কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

থাইরয়েড রোগ সম্পর্কে জানুনকৃমি হল মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এক প্রাণী। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে কৃমির সংখ্যা বেড়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আজ আমরা জানবো কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম-ক্রিমের ঔষধ কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে।
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
কৃমির ঔষধ খাওয়ার কার্যকর নিয়ম হলো তিন মাস থেকে ছয় মাস পর পর। তবে কারো যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কৃমির সমস্যা থেকে থাকে। তাহলে প্রয়োজন হলে এর আগেও কৃমির ঔষধ খেতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে জেনে নেই কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম - ভূমিকা

সাধারণত অপরিচ্ছন্নতার কারণে কৃমি হতে পারে। তাই কৃমি থেকে নিজেকে প্রতিহত করতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এবং খাবার খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো তা হলো-বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে,কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়,শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম,কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো,

কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়,কৃমির ওষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম,কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম ও পিরিয়ডের সময় কৃমির ওষুধ খাওয়া যায় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আজ আমরা আলোচনা করব বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। কৃমি হল মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এক প্রাণী। সাধারণত কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে ঔষধের ধরন এবং রোগীর বয়স ও ওজনের উপর। বয়স দুই বছরের বেশি হলেই সবার জন্য কৃমির ট্যাবলেটের ডোজ একই। 

মূল কথা হলো আপনার যে পরিমাণ ঔষধ লাগবে আপনার দুই বছরের বেশি বাচ্চারও একই পরিমাণ ঔষধ প্রয়োজন হবে। তাই এই ব্যাপারে ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। তবে কৃমির ওষুধ যখন খাবেন, বাড়ির সবাই মিলে একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত। এর ফলে কৃমি থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। 


আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে চার থেকে পাঁচ মাস পর পর কৃমির ওষুধ খেতে পারবেন, এতে কোন সমস্যা হবে না। বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজ ট্যাবলেট খেতে হয়। প্রথম ট্যাবলেট খাওয়ার সাত দিন পরে ওপর ট্যাবলেটটি চুষে খেতে হয়। 

সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় অ্যালবেনডাজল গ্রুপের অ্যালমেক্স অথবা অ্যালবেন নামক কৃমির ঔষধ। কৃমির ট্যাবলেট পানির সাহায্যে গিলে খাওয়া যাবে না। তবে কেউ যদি চুষে খেতে না পারে, সে ক্ষেত্রে ভালো করে দাঁত দিয়ে কামড়ে গুড়া করে গিলে খেতে পারে। কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার পরে মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে

চলুন জেনে নেই কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে কেন। মানুষের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কৃমি হতে পারে। তবে প্রধানত আমরা পেটের কৃমিতে বেশি ভুগি। কিন্তু পেট ছাড়াও শরীরের অন্যান্য জায়গায় যেমন চামড়া, ফুসফুস, লিভার, মস্তিষ্ক ও চোখেও কৃমি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ কৃমিই আমাদের পেটের ভিতরে অর্থাৎ খাদ্যনালীতে হয়ে থাকে। 

আপনি যদি খাদ্যনালির কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে খালি পেটে কৃমির ওষুধ খাওয়া যাবে না। যখনই কৃমির ঔষধ সেবন করবেন তখনই ভরা পেটে এই ঔষধটি খেতে হবে। কারণ খালি পেটে খেলে পাকস্থলীতে ইনফেকশন সহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

এজন্য কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুলো কখনোই খালি পেটে খাওয়া যাবে না। কারণ আপনি যদি খাবারের সাথে কৃমির ওষুধ সেবন করেন সেক্ষেত্রে তা আপনার রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাবে। তাই আপনার খাদ্যনালীর কৃমির জন্য অবশ্যই ভরা পেটে কৃমির ঔষধ খাবেন। 

আর যদি আপনার চামড়া, ফুসফুস, লিভার, মস্তিষ্ক ও চোখে কৃমি হয়ে থাকে তাহলেও খাওয়ার পরে ভরা পেটে কৃমির ওষুধ খেতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন খালি পেটে কৃমির ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।

কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়

কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়? এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। আজ আমি আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা উত্তরটি জানার পর উপকৃত হবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে যে দুই প্রকার কৃমির ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ার নিয়ম হলো চুষে। কারণ কৃমির ঔষধ খাওয়ার একটি নিয়ম সেটি হলো ট্যাবলেট মুখে দিয়ে চুষে খেতে হবে। 

তবে অনেকেই আছেন যারা ক্রীমিক ট্যাবলেট চুষে খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে আপনারা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে গুড়া করে খেতে পারেনা। তবে সব ওষুধের ক্ষেত্রেই একটা নিয়ম রয়েছে। কোন কোন ঔষধ পানি দিয়ে গিলে খেতে হয় আবার কোন কোন ঔষধ পানির সাহায্যে গুলিয়ে খেতে হয় আবার দেখা যায় কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে চুষে খেতে হয়। 

