রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস - রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

ইসলামের মর্যাদা সম্পন্ন ৪টি মাসমুসলিম জাতির পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে এই রমজান মাসে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস - রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস -  রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব
পবিত্র আল-কোরআন ও বিভিন্ন হাদিসের রমজান মাসের ফজিলতের কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে রমজান মাস সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি রমজানের ফজিলত, হাদিস ও রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস - ভূমিকা

রমজান মাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতের মাস। এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলমান জাতির উপরে রহমত বর্ষণ করেন। এই মাসে অগণিত জাহান্নামিদের মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। দুনিয়াতে যারা মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশিত পথে চলেন তাদের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত জান্নাত। 

আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা হলো-রমজান মাসের ফজিলত,রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব,রমজান মাসের ফজিলত ও আমল,রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রমজান মাসের ফজিলত

আপনি নিশ্চয়ই রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আর্টিকেলের এই পর্বে রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রমজান মাস হল ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর নবম তম মাস। এই রমজান মাসে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা রাখে। মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশনা মতে একজন মুসলিম রোজা রাখার মাধ্যমে তার ঈমান কে শক্তিশালী করে। 
এই রমজান মাসে অনেক ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ অনুযায়ী চললে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই রমজান মাসের ফজিলত সমূহ সম্পর্কে।
  • মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশি বরকতময় মাস হল রমজান। এই মাসে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মানুষ রোজা রাখে ও ইবাদত করে থাকে।
  • অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাস ফজিলত পূর্ণ একটি মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রার্থনা করে থাকে।
  • রমজান মাসে নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা একটি বিশেষ ফজিলতের কাজ। এই মাসে তেলাওয়াত করা একটি উৎকৃষ্ট কর্ম হিসেবে পরিচিত।
  • রমজান আমাদের মধ্যে আল্লাহ সচেতনতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি রমজানের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রবৃত্তি উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করি।
  • দান সদকা করার জন্য একটি উত্তম মাস হলো রমজান। রমজান মাসে দান করা মানুষ আল্লাহর কাছে প্রিয় এবং তাকে পরিপূর্ণ আজর দেওয়া হয়।
  • রমজান মাসে অসংখ্য মানুষের দোয়া কবুল করা হয়। এবং বিভিন্ন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
  • বহু জাহান্নামিকে জাহান্নামের তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়। তাদের দোযখ থেকে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
  • রমজান মাসে রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোজার বিনিময়ে অনেক বড় পুরস্কারেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা বাসনা ছেড়ে দেয়। রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো ইফতারের সময় আরেকটি খুশি আমার সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের চেয়ে উত্তম।

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে। রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। রমজান মাস মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত ও মাগফিরাতের মাস হিসেবে পরিচিত। 

মুসলমানদের জন্য এই মাসটি সবচেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন মাস। অন্যান্য মাসে তুলনায় রমজান মাসের এবাদত বন্দেগী আমাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও আলোকিত করে তোলে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রমজান মাস একটি বিশেষ মাস হিসেবে পরিচিত। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই রমজান মাসের নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি করে ইবাদত বান্দেগী পালন করে থাকেন মুসল্লিরা। 

বিভিন্ন হাদিসে রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে এসেছে। এক হাদিসে এসেছে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের রোজা ও ইবাদাত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর কাছে রহমত ও মাগফেরাত লাভের সুবর্ণ সুযোগ। 

এই মাসকে স্মরণ করে যারা ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের নিয়তে রমজানে রোজা রাখবে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ মাফ এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবে তাদেরকে মহান আল্লাহতালা গুনাহ মাফ করে দেবেন। এছাড়াও যারা ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতে ইবাদত করবে, তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। 

আর যারা ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে শবে কদরের ইবাদত করবে তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আশা করছি রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

রমজান মাসের ফজিলত ও আমল

রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান তার জন্য আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

চলুন তাহলে আর দেরি না করে রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে নেই।রমজান মাস সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারীমে বলেছেন, এটা এমন একটা মাস যে মাসে মহা গ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন আসমান থেকে।১২ টি মাসের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাস হলো রমজান। 

রমজান মাসের কথা পবিত্র কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে। কারণ রমজান মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। কুরআন হলো মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলিম জাতির প্রতি সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

এখন আমরা জানবো রমজান মাসের আমল সম্পর্কে:
১. রমজান মাসের প্রথম আমল হল রমজান মাসের চাঁদ দেখা। অর্থাৎ শাবান মাসের শেষের দিনে আবার রমজানের শেষের দিনে শাওয়ালের চাঁদ দেখাও একটা আমল।

২. রমজান মাস শুরু হয়ে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হল রোজা রাখা।

৩. এছাড়াও প্রতিদিন ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে দোয়া করতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না। প্রতিদিন ইফতারির সামনে নিয়ে আমরা দোয়া করব। কারণ হাদিসে এসেছে, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছে রোজাদারের দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না।

৪. রমজান মাস উপলক্ষে রাতের বেলায় ধিরস্থির ভাবে তারাবির সালাত আদায় করা।

৫. রমজানের আরও একটি আমল হলো সেহরি খাওয়া। অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেহেরী খান না। তাদের উচিত রমজান মাসে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা।

৬. শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা। এটি রমজান মাসের একটি বিশেষ আমল হিসেবে পরিচিত।
৭. সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। অর্থাৎ ফেসবুক ইউটিউব যত কম ব্যবহার করা যায়।

