গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জানুন
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়একজন গর্ভবতী মা সব সময় তার সন্তানকে ঘিরে স্বপ্ন দেখে। গর্ভবতী মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অবশ্যই তাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আজ আমরা এই আর্টিকালের মাধ্যমে জানব গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে।
একটা সুস্থ সুন্দর বাচ্চার পাশাপাশি ফর্সা ও মেধাবী বাচ্চা সকলেই চায়। যে কারণে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়।
পোস্ট সূচীপত্রঃআজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় - ভূমিকা
একটা সুস্থ সুন্দর বাচ্চার সকল বাবা মার কাম্য। তাই যখন একটা বাচ্চা গর্ভে আসে তখন থেকেই মায়ের চিন্তা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে বাচ্চা দেখতে কেমন হবে, বাচ্চা বুদ্ধিমান হবে কিনা, বাচ্চার গায়ের রং কেমন হবে, বাচ্চা লম্বা হবে কিনা, বাচ্চার চুল কেমন হবে এই সকল চিন্তা সব সময় একজন নবাগত মায়ের মনে ঘুরপাক খায়।
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব তা হল-গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় ,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়,কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় সেই সম্পর্কে । বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
আপনি কি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় সেই সম্পর্কে।
সকল বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে তার সন্তান হবে সুস্থ সুন্দর ও ফর্সা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চার গায়ের রং কালো হয়। সাধারণত এটি জেনেটিক একটি প্রক্রিয়া। তবে অনেক সময় দেখা যায় কালো বাবা-মায়ের সন্তান ফর্সা এবং ফর্সা বাবা-মায়ের সন্তান কালো হয়। এর পেছনে রয়েছে কিছু ভিটামিন বা খাবারের হেরফের।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
তাই আপনি যদি একটা ফর্সা বাচ্চা চান সেক্ষেত্রে আপনার খাদ্য তালিকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বিশেষ করে ডিম ও দুধ। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি ডিম দুধ রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার গায়ের রং অনেকটাই উজ্জ্বল বর্ণের হবে।
তবে গায়ের রং কালো ফর্সা দুটাই নির্ভর করে জেনেটিক বা হরমোনাল প্রক্রিয়ার উপর। তবুও আপনি যদি বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে চান সেক্ষেত্রে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা দরকার। আশা করছি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
আপনি কি গর্ব অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় সেই সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় সেই সম্পর্কে।
আজকাল বেশিরভাগ বাবা মায়েদের একটি কমন চিন্তা হলো তার সন্তান লম্বা হবে কিনা সেই সম্পর্কে। তারা আশায় থাকেন সন্তান লম্বা চওড়া আর স্বাস্থ্যবান হোক। এর জন্য চেষ্টারও কমতি নেই। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যায়াম ও চালিয়ে থাকেন। কিন্তু ফলাফল তেমন একটা আসছে না। মনে রাখবেন, বাচ্চা লম্বা হবে না খাটো হবে এটা মূলত নির্ভর করে তার জেনেটিক হরমোনের উপর।
বাবা-মা লম্বা হলে সন্তান সাধারণত লম্বা হয় আবার বাবা মা খাটো হলে সন্তান সাধারণত খাটো হয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় লম্বা বাবা মা থাকতেও সন্তান খাটো হয়েছে। আবার দেখা যায় কোন পরিবারের একইভাবে লম্বা এবং আর একইভাবে খাটো।
জেনেটিক বিষয়টা ঠিক থাকার পরেও অনেক বাবা-মা অসচেতনতার অভাবে বিভিন্ন রোগের জড়িয়ে, পুষ্টিহীনতার কারণে সন্তান পর্যাপ্ত লম্বা হয় না। আবার এও দেখা যায় সচেতনতার কারণে অনেক খাটো দম্পতির সন্তান লম্বা হয়। এক্ষেত্রে আপনার যা যা করণীয়:
- আপনি গর্ভবতী অবস্থায় শুরুতেই ডক্টরের কাছে যান। এবং ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে পথ চলা শুরু করুন।
- শুরু থেকেই আপনাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- প্রয়োজনীয় আয়রন, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, জিংক এর পরিপূরক খাদ্য খেতে হবে। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে ডক্টরের পরামর্শ ক্রমে।
- নিয়মিত রুটিন চেকআপ অর্থাৎ মাসে দুইবার নিজেকে পরীক্ষা করাতে হবে। যে আমার গর্ভের বেবিটা সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা।
- আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে পর্যাপ্ত তরল জাতীয় বা শরবত জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- আপনার রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে আয়রন উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়
আপনি কি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা চুল ঘন হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই কি খেলে বাচ্চা চুল ঘন হবে।
গর্ভাবস্থায় যে খাবার খেলে গর্ভস্থ শিশুর চুল ঘন কালো ও মজবুত হবে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় ৩০ তম সপ্তাহে গর্ভস্থ শিশুর চুল গজানো শুরু হয়। এই সময় মায়ের শরীরে ক্যালসিয়াম বা অন্য কোন ভিটামিনের অভাব হলে গর্ভস্থ শিশুর চুল কম গজাতে পারে।
এছাড়াও অনেক সময় মায়ের শরীরে কোন হরমোনের পরিমাণ কম থাকলেও শিশুর কম চুল নিয়ে বা একেবারে ন্যাড়া মাথাতেও শিশু জন্মাতে পারে। অনাগত সন্তানের মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল থাকুক এটি সব মায়েরাই প্রত্যাশা করে থাকে।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে অনাগত শিশুর ঘন বা সুন্দর চুল পেতে পারে গর্ভবতী মা। চলুন জেনে নেই কোন খাবার গুলো খেলে গর্ভস্থ সন্তানের চুল ঘন কালো ও সুন্দর হবে।
পালং শাক: পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ও আয়রন রয়েছে। যা চুল গজাতে চুল ঘন এবং মজবুত করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই পালং শাক নিয়মিত খেলে গর্ভস্থ সন্তানের চুল ঘন হয়ে গজাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের জুস: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন. বেরি জাতীয় ফল কমলালেবু ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভস্থ শিশুর চুল হবে ঘন ও মজবুত।
ডিম: ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। গর্ভবতী মা নিয়মিত ডিম খেলে নিজের পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর চুল সুন্দর হবে।
বাদাম: অনাগত সন্তানের মাথায় ঘন কালো চুল পেতে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা বাদাম খেতে পারেন। বাদামের জিঙ্ক রয়েছে, যা চুলের জন্য উপকারী একটি ভিটামিন।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের সর্দি কাশি সারাতে ঘরোয়া উপায়
ওটমিল: ওটমিল চুল ঘন করতে সাহায্য করে। চুলকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে ও চুল বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ ওটমিলে রয়েছে জিংক, আয়রন, ওমেগা ও ফাটি এসিড সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন।
গাজর: বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর। গর্ভস্থ সন্তানের ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য গাজর বেশ উপকারী।
ডাল, সিম, মটরশুটি: উদ্ভিদজাত এই খাবারগুলো আমিষ ও খাদ্য আশেঁ ভরপুর। যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া মটরশুটিতে থাকা আইরন বায়োটিন, ফলেট ইত্যাদি চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
গর্ভাবস্থায় আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন। যাতে করে আপনার ছোট্ট সোনামনির মাথায় চুল ঘন সুন্দর ও মজবুত হয়। গর্ভাবস্থায় আপনি যেটা করবেন সেটাই বাচ্চার উপর প্রভাব পড়বে। তাই এই সময় বেশি বেশি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
আপনি কি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সে সম্পর্কে।
প্রথমত গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক খুবই প্রয়োজনীয় অর্থাৎ চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সপ্তম সপ্তাহ এই সময় কিন্তু বাচ্চার ডেভেলপমেন্ট বা ব্রেন ডেভেলপমেন্ট সবকিছুই তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ পুরো প্রেগনেন্সিতেই মোটামুটি ২৫% ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হয়ে যায়। এই সময় এমন কিছু খাবার মায়ের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যা খেলে বাচ্চা একটি উন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।
প্রথমত হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ভালো প্রোটিন বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো ডিম, দুধ, মাছ, মাংস। এর পরবর্তীতে হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার মানে প্রচুর কালারফুল শাকসবজি ও ফলমূল। এধরনের খাবার গুলো প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
