স্পট ট্রেডিং কি হারাম - ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল
ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানুনক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা নেই। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো স্পট ট্রেডিং কি হারাম - ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল সেই সম্পর্কে।
স্পট ট্রেডিং বা ফরেক্স ট্রেডিং মুসলমানদের জন্য হারাম নাকি হালাল সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। বাংলাদেশে এর বৈধতা না থাকলেও এর প্রতি অনেকের আগ্রহ আছে।
পোস্ট সূচীপত্রঃএই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
স্পট ট্রেডিং কি হারাম - ভূমিকা
বর্তমান সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে। যদিও বাংলাদেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি বা বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ। তবুও অনেকেই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই যে বিটকয়েন হারাম নাকি হালাল সেই সম্পর্কে।
তাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিটকয়েন সম্পর্কে বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে চলুন জেনে নেই সেগুলো-ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ,বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম,স্পট ট্রেডিং কি হারাম,বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম,বিটকয়েন কি,ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল,ক্রিপটোকারেন্সি থেকে আয়,স্ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার সেই সম্পর্কে । বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ
আপনি কি ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। আর্টিকেলের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে। বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটুকু বৈধ এবং অবৈধ সে সম্পর্কে আর্টিকেলের এই পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি কি জানেন ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশে কতটুকু বৈধ ভাবে চলে। তাহলে চলুন জেনে নেই, ক্রিপ্ত কারেন্সি বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ একটি বিনিয়োগ ব্যবসা।আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষ এটিকে বিনিময় এর মাধ্যম হিসেবে চেনেনা বা স্বীকার করে না।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
এবং সরকারিভাবেও এই বিটকয়েন অনুমোদিত নয়। বরং সরকারিভাবে বিটকয়েন নিষিদ্ধ। সরকার যে সকল নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-বিধান দিয়ে থাকে, সেই বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে যদি শরীয়তের কোন বিধান লঙ্ঘন না হয় তাহলে সরকার এবং রাষ্ট্রের এ সকল বিধিবিধানগুলো মান্য করা এবং এর আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে থাকে।
সুতরাং যেহেতু বিটকয়েন লেনদেন করা এবং এই বিষয়ে ক্রয়-বিক্রয় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে কাজেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত।
বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এই নির্দেশনা অমান্য করে লেনদেন অথবা মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে এটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ যার কারনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আশা করছি আপনারা ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম
বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সেই সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজ আর্টিকেলের এই পর্বে বিটকয়েন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামে বেশ কিছু ব্যবসা সম্পর্কে নিষেধ রয়েছে। তবে অনেকেই জানেনা বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে। বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিটকয়েনের লেনদেন শরীয়ত সম্মত কিনা তা নির্ভর করবে বিটকয়েন শরীয় দৃষ্টিতে মুদ্রা কি না এটা নির্ধারণ করার ওপর। এজন্য আমাদের সবার প্রথমে জানতে হবে মুদ্রা কাকে বলা হয়। মুদ্রা হওয়ার জন্য কি কি বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন সে সম্পর্কে আগে জানতে হবে। অর্থনীতিবিদ এবং হুকাহাদের দৃষ্টিতে মুদ্রার চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই চারটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলে একটি জিনিস মুদ্রা সাব্যস্ত হতে পারে।
- ১. মুদ্রার প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে তা ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
