৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় - তলপেটের চর্বি কমানোর উপায়
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়মঅতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা ধরনের রোগ। তাই অতিরিক্ত ওজন কমানো জরুরী। সমস্ত শরীরের মেদ কমলেও পেটের মেদ যেন কমতেই চায় না। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানব ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় - তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে।
অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও শারীরিক কসরোত না করার কারণে দিন দিন মানুষের স্থূলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের জটিলতা।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো পেটের মেদ কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় - ভূমিকা
পেটের মেয়ের শরীরের বাড়তি সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। যে কারণে পেটের মেদ খুবই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পেটের মেদ কমাতে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো জানব তা হল-
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা,মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়,ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়,তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়,৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়,৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়,পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে । বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
আপনি কি পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে।
অনেকে আছেন যারা পেটের চর্বির জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। তাই তারা চান কি খেলে পেটের মেদ খুব সহজেই কমে যাবে। যে কারণে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে আপনারা খুঁজতে থাকেন কোন খাবারগুলো পেটের মেদ কমানোর জন্য কার্যকর। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- ফলমূল ও শাকসবজি এ খাবারগুলোতে মাইক্রোনিউক্লিয়েন্ট ও ফাইবার বেশি থাকার কারণে তা কোলেস্টেরল ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
- সবুজটা হালকা এ পানীয় কেবল শরীরকে সতেজি রাখেনা, সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- পেটের মেদ কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লেবু ও শশা যা অধিকাংশ মানুষই জানে।
- বাদাম ও অলিভ অয়েল পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- বিভিন্ন ধরনের মসলা যেমন আদা, জিরা, দারুচিনি ইত্যাদি। মসলা জাতীয় খাবার ও ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- আশঁ জাতীয় খাবার পেটের মেদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
আপনি কি মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
পেটের মেদ স্পষ্ট হতেই ঢাকা পড়ে শারীরিক সৌন্দর্য। আর তাই সবারই চাওয়া থাকে পেটের মেদকে কন্ট্রোলে রাখা। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমলেও পেটের মেদ যে সহজে কমে না। চিকিৎসকদের মতে, পেটের মেদ কমাতে প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন। তাই পেটের মেদ কমাতে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে ফাইবার যুক্ত খাবার।
সেক্ষেত্রে লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার কিংবা শাকসবজি বা ফলমূল জাতীয় খাবারে মিলবে এই ফাইবার। গ্রিন টি তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেটের মেদ কমাতে বেশ কার্যকরী। তাই দুধ ও চিনি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে গ্রিন টি। অন্যদিকে আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড।
যা পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। অন্যদিকে যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচা মরিচ। কারণ এই মসলা যেমন স্বাস্থ্যকর এছাড়াও পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী।
পেটের মেদ কমানোর জন্য অন্যতম কার্যকরী টোটকা হল প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা। এতে যেমন একদিকে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকবে অন্যদিকে শরীরে মেয়েদের জমার প্রক্রিয়া হবে ধীর।
ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
আপনি কি ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
নিজেকে ফিট রাখতে সকলেই চাই। যে কারণে অতিরিক্ত মেদ কেউ পছন্দ করে না। তবুও এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় মানুষকে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী অধিকাংশ সময়ই বসে কাটাতে হয় তাদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। ব্যস্ততার এই জীবনে সকলেই পেটের মেদ কমাতে চায় তবে শর্টকাটে।
ব্যায়াম ছাড়া শুধুমাত্র খাবার খেয়ে পেটের মেদ কমাতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে সময় লাগবে অনেক বেশি। তাই আপনি যদি ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খাদ্যাভাসে অমল পরিবর্তন আনতে হবে। কোন মতেই ফাস্টফুড বা কোল্ড ড্রিংস জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত তেল মশলা এবং মিষ্টি জাতীয় সকল খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
এছাড়াও সাদা চালের ভাত এবং সাদা আটার রুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে লাল চাল অথবা লাল আটার রুটি। বেশী বেশী শাক-সবজি এবং ফলমূল। যে খাবারগুলো খেলে চর্বি গলে সেই জাতীয় খাবার খাওয়া। এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
