ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাঃআসছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে অনেক প্রতিষ্ঠান রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এ ধরনের আয়োজনে অনেক সময় ভাষা আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা রচনাটি লিখতে বলা হয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা
মাতৃভাষা বাংলার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের দামাল ছেলেরা যেভাবে তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো একুশে ফেব্রুয়ারি বা মাতৃভাষা দিবস।

পোস্ট সূচিপত্রঃভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা - ভূমিকা

ভাষা আন্দোলনে অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ছাত্রসমাজ। ছাত্র থেকে শুরু করে সকল পেশাজীবীরা এক হয়ে মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে। শেষ পর্যন্ত যখন ছাত্রদের উপর হামলা চলে এরপরই শুরু হয় ভাষা আন্দোলনের লড়াই। 

আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে একটি রচনা অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনাটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি রচনাটি পড়লে ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। তাই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা অনেকেই ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাও। আজ তোমাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা নিয়ে একটি রচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি রচনাটি পড়লে তোমরা উপকৃত হবে।

ভূমিকা
বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে সংগঠিত গণআন্দোলন। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। ফলে পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতার পর পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন জাগে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বভাসি বুদ্ধিজীবীরা বলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একমাত্র উর্দু। 
অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে দাবি ওঠে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা ভাষার এ দাবিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে। এর ফলে ঢাকার ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী মহল ক্ষুব্ধ হন। ভাষার ব্যাপারে তারা একটি চূড়ান্ত দাবী নামা প্রস্তুত করেন। 

দাবিটি হলো-পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা ও সরকারি কার্যাদি পরিচালনার মাধ্যম হবে বাংলা। আর কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটি বাংলা এবং উর্দু।

ভাষা আন্দোলন
ভাষা সংক্রান্ত এ দাবিকে সামনে রেখে সর্বপ্রথম আন্দোলন সংগঠিত করে তমুদ্দিন মজলিস। এর নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম। ক্রমান্বয়ে অনেক অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সংগঠন এই আন্দোলনে যোগ দেয়। 

এবং একসময় তা গণ-আন্দোলনের রূপ নেয়। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ফোরামে শিক্ষা মন্ত্রী ফজলুর রহমানের উদ্যোগে উর্দু কে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রচেষ্টা চলে। এতে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৭ সালে ৬ই ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র সভার আয়োজন করে। 

সভার পরও মিছিল ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। এ মাসের শেষ দিকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। যার আহ্বায়ক ছিলেন তমদ্দিন মজলিসের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঁইয়া। পরের বছর ২৩শে ফেব্রুয়ারি করাচিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে। পরিশোধ সদস্যদের উর্দু বা ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। 

পূর্ব পাকিস্তানের কংগ্রেস দলের পরিষদের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এ প্রস্তাবে সংশোধনী এনে বাংলাকে অন্যতম ভাষা করার করার দাবি জানান। তিনি বলেন পাকিস্তানের ছয় কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখই পূর্ব পাকিস্তানের। যাদের মাতৃভাষা বাংলা। 
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন এর বিরোধিতা করলে এ দাবী বাতিল হয়ে যায়। এই খবর ঢাকা পৌছালে ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিকরা বিক্ষুব্ধ হন। আজাদের মত পত্রিকাও ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবে যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের সমালোচনা করে। 

পরে বাংলা কেউ রাষ্ট্র ভাষা করার আন্দোলন পরিচালনার জন্য একটি নতুন রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠিত হয় যার আহ্বায়ক ছিল শামসুল আলম। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ একটি স্মরণীয় দিন।

ছাত্র সমাজের ভূমিকা
গণপরিষদের ভাষা তালিকা থেকে বাংলাকে বাদ দেওয়া ছাড়াও পাকিস্তানের মুদ্রা ও ডাক টিকেটে বাংলা না করা এবং নৌবাহিনীর নিয়োগের পরীক্ষা থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দ্ধকে রাখার প্রতিবাদ স্বরূপ ঐদিন ঢাকা শহরে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘটে দাবি ছিল বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা। 

ধর্মঘটের পক্ষে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, এই স্লোগান সহ মিছিল করার সময় শওকত আলী কাজী, গোলাম মাহবুব, শামসুল হক, অলি আহাদ, শেখ মুজিবুর রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ প্রমখ গ্রেফতার হন। আব্দুল মতিন, আব্দুল মালেক প্রমুখ ছাত্রনেতা উক্ত মিছিলে অংশ নেয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিরাট সভা হয়, একজন পুলিশের নিকট থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের আঘাতে মোহাম্মদ তোহা মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে ১২ থেকে ১৫ ই মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়। আন্দোলনের মুখে সরকারের মনোভাব কিছুটা নমনীয় হয়। 

মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন ছাত্র নেতাদের সাথে একটি স্বাক্ষর করেন। তবে চুক্তিতে তিনি অনেকগুলো শর্তের সঙ্গে একমত হলেও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তাকে কোন কিছুই মানানো যায়নি। ১৯৪৮ সালের ১৯শে মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। 