- ২. কোন প্রকার দলিল প্রমাণ ছাড়া ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়া।
- ৩. যে জিনিস মুদ্রা হবে তার এই গুণ থাকতে হবে যে এর মাধ্যমে বস্তু সমূহের ভ্যালু সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
- ৪. যে জিনিস মুদ্রা তার মধ্যে এই গুণ থাকতে হবে যে বস্তু সমূহের ভ্যালু সহজে সংরক্ষণ করা যাবে।
সুতরাং এই আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কোন কিছুকে মুদ্রা বলতে হলে আগে দেখতে হবে যে তার মধ্যে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো আছে কিনা। কোন একটি বৈশিষ্ট্য যদি না থাকে তাহলে সেটি মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না।
বিটকয়েনের অন্তত আমাদের বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটি নেই। অর্থাৎ আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষ এটিকে বিনিময় এর মাধ্যম হিসেবে চেনেনা বা স্বীকার করে না। এবং সরকারিভাবেও এই বিটকয়েন অনুমোদিত নয়। বরং সরকারিভাবে বিটকয়েন নিষিদ্ধ।
সরকার যে সকল নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-বিধান দিয়ে থাকে, সেই বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে যদি শরীয়তের কোন বিধান লঙ্ঘন না হয় তাহলে সরকার এবং রাষ্ট্রের এ সকল বিধিবিধানগুলো মান্য করা এবং এর আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং যেহেতু বিটকয়েন লেনদেন করা এবং এই বিষয়ে ক্রয়-বিক্রয় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে কাজেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত।
তবে যে সকল দেশে এই বিটকয়েন মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবেও সেটির বৈধতা রয়েছে সেখানে বিটকয়েন এটি কারেন্সির মর্যাদা পাবে। এছাড়াও ডলার ও টাকার মত এটি স্বতন্ত্র মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং এর সাথে ডলার বা টাকার অন্য যে কোন মুদ্রা কম বেশি করে লেনদেন করা বৈধ হবে।
স্পট ট্রেডিং কি হারাম
অনেকেই জানতে চান স্পট ট্রেডিং কি হারাম সেই সম্পর্কে। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো স্পর্ট ট্রেডিং হারাম নাকি হালাল। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই স্পট ট্রেডিং কি হারাম সেই সম্পর্কে। তবে ইসলামে একটি কথা বলা হয়েছে তা হল,
এমন কোন কাজ করা যাবে না যা ইসলামের পরিপন্থী বা ইসলাম ধর্মকে বিনষ্ট করে এবং ইসলামের দেখানো পথ অনুযায়ী না চললে সেটি হারাম হিসেবে গণ্য হবে। এখন আমরা জানব ট্রেডিং বলতে আমরা কি বুঝে থাকি? একটি শেয়ার বা একটি কয়েন কম দামে কিনে বেশি দামে সেল করা বা বিক্রি করা।
কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দুই ধরনের ট্রেডিং হয় একটি স্পট ট্রেড আর একটা ফিউচার ট্রেড। আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা জানব স্পট ট্রেডিং হারাম নাকি হালাল সেই সম্পর্কে। স্পট ট্রেডিং এ সাধারণত আমরা ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার পর একটি কয়েন বাই অথবা সেল করে থাকি।
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
আমি এই স্পট ট্রেডিং কে একটি মুদি দোকানের ব্যবসার সাথে তুলনা করব। কেননা মুদি দোকান ব্যবসায় একজন ব্যবসায়ী কোন পণ্যবাদ দ্রব্য কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন। ধরুন একজন মুদি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ৫০ টাকা দরে সয়াবিন তেল কিনলো। ব্যবসায়ী মনে করছিল ৫০ টাকার তেল ৫৫ টাকায় বিক্রি করে ৫ টাকা লাভ করবে।
কিন্তু সরকার জনগণের সুবিধার জন্য তেলের দাম কমিয়ে ৪০ টাকা করল। এখন যদি মুদি ব্যবসায়ী ৫০ টাকার তেল ৪০ টাকায় বিক্রি করে তাহলে তার দশ টাকা লস হবে। কিন্তু এখানে মুদি দোকানের সুযোগ আছে। সুযোগটা হল যতদিন তেলের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকায় না যাচ্ছে সে তেল না বিক্রি করে হোল্ড করে রাখবে।
এবং যখন তেলের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা যাবে তখন বিক্রি করে ৫ টাকা লাভ করবে। এখানে দেখুন তেলের দাম ৫০ টাকার কম হলেও ব্যবসায়ী লস বা ক্ষতি হচ্ছে না আবার দাম ৫০ টাকার বেশি হলে বিক্রি করে লাভ করতে পারছে।
ঠিক একইভাবে স্পট ট্রেডিং এ আপনি কোন কয়েন কিনে যতদিন কয়েনের দাম আপনার প্রত্যাশিত দামের না যাচ্ছে ততদিন আপনার কয়েন হোল্ড করার সুযোগ আছে। এবং দাম বেড়ে গেলে আপনার প্রত্যাশিত দামে পৌঁছালে কয়েন বিক্রি করে লাভ নিবেন।
কিন্তু এই স্পট ট্রেডিং এ যদি কোন ইসলামবিরোধী অর্থাৎ শরীয়তের কোন নিয়ম লঙ্ঘন না হয় সেক্ষেত্রে স্পট ট্রেডিং করা যাবে। তবে যদি কোন হারাম জিনিস এতে জড়িত হয় তাহলে স্পট ট্রেডিং হারাম বলে গণ্য হবে। আশা করছি আপনারা স্পট ট্রেডিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম
অনেকেই জানতে চান বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম। বর্তমান সময়ে যেহেতু বিটকয়েনের প্রচলন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এর প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো বিটকয়েন মুসলমানদের জন্য হালাল নাকি হারাম।
বিটকয়েন সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা জেনে নেই বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম সেই সম্পর্কে।
যে সকল দেশে এই বিটকয়েন মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবেও সেটির বৈধতা রয়েছে সেখানে বিটকয়েন এটি কারেন্সির মর্যাদা পাবে। এছাড়াও ডলার ও টাকার মত এটি স্বতন্ত্র মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং এর সাথে ডলার বা টাকার অন্য যে কোন মুদ্রা কম বেশি করে লেনদেন করা বৈধ হবে।
কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষ এটিকে বিনিময় এর মাধ্যম হিসেবে চেনেনা বা স্বীকার করে না। এবং সরকারিভাবেও এই বিটকয়েন অনুমোদিত নয়। বরং সরকারিভাবে বিটকয়েন নিষিদ্ধ। সরকার যে সকল নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-বিধান দিয়ে থাকে,
সেই বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে যদি শরীয়তের কোন বিধান লঙ্ঘন না হয় তাহলে সরকার এবং রাষ্ট্রের এ সকল বিধিবিধানগুলো মান্য করা এবং এর আনুগত্য করা ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং যেহেতু বিটকয়েন লেনদেন করা এবং এই বিষয়ে ক্রয়-বিক্রয় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে কাজেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিটকয়েন হারাম বলে গণ্য হবে। আশা করছি বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিটকয়েন কি
আপনি কি বিটকয়েন কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো বিটকয়েন কি সে সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই বিটকয়েন আসলে কি।
বিটকয়েন হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি। ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্টো গ্রাফিক প্রটোকলের মাধ্যমে বিটকয়েনের লেনদেন হয়। পেয়ার টু পেয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকে। এর ফলে লেনদেনের জন্য কোন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান কিংবা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এক বিটকয়েনের মূল্য বাংলাদেশি ৪৫ লক্ষ টাকারও বেশি। এটি এক ধরনের বিকেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা।
যেকোনো ব্যক্তি নিজের পরিচয় গোপন রেখে বিটকয়েন লেনদেন করতে পারে। লেনদেনের তথ্য ব্লক চেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। যদিও সে সকল তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়। বিটকয়েন এর মূল মন্ত্র হলো, সামান্য কিছু লোক মুদ্রা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে, মুদ্রা ব্যবস্থা কারো নিয়ন্ত্রণ না থাকাই ভালো।
বিটকয়েন কে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা হিসেবে মনে করেন। বিটকয়েন বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। আর এ কারণেই দিন দিন বাড়ছে বিটকয়েন এর ব্যবহার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে।
ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি, আইসল্যান্ড, স্পেন, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য জাপানের মত দেশগুলোও বিটকয়েনের লেনদেনকে বৈধ বলে মনে করেন। তবে বাংলাদেশ, মিশর, আলজেরিয়া ও মরক্কোসহ এ সকল দেশে এখনো বিটকয়েন নিষিদ্ধ। আশা করছি আপনারা বিটকয়েন টি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদিও এখানে সংক্ষেপে বিটকয়েন কি সেই সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল
ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজ আর্টিকেলের এই পর্বে আপনারা জানতে পারবেন ফরেক্স ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম সে সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই ফরেক্স ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম সে সম্পর্কে।
আপনি কি ব্রোকার ইত্যাদির মাধ্যমে অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং করতে পারেন। আপনি যদি শরীয়তের কোন নিয়ম ভঙ্গ না করেন, যদি আপনি শরীয়তে সমস্ত নিয়ম মেনে চলেন এবং যতদূর আপনি ব্যবসায়িক নিয়মের মধ্যে থাকেন এটা অনুমোদিত।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি বৈদেশিক মুদ্রা কেনেন, যদি আপনি আপনার ডলার বিনিময় করেন এবং পাউন্ড কেনেন পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরে স্টালিন পাউন্ডের দাম বেড়ে যায় এবং আপনি স্টারলিং পাউন্ড বিক্রি করেন এবং আপনার তুলনায় অনেক বেশি ডলার পান। এটির জন্য অনুমতি রয়েছে যতক্ষণ না এটি আপনার নিজের অর্থ দিয়ে ঘটনাস্থলেই করা হয়।
