ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা - ক্যালসিয়াম ঔষধ
ফেমিকন খাওয়ার নিয়মআপনি কি জানেন ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়? দাঁত ও হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই। আজ আমরা জানব ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা - ক্যালসিয়াম ঔষধ সম্পর্কে।
ক্যালসিয়ামের অভাবে যেমন হাড় ও দাঁতের ক্ষয় হয় তেমনি স্নায়ু, হৃদ স্পন্দন ও মাংসপেশীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে চলুন আর দেরি না করে আমাদের শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে জেনে নেই।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা - ভূমিকা
হাড়ের ক্ষয় বেশি হলে অস্টিওপোরেসিসের মত মারাত্ম রোগ দেখা দিতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ থেকে বাঁচতে যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে সেই সব খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানব তা হল-
শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয়,কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে,ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা,ক্যালসিয়াম ঔষধ,ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি,আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয়
আপনি কি শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সামান্য হাত-পা ব্যথা বা জয়েন্টের ব্যথা, অবসাদ বোধ করা, বয়স জনিত হাড়ের ব্যথা যেকোনো সমস্যায় আমরা নিজে নিজে অথবা কারো পরামর্শে শুরু করে দেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া। এমন হলে যে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে এমন কোন কথা নেই।
কেননা আমরা প্রতিদিন যে ধরনের খাবার খেয়ে থাকি তাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। অনেকে আছেন যারা কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে নিজে নিজেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কিনে খাওয়া শুরু করে।
যা মোটেও ঠিক নয়, এ ধরনের কাজের ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী তবে প্রয়োজনের বেশি ক্যালসিয়াম খাওয়ার ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে সাথে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, অবসাদ এমনকি কিডনিতে পাথরও হতে পারে। এছাড়াও পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়।
বেশি ক্যালসিয়াম খেলে হজমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়াম এক ধরনের খনিজ যা আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আশা করছি আপনি শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে
কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
সাধারণত আমরা জানি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারেন। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে বাদাম, টক দই, সামুদ্রিক মাছ, মরিঙ্গা পাতা, দুধ, সবুজ শাকসবজি, তিল, মসুর ডাল,চিজ, ছোলা ইত্যাদি।
এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
কারণ খাবার খেয়ে যদি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। তবে অবশ্যই কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন না। আশা করছি উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো খেলেই আপনার ক্যালসিয়াম বাড়বে।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা
আপনি কি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।ক্যালসিয়াম মানব দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
দাঁত ও হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য অনেকেই ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন।
কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলি খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনাকে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের নাম।
বাদাম: নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ বাদামের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা অনেক বেশি। বাগানে থাকে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনকে মজবুত করে। এছাড়াও বাদামে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ব্রেনের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বাদামে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। তাই বাদামের উপকারিতা বিবেচনা করে আমাদের খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখার প্রয়োজন। আপনি আপনার পছন্দমত চীনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা আখরোট খেতে পারেন।
টক দই: ক্যালসিয়ামের একটি দারুন উৎস হলো টক দই। এছাড়াও টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক। যে কারণে টক দই কে খাদ্যপ্রাণ বলা হয়।
আপনি যদি নিয়মিত টক দই খান তাহলে দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি দাঁত ও হাড়কে মজবুত করবে এছাড়াও এটি আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে, ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।
মসুর ডাল: ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হল মসুর ডাল। এই ডালে ক্যালসিয়াম ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল রাখতে পারেন।
কারণ মসুর ডালে যে ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের দেহ গঠনের সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবে ডাল অনেকের জন্যই একটি আদর্শ খাবার।
সবুজ শাকসবজি: শাক সবজির মধ্যে বিশেষ করে পাতাযুক্ত শাকসবজিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা প্রয়োজন।
যেসব শাকসবজিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যেমন পালং শাক, সরষে শাক, লোটে শাক, ব্রকলি এছাড়াও কচু শাক, লাল শাক ও বিট আমাদের রক্ত অল্পতা ও অ্যানিমিয়া দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
