ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

জামের বীজের উপকারিতামানব দেহের জন্য ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। ভিটামিন ই এর অভাবে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো জানতে পারবো ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ত্বক, চুল ও নখের জন্য ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ই প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ফলমূল থেকে পাওয়া যায় তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্যাপসুলের প্রয়োজন পড়ে।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আজ এই আরটিকালের মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা উপকৃত হবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ভূমিকা

যাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে তারা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করে সে ক্ষেত্রে তারা উপকৃত হবে। এছাড়াও যাদের ত্বক এবং চুলের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে যে পয়েন্টগুলো আলোচনা করা হয়েছে তা হলো-

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম,ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম,ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়,ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো,ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়,ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। 

আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। প্রতিদিন কতটা ভিটামিন ই গ্রহণ করা প্রয়োজন আগে সেটা জেনে নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাজারে উপলব্ধ ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট এ প্রতিদিন প্রায় ৬৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই সরবরাহ করার ব্যবস্থা থাকে। এটা বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত পরিমাণের থেকে অনেক বেশি। 

তবে যাদের দেহে ভিটামিন ই এর অভাব আছে তাদের জন্য এই সাপ্লিমেন্ট ভালো। সাধারণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আশা করছি আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

চলুন আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নাম সমূহ কি। ভিটামিন ই সম্পূরক দুটি আকারে পাওয়া যায়। উভয়ই বেশ ভালো কাজ করে। তবে প্রাকৃতিক ভিটামিন ই বেশি ভালো। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই ভিটামিন এ সম্পূরক দুটির নাম।
  • সিন্থেটিক
  • প্রাকৃতিক
ভিটামিন ই এর সিন্থেটিক রূপ হল:
Di - Alpha tocopherol

ভিটামিন ই এর প্রাকৃতিক রূপ হল:
Alpha tocopherol

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয় সেই সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়। সাধারণত মানুষ ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন। তবে এ ধরনের ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো রাত। আপনি যদি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেন কেউ আপনাকে রাতে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিবে। আপনি চাইলে সকালেও খেতে পারেন। 

তবে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো রাতের খাবার খাওয়ার ৪০ মিনিট পর আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এরপরেও যদি আপনার মনে কোন দ্বিধা থেকে থাকে তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে পারেন। 

কারণ ওষুধের নির্দেশিকাতে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখা থাকে। তাই আপনি চাইলে ওষুধের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে পারেন। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করতে পারেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি সাপ্লিমেন্ট। আপনার যদি ত্বক এবং চুলের সমস্যা থেকে থাকে যেমন অতিরিক্ত চুল ওঠা বা ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া এ ধরনের সমস্যায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী।

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়, হূদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে, ক্যান্সারের বৃদ্ধি কমাতে পারে, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা করে, চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে রক্ষা করে। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিশেষ করে সবার কাছে বেশি পরিচিত হলো ত্বক চুলের জন্য। 
আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করেন তাহলে দেখতে পাবেন আপনার চুল ও ত্বকের পরিবর্তন। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের ত্বক উজ্জ্বল করে ও সেই সাথে ত্বককে সতেজ রাখে। অন্যদিকে চুলের গোড়া শক্ত করা পাশাপাশি চুলকে করে মজবুত ও মসৃণ। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর হয়ে যাবে। 

মুখের কালো দাগ দূর করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভূমিকা অনেক। এছাড়াও বয়সের ছাপ দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিশেষ কার্যকর। আশা করছি আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আরটিকালের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে। ভিটামিন এ অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান মানব শরীরের জন্য। বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। 

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে এই চারটা ভিটামিন হলো ফ্যাট সলিউভোল ভিটামিন। আপনার শরীরের সমস্যার উপর নির্ভর করে যে কোন একটি ভিটামিন আপনি নিতে পারেন। তবে আপনার শরীরে কোন ভিটামিন প্রয়োজন সেটি জানতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

তবে আপনি যদি প্রশ্ন করে থাকেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সে ক্ষেত্রে উত্তর হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সবগুলোই ভাল তবে আপনার শরীর কোনটা আবজর্ভ করতে পারবে সেটার উপর নির্ভর করছে ভাল খারাপ। তাই অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ই গ্রহণ করার পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় সেই সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তবে ভিটামিন ই যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়ে ফেলি তবে সেটা আমাদের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর হয়ে যাবে। 