তবে আপনি যখন বিভিন্ন জিনিস জড়িত করে বৃহত্তর স্কেলে ফরেক্স ট্রেডিং করেন, অনেক ক্ষেত্রে এর সাথে অনেক হারাম জিনিস জড়িত থাকে। যতক্ষণ এটি আপনার টাকা এবং অন্য কোন হারাম জিনিস জড়িত না থাকে ততক্ষণ এটি বৈধ। তবে সাধারণত আপনি ফরেক্স ট্রেডিং করেন তখন অনেক হারাম জিনিস জড়িত থাকে।
আরও পড়ুনঃ সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্তির উপায় জানুন
উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি বই কিনলেন এবং আপনি কিছু অর্ধ প্রদান করেন এবং চুক্তিতে বিলম্ব করলেন যা হারাম। আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন কাউকে ঋণ দিলে সেখানে মুনাফা যুক্ত হতে পারবেনা, বা কারো কাছ থেকে ঋণ নিলে তাকে মুনাফা দিতে পারবে না তাই এটা হারাম হয়ে যায়।
ফরেক্স ট্রেডিং এর সাথে সম্পর্কিত অনেক কিছু রয়েছে যা হারাম বিশেষ করে যখন আপনি একটি বড় স্কেলে করেন। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত কোন হারাম জিনিস জড়িত না থাকে ততক্ষণ এটি অনুমোদিত তবে বেশিরভাগ সময় হারাম জিনিস জড়িত থাকে যখন এটি বড় আকারে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রচলিত বীমা হারাম কারণ এতে সুদ জড়িত।
এটা জুয়া জরিত তাই যদি জুয়া বা রিবা জড়িত না থাকে তবে টাক জায়েজ ।একইভাবে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করা হারাম নয় কিন্তু কখনো কখনো হারাম জিনিস অনলাইনেও যুক্ত থাকে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনি যদি ঘটনাস্থলে বিক্রয় করেন এবং বিনিময় করেন তবে এটি অনুমোদিত।
আপনি যদি এটি অনলাইনে করেন তবে আপনি ঘটনাস্থলে মুদ্রা পেয়ে যান এটি জায়েজ।যদি বিলম্ব হয় এবং যদি ভবিষ্যতে এটি জড়িত হয় এবং আপনি যদি ঋণ নেন এবং মার্জিন করেন তবে এটি হারাম হয়ে যায়। তবে সাধারণ বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যবসা করা এবং হারাম কার্যকলাপের সাথে জড়িত না হয়ে ঘটনাস্থলে মুনাফা করা জায়েজ।
ক্রিপটোকারেন্সি থেকে আয়
আপনি কি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। আমি আজ আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কিভাবে আয় করতে পারেন সেই সম্পর্কে। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেডিং করতে হবে। ক্রিপ্টো কারেন্সির একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ট্রেডিং। ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রয় ও বিক্রয় এর সাথে জড়িত এর লাভ লস।
যারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করে থাকে তারা ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন শনাক্ত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং মৌলিক বিশ্লেষণ বা উভয়ের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে থাকে যা তাদেরকে লাভজনক ব্যবসা করতে সহায়তা করে থাকে। আপনি নিশ্চয় ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয় করা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
স্ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার
আপনি কি ক্রিপোকারেন্সি কত প্রকার সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।আমি আজ আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার সেই সম্পর্কে। ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার।
সাধারণত বলা হয়ে থাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে একটি ব্ল্যাক চেইন ভিত্তিক অবকাঠামো দ্বারা ভাগ করা হয়ে থাকে। তবুও এদের মধ্যে কিছু আকর্ষণীয় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যদিও বলা যায় যে কৃপোকারেন্সিকে দুটি স্বতন্ত্র ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে যেমন:
- স্পট ট্রেড
- ফিউচার ট্রেড
এছাড়াও আরো কিছু রয়েছে যেগুলো কারেন্সির মধ্যে পড়ে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো-
লাইট কয়েন,ফেয়ার কয়েন,বিট কয়েন,মনেরো,ডগ কয়েন ও এথেরিয়াম
লেখকের মন্তব্য - স্পট ট্রেডিং কি হারাম
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ,বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম,স্পট ট্রেডিং কি হারাম,বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম,বিটকয়েন কি,ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল,ক্রিপটোকারেন্সি থেকে আয়,স্ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার সেই সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url