আজওয়া খেজুরের উপকারিতা - আজওয়া খেজুর দাম
মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতাআজওয়া খেজুর এতটাই উপকারী যে, প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খেলে সেদিন কোন ধরনের বিষ এবং জাদু টোনা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানব আজওয়া খেজুরের উপকারিতা - আজওয়া খেজুর দাম সম্পর্কে।
যেকোনো বিষের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও যাবতীয় জাদুটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা:) দৈনিক সাতটি আজওয়া খেজুর খেতে বলেছেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে চলুন আর দেরি না করে আজওয়া খেজুরের উপকারিতা সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেই।
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা - ভূমিকা
আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ (সা:) সর্বপ্রথম নিজ হাতে আজওয়া খেজুরের বীজ রোপন করেছিলেন। তবে এই খেজুরের জন্মের পেছনে রয়েছে বিশেষ এক কারণ। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আজোয়া খেজুর সম্পর্কে যে বিশেষ পয়েন্টগুলো জানতে পারবো তা হল-
আজওয়া খেজুর চেনার উপায়,আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম,আজওয়া খেজুর দাম,আজওয়া খেজুর ছবি,আজওয়া খেজুরের উপকারিতা,আজওয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়
আপনি কি আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়। আজওয়া খেজুর আকারে বেশ ছোট কালো রঙের আস্তরণে আবৃত দেখতে অনেকটা কালো জামের মত। তবে অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও মানসম্মত।
আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ (সা:) সর্বপ্রথম নিজ হাতে আজওয়া খেজুরের বীজ রোপন করেছিলেন। তবে এই খেজুরের জন্মের পেছনে রয়েছে বিশেষ এক কারণ। অন্যান্য খেজুর এর তুলনায় আজওয়া খেজুর চেনার সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হল আজওয়া খেজুরের গায়ের রং এবং আকার। আজওয়া খেজুরের গায়ের রং অন্যান্য খেজুরের থেকে বেশি কালো ও আকারে ছোট।
এবং অন্যান্য খেজুরের থেকে আজওয়া খেজুর অত্যাধিক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই আপনি যদি আজওয়া খেজুর না চিনে থাকেন তাহলে এর আকৃতি এবং রং দেখেই চিনতে পারবেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের নিচের অংশে আজওয়া খেজুরের ছবি দিয়ে দেব দয়া করে দেখে নিবেন।
আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম
আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই তাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বে আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। প্রতিদিন সাতটি করে আজওয়া খেজুর খেলে আমাদের শরীরে যে পরিবর্তন হয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।
প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খেলে সেদিন কোন ধরনের বিষ এবং জাদু টোনা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যেকোনো বিষের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও যাবতীয় জাদুটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা:) দৈনিক সাতটি আজওয়া খেজুর খেতে বলেছেন।(বুখারী, হাদিস: ৫৪৪৫)
এছাড়াও কানজুল উম্মাহয়:২৮৪৭২ নম্বর হাদিসে হযরত আলী (রা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।প্রতিদিন যদি রাসূল (সা:) এর হাদিস অনুসরণ করে যদি কেউ সাতটি করে খেজুর দৈনিক খায় তাহলে তার শরীর বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও ইফতার এবং সেহরিতে আজওয়া খেজুর খেলে অনেক শক্তি পাওয়া যায়। তাই সবার উচিত প্রতিদিন আজওয়া খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
আজওয়া খেজুর দাম
আপনি কি আজওয়া খেজুর দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বের আলোচনা করা হয়েছে আজওয়া খেজুরের দাম। আজওয়া খেজুরের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সকল মুসলমানের কাছেই আজওয়া খেজুরের চাহিদা রয়েছে।
সকল মুসলিম দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর চাহিদা ব্যাপক। বিশেষ করে রমজান মাসে সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে আজওয়া খেজুরের। তবে দামটা একটু বেশি হওয়ায় সবাই এই খেজুর কিনতে পারেনা। তবে আজওয়া খেজুরের পুষ্টিগুণ অন্যান্য খেজুরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। দাম বেশি হলেও সারা বছরে তুলনায় রমজান মাসে আজওয়া খেজুরের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
