পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
ইনভেস্ট ছাড়া ইনকামের পদ্ধতিপাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড যে সকল ব্যাংক প্রদান করে থাকে সেই কার্ডগুলো লোকাল কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরুন শুধুমাত্র বাংলাদেশে কেনাকাটা করা এবং নগদ টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। যদি আপনার বৈধ পাসপোর্ট না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন তবে তা লোকাল।
পোস্ট সূচিপত্রঃএই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড - ভূমিকা
সাধারণত ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়ে। তবে কোন ব্যাংক যদি আপনাকে পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে থাকে তাহলে সেটি লোকাল ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। এই কার্ড শুধুমাত্র দেশের ভিতরেই ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল কোন কাজে এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।
আমরা আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতে পারবো তা হলো-ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ,ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কোন কোন ব্যাংক,ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাব,ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা,ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্জ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
আপনি কি ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মাস্টার কার্ড ব্র্যান্ডের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক হল একটি বেসরকারি ব্যাংক, এই ব্যাংকটির ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ সেলফিন এ পাওয়া যাচ্ছে মাস্টার কার্ড ব্র্যান্ডের ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্টেড ভার্চুয়াল প্রিপেইড কার্ড।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এর মাধ্যমে টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাতেও দেশ-বিদেশের সকল ই-কমার্স সাইডে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে আপনি যদি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করতে চান তাহলে পাসপোর্টে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে এনপিএসবি অথবা ইএফটি অথবা আরটিজিএস নেটওয়ার্ক এ যুক্ত যেকোনো ব্যাংকের একাউন্ট ও মাস্টার কার্ড ব্র্যান্ড এর কার্ড ফান্ড ট্রান্সফার করা যাবে। এছাড়াও আরো যে সকল সুবিধা রয়েছে তা হলো মার্চেন্ট পেমেন্ট, ই- টিকেটিং, মোবাইল রিচার্জ, বিল ও ফিস পেমেন্ট করা যাবে।
এছাড়াও যে কোন ব্যাংকের মাস্টার কার্ড থেকে ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো কার্ড অথবা অ্যাকাউন্ট ও এম ক্যাশ সার্ভিস থেকে এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে টাকা আনা যাবে।এছাড়াও যে সকল জায়গা থেকে ক্যাশ আউট অর্থাৎ নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে তা হল ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপ শাখা, এটিএম, সিআরএম, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও এম ক্যাশ পয়েন্ট ।
আপনি যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে চান সে ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকার প্রয়োজন নেই। সেলফিন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন থাকলেই এই কার্ড আপনি নিতে পারবেন। আশা করছি আর্টিকালের এই পর্বটি পড়ে আপনি ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
আপনি কি ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সবচেয়ে বেস্ট ফিচার হল এর ডুয়েল কারেন্সি ফিচার। এই কার্ডটিতে আপনি লোকাল কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন আবার ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সিও ব্যবহার করতে পারবেন। লোকাল কারেন্সি ব্যবহার করে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি ডাচ বাংলার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড অন্যান্য ব্যাংকের বুথ এও ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও এই কার্ডটি দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে লোকাল কারেন্সিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটির আরো একটি পার্ট রয়েছে সেটা হল ইন্টারন্যাশনাল বা ডলার পার্ট। তাই এই কার্ডটি আপনি ইন্টারন্যাশনালি ব্যবহার করতে পারবেন।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে এই কার্ডে ডলার ইনন্ডোজ করে নিতে হবে। তবে ডলার ইনডোস করার জন্য আপনার পাসপোর্ট লাগবে। প্রথমে পাসপোর্টে ডলার ইনডোজ করতে হবে এরপর কার্ডে ডলার ইনডোজ করে সেই কার্ডটি আপনি ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ডে আপনি ডলার ইনভেস্ট করে দেশের বাইরে গিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে দেশের বাহিরে এই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে পারবেন। এছাড়াও দেশের ভিতরেও ডলার ব্যবহার করে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন।
আপনি যদি ফেসবুক এবং ইউটিউব বুষ্টিং করতে চান তাহলে এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে আপনি ফেসবুক এবং ইউটিউব বুষ্টিং করতে পারবেন। কারণ এই প্রিপেইড কার্ডের ডলার পার্টটিও আপনি একটিভ করে নিতে পারবেন।
ডান্স বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি নেওয়ার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ৫০০ টাকা প্লাস ভ্যাট অর্থাৎ ৫৭৫ টাকা। এই টাকাটি দিতে হবে আপনাকে কার্ডের ইন্সুরেন্স ফি বাবদ। এছাড়া এই কার্ডের অন্য কোন ফি নেই যেমন, অ্যানুয়াল ফি বা এসএমএস এলার্ট ফি।
এই কার্ডটিতে আপনি মিনিমাম পাঁচ হাজার টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন, কিন্তু এর উপরেও আপনি আপনার ইচ্ছামত ডিপোজিট করতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে এই পাঁচ হাজার টাকার পুরোটাই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
এই কার্ডে আপনি যেভাবে টাকা লোড করতে পারবেন তা হল ব্যাংকে গিয়ে অথবা নেক্সাস পে এর মাধ্যমে যেভাবে আপনি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করেন। এই কার্ডের মেয়াদ হলো পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পর এই কার্ড অটো রিনিউয়াল হয়ে যাবে এবং একটি নতুন কার্ড আপনার নিকট পৌঁছে যাবে। এই কার্ডে জমাকৃত টাকার উপরে কোন ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় না।
চলুন এখন জেনে নেই আপনি কিভাবে ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন। আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো ব্রাঞ্চ এ গিয়ে আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের কপি লাগবে। এবং আপনি যদি ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট লাগবে।
পাসপোর্ট ছাড়া তো আপনি ডলার ইনভেস্ট করতে পারবেন না এছাড়াও আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। আশা করছি আপনারা আর্টিকেলের এই পর্বের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে করবেন এবং কিভাবে কোথায় ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনাকে পড়তে হবে। বর্তমানে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এই কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন এবং অফলাইনে কেনাকাটা সহ নগদ টাকা উত্তোলন করা যায়।
অন্যান্য কার্ডে যেমন মিনিমাম কিছু টাকা জমা রেখে টাকা উত্তোলন করা যায় কিন্তু ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে আপনি চাইলে সম্পূর্ণ টাকায় উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দেশের বাইরে ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