আপনি যদি খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারেন তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার পেটের মেদ কমতে শুরু করেছে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি সময় করে হাটাহাটির অভ্যাসটা গড়ে তুলতে পারেন। ব্যায়াম যদি নাও করতে চান চেষ্টা করবেন প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার। তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত কোন প্রকার ব্যায়াম ছাড়া আপনার পেটের মেদ কমে যাবে।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
আপনি কি তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে। পেটের চর্বি এমন একটি জিনিস যা কেউ পছন্দ করে না।
যে কারণে সবাই চায় খুব সহজে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। তবে কোন কিছুরই শর্টকাট নেই। তাই আপনি যদি তলপেটে চর্বি কমাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে পাশাপাশি আপনার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে কখনোই চর্বি কমানো যায় না।
তাই আপনার খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই আপনি তলপেটে চর্বি কমাতে পারবেন। পাশাপাশি আপনাকে কিছুটা সময় বের করে শরীর চর্চা এবং হাটাহাটির অভ্যাস করতে হবে। আপনি যদি খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাটাহাটি করতে পারেন এবং আরো কিছু সময় শরীর চর্চা করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনার তলপেটে চর্বি খুব সহজেই কমাতে পারবেন। খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন, ব্যায়াম এবং হাটাহাটি ছাড়াও আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কারণ পানি চর্বি কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাই অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। আশা করছি আপনি তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
আপনি কি ৩ দিনের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা পেটের মেদ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকেন। সমস্ত শরীরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দ্রুত মেদ জমে পেটে। এছাড়াও দেখা যায় শরীরচর্চার অভাবে উরুর মেদ ও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। কর্মব্যস্ত জীবনে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষই আট থেকে দশ ঘণ্টা বসে কাজ করেন।
যার মাধ্যমে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় পেট ও উরুর মেদ। যত দ্রুত এই মেয়ের জমতে শুরু করে কিন্তু এই মেদ কমাতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা কিভাবে আপনি দ্রুত পেটের মেদ কমাতে পারেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। এই পদ্ধতি গুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার পেটের মেদ কমাতে পারবেন।
গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খান: প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে লেবু।
এছাড়াও দ্রুত চর্বি গলাতে সাহায্য করে থাকে লেবু পানি। আপনি যদি গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
জিরা পানি পান করুন: সকালের পানীয় হিসেবে আপনি জিরা পানি পান করতে পারেন। জিরা পানি হজমের সহায়তা করে। পেটের ফোলা ভাব কমায় ও পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে থাকে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে শক্তি জোগাতে প্রোটিনের ভূমিকা অনেক। নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেশী গঠনের পাশাপাশি সারাদিন পেট ভরা রাতে সাহায্য করে। যার ফলে বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণের ইচ্ছা করবে না। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দেহের চর্বি সঞ্চয়কারী ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
শস্যজাতীয় খাবার: শস্য জাতীয় খাবার হল আশঁ সমৃদ্ধ। এ জাতীয় খাবার শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্ষুদা ভাব কমাতে ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের চাহিদা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ আশঁ সমৃদ্ধ শস্য ওজন কমানো এবং পেটে মেদ কমাতে সাহায্য করে।
মসলা জাতীয় খাবার: আদা হজমে সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আদা প্রদাহনাশক উপাদান সমৃদ্ধ। ওজন কমাতে চাইলে খাবারে এই ধরনের মসলা যোগ করুন। আদা দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত পানি পান: ওজন কমানোর মূল চাবিকাঠি হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। নিজেকে আদ্র রাখার পাশাপাশি পানি অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমায়। খাবারের আগে পানি পান অতিরিক্ত খাবার সম্ভাবনা কমায়। যার কারনে পেটের চর্বি জমা হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
এছাড়াও খাবার মেনটেন করার পাশাপাশি শরীর চর্চা প্রয়োজন দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে। তাই আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান আপনাকে ডায়েটের পাশাপাশি অবশ্যই শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে। আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
আপনি কি ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৭ দিনের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। মানুষের শরীরে সবচেয়ে দ্রুত মেয়েদের জমে পেটে। যা নিয়ে মানুষের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ওজন কমানো গেলেও পেটের ওজন সহজে কমানো যায় না। পেটের ওজন কমাতে গেলে মানুষকে বেগ পেতে হয়। যে কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকে।
