বাজরিগার পাখির দাম - বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা

ককাটেল পাখি পালন পদ্ধতিখুব সহজে পোষ মানা পাখি গুলোর মধ্যে বাজরিগার অন্যতম। বাজরিগার পাখি দামে কম এবং পালন করতে খরচ কম। তবে এই পাখি খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে বংশবিস্তার করতে পারে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো বাজরিগার পাখির দাম - বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা সম্পর্কে।
বাজরিগার পাখির দাম - বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা
অল্প সময়ে বংশবিস্তার করে এবং একাধারে অনেকগুলো বাচ্চা দিতে পারে এই বাজরিগার পাখি। কেউ যদি বাণিজ্যিকভাবে বাজরিগার পাখি পালন করতে চায় সেক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাজরিগার পাখির দাম - ভূমিকা

পাখি পালন একটি শখের বিষয়। অনেকেই আছেন যারা পাখি পালন করতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য বাজরিগার হতে পারে একটি শখের পাখি। কারণ বাজরিগার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বংশবিস্তার করতে পারে এবং এই পাখি পালন খরচ ও অনেক কম। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাজিগার পাখি সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানব তা হল-

বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস,বাজরিগার পাখির দাম,বাজরিগার পাখির ছবি,বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা,বাজরিগার পাখির খাবার দাম,বাজরিগার পাখি আকার,বাজরিগার পাখির ঔষধ,বাজরিগার পাখি কত দিন পর পর ডিম দেয়,বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস

আপনি কি বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নেই।

আজকাল বাণিজ্যিক অথবা সৌখিন হিসেবে বাজরিগার পাখি পালনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আপনি যদি শখ করে বাজরিগার পাখি পালতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে একজন ভালো ব্রিডারের কাছ থেকে একজোড়া পাখির বাচ্চা অথবা সেমি এডাল্ট দেখে কিনে আনুন। 

সেই ব্রিডারের কাছে থেকে কেনার পূর্বেই শুনে নিবেন এই পাখি গুলো কি খায়, কিভাবে পাখি গুলোকে সুস্থ অথবা ভালো ভাবে লালনপালন করা যায় সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে আসবেন। আপনি যখন এই বাজরিগার পাখি বাসায় পালা শুরু করবেন তখন এটাকে সৌখিনতার সাথে পালন করা শুরু করেন। আর্ট হিসেবে এই পাখি গুলোকে টেম করেন দেখবেন নিজের কাছে অনেক ভালোলাগবে। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে পাখিকে বিশুদ্ধ পানি দেন, পরিমাণমত খাবার খেতে দিন, কয়েকদিন পর পর সফ্ট খাবার খেতে দিন যেমন- গম সিদ্ধ, পালনশাক, পুদিনা পাতা, সজনে পাতা মাঝে মধ্যে মুরগীর ডিম সিদ্ধ করে শাকসবজির সাথে মিশেয়ে দিতে পারি। পানির সাথে মাসে দুইবার সামান্য অ্যাপেল সিডার মিশ্রিত পানি পাখিকে খেতে দেয়া ভালো। 

শীতের সময় খাঁচার ভিতরে ঠান্ডা বাতাস যেন না প্রবেশ করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনে লেবু যুক্ত অথবা স্যালাইন খেতে দিতে হবে। খাচার ভিতরে মিনারেল ব্লক ও ক্যাটেল বোন দিয়ে রাখতে হবে। বাজার থেকে সিড মিক্স কিনে এনে ভালোভাবে রৌদে শুকিয়ে পাখিকে খেতে দিতে হবে। 

পাখি বাচ্চা দেওয়ার পরে ২ মাস করে বাচ্চা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে ও তাদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এতে পাখি সুস্থা থাকবে। একটি কথা মনে রাখবেন আমরা যে পশুপাখি লালন পালন করি না কেন ওরা কিন্তু বাচ্চা দেওয়ার মেশিন না ওদের প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

বাজরিগার পাখির দাম

আপনি কি বাজরিগার পাখির দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাজরিগার পাখির দাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির দাম সম্পর্কে জেনে নেই। বাজরিগার পাখির আকৃতি ও জাত ভেদের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়। 
ছোট পাখি অর্থাৎ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাজরিগার পাখি দাম বড় বাজরিগার পাখির চাইতে একটু কম। অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাজরিগার পাখি দাম ২৫০-৩০০ টাকা জোড়া। নতুন এডাল বাজরিগার পাখির ৬০০-৮০০ টাকা আর বড় সাইজের একটি পাখির দার পড়বে ৮৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। বাসা বাড়িতে আমরা সচরাচর ২ দুই ধরনের বাজরিগার পাখি পেলে থাকি। 

