শবে বরাতের ফজিলত - শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
নবীজির রওজা শরীফ জিয়ারতশবে বরাত হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় রজনী হিসেবে পরিচিত। শবে বরাতের মহান আল্লাহ তায়ালা তার রহমতের দার উন্মুক্ত করে দেন। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো শবে বরাতের ফজিলত - শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস।
মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ফজিলত পূর্ণ রাত গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় হল শবে বরাত। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শবেবরাত সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক শবেবরাত সম্পর্কে ফজিলত ও হাদিস সমূহ।
শবে বরাতের ফজিলত - ভূমিকা
মহান আল্লাহ তায়ালা মধ্য সাবানের রাতে তার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। এই রাতে মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করে দেন। শবে বরাত সম্পর্কে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হল-
শবে বরাতের ইতিহাস,শবে বরাত কবে 2024,শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস,শবে বরাতের ফজিলত,শবে বরাত কি বিদআত সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শবে বরাতের ইতিহাস
আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করছি যারা শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই আলোচনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে। মহা ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় রাত লাইলাতুল বরাত।
শবেবরাত একটি ফরাসি শব্দ তবে সবে অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্য। সেই হিসাবে শবে বরাতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত্রি। এই রাত মুসলিম জাতির ভাগ্য রজনী বা শবে বরাত। এই রাত্রিকে পবিত্র শবে বরাত হিসেবে পালন করবে মুসলিম উম্মাহ। মানুষ সৃষ্টি করার আগে মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর ফেরেশতাদের ডেকে বললেন, আমি মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠাতে চাই।
তখন ফেরেশতাগণ বললেন, ইয়া রাব্বুল আলামিন কেন মানুষ সৃষ্টি করবেন, আমরা তো আপনার ইবাদত করছি। মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠালে তারা সেখানে গিয়ে ঝগড়া বিবাদ, মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকবে। তবুও অনেক মহাব্বত করে মহান রাব্বুল আলামিন ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন।
আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। পৃথিবীতে যখন মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আল্লাহতালা সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির সূচনা লগ্নে মানুষের বয়স ছিল ১০০ থেকে ২০০ বছর। তখনকার মানুষ ১০০ থেকে ২০০ বছর বেঁচে থেকে তারা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করে সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।
কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উম্মত গণের বয়স কম করে দিয়েছেন। আগে যেখানে মানুষ ১০০ থেকে ২০০ বছর বেঁচে থেকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করেছে সেখানে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর গান ৬০ থেকে ৮০ বছর বেঁচে থেকে কিভাবে আগেকার মানুষের মত ইবাদাত বন্ধ কি করবে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করবে।
সেই জন্য হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উম্মত গনের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন কয়েকটি রজনী, পর্ব বা উপলক্ষ দান করেছেন। এই রজনী গুলোতে নানা রকম ইবাদত বন্দেগী করবে তাহলে আগেকার উম্মত গনের মত হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উম্মাত গণ পূর্ণ লাভ ও মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবে।
যে সকল রজনী, পর্ব বা উপলক্ষ পূর্ণ আন্তরিকতার সহিত পালনকর্তার বন্দেগি কি করে ৬০ থেকে ৮০ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে পূর্বকালের শত সহস্র দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত ব্যক্তিগণের সমান নেকি ও সওয়াব লাভ করতে পারবে। এইসব রজনী, পর্ব বা উপলক্ষর মধ্যে গুরুত্ব ও ফজিলত এর দিক দিয়ে যার স্থান দ্বিতীয় বা রমজানের পরই যে পর্ব বা উপলক্ষ প্রতিবছর শাবান মাসে আমাদের নিকট এসে থাকে।
চন্দ্র মাসের অষ্টম মাস সাবান, সাবানের চাঁদ এমন একটি ফজিলত পূর্ণ ও বরকত ময় রাত আছে সেই রাতে ইবাদাত বন্দেগী করলে অসীম সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। সেই রাতটির নাম লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। আজ ১৪ ই সাবান দিবাগত রাত্রি সেই ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় রাত শবে বরাত।
