ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন বাংলাদেশ

সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তির উপায়বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা না থাকলেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে অনেকেই ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন বাংলাদেশ
আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে ক্রীত কারেন্সি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি।

ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি - ভূমিকা

যারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করে থাকে তারা ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন শনাক্ত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং মৌলিক বিশ্লেষণ বা উভয়ের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে থাকে যা তাদেরকে লাভজনক ব্যবসা করতে সহায়তা করে থাকে। 

আর্টিকেলে ক্রিপটো ট্রেডিং সম্পর্কে বেশ কিছু পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে তা হলো-ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ কোনটি, বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ, ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ, কারেন্সী কি, ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি, বিট কয়েন বাংলাদেশ, মুদ্রার মূল্য বলতে কি বুঝ, ক্রিপ্টো কারেন্সি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ কোনটি

আপনি নিশ্চয়ই ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ কোনটি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আর্টিকেলের এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ কোনটি সে সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ।

প্রযুক্তির বিপ্লবে এবার পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে কাগজের টাকা। আসছে ডিজিটাল মুদ্রা। এমন আশঙ্কা করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে সেই সকল মুদ্রা যা শুধু ভার্চুয়াল জগতে লেনদেন হয়, বাস্তবে যার কোন অস্তিত্বই নেই। এ ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামেও পরিচিত। অর্থাৎ এটি এক ধরনের মুদ্রা যা শুধু ডিজিটাল রূপে পাওয়া যায়। 
২০০৯ সালে বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েন এর সূচনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৬ হাজারের উপর স্ক্রিপ্ট তো কারেন্সি প্রচলিত রয়েছে। ল্যাটিন শব্দ ক্রিপ্টোজ যার অর্থ লুকানো। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে কারেন্সি যা এক ধরনের টোকেন যার নির্দিষ্ট একটি মূল্য রয়েছে। যা দিয়ে পণ্য বেচা বা কেনা যায়।ক্রিপ্টোকারেন্সি এর শাব্দিক অর্থ নিরাপদ ও লুকায়িত মুদ্রা ব্যবস্থা। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক বা ডিজিটাল মুদ্রা যার কোন বাস্তব রূপ নেই। এই কারেন্সি কোন সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন বা যোগান দেয় না। এটি একটি কম্পিউটার এলগরিদম টেকনোলজি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান সহ বিশ্বের মোট ৬৯ টি দেশে সরকারি স্বীকৃতি নিয়ে চলছে এই মুদ্রার লেনদেন। ভারত ও আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নিয়েছে এই মুদ্রার লেনদেন। 

এরই মধ্যে বর্তমান বিশ্বে ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৪ সালে অবৈধ ঘোষণা করে বিটকয়েন লেনদেন কে। বিটকয়েন নিষিদ্ধের তালিকা বাংলাদেশ ছাড়াও আরো রয়েছে আলজেরিয়া, বলিভিয়া, মরক্কো, নেপাল ও মেসিডোনিয়া। বিশ্বের অনেক ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। 

স্পোর্টস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ৮০ শতাংশ এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জাপান অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডার রিজার্ভ এবং এম আই টি যৌথভাবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি সিভিডিসি নিয়ে গবেষণা করছে হ্যামিল্টন প্রকল্পের মাধ্যমে। 

এই মুদ্রারই ডিজিটাল ভার্সন হবে cbdc. যুক্তরাষ্ট্রের ফেডার রিজার্ভ মনে করছে ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলন এর জন্য তারা নিজেরাই একটা ব্যবস্থা চালু করবে যার নাম দেওয়া হয়েছে ক্রিপ্টো বোম। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ

আপনি হয়তো বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আর্টিকেলের এই পর্বে ডিজিটাল মুদ্রা প্রথম চালু করে কোন দেশ সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পড়লে আপনারা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি পাবেন। তাই সঠিক উত্তরটি জানার জন্য আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

বিশ্বে ডিজিটাল মুদ্রার বেশ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়তো একসময় কাগজের নোট আর থাকবে না। তখন সব মুদ্রায় ডিজিটাল হয়ে যাবে। অবশ্য এটি হতে আর বেশি দিন দেরি নেই। মুদ্রা অর্থাৎ বিটকয়েন বিশ্বের অন্যান্য দেশ বৈধ বলে ঘোষণা করলেও বাংলাদেশে এখনো এই বিটকয়েন বৈধতা পায়নি। তাই বাংলাদেশ এ ধরনের মুদ্রা বা বিটকয়েনের নিষিদ্ধতা রয়েছে। 

তবে প্রশ্ন হল বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ? আমরা এখন জানবো বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করেছে ইকুয়েডর নামের দেশ। আশা করছি আপনারা বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ

ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তবে ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে জানতে হবে। আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হবে ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বিটকয়েন প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা। ২০০৯ সালে কালোবাজারে আসা এই অদৃশ্য ডিজিটাল কয়েনের দাম এক পর্যায়ে ৬০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর লেনদেন বিনিময় হার এবং আইনগত ভিত্তি না থাকায় বড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও এলসালভাদর ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা দিয়েছে। 

এছাড়াও আংশিক বৈধ করেছে কিছু দেশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ মোস্তফা কামাল বলেছেন ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলনে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সমীক্ষা যাচাই করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান সরকার চাইলেও দেশের মানুষ ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারে এখনো প্রস্তুত নয়। 

তিনি বলেন ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। যা খুবই সময় সাপেক্ষ। কালোবাজারে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিটকয়েন, লাইট কয়েন, এথেরিয়াম, রিপালের মতো ক্রিপ্টো মুদ্রার প্রচলন অহরহ। তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এই মুদ্রা ব্যবস্থাকে এখনো অবৈধ বলছে। আশা করছি ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

কারেন্সি কি

আপনি কি কারেন্সি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারেন্সি সম্পর্কে এখনো অনেকের অজানা। তবে ডিজিটাল বিশ্বে চলতে গেলে কারেন্সি সম্পর্কে তো জানতেই হবে তাই না? তাই আজকে আর্টিকেলের এই পড়বে আমরা কারেন্সি কি সে সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি।

কারেন্সি যা এক ধরনের টোকেন যার নির্দিষ্ট একটি মূল্য রয়েছে। যা দিয়ে পণ্য বেচা বা কেনা যায়।কারেন্সি বর্তমান বিশ্বে বিনিময়ের একটি স্বীকৃত মাধ্যম। কারেন্সি বা মুদ্রা মূলত অর্থের এক ধরনের ফিজিক্যাল রূপ। যা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন কাগজে নোট এবং কয়েন।

আরো জেনারেলি বলতে গেলে কারেন্সি মূলত একটি নির্দিষ্ট দেশের সীমানার ভেতরে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সে দেশের সরকার দ্বারা স্বীকৃত অর্থের একটি ইউনিট। যেমন বাংলাদেশ স্বীকৃত অর্থের ইউনিট হল টাকা, ইউনাইটেড ইস্টেটের ক্ষেত্রে ডলার, ব্রিটেনের ক্ষেত্রে পাউন স্টাইলিং। 

এই মুদ্রা গুলোর একটি মূল্যবান রয়েছে এবং এসব মুদ্রা গুলোর একটি বিপরীতে অন্যটির রিলেটিভ ভ্যালু রয়েছে। জাতিসংঘ সারা বিশ্বে ১৮০ টি মুদ্রার স্বীকৃতি দিয়েছে। কারেন্সি দিয়ে অর্থের পরিমাপ করা হলেও কারেন্সি আর অর্থ এক নয়।
  • প্রথমত অর্থের নিজস্ব মূল্য থাকলেও মুদ্রার কোন নিজস্ব মূল্য নেই। কারেন্সি মূলত অর্থ বিনিময়ের একটা মাধ্যম যার মূল্য একটি দেশের সরকার দ্বারা নির্ধারণ করা হয়।
  • যেকোনো পণ্য বা সেবার মূল্য অর্থের মানে প্রকাশ করা গেলেও মুদ্রায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
  • একটি ইকনোমিতে অর্থের গুরুত্ব থাকলেও কারেন্সি বা মুদ্রা মূলত সেই অর্থের মাধ্যম হিসেবে জনগণের কাছে বিলি করা হয়। কোন ধরনের অর্থের মূল্য ছাড়া কারেন্সি নিজেরও কোনো দাম নেই।

ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি

আপনি কি ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। ক্রিপ্টো ট্রেডিং সম্পর্কে এখনো অনেকের অজানা। তবে ডিজিটাল বিশ্বে চলতে গেলে ক্রিপ্টো ট্রেডিং সম্পর্কে তো জানতেই হবে তাই না? তাই আজকে আর্টিকেলের এই পড়বে আমরা ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি সে সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি।

আমরা আগে জানবো ট্রেডিং মানে কি? ট্রেডিং মানে যদি বলতে হয় তাহলে বাংলা ভাষায় একে বলে বেচাকেনা করা। কিছু বেচাকেনা করাকেই মূলত ট্রেনিং বলে। ক্রিপ্টো ট্রেডিং এক ধরনের ক্রিপ্টকারেন্সি বেচাকেনা করা। আমরা অনেকেই জানি ক্রিপ্ট কারেন্সির দাম সব সময় বাড়ে এবং কমে। যা এক কথায় বলতে গেলে ওঠানামা করে। 
আর এই দাম বাড়া এবং কমার ব্যাপারটা ক্রিপ্টো মার্কেটের উপর নির্ভর করে। কয়েনের মার্কেট ভলিউম,ফরেনসিয়ালিটি, মার্কেট চেন টেকনোলজি ইত্যাদি বিষয় সমূহ ক্রিপটো কয়েন এর দাম বারে আবার কমতেও পারে। ক্রিপটো কয়েনের মার্কেট কোন নির্দিষ্ট বস্তু বা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে না বা করতে পারেনা। 