যেমন- কমন বাজরিগার পাখির দাম ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি জোড়া আর রেইনবো বাজরিগার পাখির দাম ৯০০-১০০০ টাকা জোড়া মধ্যে কেনাবেচা হয়ে থাকে। অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন পালন করতে চান। আপনি চাইলে বাজরিগার পাখি খামার করে প্রতিমাসে অনেক টাকাই আয় করতে পারেন।

আপনার যদি পূর্বে পাখি পালনের অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি ২৫-৫০ জোড়া ভালোজাতের বাজরিগার পাখি কিনে এনে পালন করতে পারেন। এতে আপনি কিছুটা ইনকাম করতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন সঠিকভাবে বাজরিগার পাখি পালন করলে সফল হবেন নিশ্চিত। 

কারণ এক জোড়া প্রাপ্ত বয়স্ক বাজরিগার পাখি প্রথম যেকয়টি ডিম দিয়েছে তা থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৭-১৮ দিন সময় লাগে। এই বাচ্ছা গুলোর যখন দেড় থেকে দুই মাস বয়স হয় তখন মা পাখি ওর বাচ্চাদের মেরে বাসা থেকে বেড় করে দেয় কারণ মা পাখি ডিম পাড়ার আবার সময় হয়েছে। এতে বোঝা যায় ভালো এক জোড়া পাখি ৪০-৬০ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ার জন্য পুনরায় উপযুক্ত হয়ে উঠে। 

এভাবে প্রতি জোড়া প্রাপ্ত বয়স্ক বাজরিগার পাখি হতে যদি ২-৩ জোড়া করে বাচ্চা পাওয়া যায় তাহলে এগুলো বিক্রি করে আপনি কিছুটা আয় করতে পারেন। একটা কথা মনে রাখবেন বাজরিগার পাখির দাম অন্যান্য পাখির চাইতে কিছুটা কম হলেও বাজারে এর চাহিদা অনেক।

বাজরিগার পাখির ছবি

আপনি কি বাজরিগার পাখির ছবি দেখতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে কার পাখির ছবি উপস্থাপন করা হয়েছে আপনাদের সুবিধার্থে। অনেকেই আছেন যারা বাজরিগার পাখি চেনেন না তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কারণ আপনারা এই পর্ব থেকে বাজরিগার পাখির ছবি দেখে খুব সহজেই বাজরিগার পাখি নির্ণয় করতে পারবেন। যদিও বাজরিগার পাখি বিভিন্ন রঙ এবং জাতের হয়ে থাকে। তবুও আপনাদের কিছুটা ধারণা অন্তত এই ছবিটা দেখে আসবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির ছবি দেখে নেই।
বাজরিগার পাখি

বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা

আপনি কি বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।

আমরা অনেকেই সখের বসে বাজরিগার ও ককাটেল পাখি পালন করে থাকি। পাখির ব্রিডিং এর সময় অথবা অন্যান্য সময় পাখিকে কেমন শাকসবজি, শস্যদানা অথবা কেমন সীডমিক্স দিবো সেটা পরিষ্কার হবে কিনা এগুলো চিন্তা ও বিভিন্ন ঝামেলা ভিতর দিয়ে আমরা দিন পার করি। 

