ওজন কমাতে টকদই খাওয়ার নিয়ম - টক দইয়ের ক্ষতিকর দিক
আখের রসের উপকারিতাপ্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে মানুষ দই কে খাবার হিসেবে গ্রহণ করছে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই দই খাওয়ার চল রয়েছে। পুষ্টিকর খাবার হিসেবে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব ওজন কমাতে টকদই খাওয়ার নিয়ম - টক দইয়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
দুই ধরনের দই পাওয়া যায় যেমন টক দই ও মিষ্টি দই। তবে মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই এর উপকারিতা অনেক বেশি।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আর দেরি না করে চলুন আমরা টক দই সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেই।
ওজন কমাতে টকদই খাওয়ার নিয়ম - ভূমিকা
নিয়মিত টক দই খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়। টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও টক দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে টক দই সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানব তা হল-
টক দই দাম,টক দই খেলে কি গ্যাস হয়,রাতে টক দই খেলে কি হয়,ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা,ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম,টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
টক দই দাম
আপনি কি টক দই দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে টক দইয়ের দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা টক দই এর দাম সম্পর্কে জেনে নেই। বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টক দই পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড অনুযায়ী টক দই এর দামের ভিন্নতা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
যদিও তেমন কোন আকাশ পাতাল তফাৎ নয়। যেমন আড়ং ব্র্যান্ডের স্বল্পোননিযুক্ত টক দই ৫০০ গ্রামের দাম ৮০ টাকা। এছাড়াও মিল্কভিটার টক দই ৫০০ মিলিগ্রামের দাম ৮০ টাকা। এমন অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে যেখান থেকে আপনার পছন্দ আপনি টক দই সংগ্রহ করতে পারেন।
তবে সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি বাড়িতেই টক দই তৈরি করতে পারেন। কারণ ঘরে পাতার টক দই এর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। আশা করছি আপনি টক দইয়ের দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
টক দই খেলে কি গ্যাস হয়
টক দই খেলে কি গ্যাস হয় আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টক দই খেলে কি গ্যাস হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই টক দই খেলে কি গ্যাস হয় সেই সম্পর্কে। টক দই স্বার্থের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার।
যে কারণে খাদ্য তালিকায় টক দই রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময়ে যদি টক দই না খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে পেটে গ্যাস হতে পারে। তাই অবশ্যই সঠিক সময়ে টক দই খাওয়া উচিত।টক দই মূলত দুপুরের খাবার পর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি চাইলে সকালে খাওয়ার পরও খেতে পারেন।
প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম টক দই খেতে পারে। অপ্রাপ্ত বয়স্করা প্রতিদিন ১০০ গ্রামের মতো টক দই খেতে পারে। টক দইয়ের সাথে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে খাবেন না। প্রয়োজন হলে একটু বিট লবণ ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাতে টক দই খাওয়া উচিত নয় এক্ষেত্রে গ্যাস হতে পারে।
একান্তই যদি রাতে টক দই খেতে হয় তাহলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে রাতে টক দই খাওয়ার জন্য। সেই নিয়মগুলো আপনি নিচের পর্ব থেকে দেখে নিতে পারেন। আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন টক দই খেলে কি গ্যাস হয় সেই সম্পর্কে।
রাতে টক দই খেলে কি হয়
রাতে টক দই খেলে কি হয় আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে রাতে টক দই খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই রাতে টক দই খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। দই সাধারণত শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী। তাছাড়া দাঁত ও হাড় ও মজবুত করে। তবে রাতে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তবু যদি খেতে চান তাহলে কয়েকটি ভিন্ন উপায় দই খাওয়া যেতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রাতে দই খাওয়া ঠিক নয়। কেননা এটি মিউকাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে কেউ চাইলে দইয়ের বদলে ঘোল খেতে পারেন।
এছাড়াও দিনের বেলায় দই খেলে তা চিনি ছাড়া খেতে হবে এবং যদি রাতে দই খেতে চান তবে তাতে চিনি অথবা কালো গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে গ্যাস অম্বলের আশঙ্কা কমবে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। আর দই হবে অবশ্যই ঠান্ডা কারণ গরম দই খাওয়া উচিত নয়। রাতে দই খেতে চাইলে যে সব উপায়ে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সবথেকে ভালো তা হল।