এই রাত্রে গুনাগার বান্দারা আল্লাহ তালার দরবার থেকে ক্ষমতা লাভ করবে বলে এই রাতের নাম লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নামকরণ করা হয়েছে। এই নাম হতে এই রাতের ফজিলত ও গুরুত্বের বিষয় অতি সহজে বোঝা যায়।
এই সম্পর্কে পবিত্র আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল পাক (স.) শাবান মাস সম্পর্কে এত বেশি খেয়াল রাখতেন যে রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন মাস সম্পর্কে ততটা খেয়াল রাখতেন না। নবী করিম (স.) আরো বলেছেন, রমজানের জন্য তোমরা সাবান চাঁদের হিসাব রাখো। কারণ সাবানের চাঁদের হিসাব নির্ভুল বা সঠিক হলে রমজানের চাঁদের হিসাব হতে অসুবিধা হবে না।
হযরত আয়েশা সিদ্দীক (রা.) হতে বর্ণিত আছে, একদা রাত্রে আমি হযরত মুহাম্মদ (স.) কে বিছানায় দেখতে না পেয়ে তার খোঁজে বাহির হই। তিনি তখন জান্নাতুল বাকী নামক কবরস্থানে ছিলেন। তিনি বললেন আমার নিকট জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেন যে আজ সাবানের ১৫ রাত এই রাতে আল্লাহ তায়ালা গুনাগার বান্দাকে মাফ করে দেন।
যতগুলি লোক বনি কল গোত্রের পালের মধ্যে ছাগ পালের গায়ে রয়েছে। ঐতিহাসিকগণের মতে, ঐ গোত্রের পালের মধ্যে কুড়ি হাজার এর বেশি বকরি ছিল। কিন্তু যারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, নিজেদের বাবা-মায়ের সাথে নাফরমানি করে, যারা অন্যের প্রতি ঈসা পোষন করে,
যারা পায়ের গাটের নিচ পর্যন্ত পায়জামা বা লুঙ্গি পরিধান করে তারা এই ব্যাপক ক্ষমা লাভের রাতেও আল্লাহ তায়ালার রহমত ও ক্ষমা লাভ করতে পারবে না। অন্য একটি রেওয়াতে বর্ণিত আছে, শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমগ্র সৃষ্টি কুলের প্রতি বিশেষ রহমত ও নেকির নজরে তাকান এবং যাকে খুশি তাকে মাফ করে দেন। এবং বান্দা যা চায় তাই দেন।
শবে বরাত কবে 2024
শবে বরাত কবে 2024 সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। কারণ শবে বরাতে মানুষ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ইবাদত করে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। এবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে শবে বরাত কবে সেই সম্পর্কে জানতে অনেকেই সার্চ করে খোঁজাখুঁজি করেন। তবে আপনি শবে বরাত কবে সেই সম্পর্কে জানতে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
এ বছর দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে রোববার অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারিতে। হিজরী শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে ১১ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রোজ রবিবার। সোমবার অর্থাৎ ১২ ই ফেব্রুয়ারি থেকে সাবান মাস গণনা শুরু হয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে অর্থাৎ সাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে।
বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাশেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ বিষয়ে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস জানা সকলেরই উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে শবে বরাত নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং অতিরিক্ত ছাড়াছাড়ি এই দুইটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই চলুন আমরা জেনে নেই শবে বরাত সম্পর্কে সহিহ দুইটি হাদিস সম্পর্কে।
১. হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তালা আনহু নবী আকরাম (স.) হতে হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ তায়ালা সাবান মাসের ১৫ তম রজনীতে নিজের সৃষ্টি জগতের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সকল মাখলুকের মাগফিরাত করে দেন অর্থাৎ সাধারণ ক্ষমা করে দেন।
আরও পড়ুনঃ নফল নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন
২. শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে দ্বিতীয় সহি হাদিস হলো-হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, নবী করিম (স.) বলেছেন আল্লাহ তাআলা শাবান মাসের মধ্য রজনীতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সকলকেই ক্ষমা করে দেন।
শবে বরাতের ফজিলত
অনেকেই আছেন যারা শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান। আজ আমি আপনাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বে শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করছি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আপনাদের আর কোন ভুল ধারণা থাকবে না শবে বরাতের ফজিলত নিয়ে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে।
আসলে হাদিসে শবে বরাত নামের কোন শব্দ নেই। আছে লাইলাতুন নিসফুম মিনাস শাবান অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্যে রজনী। বর্তমান সময়ে অনলাইন এবং অফলাইনে কিছু মানুষ রয়েছে যারা শবে বরাত নিয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল শবে বরাত নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় অর্থাৎ শবে বরাত কে লাইলাতুল কদরের উপরে নিয়ে চলে যায়।