দুধ: আমাদের দেহ গঠনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম। দুধ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দুধে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। যেমন ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে এবং পেশীকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ভালো ঘুমের জন্য যে সকল ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশিরভাগই দুধে পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত দুধ খাদ্য তালিকায় রাখলে ঘুম ভালো হয় ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। তবে অনেকের দুধ হজম করতে সমস্যা হয়, তারা কিন্তু দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছে উচ্চ মানের প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা আপনার হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের ক্যালসিয়াম বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হিসাবে আপনি সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এছাড়াও ছোট মাছের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। তাই এই জাতীয় মাছ খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন।
শুকনো ফল: নিয়মিত শুকনো ফল খেলে আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় শুকনো ফল অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন। যেসব শুকনো ফলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো হল খেজুর, কিসমিস, বাদাম ও এপ্রিকট। তবে অতিরিক্ত বাদাম ও খেজুর খেলে আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এইজন্য পরিমাণমতো শুকনো ফল গ্রহণ করা দরকার।
তিল: ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করার জন্য আপনি তিল খেতে পারেন। যদিও কালো তিলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে আপনি চাইলে সাদা তিলও খেতে পারেন। এক চা চামচ তিল খেলে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
তবে তিল অবশ্যই ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। তিল খাওয়ার আগে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী কোন খাবারের সাথে তিল খাবেন না। বরং হালকা খাবারের সাথে তিল খেতে পারেন। আপনি আপনার সুবিধা মত সকাল বা বিকেলে তিল খেতে পারেন।
মরিঙ্গা পাতা: সজনে পাতার পাউডার খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে দুধের চেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও জিংক পাওয়া যায়। তাই সজনে পাতাকে বলা হয় সোর্স অফ এনার্জি। যে কারণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের মধ্যে সজনে পাতা অন্যতম। এছাড়াও নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
চিজ: দুগ্ধ জাতীয় খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হলো চিজ। এতে ক্যালসিয়াম ছাড়াও ফসফরাস, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। নিয়মিত চিজ গ্রহণ করলে আমাদের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়।
এছাড়াও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি চিজ রাখতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিন্তু ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো ছাড়াও রাজমা, ছোলা, সয়াবিনে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আপনি আপনার সুবিধা মতো এই খাবারগুলি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
ক্যালসিয়াম ঔষধ
আপনি কে ক্যালসিয়াম ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়ামের ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেই। অনেকেই আছেন যাদের শরীরে শুধুমাত্র ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় না।
তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যালসিয়াম জাতীয় ঔষধ সেবন করতে হয়। তাদের জন্যই এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। তবে কোন ক্যালসিয়ামের ঔষধ খাওয়ার পুর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। কারণ আপনার শরীরের কোন ক্যালসিয়ামের ঔষধ ভালো কাজ করবে সেটা একমাত্র ডাক্তারই ভালো বলতে পারবে।
তাই যেই ক্যালসিয়ামের ঔষধি আপনি খান না কেন তার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যালসিয়ামের ঔষধ পাওয়া যায়। আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ক্যালসিয়ামের ঔষধের নাম জানাবো।
আশা করছি আপনারা ঔষধ গুলোর নাম জানতে পারলে উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়ামের ওষুধ গুলোর নাম জেনে নেই।
- এ-ক্যাল ডি (A-Cal D)
- ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
- ওভোক্যাল-ডি (Ovocal-D)
- ক্যালবোন-ডি (Calbon-D)
- ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
- কোরালক্যাল-ডি (Coralcal-D)
- ক্যালসিন-ডি (Calcin-D)
- ক্যালকোরাল-ডি (Kalcoral-D)
- কোরালবেস্ট-ডি (Coralbest-D)
- কোরালক্যাল-ডিএক্স (Coralcal-Dx)
ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি
আপনি কি ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়ামযুক্ত সবজি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। সাধারণত সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অন্য সকল পোস্টে চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে এই সবুজ শাকসবজি।শাক সবজির মধ্যে বিশেষ করে পাতাযুক্ত শাকসবজিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।
তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা প্রয়োজন। যেসব শাকসবজিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যেমন পালং শাক, সরষে শাক, লোটে শাক, ব্রকলি এছাড়াও কচু শাক, লাল শাক ও বিট আমাদের রক্ত অল্পতা ও অ্যানিমিয়া দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার
আপনি কি আইরন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা আয়রন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আইরন এবং ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
কারণ আয়রন শরীরের রক্ত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠনকে মজবুত করতে সহায়তা করে থাকে। বেশ কিছু খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই আইরন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার সমূহ সম্পর্কে।
প্রথমে আমরা জানবো আয়রন যুক্ত খাবার সম্পর্কে:
- পালং শাক
- জলপাই
- গরুর কলিজা
- গরুর মাংস
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ
- ব্রকলি
- ডার্ক চকলেট
- টুনা মাছ
এবার আমরা জানব ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে:
- দুধ
- বাদাম
- টক দই
- সবুজ শাকসবজি
- মসুর ডাল
- চিজ
- তিল
- মরিঙ্গা পাতা
- শুকনো ফল
- সামুদ্রিক মাছ
- ছোলা
লেখকের মন্তব্য - ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয়,কি খেলে ক্যালসিয়াম বাড়ে,ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা,ক্যালসিয়াম ঔষধ,ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি,আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url