তিনি ঢাকায় দুইটি বক্তৃতা দেন এবং দুই জায়গাতেই তিনি বাংলা ভাষার দাবিকে উপেক্ষা করে একমাত্র উর্ধ্বকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সময় সারা পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। জিন্নার বক্তব্য তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। ১৯৫০ সালের ১১ই মার্চ ঢাকা বিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এর আহ্বায়ক ছিলেন আব্দুল মতিন। 

১৯৫২ সালের শুরু থেকে ভাষা আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ মোর নিতে থাকে। এ সময় জিন্না ও লিয়াকত আলী খান পরলোকগত। লিয়াকত আলীর জায়গায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন খাজা নাজিম উদ্দিন। রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থাও অবনতি ঘটে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মুসলিম লীগের প্রতি আস্থা হারাতে থাকে। 

১৯৪৯ সালে মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এর নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনা ও শোষণের অনুভূতি ক্রমান্নয়ে বারতে থাকে এবং এখানকার জনগণ ক্রমেই এই মতে বিশ্বাসী হতে থাকে যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জায়গায় তাদের উপর আরোপিত হয়েছে নতুন ধরনের আর এক উপনিসবার। 

এর প্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা পায়। ১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি খাজা নাজিম উদ্দিন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন যে, প্রাদেশিক সরকারি কার্যক্রমে কোন দেশের ভাষা হবে তা দেশের জনগণই ঠিক করবে। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু। 

সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয় এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এর স্লোগান এ ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে। ৩০ শে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মঘট পালিত হয়। ৩১ শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধিদের এক সভায় সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। 

যার আহ্বায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব। এ সময় সরকারের আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব পেশ করে। এর বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম পরিষদ একুশে ফেব্রুয়ারি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান হরতাল জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কর্মসূচি আয়োজন চলার সময় সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 

২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা হয়। ১৪৪ ধারা অমান্য করা হবে কিনা এ প্রশ্নের সবার দ্বিমত দেখা দেয়। তবে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার সংকল্পে অটুট থাকে। পরদিন সকাল ১১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়। 

সভা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সহ উপাচার্য ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার জন্য ছাত্রদের অনুরোধ করে। তবে ছাত্রদের নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে আব্দুল মতিন এবং গাজিউল হক নিজেদের অবস্থানে অনর থাকে। ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের হাজার হাজার ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবেত হয়।
ছাত্ররা পাঁচ সাত জন করে ছোট ছোট দলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগান দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছাত্রীরা ও আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছোরা শুরু করলে পুলিশ কাদানি গ্যাস ব্যবহার করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সামলাতে ব্যর্থ হয়ে গণপরিষদ ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়া মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। 

গুলিতে রফিক উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল জব্বার, আব্দুল বরকত নিহত হন। এছাড়াও বহু আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওহে উল্লাহ নামের আট নয় বছরের এক কিশোরও সেদিন নিহত হয়। এ সময় গণপরিষদ অধিবেশনে বসার প্রস্তুতি চলছিল। 

পুলিশের গুলি চালানোর খবর পেয়ে গণপরিষদ সদস্য মাওলানা তর্কবাগিস এবং বিরোধীদলের সদস্য সহ আরো কয়েকজন সভাকক্ষ ত্যাগ করে। অধিবেশনে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন বাংলা ভাষা দাবীর বিরোধিতা অব্যাহত রেখে বক্তব্য দেন। পরদিন বাইশে ফেব্রুয়ারি ছিল গণবিক্ষণ ও পুলিশি নির্যাতনের দিন। জনতা নিহতদের জানাজা নামাজ পড়েও শোক মিছিল বের করে। 

মিছিলের ওপর পুলিশ ও মেলেটারি পুনরায় লাঠি গুলি ও বেওনেট চালায়। এতে শফিউর রহমান সহ কয়েকজন শহীদ হন। এবং অনেকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন। ছাত্ররা যে স্থানে গুলিতে নিহত হন সেই স্থানে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি একটি স্মৃতির স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। 

১৯৬৩ সালে এই অস্থায়ী নির্মাণের জায়গায় একটি কংক্রিটের স্থাপনা নির্মিত হয়। গণপরিষদ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি বিল পাস করে।

উপসংহার
১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন অব্যাহত ছিল। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের উর্দর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অনুমোদনের মাধ্যমে এই আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জন করে। জাতীয় পরিষদের বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে এর সদস্য ফরিদপুরের আদিল উদ্দিন আহমেদের দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা ও উর্দু উভয় ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

১৯৫২ সালের পর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য বাঙ্গালীদের সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিনটি উদযাপন করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

লেখকের মন্তব্য - ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। ভাষা আন্দোলন ছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম ধাপ। তাই আমাদের সকলের উচিত মাতৃভাষাকে সম্মান জানানো। 

প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url