যে কারণে সারা বছরের তুলনায় বাংলাদেশের রমজান মাসে আজওয়া খেজুরের দাম তুলনামূলক বেশি নেওয়া হয়। আপনি হয়তো জানেন না রমজান মাসে ১ কেজি আজওয়া খেজুরেরর দাম কত হয়। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই রমজান মাসে বাংলাদেশে এক কেজি আজওয়া খেজুরের দাম ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যে সকল আজওয়া খেজুর তুলনামূলক ভালো সেগুলোর দাম সব সময় বেশি থাকে। আর যেগুলো তুলনামূলক একটু নরমাল থাকে সেগুলোর দাম একটু নাগালের মধ্যে থাকে। তবে আপনি যেই কলেটির আজওয়া খেজুর কেনেন না কেন অবশ্যই যাচাই করে কিনবেন।।
আজওয়া খেজুর ছবি
অনেকে আছেন যারা আজওয়া খেজুর ছবি দেখতে চান। তারা হয়তো আজওয়া খেজুর কোনটা সেই সম্পর্কে জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বে আজওয়া খেজুরের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি আপনারা যদি আজওয়া খেজুরের ছবি দেখেন তাহলে খুব সহজেই আজওয়া খেজুর চিনতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা আজওয়া খেজুরের ছবি দেখে নেই।
আজওয়া খেজুর
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো আজুয়া খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাই আর্টিকেলের এই পর্বে আজোয়া খেজুরের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আজওয়া খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা আজোয়া খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
আরও পড়ুনঃ ডুমুর ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
- খেজুরের কোন কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি না থাকায়, প্রতিদিন ৭ টি খেজুর আপনার শরীরে টানা ২১ দিনে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কমিয়ে দিবে।তখন আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর চর্বি ও পদার্থ অপসারিত হবে।
- আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যাবশকীয় একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। আর খেজুর হলো সবচেয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল। যার কারণে আমাদের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে, যদি আমরা প্রতিদিন ৭ টি করে খেজুর টানা ২১ দিন খেতে পারি।
- এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন ধরুন ভিটামিন বি১,বি২,বি৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ ১ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায় আজুয়া খেজুরের মধ্যে।
- আয়রন মানব দেহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর আজওয়া খেজুরের প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড তাদের জন্য আজওয়া খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ঔষধ।
- ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর আজওয়া খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হার কে মজবুত করে।
- খেজুর শিশুদের মারি শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- আজওয়া খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। গবেষণায় দেখা যায়, আজওয়া খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যারা নিয়মিত আজওয়া খেজুর খান, তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। খুব সম্প্রীতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, খেজুর এবডোমিনাল ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এবং অবাক করা বিষয় হলো এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে।
- আজওয়া খেজুরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে, আজওয়া খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম, তারা নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন।
- এছাড়াও আজওয়া খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক তিনি থাকার কারণে, খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর যদি আপনি দুটি আজওয়া খেজুর খান, তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে আপনার ক্লান্তি।
- স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও আজওয়া খেজুরের বিকল্প নেই। খেজুরের নানান ভিটামিনের পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে আজওয়া খেজুরের বিকল্প নেই।