৮. রমজান মাসের মূল আকর্ষণ হচ্ছে রমজানুল মোবারকের শেষ দশকে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, রমজান মাসের শেষ দশকের বেজর রাত গুলিতে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।

৯. রমজান মাসের আরেকটি আমল হল রমজানে ইফতার করা। ইফতার করা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।

১০. আরো একটি আমল হল ইফতার তাড়াতাড়ি করা। ইফতার করতে বিলম্ব না করা। অর্থাৎ আযানের সাথে সাথে ইফতার করা এটি একটি আমল।

১১. ইফতার এবং সেহরি উভয়টাতে খেজুর খাওয়া হল সুন্নাহ।

১২. আরো একটি আমল হল দিনভর বেশি বেশি করে দোয়া করা। কারণ রোজাদার ব্যক্তির দোয়া মহান আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেন না।

১৩. সকল প্রকার পাপাচার বর্জন করা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ রমজানের আমল।

১৪. পাপাচারের মধ্যে আবার বিশেষ করে মিথ্যা কথা, মিথ্যা কাজ, প্রতারণা এগুলো পরিহার করে চলা।

১৫. ঝগড়াঝাটি থেকে বিরত থাকা। নবী করিম (সা.) বলেছেন, রোজাদারের সাথে যদি কেউ কুতর্ক করতে আসে, ঝগড়া ফ্যাসাদ করতে আসে । তাহলে সে বলবে, আমি তোমার ঝগড়ার জবাব দিতে পারছি না কারণ আমি রোজাদার।

১৬. সাধারণ যত ভালো কাজ আছে সেই কাজগুলো রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সাথে করা।

১৭. খুব গুরুত্বের সাথে ইস্তেগফার করা। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

১৮. রমজানের আরেকটি বিশেষ আমল হলো রোজাদারকে ইফতার করানো।

১৯. রমজান মাসের একটি বিশেষ আমল হল বিশেষ গুরুত্বের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা।

২০. রমজান মাসের আরও একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল হল কুরআন তেলাওয়াত শোনা।

২১. রমজান মাসে সদাকা করা অর্থাৎ বেশি বেশি দান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

২২. সেহরি খেতে আমরা যখন উঠি তখন তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ আমল।

২৩. মহান আল্লাহ তা'আলা যাদের সামর্থ্য দিয়েছেন তারা রমজানে ওমরা পালন করবেন। এটি রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

২৪. রমজানে রোজা রেখে দিনের বেলায় বেশি বেশি করে মেসওয়াক করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। যা আমরা অনেকেই জানিনা।

২৫. রমজানের শেষ ১০ টা দিন এতেকাফে বসে যাওয়া। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল রমজানের।

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

অনেকেই আছেন যারা রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানতে চান। হ্যাঁ, এটা জানা উচিত। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানাবো। আশা করছি বিষয়টি জানতে পারলে আপনারা উপকৃত হবেন। তাই রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

১. হযরত হুজায়ফা (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.) কে বলতে শুনেছি, মানুষের পরিবার, ধন-সম্পদ ও প্রতীক ঘটিত বিভিন্ন ফেতনা ও গুনাহর কাফফারা হলো নামাজ, রোজা ও সদকা। (বুখারী, হাদিস: ১৮৯৫)

২. হযরত আবু সাঈদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে বান্দা আল্লাহর পথে একদিন মাত্র রোজা রাখবে, সেই বান্দাকে আল্লাহ বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে 70 বছরের পথ পরিমান দূরত্বে রাখবেন। (বুখারী, হাদিস: ২৮৪০)

৩. হযরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে এমন কোন আমলের আজ্ঞা করুন; যার বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে লাভবান করবেন। (অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে, যার মাধ্যমে আমি জান্নাতে যেতে পারব) তিনি বললেন, তুমি রোজা রাখো। 

কারণ এর সমতুল্য কিছু নেই। পুনরায় আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে কোন আমলের আদেশ করুন। তিনি পুনরায় একই কথা বললেন, তুমি রোজা রাখো। কারণ, এর সমতুল্য কিছু নেই। (নাসায়ি, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৭৩)
৪. হযরত ওসমান বিন আবুল আস থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ঢাল স্বরূপ। যেমন যুদ্ধের সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের ঢাল থাকে। (মুসনাদে আহমাদ, সহীহুল জামিউল সাগির, হাদিস:৩৮৭৯)

৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য শুধুমাত্র রোজা ব্যতীত। কারণ, আমার জন্য এবং আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, রোজা ঢাল স্বরূপ। 

তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতার লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি একজন রোজাদার। যার হাতে মোহাম্মাদের প্রাণ তার শপথ। অবশ্যই রোজাদারের মুখে গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধের চেয়েও সুগন্ধময়। 

রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি খুশির মুহূর্ত, যা তাকে আনন্দিত করে। যখন সে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার পালনকর্তা সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (বুখারী, হাদিস: ১৯০৪)

৬. হযরত সাহল ইবনে সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন ওই প্রবেশদ্বার দিয়ে রোজাদার গণ প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। 

বলা হবে, কোথায় রোজাদার গন? সুতরাং তারা ওই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এরপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে তখন সেই দরজা বন্ধ হবে। ফলে তা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী, হাদিস: ১৮৯৬)

৭. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছি। 

সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। মহানবী (সা.) আরো বলেন, অতএব উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে। (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৬৯)

উপরে উল্লেখিত হাদিসগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি হাদিস গুলো জানতে পেরে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

লেখকের মন্তব্য - রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি রমজান মাসের ফজিলত,রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব,রমজান মাসের ফজিলত ও আমল,রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। 

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url