দই চিড়ে: এটি পেটের জন্য বেশ ভালো খাবার। তাছাড়া গরমের দিনে দই চিড়া খাওয়া বেশ স্বস্তিদায়ক ও।
দইয়ের সঙ্গে চিনি: দয়ের সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খান, সারাদিন ভালো কাটবে।
ঘোল: প্রতিদিন দই খেতে চাইলে ঘোল করে খাওয়া যেতে পারে।
রাইতা: চাইলে এতে পেঁয়াজ শসা টমেটো ও অন্যান্য ভেষজ উপাদান মিশিয়ে নিতে পারেন যা স্বাস্থ্যকর ও বটে।
দই ভাত: রাতের বেলা যদি দই খেতেই হয় তাহলে দই ভাত খাবেন। এই খাবারটি শরীরকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লস্যি বা বাটার মিল্ক: ঘরেপাতা দই যদি রাতের বেলা খেতে ইচ্ছে করে তাহলে এক গ্লাস লক্ষ্মী বাটার মিল কিন্তু খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা
আপনি কি ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অতিরিক্ত ওজনের জন্য আমাদের দেহে নানা রকম রোগ হতে পারে। কিন্তু টক দই খেলে আপনি খুব সহজেই দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। টক দই শরীরের ফ্যাট কমিয়ে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
টক দই খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ফলে অন্য কোন খাবার খেতে ইচ্ছা করে না। এর ফলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যে কারণে ওজন কমানোর জন্য টক দইয়ের এত কদর অনেক আগে থেকেই। নিয়মিত এক বাটি করে দই খাওয়া শুরু করলে দারুন উপকার মিলবে।
বিশেষত ভুড়ি কমাতে দইয়ের কোন বিকল্প হয় না। ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসির গবেষকদের করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সেইসঙ্গে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়।
ফলে ওজন কমার সম্ভাবনা প্রায় ২২ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পরিমান মত টক দই রাখবেন। আশা করছি আপনি আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়ে ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বাড়তি ওজন আমাদের সকলের কাছেই ঝামেলার।
পাশাপাশি বাড়তি ওজনের ফলে শরীরের নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যে কারণে সবাই চায় আশানুরূপ ওজন। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে নানান উপায় খোঁজে সকলে। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো টক দই খাওয়া। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টক দই রাখলে আপনা আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
যে কারণে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন টক দই রাখতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে খাবার মেইনটেইন ও চর্চা করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আপনি যেভাবে টক দই খেতে পারেন তা হল। টক দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে স্মুদি কিংবা পোরিজে ব্যবহার করতে পারেন।
স্মুদি তৈরি করার জন্য নানা রকম ফল, দুধ, দই আর সামান্য চিয়া বীজ ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। কাঁচের গ্লাসে স্মুদি ঢেলে উপরে চিয়া সিড ছড়িয়ে পান করুন। এটি পান করার ফলে ওজন কমানোর পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ফলের সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও টক দই দিয়ে জুস তৈরি করেও খেতে পারেন এতেও ভালো ফলাফল পাবেন। আশা করছি আপনি ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছে।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত একটি খাবার হল টক দই। নিয়মিত টক দই খাওয়ার ফলে আমরা অনেক উপকারিতা পেতে পারি। এখন আমরা জানবো টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত টক দই খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও এই খাবার দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমতে দেয় না। দেহ থেকে টক্সিন বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অতিরিক্ত ওজনের জন্য আমাদের দেহে নানা রকম রোগ হতে পারে। কিন্তু টক দই খেলে আপনি খুব সহজেই দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
টক দই শরীরের ফ্যাট কমিয়ে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ফলে অন্য কোন খাবার খেতে ইচ্ছা করে না। এর ফলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: টক দইয়ে উপস্থিত থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। দই নিজেও সহজে হজম হয় এর পাশাপাশি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে সমস্যা হয় তারা কিন্তু টক দই খুব সহজেই খেতে পারেন।
কারণ এতে থাকা আমিষ দুধের আমিষ এর চেয়ে খুব সহজেই হজম হয়। তাই টক দই খেলে যেমন পুষ্টি পাবেন তেমনি খুব দ্রুত হজম হবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার একটি জটিল সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষকে এই রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। নিয়মিত টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হতে না চাইলে আমাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া উচিত।
