ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা - ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনাপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা অনেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা - ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc সম্পর্কে জানতে চাও। তাই তোমাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাটি তুলে ধরা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা - ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc
আশা করছি ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাটি যে কোন পরীক্ষায় আসলে তোমরা ভালোভাবে লিখতে পারবে এবং ভালো নাম্বার পাবে। কারণ রচনাটি খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃপ্রিয় বন্ধুরা তাই আর দেরি না করে চলো ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা-ভুমিকা

বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হল সারা দেশের কর্মকান্ড কে আধুনিকায়ন করা অর্থাৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে আরো গতিশীল করা।যা বাংলাদেশকে দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করতে সহায়তা করবে। 

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো তা হল-ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দের,ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ২০২৪,ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দের

আমাদের অনেক ছোট্ট শিক্ষার্থী বন্ধুরা রয়েছে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দের মধ্যে জানতে চায়। তাদের সুবিধার জন্য এই ছোট্ট রচনাটি উপস্থাপন করা হলো। আশা করছি তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়লে উপকৃত হবে।

ভূমিকা
ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা সমন্বিত দেশে পরিণত করাকে বোঝায়। আইসিটি নির্ভর সমাজ নিশ্চিত করে এটা করা যেতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কি
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হল সারা দেশের কর্মকান্ড কে আধুনিকায়ন করা অর্থাৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে আরো গতিশীল করা।যা বাংলাদেশকে দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করতে সহায়তা করবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে দারিদ্র, বেকারত্ব, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও আরো অনেক সমস্যার সমাধান করতে চান। এছাড়াও বাংলাদেশের অনুন্নত জীবনধারাকে বদলে দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি উন্নতশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলাই হল বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য।

বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করায় ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাপন, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন এছাড়াও অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনধারা, সর্বোপরি বলতে গেলে সমাজের সকল স্তরের সকল কাজকে ডিজিটাল ভিত্তিক ভাবে গড়ে তোলাই হল ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য।

উপসংহার
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দেশকে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই সর্বত্র উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে দেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ২০২৪

অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুরা রয়েছে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চায়। আজ তোমাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলো রচনাটি সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা
ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি প্রত্যায়, একটি স্বপ্ন। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে।একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষণ নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো শপথ নেয়। 

২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণই ছিল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান বিষয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা
১২ ডিসেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে যে ২০২১ সালে স্বাধীনতার 50 বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটিডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি-সবমিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। 

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ১৭ থেকে ১২ নভেম্বর ২০০৯ এ ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট, নামক এ বিষয়ে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা
বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপই হল ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে একটি উন্নত, বিজ্ঞানমনস্ক সমৃদ্ধি বাংলাদেশকে বোঝায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধি, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। 

এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃষ্ট পন্থা। এটি বাংলাদেশের জন্য স্বল্পোন্নত বা দারিদ্র দেশ থেকে সমৃদ্ধ ও ধনী দেশের রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অধিকার। এটি হচ্ছে ২১ শতকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

ডিজিটাল বাংলাদেশর পথিকৃৎ
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পথিকৃৎ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা তিনি পথিকৃৎ হিসেবে লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জাতীয় অগ্রাধিকার
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম জাতীয় অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অগ্রাধিকার থাকতে হবে। 

সারাদেশে নিরাপদ ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্রতিটি ঘরকে তার বা বেতার পদ্ধতিতে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় যুক্ত করতে হবে। দেশের সব অঞ্চলের জনগণকে ডিজিটাল যন্ত্রের সজ্জিত করা শহর ডিজিটাল ডিভাইস প্রণয়ন করা জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য হবে। 

এছাড়াও আরো যেসব বিষয় অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য হবে তা হল: জনগণের নিজস্ব সংযুক্তি, জনগণের সঙ্গে সরকারের সংযুক্তি, সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি, কৃষি শিল্প ও ব্যবস্থার রূপান্তর।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা প্রধান লক্ষ্য, রাজনৈতিক লক্ষ্য

প্রধান লক্ষ্য: ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্তরে স্তরে এর অনুন্নত জীবনধারাকে বদলে বাংলাদেশের সমাজকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করা। কার্যত এদেশের মানুষের জীবন যাপন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, ব্যবস্থাপনা, কর্মপদ্ধতি, শিল্প বানিজ্য ও উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা এবং জনগণের সরকারসহ সব স্তরের সব কাজকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা।

রাজনৈতিক লক্ষ্য: ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কিছু রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে। নিচে তার সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।

জনগণের রাষ্ট্র: ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে জনগণের উন্নত জীবন যাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন, মৌলিক মানবিক অধিকার সংরক্ষণ, সব সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা থাকবে। এই রাষ্ট্রের জনগণের কাছে এই প্রযুক্তি সহজলভ্য ও সুলভ করা হবে।

মৌলিক চাহিদা রাষ্ট্রকেই পূরণ করতে হবে: রাষ্ট্রকে জনগণের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে। জনগণ যাতে করে জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম হয় তার জন্য তাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শেখাতে হবে এবং সেই প্রযুক্তি তার কাছে রাষ্ট্রকে সহজলভ্য করতে হবে। 

