শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন - শেখ রাসেল রচনা

স্বাধীনতা দিবস রচনাশেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন - শেখ রাসেল রচনা প্রায়ই অধিকাংশ স্কুলের পরীক্ষা ছাড়াও বোর্ড পরীক্ষায় আসে। এছাড়াও শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আসে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি লেখা।
শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন - শেখ রাসেল রচনা
আশা করছি শেখ রাসেল রচনাটি ভালো করে পড়লে যে কোন পরীক্ষায় আপনি শেখ সব রাসেল এর জীবনী সম্পর্কে ভালোভাবে লিখতে পারবেন। এছাড়াও রচনার মাধ্যমে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন শেখ রাসেল রচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়া যাক।

শেখ রাসেল রচনা - ভূমিকা

বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠপুত্র হলো শেখ রাসেল। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার জীবনের বাতি নিভিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। শেখ রাসেলের কোন দোষ না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর বংশের প্রদীপ একেবারে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্যই শেখ রাসেলকে তারা মেরে ফেলে। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে রচনা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি বিষয়ে আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবেন শেখ রাসেল রচনা প্রতিযোগিতা,শেখ রাসেল রচনা ১০০ শব্দ, শেখ রাসেল রচনা ৫০০ শব্দ, শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন, স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল রচনা, শেখ রাসেলের উপরে রচিত গ্রন্থ, শেখ রাসেল সম্পর্কে ছোট গল্প ও শেখ রাসেলের জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শেখ রাসেল রচনা প্রতিযোগিতা

শেখ রাসেল রচনা প্রতিযোগিতার জন্য শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে একটি রচনা নিচে উল্লেখ করা হলো। আশা করছি যারা শেখ রাসেল রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তাদের জন্য এই রচনাটি হবে একটি আদর্শ রচনা। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য রচনাটি নিতে উল্লেখ করা হলো।

ভূমিকা
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। মাত্র ১১ বছর বয়সে, ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে, নির্মম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রাসেল। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো তার কর্মের দ্বারা বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল অবদান রাখতো। কারণ তার সেই শিশু বয়সে তার ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তার প্রকাশ করেছিলেন।

তার কয়েক বছরের জীবন বাঙালি জাতির ইতিহাস কে এতই প্রভাবিত করেছেন যে কখন তিনি বঙ্গবন্ধু সর্বকনিষ্ঠ পুত্রের আসন থেকে নেমে এসে আমাদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন।

রাসেলের নামকরণ
শেখ রাসেলের নামকরণের পেছনেও রয়েছে একটি সুন্দর ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু বরাবরই ছিলেন বিশ্ব শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে এবং যুদ্ধের বিরোধী। এজন্য তিনি বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন। এমন বিখ্যাত ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল রেখে কনিষ্ঠ পুত্রের নাম শেখ রাসেল রাখেন বঙ্গবন্ধু।

রাসেলের ছেলেবেলা
রাসেলের ছেলেবেলা দেশের সমকালীন উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতোই বর্ণময়। জন্মের পর খুব বেশি সময় তিনি বাবার সান্নিধ্য পাননি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। ব
ঙ্গবন্ধুকে প্রথমে ঢাকায় রাখা হলেও পরে পাকিস্তানে স্থানান্তরিত করা হয়। তার পড়াশোনা শুরু হয়েছিল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজে। ১১ বছর বয়সে যখন তার নির্মম মৃত্যু হয় তখন তিনি সেই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।

নির্মম হত্যাকান্ড
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের সেই অভিশপ্ত রাত সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। সেই রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ট্যাংক দিয়ে ঘিরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। একই সাথে হত্যা করা হয় আমাদের প্রিয় রাসেলকেও।

উপসংহার
শেখ রাসেল বাঙালি জাতির কাছে এক যুবতীর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাঙালি জাতি তার মধ্যে খুঁজে পায় রূপকথার মত নিজেদের ছেলেবেলা কে। শেখ রাসেলের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকে আপাময় বাঙালির শৈশব। অন্যদিকে তার নির্মম মৃত্যুর কাহিনী বারবার মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশের করুন ইতিহাসের কথা।