এই সব ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা ঘরে বসেই খুব সহজেই সিডমিক্স ও অন্যান্য খাবার তৈরি করে নিতে পারি। প্রথমে আমরা এক কেজি সিডমিক্স তৈরি করতে বাজার থেকে কতটুকু কি পরিমাণ কিনতে হবে তা নিয়ে নিম্ন আলোচনা করা হল-
  • ২৫০ গ্রাম ধান
  • ২৫০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ
  • ২০০ গ্রাম চিনা
  • ১০০ গ্রাম কুসুম বীজ
  • ৫০ গ্রাম ক্যানারি
  • ৫০ গ্রাম হেম্পসীড
  • ৫০ গ্রাম মিলেট
  • ৫০ গ্রাম কালজিরা
বাজার থেকে আলাদা আলাদা ভাবে কিনে এনে ধুলাবালি ঝেরে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে কড়া রৌদে শুকিয়ে সবগুলো একসাথে মিশিয়ে যেকোন পাত্রে রেখে কিছু কিছু করে বাজরিগার পাখিকে পরিবেশন করতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে শীতকালে তিশি, গুজিতিল, সূর্যমুখী বীজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। এতে পাখির শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। 
গরমকালে তিশি, গুজিতিল, সূর্যমুখী বীজের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।এখন আমরা জানবো বাজরিগার পাখির জন্য কিভাবে সফ্ট ফুড তৈরি করতে হয় এবং বাজার থেকে পরিমাণ মত কিনতে হবে তা তৈরি নিয়ম নিয়ে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
  • মুসুরের ডাল
  • বুটের ডাল
  • ছোলার ডাল
  • কালাই এর ডাল
  • আতপ এর চাউল
  • পোলাও এর চাউল
  • গম
  • ভুট্টা ভাঙ্গা
  • গাজর
  • সবজি
প্রথমেই সকল ডাল, চাল সমপরিমাণ কিনে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ভালোভাবে রৌদে শুকিয়ে যে কোন একটি পাত্রে রেখে দিবো। প্রয়োজন মত নিয়ে একরাত পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারে পিশে সাথে মুরগীর একটি সিদ্ধ ডিমের অর্ধেক মিশিয়ে সপ্তাহে দুই দিন বাজরিগার পাখিকে পরিবেশন করতে পারি। 

খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি যেন শক্ত না হয়। সফ্ট ফুড খাঁচার ভিতরে ছয় ঘন্টার বেশি রাখা যাবে না। খাবার পরিবেশনের এক থেকে দুই ঘন্টার ভিতরে সব শেষ করে ফেলতে হবে। 

পাখির বাচ্চা হলে এই সফ্ট ফুড গুলো পরিবেশন করলে বাজরিগার পাখির অর্থাৎ বাবা ও মা দুজনের অনেক টুকু কষ্ট কমে যায়। আপনি চেষ্টা করবেন পাখিকে নরম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে । আপনি বাজরিগার পাখির বাচ্চাকে সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ,বরবটি, কলমি শাকের কচি অংশ দিতে পারেন।

বাজরিগার পাখির খাবারের তালিকা ও গুণাগুণ নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
পোলাও এর ধান বাজরিগার পাখিকে দিতে পারেন। বাজরিগার পাখির শরীরের চর্বি কাটতে পোলাও ধান সাহায্য করে। আশা করছি আপনি বাজিগার পাখির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাজরিগার পাখির খাবার দাম

আপনি কি বাজরিগার পাখির খাবার দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাল ট্রিগার পাখির খাবার দাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা বাল ফিগার পাখির খাবার দাম সম্পর্কে জেনে নেই।

বাজরিগার পাখির খাবারের দাম বাজার ভেদে উঠানামা করে। বাজরিগার পাখি সচারাচর যে সকল খাবার খায় যেমন- চিনা, কাউন, পোলাউ এর ধান ইত্যাদি। এগুলো যখন বাজারে সাপ্লাই বেশি হয় তখন দাম ৬০ টাকা হতে ৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া যায় আবার যখন সাপ্লাই কম থাকে তখন ১০০ টাকা হতে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠতে পারে। 

খাবার গুলোর দাম উঠানামা করার কারণ হচ্ছে চিনা, কাউন আমাদের দেশে বেশি একটা উৎপাদন করে না। বেশি ভাগ আসে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে তাই দামটা এমনটা উঠানামা করে। বাজরিগার পাখি ১ জোড়া পালন করলে তার পিছনে ১৫০ টাকা হতে ২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আপনি যতবেশি পাখি লালনপালন করবেন পাখির খাবারের খরচ ততোটা কমে আসবে। 

কারণ পাখির সুস্থতা ও পুষ্টির কথা চিন্তা করে ১ জোড়া পাখিকে যে পরিমাণ নরম ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হয় ঠিক ততটুকু খাবার ২ থেকে ৪ জোড়া পাখি খেয়ে থাকে। চিনা, কাউন এর পাশাপাশি বাজরিগার পাখিকে মাঝে মধ্যে সিদ্ধ ডিম, কলমি শাক, পালং শাক, সজেনে পাতার পাশাপাশি পাখির ক্যালসিয়ামের অন্যতম একটা উৎস ক্যাটল ফিস বোন পাখিকে মাঝে মাঝে দিতে হবে। 

