মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় - সুদবিহীন লোন

ফরেক্স ট্রাইডিং কি হালালবর্তমান সময়ে ছোট বড় সকল উদ্যোক্তার ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক লোন প্রদান করছে। যা সকল ব্যবসায়ীদের জন্য আশার আলো। আজ আমরা এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানব মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় - সুদবিহীন লোন সম্পর্কে।
মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় - সুদবিহীন লোন
যাদের পুঁজি কম তাদের জন্য ব্যবসা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে লোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কোন ব্যাংক কি ব্যবসার জন্য কত লোন দেয় সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।

পোস্ট সূচীপত্রঃচলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বিভিন্ন ব্যাংকের লোন সম্পর্কে।

মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় - ভূমিকা

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যবসার জন্য মানুষ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছে যারা টাকার সংকটে ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারছে না। তাদের সুবিধার্থে কোন ব্যাংক কেমন লোন প্রদান করে থাকে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন তা হল-

সার্টিফিকেট জমা দিয়ে লোন,সুদবিহীন লোন,সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন,ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়,গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন,মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয়,কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় সে সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সার্টিফিকেট জমা দিয়ে লোন

আপনি কি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে লোন নেওয়ার কথা চিন্তা করছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে কিভাবে লোন নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

জামানত ছাড়া এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তফসিলি সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঋণ বিতরণ করবে। তবে এর আগে জানতে হবে তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক কি? তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক হচ্ছে সারা বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার। 
১৯৭২ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত ব্যাংক রূপে ঘোষিত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য ভুক্ত যা তফসিলি ব্যাংক নামে পরিচিত। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার পাবেন। 

এক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য স্টার্ট-আপ ফান্ড নামের ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক আরো জানিয়েছেন মাত্র ৪% সুদে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন এবং এই ঋণের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, স্টার্ট-আপ বলতে বোঝানো হয়েছে নতুন কিছু উদ্যোক্তা আছে যাদের মেধা আছে কিন্তু অর্থ নেই তারা এমন কিছু কাজ করতে চলেছে বা করতে ইচ্ছুক যা দেশ ও জাতির জন্য ভালো। এদের জন্যই মূলত সার্টিফিকেট জমা রেখে স্টার্ট-আপ লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

তবে হ্যাঁ ঋণের আকার টা ধারণ করবে আপনি যে প্রজেক্টে কাজ করছেন তার উপর। চলুন এবার জেনে নেই ঋণের আবেদন কিভাবে করতে হবে। যদিও এই ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক দিচ্ছে কিন্তু তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে দিবে। 

যার কারণে তফসিলি ব্যাংকের থেকে একটা ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই ফর্মে আপনি কোন কারণে লোন নিতে চাচ্ছেন সেই বিবরণ লিখতে ওই ব্যাংকের ফর্ম জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক যাচাই-বাছাই করার পর যদি আপনার ওপর সন্তুষ্ট থাকে তাহলে সেই প্রকল্পের উপরে সমপরিমাণ টাকা আপনাকে লোন দিবে।

আবেদন করার জন্য যে সকল যোগ্যতা থাকতে হবে তাহলে:আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তাকে সরকারি অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যবসা পরিচালনা, বাজারজাতকরণ বা অন্য কারিগরি বিষয়, পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, যন্ত্রপাতি মেরামত ইত্যাদি সাফল্যের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

সুতরাং আপনি যে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে চাচ্ছেন তার উপর আপনার অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়াও ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণের মূল সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংক রেখে দিবে। 

আর যদি কারো প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা না থাকে তাহলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যথাযথ বাস্তবভিত্তক অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগ পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ২১ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। আর এই ঋণ আপনি শুধুমাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের জন্যই নিতে পারবেন। 

এরপর এই ঋণ পরিশোধ হওয়ার পর পুনরায় আপনি এর থেকে বেশিও ঋণ নিতে পারবেন।এবার আমরা জানবো লোন পরিশোধ কিভাবে করবেন। এই লোন পরিশোধ করার নিয়ম হচ্ছে আপনি চাইলে তিন মাস পর পর কিস্তি দিতে পারেন আবার ছয় মাস অথবা এক বছর পরেও কিস্তি দিতে পারেন। 

যদিও এই লোনের মেয়াদ পাঁচ বছর তবে যদি আপনার প্রকল্প বড় হয় সেক্ষেত্রে ১০ বা ১৫ বছর মেয়াদী লোন নিতে পারবেন। আশা করছি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে লোন নেওয়ার ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন।

সুদবিহীন লোন

আপনি কি সুদ বিহীন লোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হবে সুদবিহীন লোন পাওয়া কিভাবে সম্ভব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা এই আরটিকালের মাধ্যমে জেনে নেই সুদবিহীন লোন পাওয়া কিভাবে সম্ভব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা ব্যাংক লোন নিতে চায়। 

কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সুদ হারাম জেনে এর থেকে দূরে থাকতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন অব্দি যতগুলো ব্যাংক রয়েছে সবগুলোতে কম বেশি সুদ রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি কোন ধরনের সুদ ছাড়া লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে আপনি লোন নিতে পারবেন না। কারণ প্রত্যেকটি ব্যাংকেই কমবেশি সুদের লেনদেন হয়। 
আপনি যদি সুদবিহীন লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে কোন ব্যক্তি পর্যায়ে সুদ বিহীন লোন নিতে হবে। কারণ আপনি যে ব্যাংকেই যান না কেন প্রত্যেকটি ব্যাংকেই কমবেশি সুদের লেনদেন হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সুদ হারাম জেনে এর থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলে তার থেকে লোন নিতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ব্যক্তির কাছে থেকে ৫০০ টাকা লোন নেন সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনি তাকে ৫০০ টাকায় ফিরিয়ে দিবেন এক্ষেত্রে কোন সুদ হবে না। এমনকি আপনি চাইলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুশি হয়ে কিছু বেশি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেটা সুদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে হয় না। 

তবে ব্যক্তি যদি আপনার সাথে জোর জবরদস্তি করে বেশি টাকা আদায় করে সেক্ষেত্রে তা সুদ হবে। তাই আপনি যদি সুদবিহীন লোন নিতে চান তাহলে কোন ব্যাংক থেকে না নিয়ে কোন ব্যক্তি থেকে নিতে পারেন। ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই ব্যক্তির সাথে খোলামেলা কথা বলে নিবেন। যে আপনি কোন সুদের মাধ্যমে টাকা নিতে পারবেন না। আশা করছি আপনি সুদবিহীন লোন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন

আপনি কি সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন সম্পর্কে। এই বিষয় সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আশা করছি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সাধারণভাবে ব্যবসায়ীদেরকে যে লোন দেওয়া হয় তাকেই ব্যবসায়ী লোন বলে। ব্যবসায়ী লোন পেতে হলে আপনাকে একজন ব্যবসায়ী হতে হবে। আর যিনি ব্যবসায়ী তার অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। 

ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই একমাত্র তাকেই ব্যবসায়ী বলা যাবে। সাধারণত ব্যবসায়ীদেরকে তার ব্যবসার পরিসর বড় করার জন্য লোন এর উপর নির্ভর করতে হয়। সঠিক নিয়ম কানুন না জানার কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ী লোন পেতে দারুন ঝামেলা পোহাতে হয়। জেনে নিন ব্যবসায়ী লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কি কি শর্ত পালন করতে হবে। 

কি কি কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে? সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়ীদের কে সহজ শর্তে, কম সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত এলাকা এবং জনগণের কাছে এস এম ই ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র দূর করার জন্য এস এম ই অর্থায়নের উপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এর উপর জোর দেয়। 

নারী ও সুবিধাবঞ্চিত উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএমই ক্রেডিট নীতি নির্ধারণ করা, সোনালী ব্যাংক তাদের অর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা এন্টারপ্রাইজ এর ধরন: মালিকানা এন্টারপ্রাইজ, নিবন্ধিত অংশীদারি প্রতিষ্ঠান, নিজের পরিচালিত সংস্থা।

ঋণগ্রহীতার মানদন্ড: বাংলাদেশি নাগরিক সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সী হতে হবে, ঋণ খেলাপি, ব্যাঙ্ক চ্যুত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না, নারী উদ্যোক্তারা আবেদন করতে পারবেন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লোন পাবেন।

ব্যবসাই লোনের বৈশিষ্ট্যঃ

ঋণ সীমা: ৫০০০০ থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত যা আপনার ব্যবসায়িক ইনকামের ওপর নির্ভর করবে।

ব্যবসায়িক লোনের সময়কাল: প্রকল্প বা মেয়াদী ঋণ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর তবে প্রকল্পের সময়কাল প্রকল্প প্রকৃতি অনুযায়ী নমনীয় হতে পারে।

ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা বাণিজ্যিক লোন: এক বছর মেয়াদ শেষে নবায়নযোগ্য।

নিরাপত্তা: পুরুষ উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত মুক্ত ঋণ সীমা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণের সীমা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা।

বৈশিষ্ট্যঃ

ঋণ: ইক্যুইটি অনুপাত, প্রকল্প বা মেয়াদি ঋণ: 70:30
ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা ট্রেডিং লোন: 75:25

লোন পেতে যে ডকুমেন্ট লাগবে:
১.আবেদনপ্রার্থী ও জামিনদাতার সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। এছাড়াও মূল গ্যারান্টোরের এর অতিরিক্ত গ্যারান্টার হিসেবে পরিবারের সদস্যকে গ্যারান্টার হিসেবে নিয়ে থাকে গ্যারান্টার ব্যবসায়ী হলে তার ট্রেড লাইসেন্স ও রিপোর্ট।