অন্য আরেকটি দল শবে বরাত নিয়ে একেবারেই ছাড়াছাড়ি পর্যায়ে, অর্থাৎ তারা বলছে শবে বরাতের কোন কিছুই করা যাবে না। আসল কথা হল দুই দলই চরমপন্থী। তাই এখন আমরা জানব শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে। শবে বরাত নিয়ে হাদিসে অনেক আলোচনা রয়েছে। চলুন আমরা জেনে নেই এর মধ্যে থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতপূর্ণ আলোচনা সম্পর্কে।
আসলে হাদিসে শবেবরাত নামে কোন শব্দ নেই, আছে “লাইলাতুন নিসফুম মিনাস শাবান” অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্যে রজনী। এখন আমরা জানব শাবান মাস আসলে কি? নবী সাল্লাল্লাহু (স.) রমজান মাসের পর যে মাসে রোজা রাখতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সেই মাসের নাম হলো সাবান।
আয়েশা (রা) বলতেন শাবান মাস আসলে নবী (স.) এত বেশি বেশি রোজা রাখতেন যে মনে হতো তিনি রোজা ছাড়বেনই না, সারা মাস রোজা রেখে ফেলবেন তিনি। শাবান মাসে খুব বেশি রোজা রাখতেন নবী (স.)। কারণ এমনিতেই শাবান মাস বরকত ময় এবং এই মাসে আল্লাহ পাক তার রহমতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
নবী কারীম (স.) এই মাসকে তাজিম করতেন। শাবান মাসের সম্মানার্থে, সাবান মাসে আল্লাহর রহমত বরকতে র স্বার্থে নবী কারীম (স.) এই মাসে বেশি বেশি রোজা রেখেছেন। অর্থাৎ শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা সুন্নত। তাই আপনি যদি মুকিম হন, শরীর সুস্থ থাকে, মুসাফির না, আপনার সুস্থতা আছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে তাহলে আপনি চেষ্টা করবেন সাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার।
শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা আমাদের প্রিয় নবী কারীম (স.) এর সুন্নত। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ হলো আপনি যেন রমজান মাসে আপনি যেন পরিপূর্ণ ইবাদত করতে পারেন। কারণ রমজান মাসে গিয়ে শুরুতেই সব ইবাদত ধরে ফেলা সকলের পক্ষে সম্ভব হবে না, তখন আপনাকে বেক পেতে হবে।
তাই শাবান মাস থেকে ইবাদাত শুরু করলে রমজান মাসের ইবাদত আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। শাবান মাসে রোজা রাখা ও ইবাদত করার এটাও একটা কারণ। আমাদের নবী কারীম (স.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন এবং ইবাদত করতেন।
শাবান মাস সম্পর্কে নবী কারীম (স.) আরো একটি হাদিস বলেছেন তা হল, “শাবান মাসের মধ্যে রজনীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি প্রশস্ত করেন। এবং আল্লাহ পাক তার সমস্ত সৃষ্টিকে মাফ করে দেন। শুধুমাত্র মুশরিক অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে, এবং মুসাহিরিন অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্তরে মানুষের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে।
এই দুই শ্রেণীর মানুষ ছাড়া আল্লাহপাক সমস্ত মানুষকে মাফ করে দেন”।এটা হল শবে বরাতের রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত।এই হাদিসটা সহ অনেক হাদিসে একই রকম কথা এসেছে এবং এই হাদিসটা হল বিশুদ্ধ হাদিস। এই হাদীসটি যদি অস্বীকার করেন তাহলে হাদিস অস্বীকারকারী হয়ে যাবেন।
শবে বরাত কি বিদআত
অনেকেই আছেন যারা শবে বরাত কি বিদআত নাকি সে সম্পর্কে জানতে চান। আজ আর্টিকেলের এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো শবে বরাত বিদআত কিনা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই শবে বরাত বিদআত কিনা সেই সম্পর্কে। শবেবরাত উপলক্ষে কোন আনুষ্ঠানিকতা করা যেমন, শিন্নি দেওয়া, হালুয়া বিতরণ করা ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতায় বিদআত।
সমাজে প্রচলিত আছে যে, আমাদের নবীজির শাবান মাসে ওহুদের যুদ্ধে দাঁত ভাঙার কারণে তিনি হালুয়া খেয়েছে সেই সূত্র ধরে কিছু লোক হালুয়া রুটি বিতরণ করে এবং নিজেরা খায়। তবে এটা জানা জরুরী যে ওহুদের যুদ্ধ শাবান মাসে হয়নি। এই কাজটি করা সম্পূর্ণরূপে বিদআত। শবেবরাত কেন্দ্রিক রাত্রিযাপন এবং দিনে ইবাদত এগুলো কোনটাই বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
তবে বিভিন্ন হাদিস দ্বারা এটা বোঝা যায় যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হিংসুক এবং শিরককারি ছাড়া বাকিদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। শাবান মাস যেহেতু নফল রোজার মাস সেহেতু অন্যান্য দিনের মতো শবে বরাতের দিনও রোজা রাখতে পারেন তবে শবে বরাত উপলক্ষে রোজা রাখা এটা কোন বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
লেখকের মন্তব্য - শবে বরাতের ফজিলত
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা শবে বরাতের ইতিহাস,শবে বরাত কবে 2024,শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস,শবে বরাতের ফজিলত,শবে বরাত কি বিদআত সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url