খাঁচার ভিতরে ক্যাটল ফিস বোন রেখে দিলে পাখিরা নিজে নিজেই খেয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।ক্যাটল ফিস বোন বাজারে ৮০০ - ১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে।

বাজরিগার পাখি আকার

আপনি কি বাজরিগার পাখির আকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাজরিগার পাখির আকার সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির আঁকার সম্পর্কে জেনে নেই।

সাধারণত যে সকল বাজরিগার বন জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করে তাদের আকৃতির সাথে খাচায় পালন করা বাজরিগার পাখির আকৃতির কিছুটা তারতম্য হয়ে থাকে। কারণ বনের পাখিগুলো অতিরিক্ত ছোটাছুটি করার কারণে তাদের আকার এবং ওজন উভয় কম থাকে। তবে যে সকল বাজরিগার পাখিকে খাঁচায় পালন করা হয় তাদের আকার এবং ওজন তুলনামূলক বেশি থাকে। 

সাধারণত বনের বাজরিগার পাখি লম্বায় ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি এবং ওজনে ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম হয়ে থাকে আর খাঁচায় পালা বাজরিগার পাখির লম্বায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি হয়ে এবং ওজনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম হয়ে থাকে। আশা করছি আপনি বাজরিগার পাখির আকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাজরিগার পাখির ঔষধ

আপনি কি বাজরিগার পাখির ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বালটিকার পাখির ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেই।

বাজরিগার পাখি সঠিক ভাবে পালন করলে এদের রোগ বালাই খুবই কম হয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে। পাখি অসুস্থ হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করা চেষ্টা করতে হবে। খাবার দেওয়ার সময় খাবার পরিষ্কার ধুলাবালি মুক্ত আছে কিনা, পানির পাত্র পরিষ্কার আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত শীত ও গরমে পাখির যত্ন একটু বেশি নিতে হবে। 

পাখিকে রোগবালাই এর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রোগপ্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন- তিন মাস পরপর পাখিকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অতিগরমে ও অতিরিক্ত ঠান্ডায় পাখিকে কৃমিনাশক ঔষধ দেওয়ার যাবে না। 

কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর ১সপ্তাহ পূর্বে পাখিকে লিভার টনিক দিতে হবে এবং কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর ৪-৫ দিন পর পুনরায় লিভার টনিক দিতে হবে। তাহলে পাখির দুর্বলতা কিছুটা কমে যাবে এবং লিভারের উপর চাপ কম পড়বে। অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ করতে গিয়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে পাখি নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেমন- 
শরীর ফুলিয়ে মুখ গুজে বসে থাকলে, কম খাবার খেলে, আলো ও তাপ পছন্দ করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে পাখিকে Adobas - 1.5ml 500 liter পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। পাখির ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে নাক দিয়ে পানি পড়বে,কাশি দিলে, নাক ও মুখে আঠালো হয়ে থাকবে, জোরে জোরে শ্বাস নিবে ও মুখ দিয়ে শ্বাস নিবে ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে পাখিকে Tylosef+Oxycentin20% খাওয়াতে পারেন।

এ অবস্থায় পাখি বেশি দুর্বল হলে Maxfort মাল্টিভিটামিন দিতে পারেন। পাখির পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিলে পাখির মল গাঢ় সবুজ, পিত্ত রঙ্গের মল পালকের সাথে লেগে থাকবে এবং পাখি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় পাখিকেEsb30+Electrolite Saline খাওয়াতে পারেন। যতদিন না পাখির পায়খানা স্বাভাবিক হয়। 

পাখির চুনা পায়খানা হলে পাখি খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিবে, ঝিম ধরে এক কোণে বসে থাকবে এ অবস্থায়পাখিকে Esb30+Electrolite Saline খাওয়াতে পারেন। পাখির বদহজম হলে পাখি বমি করবে, চঞ্চলতা কমে যাবে, কম খাবে। এ অবস্থায় পাখিকে Nuxvom 200 খাওয়াতে পারেন। প্রাকৃতিক ভাবে ভালো করতে চাইলে লেবু ও রসুনের রস মিশ্রিত হালকা কুসুম গরম পানি পাখিকে খাওয়াতে পারেন।