বিশেষ করে যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিন ই অতিরিক্ত ঢুকে যায় তাহলে যে ক্ষতি গুলোর সম্মুখীন হতে হবে তা হল-
  • মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • প্রচন্ড পেট ব্যাথা হতে পারে বা পেট খারাপ হতে পারে।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
  • ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে বা বমি হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হতে পারে।
  • ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
এইসব উপসর্গ শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট টা প্রতিনিয়ত খেতে থাকেন। তাই ভিটামিন ইজ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। 

আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ভিটামিন ই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের ইমিউনি সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে উন্নত করে। 

ভিটামিন ই প্রায় আটটি যৌগিক পদার্থের গ্রুপ এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন ই গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে অবাক করা পরিবর্তন ঘটে। আমরা আজকে জানবো ভিটামিন ই গ্রহণ করার ফলে আমাদের শরীরে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা মিলবে সেই সম্পর্কে। 

প্রতিদিন ভিটামিন ই যুক্ত খাদ্য বা সম্পূরক খাদ্য ব্যবহার করলে যে সকল আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়, হূদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে, ক্যান্সারের বৃদ্ধি কমাতে পারে, 

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা করে, চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে রক্ষা করে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা সম্পর্কে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে তারা অনায়াসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন। তবে সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। চলুন জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা সমূহ-

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়
দেহে ফ্রী রেডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভারসাম্য নষ্ট হওয়াকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলা হয়। এর ফলে দেহের কলা কোষের ক্ষতি হতে পারে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা এই ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ভিটামিন ই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে
ভিটামিন ই হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমায় বলে মনে করা হয়। লিপিড জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে বলা যায় যে, যে সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন যাদের হিমোডায়ালাইসিস চলছে তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়। আবার বেশ কিছু গবেষক এই তথ্য কে ভুল বলে মনে করেন। 
গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, ভিটামিন ই গ্রহণ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও ওমেগা থ্রি এর সাথে ভিটামিন ই সম্পুরা গ্রহণ করলে দেহে খারাপ চর্বি LDL এবং ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা কমে ফলে হার্টের রোগের সম্ভাবনা ও কমে।

ক্যান্সারের বৃদ্ধি কমাতে পারে
ভিটামিন ই ক্যান্সারের বৃদ্ধি কমাতে পারে বলে মনে করা হয়। যেহেতু ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে। যার কারণে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে যায়। 

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ভিটামিন ই কম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে সব ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ই কোন সাহায্য করে না। এমনকি ভিটামিন ই বেশি গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা করে
লিভারে চর্বি জমে লিভারের কাজ ব্যাহত হওয়াকে ফ্যাটি লিভার রোগ বলা হয়। অ্যালকোহল পান না করা সত্ত্বেও যাদের ফ্যাটি লিভার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই উপকারি হতে পারে। ভিটামিন ই গ্রহণ করলে লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং SGOT,SGPT ইত্যাদি উৎসেচকের নিঃসরণ কমে।

চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
ম্যাকুলার ডি জেনারেশন এবং ছানি পড়া এই দুটি হলো চোখের অন্যতম পরিচিত রোগ। এই রোগ গুলির প্রধান কারণ হলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রী রেডিকেল থেকে হওয়া ক্ষতি। ভিটামিন ই এই ক্ষতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ই চোখের রেটিনা বা ম্যাকুলার স্ট্রেস কমায় এবং চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও চোখের ছানি পড়তে বাধা দেয় ভিটামিন ই।

চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
চিন্তা ভাবনা করার সামর্থ্যকে কগনিটিভ হেলথ বলা হয়। সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে আমাদের কগনিটিভ হেলথ ভালো থাকে। বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ভিটামিন ই আমাদের ভাবনা-চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মানসিক কার্যকলাপ ও মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন ই বেশ উপকারী।

ত্বককে রক্ষা করে
সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট আলো আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। এই ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিম লোশন ব্যবহার করা হয়। সানস্ক্রিম লোশনের অন্যতম উপাদান হল ভিটামিন ই। ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা উপশম করে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অনেক উপকারিতা থাকার পরেও এর কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন আমরা জেনে নেই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অপকারিতা সম্পর্কে। ভিটামিন ই বেশি গ্রহণ করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ এটি ফ্যাটে দ্রবীভূত ভিটামিন। ভিটামিন ই বেশি গ্রহণ করলে যে সকল সমস্যা হতে পারে তার হল।
  • ত্বকে জ্বালা হতে পারে
  • বমি বমি ভাব হতে পারে
  • মাথা ব্যথা হতে পারে
  • রক্তপাত হতে পারে
  • ক্লান্তি অনুভব হতে পারে
  • ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • বিশেষ করে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই গ্রহণ করা উচিত নয়।

লেখকের মন্তব্য - ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম,ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম,ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়,ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো,ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়,ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url