শেখ রাসেল রচনা ১০০ শব্দ

অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজও যারা শেখ রাসেল রচনা ১০০ শব্দ সম্পর্কে জানতে চাও। আজ তোমাদের সুবিধার জন্য আমি শেখ রাসেল রচনা ১০০ শব্দের মধ্যে লিখলাম। যদিও সংক্ষিপ্ত একটি রচনা। তবুও রচনাটি পড়লে শেখ রাসেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবে আশা করা যায়।

শেখ রাসেল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। শেখ রাসেল ১৮ই অক্টোবর ১৯৬৪ সালে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। রাসেলের জন্ম তার বড় বোন শেখ হাসিনার বেডরুমে। শেখ রাসেল জন্মের পর সারা বাড়ি আনন্দে ভরে ওঠে। কারণ দুই বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বশেষ বা সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। 

শেখ রাসেলের পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মাতার নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে শেখ রাসেল সহ সপরিবারে হত্যা করা হয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি নির্মমভাবে মারা যান। তার অপরাধ ছিল তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে ছিলেন। দুর্বৃত্তদের হাতে এই নির্মম হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়।

শেখ রাসেল রচনা ৫০০ শব্দ

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা শেখ রাসেল রচনা ৫০০ শব্দ সম্পর্কে অনেকেই সার্চ দিয়ে খোঁজো। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য শেখ রাসেল রচনা ৫০০ শব্দ নিচে আলোচনা করা হলো। আশা করছি তোমরা রচনাটি ভালোভাবে পড়লে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাবে। বলো তাহলে আর দেরি না করে রচনাটি শুরু করা যাক।

ভূমিকা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। মাত্র ১১ বছর বয়সে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আমাদের প্রিয় রাসেল। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো তার কর্মের দ্বারা বাঙালি জাতির ইতিহাসে নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল অবদান রাখতেন। 

তার কয়েক বছরের জীবনে বাঙালি জাতির ইতিহাস কে এতটাই প্রভাবিত করেছেন যে, কখন তিনি বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র থেকে নেমে এসে আমাদের বন্ধু হয়েছে।

শেখ রাসেলের জন্ম
ছোট্ট শেখ রাসেল হাজার ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবন“বঙ্গবন্ধু ভবনে” জন্মগ্রহণ করেন। 

শিশু শেখ রাসেল জন্মের পর তার বড় বোন শেখ হাসিনার পরনের ওড়না দিয়ে শেখ রাসেলের ভেজা মাথা পরিষ্কার করেন। শিশুর রাসেল জন্ম থেকে সুস্থ ছিলেন। তার জন্ম শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবার নয় সমগ্র জাতির জন্য আনন্দ বয়ে আনে।

শিশুরা রাসেলের নামকরণ
শেখ রাসেলের নামকরণের পেছনেও রয়েছে একটি সুন্দর ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু বরাবরই ছিলেন বিশ্ব শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে এবং যুদ্ধের বিরোধী। এজন্য তিনি বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন। এমন বিখ্যাত ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল রেখে কনিষ্ঠ পুত্রের নাম শেখ রাসেল রাখেন বঙ্গবন্ধু।

প্রিয় রাসেলের ছেলেবেলা
রাসেলের ছেলেবেলা দেশের সময়কালীন তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতোই বর্ণময় ছিল। জন্মের পর খুব বেশি সময় তিনি বাবার সান্নিধ্য পাননি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার কিছু দিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে প্রথমে ঢাকায় রাখা হলেও পরে পাকিস্তানের স্থানান্তরিত করা হয়।

নির্মম হত্যাকান্ড
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের সেই অভিশপ্ত রাত সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। সেই রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ট্যাংক দিয়ে ঘিরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। একই সাথে হত্যা করা হয় আমাদের প্রিয় রাসেলকেও।

শেখ রাসেল কেন আমাদের বন্ধু
শেখ রাসেল কেন আমাদের বন্ধু? কিভাবে তিনি আমাদের বন্ধু হয়ে উঠলেন? তা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে রাসেলের ছোটবেলার দিনগুলোতে। তার ছেলেবেলার দিনগুলো সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তার অধিকাংশই ছিল শিশু বয়সে নিষ্পাপ আভোলা কর্মকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় টমি নামে একটি কুকুর ছিল যার সাথে ছোট রাসেল খেলে বেড়াতো। 

