাছের বৈশিষ্ট্য,আম গাছের উপকারিতা,আম গাছের রচনা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে রাখুনা। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url