কারণ আমাদের আশ্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও খাবার দাবার আমাদের পেটে মেদ জমতে সাহায্য করে। যদিও বাঙালিরা চাইলেও অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার থেকে দূরে থাকতে পারে না। পরিণত খেয়ে এবং শরীর চর্চা করে খুব সহজেই পেটের চর্বি কমিয়ে ফেলা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে সাত দিনে পেটের মেদ কমাতে পারেন সেই সম্পর্কে।
- আপনাকে একটা টার্গেট নিয়ে ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে চলতে হবে।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু পানি বা জিরা পানি অথবা জিরা পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে হবে।
- এরপর সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি কিংবা শরীর চর্চা করতে হবে।
- এরপর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে কুসুম গরম পানি হলে ভালো হয়।
- সকালের নাস্তায় খুবই সামান্য পরিমাণ খেতে হবে।
- বেশি বেশি সবজি ও সালাত জাতীয় খাবার খেতে হবে, সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ টক দই খেতে পারেন। কারণ টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- এরপর দুপুরে খুবই কম পরিমাণে ভাত অথবা রুটি সাথে সবজি সালাদ মাছ বা মাংস খেতে পারেন।
- বিকেলের দিকে নাস্তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস অথবা বাদাম খেতে পারেন।
- এরপর রাতের খাবার সেরে নিতে হবে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে।
- রাতের খাবারেও আপনি খেতে পারেন খুবই কম পরিমাণে ভাত বা রুটি সাথে সবজি, ডাল, মাছ মাংস।
- এরপর রাতের খাবারের পর আবার একটু শরীর চর্চা করে নিতে পারেন।
- খাবার মেনটেন করার পাশাপাশি অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- এভাবে যদি আপনি সাত দিন মেইনটেইন করতে পারেন তাহলে দেখবেন সাত দিন পর আপনার পেটের মেদ অনেকাংশে কমে গেছে। আশা করছি আপনি সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
আপনি কি পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেটের চর্বি কমানোর ৯ টি সহজ উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে।
পেটে মেদ বা চর্বি হলে চলাফেরা যেমন কষ্ট হয় তেমনি নষ্ট হয় সৌন্দর্য। অনেকেই আছেন যাদের শরীর তেমন একটা মোটা নয় তবে পেটে অনেক মেদ কিংবা দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমায় খুবই অস্বস্তি বোধ করেন। এক্ষেত্রে কোন পোশাকেও ভালো লাগেনা। শরীরের বাড়তি মেদ কিভাবে দূর করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায় নিয়ে আজ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
- প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর শরবত দিয়ে। এই পদ্ধতিটি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে শরবত করে খান সাথে একটু লেবু এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে তিনি মেশানো যাবেনা। প্রতিদিন সকালে পানিওটি পান করুন। এই পানি আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
- সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিন সাদা ভাত খাওয়া ছেড়ে দিন। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। এছাড়াও লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস সহ অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
- চিনি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন। অর্থাৎ চিনি কে না বলুন। এছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, সেমাই থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।
- উচ্চ তেল যুক্ত খাবার এবং সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ড ড্রিঙ্ক গুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এবং কোল্ড ড্রিংস জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।
- পেটের মেদ কাটাতে হলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলোকে দূর করে দেবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিনজার বলা হয়।
- কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খায়। এরপর লেবুর শরবত পান করুন। এই ফর্মুলাটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
- যতদিন পেটের মেদনা কমবে ততদিন ননভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম ,দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতে পারে।
- প্রতিদিন সকাল এবং বিকেল এই দুই সময় ফল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং খনিজ লবনের ঘাটতি পূরণ করবে।
- ঝাল জাতীয় খাবার খান এতে কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না, ঝাল খাবেন কিন্তু ঝাল গুলো আসবে দারুচিনি, আদা, গোল মরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মসলাগুলো স্বাস্থ্যকর এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য বেশ উপকারী।
- উপরে উল্লেখিত সব কিছু মেইনটেইন করার পরেও আপনাকে যেটা ফলো করতে হবে তা হলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।
লেখকের মন্তব্য - ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা,মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়,ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়,তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়,৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়,৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়,পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url