একদিন খেলার সময় কুকুরটি জোরে ডেকে উঠলে ছোট রাসেলের মনে হয় টমি তাকে বকছে। শিশুর রাসেল তার আপা রেহানার কাছে এসে কাঁদতে থাকেন। তার এই সরলতার কারণে সে আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠে।

উপসংহার
শেখ রাসেল বাঙালি জাতির কাছে যুবতীর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাঙালি জাতি তার মধ্যে খুঁজে পায় রূপকথার মত নিজেদের ছেলেবেলা।, শেখ রাসেলের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকে আপামর বাঙালির শৈশব। অন্যদিকে তার নির্মম মৃত্যুর কাহিনী বারবার মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশের করুন ইতিহাসের কথা। 

তার স্মৃতিকে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। শেখ রাসেল শিশু পরিষদ। এবং বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে শেখ রাসেল শিশু পার্ক। এই সবকিছুর মধ্যে দিয়ে রাসেল আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে আজীবন।

শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন

অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুরা আছো তোমরা যারা শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন জানতে চাও। আজ আমি তোমাদের জন্য এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর জানাবো। যা তোমাদের শেখ রাসেলস প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। 
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হিসেবে এই প্রশ্নগুলো আসে। তাই তোমাদের যদি এই প্রশ্নগুলো জানা থাকে তাহলে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাবে আশা করা যায়। চলো তাহলে আর দেরি না করে প্রশ্ন সম্পর্কে জেনে নেই।

শেখ রাসেলের আদি নিবাস কোথায়?
উত্তর: গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়।

শেখ রাসেলের জন্মের আগে মুহূর্তগুলো কেমন ছিল?
উত্তর: ভীষণ উৎকণ্ঠার।

শেখ রাসেলের নাম রাসেল কে রেখেছিলেন?
উত্তর: তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান।

শেখ রাসেলের কয়জন ভাই বোন ছিলেন?
উত্তর: শেখ রাসেলের দুই বোন ও দুই ভাই ছিলেন।

শেখ রাসেল কে ছিলেন?
উত্তর: স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠপুত্র হলো শেখ রাসেল।

শেখ রাসেলের বড় দুই বোনের নাম কি?
উত্তর: শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

শেখ রাসেলের কয়জন বড় ভাই ছিলেন?
উত্তর: দুই জন

শেখ রাসেলের কয়জন বড় বোন ছিলেন?
উত্তর: দুই জন।

শেখ রাসেল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতেন?
উত্তর: ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজে

শেখ রাসেলের বড় দুই ভাইয়ের নাম কি?
উত্তর: শেখ রাসেলের বড় দুই ভাই হল শেখ কামাল ও শেখ জামাল।

শিক্ষাজীবন শুরু হয় কত বছর বয়সে শেখ রাসেলের?
উত্তর: চার বছর বয়সে

শেখ রাসেল মৃত্যুর আগে কোন শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন?
উত্তর: চতুর্থ শ্রেণীতে।

শেখ রাসেল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর।

শেখ রাসেল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনাকে শেখ রাসেল কি বলে ডাকে?
উত্তর: হাসু আপা।

রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উত্তর: শেখ হাসিনা।

শৈশব থেকে শেখ রাসেল কেমন প্রকৃতির ছিলেন?
উত্তর: শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন।

শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১৯৮৯ সালের ২০ শে ফেব্রুয়ারি তারিখে।

আমাদের“ছোট রাসেল সোনা” বইটি লিখেছেন কে?
উত্তর: শেখ হাসিনা।

শেখ রাসেলের দুরন্ত পনার সঙ্গী কি ছিল?
উত্তর: তার বাইসাইকেল।

আমাদের ছোট রাসেল সোনা বইটি কোথায় প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশ শিশু একাডেমী।

শেখ রাসেল কে কত সালে হত্যা করা হয়?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে।

