চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম - চিয়া সিড খাওয়ার সময়
ইসবগুলের ভুষির উপকারিতাবেশ কয়েকটি সুপার ফুডের মধ্যে অন্যতম হলো চিয়া সিড। চিয়া সিডে থাকা পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজ আমরা জানবো চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম - চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে।
চিয়া সিড এমন একটি সুপার ফুড যার উপকারে তার কথা অনেকেই জানে না। এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও অনেকেই অজ্ঞ।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাই আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চিয়া সিড সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরেছি আশা করছি আপনারা উপকৃত হবেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম - ভূমিকা
চিয়া সিড নামটি পরিচিত হলেও এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম অধিকাংশ মানুষের কাছে অজানা। চিয়া একটি সুপারসিড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পটাশিয়াম এবং দ্রবনীয় ও অধ্রমণীয় আশ।
চিয়া সিডে রয়েছে ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিকস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে চিয়া সিডের জুড়ি নেই।আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো তা হলো ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা,
চিয়া সিড এর উপকারিতা,চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা, চিয়া সিড খাওয়ার সময়, চিয়া সিড এর বাংলা নাম,বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিডের দাম কত, চিয়া সিড খেলে কি হয় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাহলে চলুন জেনে নেই ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
যার কারনে চিয়া সিড কে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। চিয়া সিডের অনেক উপকারিতা রয়েছে যার কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়।চিয়া সিড ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন জনিত সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।চিয়া সিড আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
ছাড়াও চিয়া সিড অতিরিক্ত ওজন জনিত কারণে বিভিন্ন সমস্যা থেকেও আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কারণ চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অনেক রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু চিয়া সিডের উপকারিতা পেতে হলে এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে।
সঠিক নিয়মে যদি আপনি চিয়া সিড না খেতে পারেন তাহলে এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হবেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই চিয়া সিড কিভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড খুবই উপকারী একটি উপাদান। এর কারণ হলো চিয়া সিডে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফাইবার।
এছাড়াও চিয়া সিডে রয়েছে দ্রবনীয় ফাইবার যা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যার কারনে শরীরের ওজন খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিয়া সিডে রয়েছে একটি রাসায়নিক উপাদান যার নাম হলো মিউসেলেস।মিউসেলেস উপাদানটি থাকার জন্য চিয়া সিড ভেজানোর পর চটচটে আঠালো রূপ ধারণ করে।
এবং দেহের বিপাক ক্রিয়ার গতি কমাতে সাহায্য করে। যার কারনে খিদে কম লাগে। এছাড়াও চিয়া সিডে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের খাবারের ইচ্ছাশক্তি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা দুপুরবেলায় টক দই অথবা অন্য কোন খাবারের সাথে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারেন।
শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্যই নয়। আপনার যদি চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে অনেক ধরনের রোগ থেকে আপনি মুক্ত থাকবেন
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন আমরা জানবো চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা । অনেক ধরনের পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ হল চিয়া সিড । চিয়া সিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার কারনে একে সুপার ফুড বলা হয়। সুপার ফুড হওয়ার কারণে চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে।
যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও চিয়া সিডের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি চিয়া সিড যোগ করতে পারেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
এখন আমরা জানবো চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
চিয়া সিডে রয়েছে দ্রবনীয় ও অদ্রবনীয় ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। অদ্রবনীয় ফাইবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। আর দ্রবণীয় ফাইবার হলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চিয়া সিড খুবই উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও অন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রি বায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেলে উপকার পাবেন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চিয়া সিডে রয়েছে ফাইবার ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই উপাদান গুলো আমাদের হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিডে থাকা ফাইবার LDL নামক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ট্রাইগ্লিসারাইড এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
এর কারণে আমাদের হৃদ যন্ত্র সুস্থ থাকে। বিভিন্ন গবেষকদের মতে চিয়া সিডে রয়েছে তিসি বীজের থেকেও বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর প্রভাবে আমাদের দেহে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যার কারনে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বর্তমানে যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রয়েছেন তাদের শরীরের জন্য চিয়া সিড খুবই উপকারী একটি উপাদান।
একটা কথা মনে রাখা জরুরি যে, রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুকি অনেক বৃদ্ধি পায়। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দরকার। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়া সিড রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই সুফল পাবেন।
অ্যানিমিয়া দূর করে
বাংলাদেশে অনেক পুরুষ মহিলাদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাহলে পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয়ে আমাদের অবশ্য সচেতন থাকা প্রয়োজন। চিয়া সিড হল আয়রনের একটি ভালো উৎস।
আপনি যদি নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাবেন।পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষের মধ্যেই ভিটামিন এ ,আয়রন ও জিংক এর অভাব দেখা যায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়া উচিত।