দারিদ্র জনগণকে জ্ঞান কর্মী বা ডিজিটাল প্রযুক্তি কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং গ্রামে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্প বানিজ্য সহ কৃষি, শিক্ষা, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

রাজনৈতিক ধারা: ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো সরকার, জাতীয় সংসদসহ সব রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও ব্যবস্থা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালনা করা, যাতে জনগণ সবসময় সংসদ, সরকার ও রাজনৈতিক ইন্টার অ্যাক্টিভ পদ্ধতিতে অংশ নিতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারের কাজ করার পদ্ধতি ডিজিটাল করা, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা, বিচার ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, 

শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর, যোগাযোগ ব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রচলন করা, তথ্যের অবাধ চলাচলের জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ।

অগ্রগতি: ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার প্রথম বছরের দৃঢ়তার সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে এর ভিত্তি বা প্রথম সোপান। সরকার আইসিটি নীতিমালা অনুমোদন করেছে, সেটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ, ই কমার্স চালু করা, নতুন নতুন প্রযুক্তির লাইসেন্স প্রদান করা, সরকারের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক সতর্কতা
বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে এর প্রভাব হিসেবে ডিজিটাল ডিভাইস সম্প্রসারিত হতে পারে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধাভোগী শোষক গোষ্ঠী, ধনী বা বিশেষ সম্প্রদায়ের শ্রেণী গোষ্ঠীর জন্য আরো সহায়ক হতে পারে। কিন্তু জ্ঞানভিত্তিক সমাজে জ্ঞানহীন হওয়ার সুযোগ দিন মানুষের জীবন যাপন আরো কষ্টকর হতে পারে।

উপসংহার
সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বাংলাদেশকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন নিশ্চিত করতে হবে। এ স্বপ্নকেই ধারণ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত হবে এটি সকলেরই আশা। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc

অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুরা রয়েছে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc সম্পর্কে জানতে চাই। আজ তোমাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলো রচনাটি সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা
আধুনিক এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে প্রতিদিন নতুন নতুন তত্ত্ব, তথ্য ও সত্য উদঘাটিত হচ্ছে, মানুষের জীবন এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। পরিবর্তন এসেছে, সেই সঙ্গে সোনার বাংলাদেশ ও লেগেছে প্রযুক্তি নামের জাদুর কাঠির ছোঁয়া। যার নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। এদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। 

শুধু স্বপ্নই দেখছে না, স্বপ্ন ও বাস্তবতার আলোকে নানা কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবতার প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছে। ফলে, তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও অগ্রগতিতে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ হবে একটি মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র। এবং যা প্রকৃত বক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র, যার মুখ্য চালিকাশক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি।

ডিজিটাল বাংলাদেশের ইতিহাস
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন তার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০বছরের ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে। 
একটি উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি সবমিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এই স্বপ্নটাই দেখিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে জয়ী হবার পর আওয়ামীলীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের প্রতি অনর থাকে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বরুপ ও বৈশিষ্ট্য
ইন্টারনেটে পড়িবেচিত তথ্যবলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, একটি ডিজিটাল দুনিয়া গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে একটি অবিশ্বাস্য গতিতে বিকশিত হচ্ছে। তথ্যযুগ বা ডিজিটাল যুগ যে নামেই আমরা ডাকি না কেন, 

কৃষি ও শিল্পযুগের পরমাণু সভ্যতার জন্য আসা এ যুগের সার্বিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নত দেশ হিসেবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জীবন যাত্রার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর জীবন দ্বারা গড়ে তুলে পুরো জাতির জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য। 

এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। এটি বাংলাদেশের সকল মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃষ্ট পন্থা বাস্তবায়নের রূপকল্প। এটি বাংলাদেশের জন্য স্বল্পোন্নত বা দারিদ্র দেশ থেকে সমৃদ্ধ ও ধনী দেশের রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অঙ্গীকার। 

এটি বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সোপান। এটি হচ্ছে ২১ শতকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জাতীয় অগ্রাধিকার
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম জাতীয় অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে অবকাঠামো গত অগ্রাধিকার থাকতে হবে। 

সারা দেশের সকল ঘরে নিরাপদ ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ঘরকে তার বা বেতার পদ্ধতিতে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় যুক্ত করতে হবে। এছাড়াও দেশের সকল অঞ্চলের জনগণের প্রত্যেককে ডিজিটাল যন্ত্রের সজ্জিত করা সহ ডিজিটাল ডিভাইস দূর করা জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য হবে। 

জনগণের নিজস্ব সংযুক্তি এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের সংযুক্তির পাশাপাশি সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরি করা এবং কৃষি-শিল্প ও ব্যবসায়ের রূপান্তর অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হচ্ছে এটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্তরে স্তরে এর অনুন্নত জীবনধারাকে বদলে দিয়ে বাংলাদেশের সমাজকে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করা। কার যত এদেশের মানুষের জীবন যাপন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থাপনা, কার্যপদ্ধতি, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন, 