শেখ রাসেল কত বছর বয়সে নিহত হন?
উত্তর: ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন বয়সে নিহত হন।

শেখ রাসেলের পিতার নাম কি?
উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান।

শেখ রাসেলের শিক্ষিকার নাম কি ছিল?
উত্তর: গীতালি দাস গুপ্তা।

শেখ রাসেলের দাদার নাম কি?
উত্তর: শেখ লুৎফর রহমান।

শেখ রাসেলের দাদির নাম কি?
উত্তর: সায়রা খাতুন

শেখ রাসেলের মায়ের নাম কি?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

শেখ রেহানাকে শেখ রাসেল কি বলে ডাকতেন?
উত্তর: দেন আপু।

শেখ রাসেল কাকে অভিমান করে আব্বা আব্বা বলে ডাকে?
উত্তর: তার মাকে।

শেখ জামাল ও শেখ কামাল সম্পর্কে তারা শেখ রাসেলের কি হয়?
উত্তর: আপন বড় ভাই।

স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল রচনা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের বিষয় হল স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল রচনা। আশা করছি রচনাটি পড়লে তোমরা পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাবে। চলো আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই আমাদের প্রিয় শেখ রাসেলের স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল রচনাটি।

ভূমিকা
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে অনেক বড় বড় ব্যক্তির নাম। কিন্তু সম্মানিত ব্যক্তির নামের তালিকা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান সবার উপরে। তিনি স্বাধীন বাংলার স্থাপত্য। তিনি মহিমাময় রাজনীতির কবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম একটি আদর্শ। তাই বাঙালি জাতি তাকে জাতির জনক হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। 

তিনি বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গর্ব ও অহংকারের প্রতীক তেমনি শেখ রাসেল ও আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক। শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধু বংশের শুধু প্রদীপ নয় সে ছিল বাঙালি জাতির প্রদীপ এবং এই বাংলার একটি নক্ষত্র।

রাসেলের জন্ম
তখন হেমন্তকাল সময়টা ১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সাল। নতুন ফসলের উৎসবে আগমন নতুন অতিথি। এ যেন বাঙালির আনন্দ, বাংলার আনন্দ। ধানমন্ডির সেই ঐতিহাসিক ও ৩২ নম্বর রোডের বাসায় শেখ হাসিনার রুমে রাত দেড়টার সময় শেখ রাসেলের জন্ম হয়। 
রাসেলের আগমনে পুরো বাড়ি জুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছিল। একটু বড়সড়ো হয়েছিল শিশুর রাসেল। জন্মের কিছুক্ষণ পর পরিবারের সবাইকে রাসেলের কথা জানানো হয়। পরে শেখ হাসিনা এসে ওড়না দিয়ে ভেজা মাথা পরিষ্কার করে দেয়।

রাসেলের নামকরণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রন্ড রাসেলের ভক্ত। তার অনেক বই তিনি পড়েছেন।বার্ট্রন্ড রাসেল কেবলমাত্র একজন দার্শনিক ছিলেন না বিজ্ঞানী ও ছিলেন। পারমাণবিক যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের একজন বড় মাপের নেতাও। বিশ্বশান্তির রক্ষার জন্য বার্ট্রন্ড রাসেল গঠন করেছিলেন-কমিটি অফ হ্যান্ডয়েড। 

রাসেলের জন্ম এ দুই বছর পূর্বেই ১৯৬২ সালে কিউবা কে কেন্দ্র করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং সোভিয়েতের প্রধানমন্ত্রী ক্রসেফ এর মধ্যে কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছিল। যেটিও যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। তখনই বিশ্ব মানবতার প্রতীক হয়ে অভিভূত ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রন্ড রাসেল। আর তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধু তার কনিষ্ঠপুত্র এর নামকরণ করেন রাসেল।

প্রাথমিক জীবন
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ই অক্টোবর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ভাই বোনের মধ্যে অন্য একজন হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা, শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

হত্যাকান্ড
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট প্রত্যুষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাংক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে। শেখ মুজিব তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়। 

