জামের উপকারিতা ও অপকারিতা - জামের বীজের উপকারিতা
আম গাছের বৈশিষ্ট্য জানুনমৌসুমী ফলের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে পরিচিত জাম। গ্রামের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানব জামের উপকারিতা ও অপকারিতা - জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।
জাম পাতায় অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ে উপকারী। এগুলো ছাড়াও এটি ত্বকের সমস্যা ও আলসার চিকিৎসা করতে সহায়তা করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই জামের উপকারিতা সম্পর্কে।
জামের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভূমিকা
সাধারণত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত যে সময়টি এই সময় কিন্তু বাজারে জাম বেশি পাওয়া যায়। অর্থাৎ গ্রীষ্মকালীন ফল গুলোর মধ্যে জামও কিন্তু একটি।জাম এমন একটি ফল যা বহু নামে পরিচিত। ইংরেজিতে এটি ব্ল্যাক পালম ও ইন্ডিয়ান ব্ল্যাকবেরি নামে পরিচিত। জামের অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। এছাড়াও গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোস রয়েছে।
যা অনেকগুলো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসা করতে পারে।আর্টিকেলের জাম সম্পর্কে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো-জাম পাতার উপকারিতা,জাম গাছের উপকারিতা,কালো জামের উপকারিতা,জামের উপকারিতা ও অপকারিতা,জামের অপকারিতা,জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মোনযোগ সহকারে পড়ুন।
জাম পাতার উপকারিতা
আপনি হয়তো জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বে জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়েন তাহলে জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
জাম একটি মৌসুমী ফল। যা সকলেই পছন্দ করে। জামের অনেক উপকারিতা রয়েছে এই সম্পর্কে অনেকেরই জানা। তবে খুব কম লোকই জানে যে জাম পাতায় বিশেষ ঔষধি গুণ রয়েছে। যা বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হজম জনিত সমস্যায় খুবই উপকারী। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
জাম পাতায় অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ে উপকারী। এগুলো ছাড়াও এটি ত্বকের সমস্যা ও আলসার চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। জাম পাতা ত্বকের ফোলা ভাব ও ব্যথা নিরাময় করে। নিয়মিত জাম পাতা খাওয়ার ফলে মুখের আলসার দূর করতে সাহায্য করে।
জাম পাতাতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের যে কোন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এমনকি প্রাচীনকাল থেকে জ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও জাম পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। জাম পাতা জ্বর কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। জাম পাতার অনেক ঔষধি গুণের মধ্যে একটি গুণ হল আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
পেটের বদহজম দূর করতে জামপাতা খুবই উপকারী। যদি কেউ দীর্ঘদিন যাবত পেটের সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে সে যদি নিয়মিত জান পাতা খায় তাহলে উপকার পাবে। আশা করছি আপনারা জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
জাম গাছের উপকারিতা
আপনি হয়তো জাম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বে জাম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়েন তাহলে জাম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জাম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
জাম ফল এবং জামের পাতা যেমন উপকারী তেমনি জাম গাছের প্রত্যেকটি অংশই ভেষজ ঔষধ হিসেবে পরিচিত। জাম গাছের প্রত্যেকটি অংশই মানব দেহের বিভিন্ন রোগ সারাতে কাজ করে। যেমন জামের ছাল, জামের পাতা, জামের ফুল ও জাম ফল সবগুলো অংশই খুবই উপকারী। চলুন আমরা এবার জেনে নেই জামে গাছের বিভিন্ন অংশের উপকারিতা সম্পর্কে।
- যদি কারো হাতে-পায়ে জ্বালা হয় তাহলে পাকা জামের রস মাখলে খুব কম সময়ের মধ্যে হাতে পায়ের জ্বালা অনেকাংশে কমে যায়।
- পাতলা পায়খানা ও অরুচির ক্ষেত্রে পাকা জামের রস দেড় থেকে দুই চামচ রোগীকে দিলে পাতলা পায়খানা ও অরুচির মত সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
- দাঁতের মাড়ি আলগা বা ব্যথা হলে অথবা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে থাকলে জাম গাছের ছাল শুকিয়ে গুঁড়ো করে, সেই গুঁড়ো দিয়ে রোজ দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। এছাড়াও নারী দিয়ে রক্ত পড়া খুব সহজেই বন্ধ হয়
- অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করে। সে ক্ষেত্রে ২/৩ চামচ জামপাতার রস আধা চামচ গাওয়া ঘি এর সাথে মিশিয়ে সাত দিনের মতো খাওয়ালে উপকার মিলবে।