পাখির পক্ষাঘাত বলতে পাখি হঠাৎ উড়তে না পারা, পাখির পা অবশ হয়ে যাওয়া, নড়াচড়া কমিয়ে দেওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে পাখিকে Vitamin B Complex ও Zinc অথবা Calcium খাওয়াতে পারেন। একটা কথা মনে রাখবেন খাঁচার পাখি সাধারণত নাজুক অবস্থায় হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত কোন কিছুই সহয্য করতে পারে না।

বাজরিগার পাখি কত দিন পর পর ডিম দেয়

বাজরিগার পাখি কতদিন পরপর ডিম দেয় আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বালিকার পাখি কতদিন পরপর ডিম দেয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাজরিগার পাখি কতদিন পরপর ডিম দেয় সেই সম্পর্কে।

বাজরিগার পাখিকে সঠিকভাবে পালন করলে এবং পুষ্টিকর খাবারের কারণে তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ডিম দেওয়া শুরু করে দেয়। বাজরিগার পাখি একদিন পরপর মোট ৮ থেকে ৯ টি ডিম পাড়ে। ১৮ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। 

এরপর আবার কিছু দিনের মধ্যে ডিম দেওয়ার জন্য বাজরিগার পাখি তৈরি হয়ে যায়। আশা করছি আপনি বাজরিগার পাখি কতদিন পরপর ডিম দেয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন

বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ

আপনি কি বাজরিগার পাখি ডিম পাড়ার লক্ষন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষন সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাজরিগার পাখি ডিম দেওয়া পূর্ব লক্ষণ কিছু দেখতে পাবেন সেগুলো নিয়ে এখন আলোচনা করবো।
  • 1. খাঁচার ভেতরে হাড়ি দিয়ে রাখলে তা ওদের ধারালো দাঁত দিয়ে কামড়াতে থাকবে আর কিছু সময় পর পর হাঁড়ির মধ্যে থেকে পরিদর্শন করে আসবে।
  • 2. মাদি বাজরিগার পাখি ডিম পাড়ার পূর্বে হাঁড়ির ভিতর গিয়ে কোন ধরনের নোংরা থাকলে সেটি পা দিয়ে বাইরে ফেলার চেষ্টা করবে।
  • 3. আরও একটি উপায়ে মাদি বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ বোঝা যায় সেটা হল ওদের নাকের উপরের অংশ হালকা বাদামি থেকে গাঢ় বাদামি রঙ ধারণ করবে।
  • 4. ধীরে ধীরে বাজরিগার পাখিটি হাড়ির ভিতরে যাওয়া আসা পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে।
  • 5. ডিম পাড়ার পূর্বে বাজরিগার পাখির খাঁচার ভিতর থাকা খাবার অনেক নষ্ট করবে। তাই ওই সময় মিনারেল ও ক্যালসিয়াম ব্লক খাঁচার ভিতর রাখতে হবে। এতে পাখির ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এ ঘাটতি পূরণ হবে।
  • 6. বাজরিগার পাখি ডিম দেওয়ার পূর্বে নর ও মাদি ঘন ঘন মেলামেশা করবে।
  • 7. পাখিরা নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে ডিম পাড়তে পছন্দ করে। তাই বাজরিগার পাখিরা তখনি ডিম পাড়বে যখন ওরা পর্যাপ্ত খাবার, আলো, বাতাস ও থাকার স্থান ভালো পাবে তখনি ডিম দেওয়া শুরু করবে।
উপরক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে আপনি বুঝবেন আপনার পাখি ডিম পাড়ার জন্য উপর্যুক্ত হয়েছে। একটা কথা মনে রাখবেন ওরা আমাদের ডিম পাড়ার মেশিন না যে ওদের দিয়ে ঘন ঘন ডিম বাচ্চা করানোর চেষ্টা করবেন না। পাখি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ডিম বাচ্চা করতে দিন। 

বাজরিগার পাখিকে ঘন ঘন ডিম বাচ্চা উৎপাদন করা থেকে বিরত রাখুন। তাই মাঝে মাঝে নর ও মাদিকে আলাদা রেখে দুই থেকে তিন মাস রেস্টে রাখতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য - বাজরিগার পাখির দাম

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস,বাজরিগার পাখির দাম,বাজরিগার পাখির ছবি,বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা,বাজরিগার পাখির খাবার দাম,বাজরিগার পাখি আকার,বাজরিগার পাখির ঔষধ,বাজরিগার পাখি কত দিন পর পর ডিম দেয়,বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url