শেখ মুজিবর এর নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারী সহ রাসেলকে অভ্যূত্থানকারিরা তাকে আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশুর রাসেল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেছিলেন আমি মায়ের কাছে যাব। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিদ্ধ করেছিলেন আমাকে হাসো আপার কাছে পাঠিয়ে দাও।

শেখ রাসেল কেন আমাদের বন্ধু
বঙ্গবন্ধুর ভাষায় একটি পোষা কুকুর ছিল নাম তার টমি। টমি সবার সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব ছিল। ছোট রাসেলকে নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ টমি ঘেউ ঘেউ করে ডেকে ওঠে তখন রাসেল ভয় পেয়ে যান। কাঁদতে কাঁদতে শেখ রেহানার কাছে এসে বলে টমি আমাকে বকা দিয়েছে। তার কথা শুনে বাসার সবাই তো আত্মহারা তো আমি আবার কিভাবে বকা দিল। 

কিন্তু রাসেলের বিষয়টা খুব গভীরভাবে নিয়েছিল। আমি তাকে বকা দিয়ে ছিল এটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কারণ টমি কে সে খুব ভালবাসত, হাতে করে খাবার দিত। সে নিজের পছন্দমতো খাবারগুলো টমিকে ভাগ করে দেবে কাজেই সেই তো আমি বকা দিলে রাসেল তো দুঃখ পাবেই। এরই মধ্যে জন্ম হয় শেখ হাসিনার পুত্র জয়ের। 

রাসেল জয়কেপে মহা খুশি সে তার নতুন একসঙ্গে পেয়েছে। সারাটা সময় জুড়ে জয়ের সাথে মিশে থাকত রাসেল। পি মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় কিন্তু রাসেল তার নিজেকে নিয়ে চিন্তা নেই তার সমস্ত চিন্তা জয়ীকে নিয়ে কারণ তাদের বাসার ছাদে ব্যাংকারের মেশিন বসানো ছিল। ফলে দিনরাত গোলাগুলিতে প্রচন্ড আওয়াজ হয় বারবার কেপে কেঁপে উঠতো। 

আর এ ব্যাপারে রাসেল খুবই সচেতন ছিল যখন আকাশ মেঘের মতো আওয়াজ হতো রাসেল তুলা নিয়ে এসে রাখতো। রাসেলের মাছ ধরার খুব শখ ছিল কিন্তু সে মাছ ধরে আবার পুকুরে ছেড়ে দিত। উদ্দেশ্য মজা। আসলেই এটা তার খেলা। সুতরাং পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাণীর প্রতি এরকম আকৃতি ভালবাসা তাকে করেছে আমাদের সকলের বন্ধু।

শেখ রাসেলের চঞ্চলতা
শেখ রাসেল ছিলেন ভীষণ দুরন্ত। তার দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাইসাইকেল। তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই সাইকেলে করে স্কুলে যেতেন। পাড়ার ৮-১০ জন সাধারণ ছেলের মত।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবার একটি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন একজন আদর্শ মাতা। তিনি তার সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় মানুষ করেছেন, দিয়েছেন মানবিক গুণাবলীও। ঠিক তেমনি ভাবে শেখ হাসিনার মাঝে অনুরূপ গুণাবলী প্রতিমান। 

তিনি তার সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা আর মানবিক গুণাবলী দিয়ে জয় পুতুলকে গড়ে তুলেছেন। শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে আজকে ৫৫ বছরের মানুষটিও হতেন এক অনন্য গুণাবলীর ব্যক্তিত্ব। 

বঙ্গবন্ধুর আত্ম স্বীকৃত খুনিরা শুধু জাতির পিতা কে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার চিহ্নটুকু নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। আর তাদের ওই ভিন্ন অপচেষ্টা যে শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবষিত হয়েছে এটি আজ প্রমাণিত।

উপসংহার
রাসেল তার বাবাকে কাছে পাবার সুযোগ খুব কমই পেয়েছে। তাই বাবাকে যখন কাছে পেতেন সারাক্ষণ তার পাশে ঘুরাঘুরি করত। খেলার ফাঁকে ফাঁকে বাবাকে এক পলকের জন্য হলেও দেখে আসতো।