কৃমির ওষুধ তেমনি একটি ঔষধ যা চুষে খেতে হয়। যেহেতু কৃমির ঔষধ ৪ থেকে ৬ মাস পর পর খেতে হয় সেহেতু চেষ্টা করবেন চুষে খাওয়ার। কারণ ভালো উপকার পেতে হলে ঔষধ খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব আমরা। বিশেষ করে কৃমিজনিত সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। কারণ বেশিরভাগ সময় কৃমি হওয়ার ফলে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে। শিশুদের কৃমি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন শিশুরা বেশিরভাগ খালি পায়ে পায়খানা ব্যবহার করে।

এছাড়াও মাঠে ঘাটে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ায় যার ফলে তাদের পায়ের তলা দিয়ে বক্রকৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ধরনের বক্রকৃমি শিশুদের শরীরের রক্ত চুষে খায়। যার ফলে শিশুরা রক্তস্বল্পতার শিকার হতে পারে। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আরেক ধরনের কৃমি রয়েছে তা হল সুচকৃমি যা বাচ্চাদের পায়খানার রাস্তার এক প্রকার ছোট ছোট কৃমি। 


এই কৃমির আক্রমণে বাচ্চাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কৃমি রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় বাচ্চাদের খাবারের অরুচি, দুর্বলতা, ফ্যাকাসে চেহারা, পেট ফোলা,বমি বমি ভাব ও লাগাতার পেটের অসুখ ইত্যাদি। এ ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। 

শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জেনে সঠিক নিয়মে কৃমির ওষুধ সেবন করাতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম-

অ্যালবেনডাজল : দুই বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের জন্য ৪০০ মিলি গ্রামের এক ডোজ অর্থাৎ দুই চামচ সিরাপ দিতে হবে। এক থেকে দুই বছরের শিশুর জন্য অর্ধেক ডোজ অর্থাৎ এক চামচ দিতে হবে।

সাধারণত দেখা যায় এক ডোজ এ কাজ না হলে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর আরো একবার খাওয়ানো যেতে পারে। বাজারে অ্যালবেন, সিনটেল প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।

পাইরেনটাল পামোয়েট : যে বাচ্চাদের এক বছরের বেশি তাদের জন্য এক ডোজ শিশুর ১১ মিলিগ্রাম/কেজি ওজন হিসেবে। কুচো কৃমির জন্য প্রয়োজন মনে হলে দুই সপ্তাহ পর পর এক মাত্রার ডোজ দেওয়া যায়। বাজারে মেলফিন, ডিলেনটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

মেবেনডাজল : ট্যাবলেট বা সিরাপ হিসেবে পাওয়া যায়। বাজারে মেবেন বা এরমক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এক চামচ করে দিনে দুইবার পরপর তিনদিন দিতে হয়।

লিভোমিসোল : বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজন হিসেবে এক মাত্রার ডোজ।

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? বাজারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। যেহেতু কৃমির প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই কৃমির ঔষধ খেতে হবে। সেহেত কোন কৃমির ঔষধ ভালো সেটা জানা জরুরি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা কৃমির ঔষধের নাম সম্পর্কে। 

আবার অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ এর মধ্যে কোনটি আমাদের শরীরের জন্য ভালো সেটাও আমরা জানি না। তবে আজ আমি আপনাদের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি কৃমির ঔষধের নাম উল্লেখ করব। আপনার জন্য কোনটা ভালো হবে সেটা যদি আপনি না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। 

কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়াই ঠিক নয়। আপনার শরীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করে ডাক্তার আপনাকে সাজেস্ট করবে কোনটি আপনার জন্য ভালো। তাই নিজে থেকে কোন ঔষধ সেবন না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই কৃমির ঔষধের নাম গুলো-
  • Almex Tablet
  • Albezen Tablet
  • Ben-A Tablet
  • Durazol Tablet
  • Estazol Tablet

কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়

চলুন জেনে নেই কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়।কৃমি যেহেতু শরীরের ভিতরে থাকা একটি প্রাণী। তাই অনেকে মনে করেন কৃমির ঔষধ খাওয়ার সাথে হয়তো ভিটামিন খেতে হবে। তবে এরকম কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। যে কৃমির ঔষধ সেবন করার সাথে ভিটামিন খেতে হবে । 

তবে আপনার শরীরে যদি ভিটামিনের ঘাটতি থেকে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন সেবন করতে পারেন অথবা ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। কৃমি হলে শরীরের ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি। কৃমির বেশ কয়েকটি ধরন রয়েছে যা শিশুদের শরীর থেকে রক্ত চুষে ন্যায় এবং শিশুরা বিভিন্ন সময় অপুষ্টি জনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। 

সে ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের ভিটামিন ঔষধ খাওয়াতে পারেন। তবে সুস্থ মানুষের জন্য যে কৃমির ঔষধ খাওয়ার ফলে ভিটামিন খেতে হবে এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে, তিন মাস অথবা ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমির ঔষধ খেতে হয়। 

পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের এক সাথে ক্রিমের ঔষধ খাওয়া উচিত। তা না হলে একজনের শরীরে থাকা কৃমি অন্যজনের শরীরে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এজন্যই যখন কৃমির ওষুধ খাবেন পরিবারের সকলে একসাথে খাবেন।

কৃমির ওষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম

এখন আমরা জানব কৃমির ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বাজারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধের মধ্যে কার্যকারী ঔষধ কোনটি। আজ আমি আপনাদের জানাবো বড়দের এবং বাচ্চাদের জন্য কোন কৃমির ঔষধ গুলো বেশি কার্যকর সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই কৃমির ঔষধ গুলোর নাম কি কি-
  • Praziquantel
  • Levamisol
  • Ivermectine
  • Mebendazole
  • Albendzole
বাজারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়।তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে অনেক ঔষধ গুলোর মধ্যে সব চেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি।চলুন তাহলে এবার জেনে নেই কৃমির কার্যকরী কিছু ঔষধের নাম সম্পর্কে-
  • Ben-A tablet
  • Almex tablet
  • Estszol tablet
  • Albezen tablet

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

এবার আমরা জানবো কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।বড়দের ক্ষেত্রে কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হলো দুইটি ডোজের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। প্রথম দিন কৃমির ঔষধ খাওয়ার সাত দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ খেতে হয়।


এখন আমরা জানবো বাচ্চাদের কৃমির ঔষুধের নাম এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
  • ২ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টিকা দিবসের টিকা কেন্দ্রের নিয়ে কৃমির ঔষধ খাওয়ানো সর্বোত্তম।
  • প্রতি চার থেকে ছয় মাস পরপর কৃমির ওষুধ খাওয়ালে কৃমি সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।
লবেনডাজল : দুই বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের জন্য ৪০০ মিলি গ্রামের এক ডোজ অর্থাৎ দুই চামচ সিরাপ দিতে হবে। এক থেকে দুই বছরের শিশুর জন্য অর্ধেক ডোজ অর্থাৎ এক চামচ দিতে হবে।

সাধারণত দেখা যায় এক ডোজ এ কাজ না হলে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর আরো একবার খাওয়ানো যেতে পারে। বাজারে অ্যালবেন, সিনটেল প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।

পাইরেনটাল পামোয়েট : যে বাচ্চাদের এক বছরের বেশি তাদের জন্য এক ডোজ শিশুর ১১ মিলিগ্রাম/কেজি ওজন হিসেবে। কুচো কৃমির জন্য প্রয়োজন মনে হলে দুই সপ্তাহ পর পর এক মাত্রার ডোজ দেওয়া যায়। বাজারে মেলফিন, ডিলেনটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

মেবেনডাজল : ট্যাবলেট বা সিরাপ হিসেবে পাওয়া যায়। বাজারে মেবেন বা এরমক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এক চামচ করে দিনে দুইবার পরপর তিনদিন দিতে হয়।

লিভোমিসোল : বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজন হিসেবে এক মাত্রার ডোজ।

পিরিয়ডের সময় কৃমির ওষুধ খাওয়া যায়

আপনি জানতে চাচ্ছেন পিরিয়ডের সময় কৃমির ওষুধ খাওয়া যায় কিনা? আসলে কৃমির ওষুধ খাওয়ার একটা নিয়ম রয়েছে। সব বয়সের সুস্থ মানুষের জন্য তিন মাস থেকে ছয় মাস পর পর কৃমির ওষুধ খেতে হয়। আপনার যদি কৃমির কোন উপসর্গ না থেকে থাকে তাহলেও কৃমির ওষুধ খেতে হবে। এবং কৃমি যেন না হয় সে বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে। 

যেমন খালি পায়ে শৌচালয়ে না যাওয়া, খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে না হাঁটা, ফলমূল বা শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া, এছাড়াও কোন কিছু খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া। এই কাজগুলো যদি আপনি নিয়মিত করেন তাহলে কৃমির মতো সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকতে পারবেন। ছোট থেকেই বাচ্চাদের এই শিক্ষা দিবেন যেন তারা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। 

কারণ অপরিষ্কার থাকলে সেই বাচ্চাদের কৃমি খুব সহজে আক্রমণ করতে পারে। অনেক মেয়েরই প্রশ্ন থাকে পিরিয়ডের সময় কৃমির ঔষধ খাওয়া যাবে কিনা। আপনি যেকোনো সময় কৃমি ওষুধ খেতে পারেন এতে কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। পিরিয়ডের সময় কৃমির ওষুধ খেলে কোন ক্ষতি হয় না। এমনকি প্রেগনেন্সির সময়ও প্রয়োজন পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ওষুধ খাওয়া যায়।

লেখকের মন্তব্য -কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আশা করছি বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে,কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়,শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম,কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো,কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়,কৃমির ওষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম,

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম ও পিরিয়ডের সময় কৃমির ওষুধ খাওয়া যায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন।

আপনাদের কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url