এছাড়াও চিয়া সিডের প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। যেমন এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। পরিমাণ মতো খেলে যেমন চিয়া সিডের প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। তেমনি আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণের চিয়া সিড খান সে ক্ষেত্রে আপনার হিতের বিপরীত হতে পারে। তাই অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণ ঠিক রাখবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তা হল-
- এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে বদ হজম জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যার ফলে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এছাড়াও অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে রক্তের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে।
- এছাড়াও যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এলার্জি দেখা দিতে পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
এখন আমরা জানব চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও নিয়ম সম্পর্কে। চিয়া সিড কিভাবে ও কতটুকু পরিমানে খাওয়া প্রয়োজন এটি জানা খুব দরকার। এই বিষয়ে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। তবে সঠিক পদ্ধতি জানা সকলের জন্যই প্রয়োজন। চিয়া সিড খাওয়ার অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে, আপনি বিভিন্ন ভাবে চিয়া সিড খেতে পারেন।
প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন তা হল চিয়া সিডকে আলাদা করে রান্না করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি প্রতিদিন যে ধরনের খাবারগুলো খান তার সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন। যেমন, সবজি, ওটস, টক দই, ডাল, পুডিং, জুস ইত্যাদি। চিয়া সিট কখনো শুকনো অবস্থায় খেতে যাবেন না। এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখুন।
৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর চিয়া সিড গুলো পানি শোষণ করে জেলির মতো থকথকে হয়ে যাবে। এই পানিতে ভেজানো চিয়া সিড থেকে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড যে কোন খাবারের সাথে খেতে পারেন। সারাদিনে এক থেকে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ চিয়া সিড ভেজানো খেতে পারেন।
চিয়া সিড যেহেতু সুপার ফুট তাই বেশি পরিমাণে খেলে যে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে এমন ধারণা ভুল। সঠিক পরিমাণে প্রতিদিন চিয়া সিড খেলে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাবেন।
চিয়া সিড এর বাংলা নাম
আপনি কি চিয়া সিডের বাংলা নাম জানতে চাচ্ছেন? সুদূর মেক্সিকোতে জন্মানো সালভিয়া হিস্পানিকা উদ্ভিদের বীজের নাম হলো চিয়া বীজ বা চিয়া সিড।একে এক ধরনের ভেষজও বলা হয়। তবে একটা কথা সকলের জানা দরকার চিয়া সিডের কোন বাংলা নাম নেই।
এটি চিয়া সিড বা চিয়া বীজ নামেই পরিচিত। চিয়া সিড হল সাদা ও কালো রঙের আকারে খানিকটা তিলের মতো হয়ে থাকে। তবে চিয়া সিড ও তোকমা নিয়ে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই আছেন যারা তোকমা কে ভুল করে চিয়া সিড মনে করে।
কিন্তু চিয়া সিড তোকমার থেকে আকারে ছোট। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, তোকমার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো প্যাসেল সিড। তাই চিয়া সিড ও তোকমা এক জিনিস নয়। চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। কারণ এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
এই পর্বে বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। চিয়া সিড সকল বয়সের মানুষের জন্য খুবই উপকারী। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়ানোর কিছু নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। ছোট বাচ্চাদের এমন ভাবে চিয়া সিড দিবেন না যাতে করে তাদের গলায় আটকে যায়।
আপনার বাচ্চাকে যদি চিয়া সিড খাওয়াতে চান তাহলে তা যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। অথবা বাচ্চাদের ডেজার্ট তৈরিতে চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক বছরের নিচের বাচ্চাকে কখনোই এসব খাবার দিবেন না।
আপনার বাচ্চার বয়স যখন এক বছরের উর্ধে হবে তারপর থেকে আপনি চাইলে প্রতিদিন হাফ চা চামচ থেকে এক চা চামচ পর্যন্ত চিয়া সিড খাওয়াতে পারেন। যেসব বাচ্চার বয়স ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ এক চা চামচ পর্যন্ত চিয়া সিড দেওয়া যাবে।
চিয়া সিড হল সুপারফুড নামে পরিচিত। এই সুপার ফুডটি যে কোন বয়সের মানুষকে দেওয়া যাবে। এক বছর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাইকে এই সুপার ফুড খাওয়ানো যাবে। তবে তা হতে হবে পরিমিত পরিমানে।
চিয়া সিডের দাম কত
চিয়া সিডের দাম কত অনেকেই জানতে চান। আজ আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এই পর্বে চিয়া সিডের দাম সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন কোয়ালিটির চিয়া সিড পাওয়া যায়। আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির চিয়া সিড নিতে চান তাহলে ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দাম পড়বে।
আপনি যদি এর থেকে একটু লো কোয়ালিটির চিয়া সিড নিতে চান তাহলে তা ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজির মধ্যে পাবেন। আপনি চাইলে ১০০ গ্রাম চিয়া সিড ও কিনতে পারেন। আপনার আশেপাশের বাজার অথবা যেকোনো অর্গানিক সপ বা ই-কমার্স সাইট থেকে চিয়া সিড কিনে নিতে পারেন।
তবে বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশে চিয়া সিড চাষ করা হচ্ছে যার ফলে খুব সহজেই চিয়া সিট পাওয়া যায়।
চিয়া সিড খেলে কি হয়
চিয়া সিড খেলে কি হয় কম বেশি সকলেই জানেন। তবে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা চিয়া সিড সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের জন্য আজ আমার এই পর্বটি। চিয়া সিডের পুষ্টিগুণের উপর ভিত্তি করে একে সুপার ফুট বলা হয়। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী হয়।
কারণ চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মেটাবলিজম সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে ডায়াবেটিসের ঝুকি কমায়।চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুন কাজ করে।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে চিয়া সিড । নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে কোলন পরিষ্কার রাখে যার কারণে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও এসিডিটির সমস্যা দূর করে। ভাল ঘুমের জন্য চিয়া সিড উপকারী। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ও হাঁটুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ও চুল, ত্বক ও নখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য - চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা,চিয়া সিড এর উপকারিতা,চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা, চিয়া সিড খাওয়ার সময়, চিয়া সিড এর বাংলা নাম,বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিডের দাম কত, চিয়া সিড খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনাদের কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আর্টিকেল করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url