রাসেল যদি শিশু বয়সে মৃত্যু না হতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর মত বাঙালি জাতির পিতা হিসেবে রাসেলের স্থান পেত। সুতরাং রাসেলের বাল্যজীবন থেকে শিক্ষা পেতে পারি যে আমাদের রাসেল ছিল প্রকৃত বন্ধু এবং বাঙালি জাতির মহানায়ক।

শেখ রাসেল এর উপর রচিত গ্রন্থ

অনেকেই আছো যারা শেখ রাসেলের উপর রচিত গ্রন্থ সম্পর্কে জানতে চাও। তাদের জন্য আমাদের এই পর্বটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকলকে নিয়েই বই লেখা আছে। তবে সবচেয়ে বেশি বই লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে। এছাড়াও প্রত্যেক সদস্যের জীবনী নিয়েই বই লেখা রয়েছে। 

তেমনি শেখ রাসেলকে নিয়েও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচিত হয়েছে। শেখ রাসেলকে নিয়ে শেখ হাসিনা একটি বই লিখেছেন যার নাম আমাদের ছোট রাসেল সোনা। শেখ হাসিনা ছাড়াও আরো অনেক গুণী লোকেরা শেখ রাসেলকে নিয়ে বই লিখেছেন। তাহলে এবার জেনে নেই শেখ রাসেলকে নিয়ে রচিত গ্রন্থগুলোর নাম সম্পর্কে।
  • আমাদের ছোট রাসেল সোনা লিখেছে শেখ হাসিনা।
  • ছোটদের শেখ রাসেল লিখেছে রফিকুজ্জামান হুমায়ুন।
  • স্মৃতির মনিকোঠায় শেখ রাসেল লিখেছেন আবুল হাসান।
  • রাসেল এর গল্প লিখেছেন বেবি মওদুদ।
  • শেখ রাসেল এর জীবন কথা লিখেছেন ড. সুলতানা মাহমুদ।
  • রাসেলের দিনগুলি লিখেছেন শেখ সাদী।
  • শেখ রাসেলের গল্প আহমেদ রিয়াজ।
  • বাঙালির হৃদয়ে শেখ রাসেল লিখেছেন ড. অনু মাহমুদ।
  • শেখ রাসেল কুড়িতেই ঝরে যাওয়া ফুল লিখেছেন ড.অজিত দাস
উপরে উল্লেখিত রচিত গ্রন্থগুলো ছাড়াও শেখ রাসেলকে নিয়ে আরো অসংখ্য গ্রন্থ লেখা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হয়তো আরও অনেক গ্রন্থ আসবে সে রাসেলকে নিয়ে।

শেখ রাসেল সম্পর্কে ছোট গল্প

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের সঙ্গে আজ শেখ রাসেল সম্পর্কে ছোট গল্প নিয়ে আলোচনা করব। তোমরা অনেকেই আছো যারা আছে ক্লাসের সম্পর্কে গল্প জানো না। আজ যদি এই গল্পটি তুমি পড়ো তাহলে হয়তো তোমার ছোটবেলার সাথে মিলে যেতে পারে অনেক কিছু। তাই আর দেরি না করে চলো শেখ রাসেল সম্পর্কে গল্প জেনে নেই।

শেখ পরিবারে ১৮ অক্টোবর জন্ম নিল ফুলের মত কমলমতি ছোট এক শিশু। আজ তোমাদের একটি গল্প শোনাবো, তোমাদেরই মতো এক ছোট্ট বন্ধুর গল্প। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। ধরতে গেলে দেখা হয়নি পৃথিবীর তেমন কিছুই, কেবল নিজের চারপাশ একটা মুক্ত আকাশ, মাথার উপর উড়ে যাওয়া কয়েকটি হলুদ পাখি ছাড়া। 

তোমাদের মত তারও ছিল এক দুরন্ত শৈশব, হাসতো, খেলতো, গল্প করত। বাবা তার দেশের কাজে ভীষণ ব্যস্ত, মিটিং, মিছিল কখনো আবার বদ্ধ জেলখানা। তাই বাবাকেও কাছে পেত না তেমন বেশি। তোমরা বাবার সাথে কত মজা কর তাই না? সেও অবশ্য করতো, তবে তোমাদের মত সারাক্ষণ বাবাকে এত কাছে পেত না। এজন্য সে কি করতে জানো? 