এছাড়াও টক দই আমাদের দেহের খারাপ কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়: আমরা সকলেই জানি দুধে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু টক দইয়ে দুধের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা আমাদের হাড়ের গঠন ও হারকে মজবুত করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। তাই টক দই দাঁত ও হাড়ের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার।
এই কারণেই মহিলাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া উচিত। কারণ মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাড় জনিত সমস্যা দেখা যায়।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: আমাদের পাচনতন্ত্রের সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতার একটি দারুণ সম্পর্ক আছে। আমাদের খাবার যদি সহজে হজম না হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের ত্বকে এর প্রভাব পড়ে। পাই নিয়মিত টক দই খেলে আপনার পেট পরিষ্কার হবে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এর ফলে ত্বকের সৌন্দর্য খুব সহজেই বৃদ্ধি পায়।
আলসারের সম্ভাবনা কমায়: টক দই পাকস্থলীর নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে হজম শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত টক দই গ্রহণ করলে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাই দুপুরে খাবার খাওয়ার পর টক দই খাওয়া একটি অত্যন্ত ভালো অভ্যাস।ল্যাক্টোজ এর সংবেদনশীলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের নানারকম সমস্যা দূর করতে টক দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
টক্সিন দূর করে: টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ও অন্ত্রনালীকে পরিষ্কার রাখে ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করা যায়। আমাদের দেহের টক্সিন কমার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং তারুণ্য বজায় থাকে। তাই নিজেকে ফিট ও সুন্দর রাখতে আমাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া উচিত।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল অনেকের হজমের সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে টক দই দারুণভাবে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই দুপুরের খাবার খাওয়ার পর টক দই খেলে হজম শক্তি খুব সহজেই বৃদ্ধি পায়।
বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: বয়স্ক মানুষের চেয়ে বাচ্চাদের পাচনতন্ত্র খানিকটা দুর্বল হয়ে থাকে। তারা সহজেই সব খাবার হজম করতে পারে না। কিন্তু বাচ্চারা টক দই খুব সহজেই হজম করতে পারে। যা তাদের পাকস্থলীকে অনেকটা ঠান্ডা রাখে। এর পাশাপাশি টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বাচ্চাদের নরম হাড় মজবুত করতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
টক দই এর ক্ষতিকর দিক
আপনি কি টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নেই। শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তবে অনেক সময় এই উপকারী উপাদানটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি যদি সঠিক সময় এবং সঠিক মাত্রায় টক দই সেবন না করেন সে ক্ষেত্রে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এখন আমরা জানবো টক দই এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
টক দই এর ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
- রাতের বেলায় টক দই খাওয়া উচিত নয় কারণ রাতের বেলায় টক দই খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
- এছাড়াও রাতের বেলায় টক দই খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ফ্রিজ থেকে টক দই বের করে সাথে সাথে খাওয়া উচিত নয় কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সর্দি কাশি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- টকদের সাথে চিনি মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- টক দই গরম করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এতে শরীরের নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে টক দই খাওয়া উচিত নয়। যদিও বা খান সেক্ষেত্রে সীমিত পরিমানে খেতে হবে।
- এছাড়াও রাতের বেলায় টক দই খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং অস্থিরতা অনুভব করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য - ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো টক দই দাম,টক দই খেলে কি গ্যাস হয়,রাতে টক দই খেলে কি হয়,ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা,ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম,টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,টক দই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url