- আজওয়া খেজুর নানান ভিটামিনের পরিপূর্ণ থাকার কারণে দেখা গেছে যে মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে এই আজওয়া খেজুর। সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতাও বাড়ায়।
- একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ছাত্র-ছাত্রী যারা নিয়মিত আজওয়া খেজুর খায়, তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভালো থাকে।
- এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে আজওয়া খেজুর। অসুখ সারাতে ও আজওয়া খেজুরের বিকল্প নাই। কারণ আজোয়া খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ঢাকাতে পেটের অসুখ, বদহজম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- এছাড়াও হার্টের ক্ষমতা বাড়ায় আজওয়া খেজুর। আজওয়া খেজুর ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্টোকের ঝুঁকি থাকে না।
- আমাদের ত্বকের উন্নতিতেও কিন্তু আজওয়া খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। এই খেজুরটি তে থাকা ভিটামিন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং ত্বক মসলিন রাখে। নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে আপনাকে আরো কম বয়সী দেখাবে। এই শক্তি বর্ধক ফল আপনার শরীরের মেলানিজম জমে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করবে। যার ফলস্বরূপ বার্ধক্যের প্রভাব গুলো মোকাবেলায় সহায়তা করবে।
আজওয়া খেজুরের ইতিহাস
আপনি কি আজওয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আজোয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আজ খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা আজওয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেই। হযরত সালমান ফারসি (রা:) মালিক ছিলেন একজন ইহুদী। হযরত সালমান ফারসি যখন মুক্তি চাইলেন তখন ইহুদি একটা শর্ত দিলেন।
যদি তিনি নির্দিষ্ট কয়েক দিনের মধ্যে নগদ ৬০০ দিনার দেন এবং কিছু খেজুরের বীজ দেন সালমান ফার্সির কাছে এবং বলেন এই বীজ রোপন করার পর যখন গাছ থেকে ফল পাবে তখনই সালমান ফার্সির মুক্তি দিবে। আসলে ইহুদির মুক্তি দেওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিল না। কেননা সালমান ফারসি (রা:) পক্ষে ৬০০ দিনার জোগাড় করা খুব কঠিন ছিল।
আরো ৬০০ দিনার জোগাড় করলেও খেজুর গাছ রোপন করে তাতে ফল ধরতে ধরতে অনেক সময় লেগে যাবে। তখন সালমান ফারসি (রা:) রাসূল সাল্লাল্লাহু (সা:) এর দরবারে ঘটনাটা বর্ণনা করলেন। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬০০ দিনারের ব্যবস্থা করলেন। এরপর হযরত আলী (রা:) কে সঙ্গে নিয়ে গেলেন ইহুদির কাছে।
ইহুদি এক গাদি খেজুর দিয়ে বললেন এই খেজুর থেকে চারা উৎপাদন করে ফল ফলাতে হবে। মহানবী (সা:) দেখলেন যে খেজুরগুলো আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলেছে। যাতে খেজুরের বিচি থেকে চারা না ওঠে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের কাঁদি হাতে নিয়ে আলী (রা:)কে গর্ত করতে বললেন, আর সালমান ফারসি (রা:) বললেন পানি আনতে।
আলী (রা:) গর্ত করলেন এবং রাসুল (সা:) নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে পোড়া খেজুর রোপন করলেন । রাসুল (সা:) সালমান ফারসি (রা:) কে নির্দেশ দিলেন যে বাগানের শেষ প্রান্তে না যাওয়া পর্যন্ত পিছনে ফিরে তাকাবে না।সালমান ফারসি (রা:) পেছনে ফিরে না তাকিয়ে পানি দিতে লাগলেন। বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলেন প্রতিটি গাছই খেজুরে পরিপূর্ণ।
আর খেজুর গুলো পেকে কালো বর্ণ হয়ে আছে। এই কালো খেজুরি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর। স্বাদের দিকেও সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু। আর কেনই বা হবে না যে খেজুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতের রোপন করেছে।
রাসুল (সা:) বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন সাতটি করে আজওয়া খেজুর খাবে ঐদিন রাত পর্যন্ত কোন বিষ বা জাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আশা করছি আপনারা আজওয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য - আজওয়া খেজুরের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়,আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম,আজওয়া খেজুর দাম,আজওয়া খেজুর ছবি,আজওয়া খেজুরের উপকারিতা,আজওয়া খেজুরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url