মাঝে মাঝে মাকেই বাবা বলে ডাকত! বাবাকে কাছে না পেলে কি আর করার আছে বলো? ভাবছো কার গল্প বলছি? বলছিলাম শেখ রাসেলের কথা, আমাদের শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল। চিনেছ নিশ্চয়ই, রাসেলকে কে না চিনে বলো? রাসেল এতদিন বেঁচে থাকলে হয়ে উঠতো ৫০ বছরের এক পরিপক্ক মানুষ। 

অবশ্য বয়সের মাত্রা তেমনটা পেরে উঠতে পারেনি রাসেল ।ঘাতকের বুলেট স্তব্ধ করে দিয়েছে তার দুরন্ত পথচলা। মুখ ফোটা হাসি, সে কথা অজানা নয় তোমাদের কারো। তাও প্রায় ৪৯ বছর হলো, সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। কত দীর্ঘ সময়, কেমন দ্রুত চলে যায়, আবার কেমন যেন আটকে থাকে ঠিক সেই একই জায়গায়। 

সেই জন্যই হয়তো আজ আবার ১৫ ই আগস্ট, ১৯৭৫ নয়, ২০২৪।৪৯ টা বছরের পার্থক্যই শুধু। এই ৪৯ বছরে অবশ্য পাল্টে গেছে পৃথিবীর অনেক কিছুই, মুছে গেছে রাসেলের গা থেকে চুইয়ে পড়া তাজা রক্তের দাগ। তবুও কেন যেন মনে হয় রাসেল আজও আছে, এইতো বাতাসে ডাক ভাসছে তার অকৃত্রিম হাসি, ই তো সে তার মাকে বাবা বলে ডাকছে। 

খুব মন খারাপ লাগছে তাইনা? লাগবেই তো। এত সুন্দর ফুটফুটে একটা ছেলে,কে যার বয়স নাকি মাত্র ১০ বছর তাকে মানুষ কেমনে খুন করতে পারে। খুনিরা মনে হয় জানোয়ারই হয়। মানুষ থাকলে তো এটা কখনোই সম্ভব নয়। রাসেল বুঝত না রাজনীতির কিছুই, কিন্তু তাকেই কি না হতে হলো রাজনীতির বলি।

তার বাবা রাজনীতি করতেন, তাতে রাসেলের কি দোষ ছিল? কোন দোষ না থাকা সত্ত্বেও তার স্বপরিবারের সাথে তাকেও শেষ করে দেওয়া হল। এভাবেই তার ছোট্ট জীবনের অবসান ঘটলো।

শেখ রাসেলের জীবন বৃত্তান্ত

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। শেখ রাসেল ১৮ই অক্টোবর ১৯৬৪ সালে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। রাসেলের জন্ম তার বড় বোন শেখ হাসিনার বেডরুমে। শেখ রাসেল জন্মের পর সারা বাড়ি আনন্দে ভরে ওঠে। কারণ দুই বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বশেষ বা সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। 

শেখ রাসেলের পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মাতার নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে শেখ রাসেল সহ সপরিবারে হত্যা করা হয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি নির্মমভাবে মারা যান। তার অপরাধ ছিল তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে ছিলেন। দুর্বৃত্তদের হাতে এই নির্মম হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ রাসেল ছিলেন এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তার দেশ প্রেম উৎসর্গ এবং ত্যাগ দেশের স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে এবং প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। শেখ রাসেল বাঙ্গালীদের কাছে এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বীর ও আশার প্রতীক হিসেবে।

লেখকের মন্তব্য - শেখ রাসেল রচনা

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো শেখ রাসেল রচনা প্রতিযোগিতা,শেখ রাসেল রচনা ১০০ শব্দ, শেখ রাসেল রচনা ৫০০ শব্দ, শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন, স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল রচনা, শেখ রাসেলের উপরে রচিত গ্রন্থ, শেখ রাসেল সম্পর্কে ছোট গল্প ও শেখ রাসেলের জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। 

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url