সেগুলো ব্রকলি হতে পারে, পালং শাক, গাজর, টমেটো, বিনস এ ধরনের শাকসবজি এবং সিজনাল যে ফর্মুলা আছে সেগুলো খেতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারগুলোতে লুটেইন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টে খুবই সাহায্য করে। এরপর হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই মাকে খেতে হবে।
এই উপাদানটি বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই জরুরী। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ ও যেকোনো তৈলাক্ত মাছ সহ সিডস জাতীয় খাবারে। পাশাপাশি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই বাদাম রাখতে হবে। কারণ বাদামও বাঁচার ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই কার্যকর। এরপর হল কলিন জাতীয় খাবার। কোলিন জাতীয় খাবার পাওয়া যায় ডিমের কুসুমে।
ভিটামিন ডি খুবই ইম্পরট্যান্ট বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। একজন গর্ভবতী মায়ের যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে একটা উন্নত মস্তিষ্কের বাচ্চা কখনোই জন্ম দিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, কলিজা খেতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিনই আপনাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য রোদে দাঁড়াতে হবে।
এছাড়াও আপনি খেতে পারেন আয়রন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও আয়োডিনযুক্ত খাবার আপনাকে খেতে হবে বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। কারণ আয়োডিনের অভাব হলে বাচ্চারা হাবা গোবা হয়। তাই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার এবং লবণ প্রতিদিনে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে।
পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকার মতে, গর্ভাবস্থায় একটা ইম্পোর্টেন্ট সময় প্রত্যেকটা নারীর জীবনে। প্রত্যেকটা নারী তখন চিন্তা করে তার গর্ভের শিশু কিভাবে সুস্থ,স্বাভাবিক এবং সুন্দর হবে। সেই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি সকলে চিন্তা করে এবং মেনটেইন করার চেষ্টা করে। আসলে গর্ভাবস্থায় একটি শিশুর ২০-৫০% ডেভেলপমেন্ট হয়ে যায়।
অর্থাৎ তার শারীরিক এবং মানসিক একটা ডেভেলপমেন্ট হয়। এর পাশাপাশি যখন আমরা চিন্তা করি বাচ্চাটা সুন্দর, সুন্দরের আসলে অনেক ব্যাখ্যা হতে পারে। কেউ সুন্দর বলতে শুধুমাত্র গায়ের রং টাকে বোঝায়, কিন্তু একটা বাচ্চার কতটুকু ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে পাশাপাশি তার ফিজিক্যাল গ্রোথ ঠিক আছে কিনা,
পারফেক্ট ওয়েটে সে বড় হচ্ছে কিনা, তার হেয়ার গ্রোথ আছে কিনা এবং বাচ্চার আদার্স যে অর্গানগুলো আছে যেমন চোখ, নাক, মুখ অর্থাৎ পায়ের আঙ্গুল থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পাশাপাশি ইন্টারনাল অর্গানগুলো সম্পূর্ণরূপে তৈরি হচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলো মিলিয়েই কিন্তু একটি বাচ্চার সৌন্দর্য। শুধুমাত্র স্ক্রিন দিয়েই কিন্তু সৌন্দর্য বিচার করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে করণীয়
তবে হ্যাঁ মায়ের কিছু খাবারের সাথে কিন্তু বাচ্চার টোটাল গ্রোথটা রিলেটেড আছে। গর্ভাবস্থার সুপার ফুট হল যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফলিড থাকে। অর্থাৎ ফলিডের অভাবে কিন্তু আপনার বাচ্চা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। বিশেষ করে অনেকের ঠোঁট কাটা, তালু কাটা অর্থাৎ ব্রেনের কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা ফলিডের কারণে হয়।
তাই আয়রন, ফলিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি এবং প্রচুর মাল্টি মিনারেলস প্রেগনেন্সিতে প্রয়োজন পড়ে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হল মাকে খুব ভালো পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিম ও দুধ। এই দুটো খাবার একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারে থাকতেই হবে।
এই দুটো খাবার আপনার সন্তানের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে আমরা যে সুন্দর গঠনযুক্ত ও ফর্সা বাচ্চা চাই সেটা কিন্তু এই খাবারগুলোর মাধ্যমে আপনি অনায়াসে পাবেন। দুধের সাথে যদি একটু হলুদ গুঁড়া বা জাফরান মিক্সড করে যদি খান সে ক্ষেত্রে বাচ্চার গায়ের কালার ফর্সা হবে। এছাড়াও প্রকৃতিতে যে ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়া যায় সেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