২. আবেদনপ্রার্থী ও জামিনদাতার জাতীয় ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি।

৩. ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি।(গ্যাস/বিদ্যুৎ)

৪. ব্যবসা অংশীদারিত্বের হলে ওই অংশীদারিত্বের ডিডের কপি।

৫. ই-টিন সার্টিফিকেট

৬. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে চলতি হিসাব।

লোন পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সময় কাল: প্রকল্প বা মেয়াদী ঋণ: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক/ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল অথবা বাণিজ্যিক লোন: দৈনিক ভিত্তিতে বা লোনের সময়কালের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য।

সুদের হার: সর্বোচ্চ ৯% তবে মেয়াদ ভেদে তা পরিবর্তন যোগ্য।

ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়

আপনি কি ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের পর্বে আলোচনা করা হবে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে আপনার যে নথি গুলো অবশ্যই প্রয়োজন হবে তা হল
  • নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধ্যবাধকতা
  • ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই
  • ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য আপনার যোগ্যতা
  • ঋণ আদায়ের প্রয়োজনে আইনে পদক্ষেপ গ্রহণ নিতে পারবে
উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো মাথায় রেখে আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন আপনি যেই ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছেন সেই ব্যাংকের শর্তসাপেক্ষে আপনাকে ব্যাংক ঋণ দেওয়া হবে এবং এর উপর ভিত্তি করে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবে।

গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন

আপনি কি গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নিতে চান? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে গরুর খামার করতে কোন ব্যাংক থেকে আপনি লোন নিতে পারেন সেই সম্পর্কে। 

এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পরুন। গরুর খামার করার জন্য আপনি অনেক ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন তবে উল্লেখযোগ্য যে ব্যাংকগুলো গরুর খামার করার জন্য লোন দিয়ে থাকে সেগুলো নিচে দেওয়া হল:
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক কৃষি উদ্যোক্তা লোন
  • ব্রাক ব্যাংক কৃষি উদ্যোক্তা লোন
  • সোনালী ব্যাংক কৃষি উদ্যোক্তা লোন
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • ট্রাস্ট ব্যাংক
এই সকল ব্যাংক থেকে যদি আপনি গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন নিতে চান তাহলে আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকতে হবে তা নিচে দেওয়া হয়েছে
  • সার্টিফিকেট অর্থাৎ গবাদি পশু পালন করার ক্ষেত্রে আপনি যে ট্রেনিং নিয়েছেন তার একটি সার্টিফিকেট। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে যুব উন্নয়ন থেকে ট্রেনিং করতে পারেন। ট্রেনিং করার পর যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় সেই সার্টিফিকেট।
  • ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • একজন গ্যারান্টি
  • টিন সার্টিফিকেট
  • গরু রাখার সেড বা ঘর

মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয়

আপনি কি মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় সেই সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সবার আগে জানতে হবে মর্টগেজ লোন আসলে কি? আপনি যদি কোন সম্পত্তি অথবা যে কোন মূল্যবান জিনিস বন্ধক রেখে লোন নেন সেটাই হলো মর্টগেজ লোন। 
অর্থাৎ আপনি যদি কোন ব্যাংকের কাছে আপনার মূল্যবান কোন কিছু বন্ধক রাখেন সেটাই হলো মর্টগেজ লোন। আপনার স্থায়ী যে কোন সম্পদ বন্ধক রাখতে পারেন যেকোনো ব্যাংকের কাছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংক কি এই সুবিধা দিচ্ছে। তবে কোন কিছু মর্টগেজ রাখার আগে অবশ্যই আপনি সেই ব্যাংক সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিবেন। 

আপনার যে ব্যাংকের মাধ্যমে লোন নিলে সুবিধা হবে আপনি সেখানেই আপনার মূল্যবান সম্পদ মর্টগেজ রাখতে পারেন। আপনি যে কোন ব্যাংক যেমন সরকারি বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সব ব্যাংকের মাধ্যমে মর্টগেজ লোন নিতে পারেন। আশা করছি আপনি মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান? তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংক কি প্রবাসী লোন প্রদান করছে। আপনি চাইলে যে কোন ব্যাংক থেকেই প্রবাসী লোন নিতে পারেন। কিন্তু আপনার জন্য সবচেয়ে সুবিধা হবে আপনার নিকটস্থ যে কোন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া। 

কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি প্রবাসী লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এছাড়াও আপনার আশেপাশে যদি কোন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক না থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাংক থেকেই প্রবাসী লোন নিতে পারেন। আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন কোন কোন ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়া যাবে।

লেখকের মন্তব্য - মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয়

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে লোন,সুদবিহীন লোন,সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন,ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়,গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন,মর্টগেজ লোন কোন ব্যাংক দেয়,কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় সে সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url