- হাত পা কেটে গেলে বা ছিলে গেলে রক্ত পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে জাম পাতার রস ক্ষত স্থানে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এছাড়াও ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হওয়ারও কোনো ভয় থাকে না।
- আশা করছি আপনারা জাম গাছের বিভিন্ন অংশের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কালো জামের উপকারিতা
আপনি হয়তো কালো জামের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বে কালো জামের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়েন তাহলে কালো জামের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা কালো জামের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। কালোজাম গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল। জাম বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। জাম খাওয়াও খুব সহজ কারণ এর খোসা ছাড়তে হয় না।
এর মিষ্টি রসালো সাধ ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও খুব প্রিয়। ত্বক, চুল ও সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী জাম। চলুন এবার আমরা জেনে নেই কালোজামের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ঐতিহ্যগতভাবে জাম ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জামের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো বলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। কমপ্লিমেন্ট থার্মেট এ প্রকাশিত একটি গবেষণা পর্যালোচনায় জানানো যায় যে, গ্রামের ডায়াবেটিস বিরোধী গুন আছে।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের বিচি রক্তের সুগার লেভেল ৩০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। এই ফলটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
জামে এলাজিক অ্যাসিড বা এলাজিটেনিন্স,এন্থোসায়ানিন এবং এন্থোসায়ানিডিন্স থাকে যা প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে। এই উপাদানগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে বলে কোলেস্টেরলের জারণ রোধ করে এবং হৃদরোগ সৃষ্টিকারী প্লাক গঠনে বাধা দেয়।
এছাড়াও হাইপার টেনশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে জাম। কারণ এতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম জামে ৫৫ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
জামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জাম অতুলনীয় ভাবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও শরীরের হার কে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে জাম।
ইনফেকশন ভালো করে
ঐতিহ্যগতভাবেই জাম গাছের বাকল, পাতা ও বীজ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ম্যালিক এসিড, গালিক এসিড, অক্সলিক এসিড এবং ট্যানিন থাকে জাম উদ্ভিদে। এ কারণেই জাম উদ্ভিদ ও এর ফল ম্যালেরিয়া রোধী, ব্যাকটেরিয়া রোধি এবং গ্যাসট্রো প্রটেকটিভ হিসেবে কাজ করে।
পরিপাকে সাহায্য করে
আয়ুর্বেদিক ঔষধের জামপাতা ব্যবহার করা হয় ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময়ে। এছাড়াও মুখের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার ঔষধ তৈরিতেও ব্যবহার হয় জাম পাতা। জাম খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত ও নারীর শক্ত ও মজবুত করে এবং দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে
বিভিন্ন গবেষণায় জামের কেমো প্রটেকটিভ বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয়েছে। জাগেতিয়া জিসি এন্ড কলিগস এর করা এক গবেষণা মতে জানা যায় যে, জাম ফলের নির্যাসে রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান আছে। এতে আরো বলা হয় জামে নির্যাস ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি আর্টিকেলের কাজে এবং বিকিরনে বাধা দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
কালোজাম টিস্যু কে টান টান হতে সাহায্য করে। যা ত্বককে তারুণ্য দীপ্ত হতে সাহায্য করে। জাম ব্রেইন এলার্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও জামে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার থাকে বলে হাইড্রেট থাকতেও ত্বককে স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে। ডিটক্সিফায়ার হিসেবেও কাজ করে জাম।
জামের উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। আর্টিকেলের এই পর্বে জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন আর দেরি না করে এবার আমরা জেনে নেই জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। মৌসুমী ফল গুলোর মধ্যে জাম অন্যতম একটি ফল।
যদিও জামের স্থায়িত্বকাল খুব একটা বেশি নয় তবে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। জান কে ইংরেজিতে ব্ল্যাক পালম বলা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জামের চাষ হয়। যেমন: বাংলাদেশ,-ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ও শ্রীলঙ্কায়।
বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বেশি পরিমাণে জাম উৎপন্ন হয় যেমন: গাজীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল দিনাজপুর সহ সারা দেশের কমবেশি জাম চাষ হয়। চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে নেই জামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
জামের উপকারিতা
- জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি ও লৌহ। যা আপনার শরীরের হাড়ের শক্তি বাড়াতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এবং এটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
- জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে থাকে। যার কারনে ডায়াবেটিকস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এছাড়াও গ্রামের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা মানব দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও যান ত্বকের সকল সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি জামের সিজনে নিয়মিত জাম খান তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকবেন।
- এছাড়াও জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন জন্ডিস জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। তাই আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় জাম রাখেন তাহলে আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি খুব সহজেই পূরণ হবে।
- এছাড়াও গ্রামের ভিতর রয়েছে অ্যান্টি ম্যালেরিয়া, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।আমাদের শরীরে যে বিশাক্ত পদার্থ রয়েছে তা দূর করতে জাম খুবই উপকারি।
জামের অপকারিতা
অনেকেই জামের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। জাম যেহেতু একটি মৌসুমী ফল এবং এর প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই অনেকের ধারণা থাকে এর হয়তো বা অপকারিতা রয়েছে। জামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি২,বি৩,বি৬ ও ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও জামে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যে কোন সংক্রমণ কে শরীরের ভিতরে এবং বাহির থেকে আক্রমণ করতে বাধা দেয়। দাঁতের গোড়া মজবুত করতে জাম খুবই উপকারী। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহ ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ থেকেও মুক্ত করতে সহায়তা করে যান।
যে কারণে জামে পুষ্টিগুণ প্রশংসনীয়। তাই এতগুলো পুষ্টিগুণ থাকার জন্য জামে তেমন কোন অপকারিতা নেই। আশা করছি আপনারা জামের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
জামের বীজের উপকারিতা
আপনি কি জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। যেমন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল তেমনি গ্রামের বীজও খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের জন্য জামের বীজের জুড়ি মেলা ভার। জামের বীজ চূর্ণ ডায়াবেটিস রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
তবে অনেকেই আছেন যারা এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাই তাদের জন্য কিভাবে জামের ব্রিজের চূর্ণ তৈরি করতে হয় সেটি জানানো হয়েছে। আশা করছি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা জামের বীজের চূর্ণ তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জামের বীজের জন্য তৈরি করা শিখি।
- প্রথমে জাম ভালোভাবে পরিষ্কার করে এর বীজ আলাদা করে নিন।
- এরপর ভালোভাবে বীজগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন বীজের গায়ের সাথে যেন জামের আঁশ লেগে না থাকে।
- এরপর বীজগুলো একটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে মুছে ভালোভাবে রোদে শুকান।
- কয়েকদিন রোদে শুকানোর পর বীজের উপরের খোসাটা ছাড়িয়ে সবুজ অংশ বের করে নিন। এরপর আরো কিছুদিন সবুজ অংশ রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
- এরপর সেই সবুজ অংশ মিক্সার গ্রাইন্ডার অথবা পাটায় পিষে মিহি করে নিন।
- মিহি পাউডার চালনির সাহায্যে চেলে নিন।
- এরপর সেই জামের ব্রিজের পাউডার একটি এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।
- এরপর প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস পানিতে এক চামচ জামের বীজের পাউডার মিশিয়ে খেতে হবে। আশা করছি আপনারা জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য - জামের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি জাম পাতার উপকারিতা,জাম গাছের উপকারিতা,কালো জামের উপকারিতা,জামের উপকারিতা ও অপকারিতা,জামের অপকারিতা,জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে রাখুনা। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url