ক্রিপ্ট কয়েন এর দাম নির্ভর করে মার্কেট ভ্যালু, জনপ্রিয়তা ইত্যাদি বিষয়ের উপর। ক্রিপ্টো ট্রেডিং মূলত লো রেটে কিনে হাই রেটে বিক্রি করা। আশা করছি আপনারা ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বিট কয়েন বাংলাদেশ

আপনি কি বিটকয়েন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আর্টিকেলের এই পর্বে বিটকয়েন বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষ এটিকে বিনিময় এর মাধ্যম হিসেবে চেনেনা বা স্বীকার করে না। এবং সরকারি ভাবেও এই বিটকয়েন অনুমোদিত নয়। বরং সরকারিভাবে বিটকয়েন নিষিদ্ধ।সরকার যে সকল নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-বিধান দিয়ে থাকে, 

সেই বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে যদি শরীয়তের কোন বিধান লঙ্ঘন না হয় তাহলে সরকার এবং রাষ্ট্রের এ সকল বিধিবিধানগুলো মান্য করা এবং এর আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং যেহেতু বিটকয়েন লেনদেন করা এবং এই বিষয়ে ক্রয়-বিক্রয় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে কাজেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত।

তবে যে সকল দেশে এই বিটকয়েন মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবেও সেটির বৈধতা রয়েছে সেখানে বিটকয়েন এটি কারেন্সির মর্যাদা পাবে। এছাড়াও ডলার ও টাকার মত এটি স্বতন্ত্র মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং এর সাথে ডলার বা টাকার অন্য যে কোন মুদ্রা কম বেশি করে লেনদেন করা বৈধ হবে। আশা করছি আপনি বিট কয়েন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

মুদ্রার মূল্য বলতে কি বুঝ

মুদ্রার মূল্য বলতে কি বুঝ সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই আর্টিকেলের এই পর্বে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি মুদ্রার মূল্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি।

সাধারণত মুদ্রা বলতে আমরা বুঝি মুদ্রা একটি বিনিময় মাধ্যম যা সবার নিকট গ্রহণীয় এবং যা মূল্যের পরিমাপক ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে। এই সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝতে পারি মুদ্রা বিনিময় এর মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ যে কোন লেনদেন করার জন্য মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। 

এছাড়াও সঞ্চয়ের ভান্ডার হিসাবে কাজ করে যা তুমি যখন ভবিষ্যতের জন্য কোন সঞ্চয় করতে চাও তখন টাকা অথবা মুদ্রার মাধ্যমে এই সঞ্চয় করতে পারো। এছাড়াও মূল্যের পরিমাপক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ যে কোন অর্থনৈতিক পণ্য বা সেবার মূল্য কত এটা নির্ধারণ করা টাকা অথবা মুদ্রার একটি কাজ। আশা করছি মুদ্রার মূল্য বলতে কি বুঝো সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন বাংলাদেশ

ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি কি জানেন ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশে কতটুকু বৈধ ভাবে চলে। তাহলে চলুন জেনে নেই, ক্রিপ্ট কারেন্সি বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ একটি বিনিয়োগ ব্যবসা।আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষ এটিকে বিনিময় এর মাধ্যম হিসেবে চেনেনা বা স্বীকার করে না।
এবং সরকারিভাবেও এই বিটকয়েন অনুমোদিত নয়। বরং সরকারিভাবে বিটকয়েন নিষিদ্ধ। সরকার যে সকল নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-বিধান দিয়ে থাকে, সেই বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে যদি শরীয়তের কোন বিধান লঙ্ঘন না হয় তাহলে সরকার এবং রাষ্ট্রের এ সকল বিধিবিধানগুলো মান্য করা এবং এর আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে থাকে।

সুতরাং যেহেতু বিটকয়েন লেনদেন করা এবং এই বিষয়ে ক্রয়-বিক্রয় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে কাজেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত।

বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এই নির্দেশনা অমান্য করে লেনদেন অথবা মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে এটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ যার কারনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আশা করছি আপনারা ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য - ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ কোনটি, বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা চালু করে কোন দেশ, ডিজিটাল মুদ্রা বাংলাদেশ, কারেন্সী কি, ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি, বিট কয়েন বাংলাদেশ, মুদ্রার মূল্য বলতে কি বুঝ, ক্রিপ্টো কারেন্সি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে রাখুনা। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url