তবে আপনি যদি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করতে চান অথবা কেনাকাটা করতে চান তাহলে পাসপোর্টে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভিতরে কেনাকাটা এবং টাকা উত্তোলন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে না।
সে ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাংক থেকে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভিতর অনলাইন অফলাইন কেনাকাটা এবং টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি চাইলে যে কোন ব্যাংক থেকেই এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন। তবে তার সীমাবদ্ধতা থাকবে শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যেই। আশা করছি আপনি পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ
আপনি কি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আর্টিকেলের এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ সম্পর্কে। তাই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে তেমন কোন চার্জ নেই।
যেমন ধরুন আপনি যদি লোকাল লেনদেন অথবা কেনাকাটা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কার্ড চার্জ কাটবে না। তবে আপনি যদি দেশের বাহিরে অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট অথবা কেনাকাটা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার এক পার্সেন্ট চার্জ কাটতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি ১০০ ডলার পে করেন অথবা ১০০ ডলারের কেনাকাটা করেন সেক্ষেত্রে আপনার এক টাকা কার্ড চার্জ কাটতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশের ভেতর কোন কিছু কেনাকাটা করেন অথবা টাকা উত্তোলন করেন অথবা টাকা পে করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কোন কার্ড চার্জ কাটবে না আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়ে আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ সম্পর্কে।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কোন কোন ব্যাংক
আপনি কি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কোন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে পাবেন সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এর উপর যেমন ভোক্তার আগ্রহ বাড়ছে তেমনি ব্যাংকগুলো সচেতনতার সাথে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংক রয়েছে প্রায় সকল ব্যাংকেই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাওয়া যাচ্ছে।
তবে স্পেসিফিক কিছু কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়। আজ আমরা জানবো কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পাবেন সেই সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে এবার জেনে নেই ব্যাংক গুলোর নাম।
যে সকল ব্যাংকের মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড পাবেন সেগুলো হলঃ
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- সিটি ব্যাংক
- এবার জানব যে সকল ব্যাংকের মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড পাবেন সেগুলোর নামঃ
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
- ইসলামী ব্যাংক
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাব
আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাবো সেই সম্পর্কে। হ্যাঁ, আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাবেন সেই সম্পর্কে জানানো হবে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে থাকে।
তবে আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংকে খোঁজ করলে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন। তবে আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংকে যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড না থাকে তাহলে অন্য যেকোনো ব্যাংক থেকে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংকের কিছু নিয়ম বা শর্ত পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
যদিও বাংলাদেশে এখন অনেক ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এর সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। আপনি যে ব্যাংক থেকে কার্ড সংগ্রহ করবেন সেই ব্যাংকের নিয়ম বা শর্তগুলো পূরণ করে আপনি কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিবে। আপনার যদি সকল তথ্য সঠিক বলে প্রমাণিত হয় তবেই আপনি কার্ডটি পাবেন। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে পারেন।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা
আপনি কি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। বর্তমান সময়ে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা সমূহ অনেক বেশি। কারণ এই কার্ড ব্যবহার করে দেশ এবং দেশের বাহিরে থেকে পণ্য কেনাকাটা এবং নগদ অর্থ উত্তোলন করা যায়।
কোথাও গিয়ে যদি আপনার নগদ অর্থ শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনি খুব সহজে যেকোনো বুথ থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের। এখন আমরা জানব ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা সমূহ সম্পর্কেঃ
- আপনার ফেসবুক অথবা ইউটিউব বুষ্টিং করার ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রয়োজন হবে।
- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন অনলাইনে পেমেন্টের জন্য এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রয়োজন হয়।
- এছাড়াও বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাইট থেকে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করতে হয়।
- বিদেশি কোন পণ্য কেনার জন্য ডলার প্রয়োজন হয় যা আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থেকে কিনতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি যদি দেশের বাহিরে ঘুরতে যান সে ক্ষেত্রেও ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রয়োজন পড়বে।
ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্জ
ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্জ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো হয়েছে আপনাদের জন্য। আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্জ সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে আমরা এখন জানবো ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্ট কত সেই সম্পর্কে।
সাধারণত বাংলাদেশে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের তেমন কোন কার্ড চার্জ নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কার্ড চার্জ সামান্য পরিমাণে কাটা হয়। চলো তাহলে জানি কোন কোন ক্ষেত্রে কার্ড চার্জ কাটা হয় না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কার্ড চার্জ কাটা হয় সেই সম্পর্কেঃ
- বার্ষিক ফি ফ্রি
- কার্ড ইস্যু ফ্রি
- কার্ড এক্টিভেশন ফ্রি
- পুনরায় টাকা লোড ফ্রি
- কার্ডের রিপ্লেসমেন্ট ২০০ টাকা
- কার্ডে প্রাথমিক টাকা লোড ১০০০ টাকা।(তবে এই টাকা পরবর্তীতে আপনি তুলতে পারবেন)
লেখকের মন্তব্য - পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,ডাচ বাংলা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড,ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চার্জ,ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কোন কোন ব্যাংক,ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাব,ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা,ইসলামিক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url