বিশেষ করে কালারফুল ফলমূল বাচ্চাকে সুন্দর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় কালারফুল ফলমূল এবং শাক সবজি রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় সুপার ফুড হিসাবে কলা খেতে পারেন। কারণ কলা সারা বছরই পাওয়া যায়।
আপনার গর্ভের সন্তানের গায়ের রং যদি ফর্সা করতে চান তাহলে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখবেন। এছাড়াও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আনার খেতে পারেন এবং খেজুর প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় একটি করে সবুজ ফল রাখতে হবে।
অর্থাৎ দুধ, ডিম, বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে বাচ্চার গায়ের বর্ণ ঠিক করার জন্য ।তার পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বিচ যোগ করতে পারেন যেমন কুমড়ার বীজ, টমেটো অর্থাৎ কালারফুল সবজি এগুলো কিন্তু বাচ্চার গায়ের বর্ণের সঙ্গে রিলেটেড থাকে।
তাই গর্ভবতী মা পর্যাপ্ত পরিমাণে কালারফুল শাকসবজি ও ফলমূল এবং ভালো মানের প্রোটিন বিশেষ করে দুধ এবং ডিম এই খাবারগুলোকে খাদ্য তালিকায় রাখলেই দেখবেন যে বাচ্চার গায়ের রং অনেক ফর্সা হবে।
কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়
আপনি কি কি খেলে বাঁচার ব্রেইন ভালো হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কি খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয় সেই সম্পর্কে।
প্রথমত গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক খুবই প্রয়োজনীয় অর্থাৎ চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সপ্তম সপ্তাহ এই সময় কিন্তু বাচ্চার ডেভেলপমেন্ট বা ব্রেন ডেভেলপমেন্ট সবকিছুই তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ পুরো প্রেগনেন্সিতেই মোটামুটি ২৫% ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হয়ে যায়। এই সময় এমন কিছু খাবার মায়ের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যা খেলে বাচ্চা একটি উন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।
প্রথমত হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ভালো প্রোটিন বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো ডিম, দুধ, মাছ, মাংস। এর পরবর্তীতে হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার মানে প্রচুর কালারফুল শাকসবজি ও ফলমূল। এধরনের খাবার গুলো প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
সেগুলো ব্রকলি হতে পারে, পালং শাক, গাজর, টমেটো, বিনস এ ধরনের শাকসবজি এবং সিজনাল যে ফর্মুলা আছে সেগুলো খেতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারগুলোতে লুটেইন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টে খুবই সাহায্য করে। এরপর হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই মাকে খেতে হবে।
এই উপাদানটি বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই জরুরী। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ ও যেকোনো তৈলাক্ত মাছ সহ সিডস জাতীয় খাবারে। পাশাপাশি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই বাদাম রাখতে হবে। কারণ বাদামও বাঁচার ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই কার্যকর। এরপর হল কলিন জাতীয় খাবার। কোলিন জাতীয় খাবার পাওয়া যায় ডিমের কুসুমে।
ভিটামিন ডি খুবই ইম্পরট্যান্ট বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। একজন গর্ভবতী মায়ের যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে একটা উন্নত মস্তিষ্কের বাচ্চা কখনোই জন্ম দিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, কলিজা খেতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিনই আপনাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য রোদে দাঁড়াতে হবে।
এছাড়াও আপনি খেতে পারেন আয়রন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও আয়োডিনযুক্ত খাবার আপনাকে খেতে হবে বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। কারণ আয়োডিনের অভাব হলে বাচ্চারা হাবা গোবা হয়। তাই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার এবং লবণ প্রতিদিনে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন কি খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয় সেই সম্পর্কে।
লেখকের মন্তব্য - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় ,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়,গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়,কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url