অর্থনীতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা ও জনগণের সরকারসহ সমাজের সকল স্তরের সব কাজকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর হল ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কিছু রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে।

জনগণের রাষ্ট্র: ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে একটি জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই রাষ্ট্রটি হবে প্রকৃতপক্ষেই জনগণের। ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের উন্নত জীবন যাপনের পাশাপাশি মৌলিক মানবিক অধিকার সংরক্ষণসহ সকল সংবিধানিক অধিকার রক্ষার সকল প্রকার নিশ্চয়তা থাকবে।

মৌলিক চাহিদা রাষ্ট্রকেই পূরণ করতে হবে: রাষ্ট্রকে জনগণের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ, অন্য বস্ত্র বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ন্যূনতম দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। জনগণ যাতে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করার মত উপার্জন করতে সক্ষম হয় তার জন্য তাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার শেখাতে হবে এবং সেই সঙ্গে প্রযুক্তি তার কাছে রাষ্ট্রকে সহজলভ্য করতে হবে।

রাজনীতির ডিজিটাল ধারা: ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে সরকার ও জাতীয় সংবাদসহ সকল রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যবস্থা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত করা এবং রাজনীতির ডিজিটাল ধারা প্রতিষ্ঠা করা।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মসূচি
ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা করে সরকারের কাজ করার পদ্ধতি ডিজিটাল করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সরকারের সেবা পৌঁছানো। এর মাঝে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ সরকারের সকল কাজকে রূপান্তর করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মাঝে রয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা। 

শিক্ষার বিষয়বস্তু এবং শিক্ষাদান পদ্ধতিতে রূপান্তর করার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার একটি অগ্রাধিকার। ডিজিটাল রূপান্তর করে বিদ্যমান আর্থিক কাঠামোকে জ্ঞানভিত্তিক মেধা কেন্দ্রিক সৃজনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য। 

২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে অর্থ ও শারীরিক শক্তির বদলে মেধা ও জ্ঞানের শক্তির প্রধান্য থাকবে। কৃষিভিত্তিক একটি সমাজ থেকে বাংলাদেশে একটি সৃজনশীল ও মেধাবৃত্তিক শিল্প উন্নত দেশ পরিণত হয়ে মানব সভ্যতার ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দেবে। 

মানুষের বিদ্যমান কর্মসংস্থান কৃষিতে কমবে, শিল্প বাড়বে এবং শিল্প থেকেও অধিকতর হবে সেবা খাতে। জাতীয় আয়ের এর বৃহদাংশ আসবে মেধাজাত খাত থেকে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ-প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
একটি দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের অর্থ হলো তাকে একটি ইস্টেট পরিবর্তন করা। অর্থাৎ দেশটির শাসনব্যবস্থা, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষি ইত্যাদি পরিচালনায় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ই লার্নিং, ইত্যাদি সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম অবদান হলো ইন্টারনেট। 

দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তির মহাপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এর জন্য ছড়িয়ে দিতে হবে কম্পিউটারের সঙ্গে অনলাইন বা ইন্টারনেট। নেটওয়ার্ক সুবিধার জন্য প্রয়োজন চট্টগ্রামে এসে থেমে থাকা ফাইবার অপটিক কেবল কে দেশের সর্বত্র অর্থাৎ জেলা, উপজেলা, গ্রাম গঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়া, আর এটা সম্ভব ই-গভর্নtমেন্ট এর মাধ্যমে। 

ই- গভর্নমেন্ট হচ্ছে সেই সরকার ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছ এবং শ্রদ্ধাশীল থাকবে জনসংশ্লিষ্ট গণতন্ত্রের প্রতি। থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অস্বচ্ছ সরকারি কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমোদন উন্মুক্ত সরকার বা ই গভরমেন্টের নেই। ই- গভর্নমেন্ট এমন একটি ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে সরকারের সব কাজে জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

রেকর্ড থেকে শুরু করে সরকারি সব অফিস-আদালতের সর্বক্ষেত্রে যদি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। আগের চেয়ে স্বচ্ছতা আসবে। দেশের শিক্ষিত বেকাররা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। মাথাপিছু আয় বাড়বে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। দূরত্বকে জয় করে সেবা মানুষের দৈর্ঘ্য রায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ই গভর্নেন্স।

উপসংহার
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বলতে যা হয়েছে তা অতি সামান্য। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার এত বছর পর তার অর্থনীতিকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসতে পারেনি। 

এখন প্রযুক্তি বিদ্যার বিজয় সারাবিশ্বে ঘোষিত হচ্ছে মহাসমারহে, তারই অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশও প্রযুক্তির ব্যবহারে উন্নতি সাধন করা কঠিন কিছু নয়। 

এর জন্য শুধু দরকার সরকারের সঠিক দিক নির্দেশনা ও কর্মতৎপরতা আর সাধারণ মানুষের সহযোগিতার হাত। তবেই একদিন বাস্তবায়ন হবে স্বপ্নের এক দেশ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ।

লেখকের মন্তব্য-ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দের,ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ২০২৪,ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা hsc সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। 

প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url