ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো - ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারআমাদের হাড়ের কাঠামো গঠনের পাশাপাশি পেশী গুলোকে সচল রাখতে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো - ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল সম্পর্কে।
ক্যালসিয়াম ছাড়া ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর মত ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন গুলি আকৃতি করন হবে না শরীরে। যে কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রাখা জরুরি।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়াম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো - ভূমিকা
শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ গুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। তাই অন্যান্য খনিজের মত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় শরীরে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো ক্যালসিয়াম সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য-
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়,ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ,ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো,ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল,ক্যালসিয়াম অভাব জনিত রোগ,ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
আপনি কি ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। প্রায় আর দেরি না করে চলুন আমরা ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। সবার শরীরের জন্যই ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এই ঘাটতি মেটাতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ধরনের খাবারে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখেন সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি হবে।
ক্যালসিয়াম +যুক্ত খাবারের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন আপনার খাবারের প্রতিদিন বাদাম, দুধ, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ডাল, তিল, সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার। এছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শুকনো ফল। যা আপনার ক্যালসিয়ামের ঘারতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়ার পরও যদি আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে যায় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। তবে সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর না করে খাবার খেয়ে যদি ক্যালসিয়াম পূরণ করা যায় সে ক্ষেত্রে খাবার খেয়ে ক্যালসিয়াম পূরণ করা উচিত। আশা করছি আপনি ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ
আপনি কি ক্যালসিয়াম ঘাটতে লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম ঘাটটির লক্ষণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়াম ঘাটতি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেই। বিভিন্ন অঙ্গের সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে খনিজ ও ভিটামিন।
আর এসব খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা আমাদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তখন এটির অভাবে বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে কিনা সেটা নির্ণয় করা খুব জরুরী। তাহলে চলুন জেনে নেই ক্যালসিয়ামের ঘাটটির কিছু লক্ষণ সম্পর্কে:
পেশিতে সমস্যা: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যুক্ত ব্যক্তিরা পেশীতে ব্যথা, ক্রাম্প এবং খিচুড়ি অনুভব করতে পারেন। হাটাহাটি বা নড়াচাড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত-পা ও মুখের অসারতা অনুভব হতে পারে।
ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে তা আপনার চরম ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার সব সময় অলসতা বোধ হতে পারে। এটির কারণে অনিদ্রা, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ব্রেইন ফগ ও হতে পারে। যেটি মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
নখ ও ত্বকের সমস্যা: দীর্ঘ সময় ধরে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে তা ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিস: হাড় ক্যালসিয়াম ভালোভাবে সঞ্চয় করে। আর যখন শরীরে ক্যালসিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কম থাকে, তখন শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর এবং আঘাত প্রবণ হয়ে ওঠে।
এমন টা হতে থাকলে এক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাতির কারণে অস্টিওপেনিয়া এবং অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এমন হলে তা হাড় গুলোকে পাতলা করে তোলে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে ফেলে।
দাঁতের সমস্যা: শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে দাঁতের হয়, দাঁতভঙ্গুর, মারি খিটখিটে এবং দাঁতের শিকড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
বিষন্নতা: গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা হতাশা সহ মেজাজ খারাপ হওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কারো মাঝে এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সেবন করবেন।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো
আপনি কি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে।
শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম কতটা প্রয়োজনীয় তা আমরা সকলেই জানি। কারণ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের হাড়ের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা আমাদের জরুরি।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে অনেকেই আছেন যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেয়েও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারছেন না তাদের জন্য রয়েছে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। তবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
তবে যারা ইন্টারনেটে সার্চ করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য কিছু ভালো কোম্পানির ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। আশা করছি আপনারা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গুলোর নাম জানতে পেরে উপকৃত হবেন।
- এ-ক্যাল ডি (A-Cal D)
- ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
- ওভোক্যাল-ডি (Ovocal-D)
- ক্যালবোন-ডি (Calbon-D)
- ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
- কোরালক্যাল-ডি (Coralcal-D)
- ক্যালসিন-ডি (Calcin-D)
- ক্যালকোরাল-ডি (Kalcoral-D)
- কোরালবেস্ট-ডি (Coralbest-D)
- কোরালক্যাল-ডিএক্স (Coralcal-Dx)
উপরে উল্লেখিত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ছারাও বাজারে আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে গ্রহণ করা উচিত।
ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল
আপনি কি ক্যালসিয়ামযুক্ত ফল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আমাদের শরীরে যে খনিজ পদার্থ গুলির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম।
আমাদের হাড়ের কাঠামো গঠনের পাশাপাশি পেশী গুলোকে সচল রাখতে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম ছাড়া ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর মত ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন গুলি আকৃতি করন হবে না শরীরে।
যে কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রাখা জরুরি। জেনে রাখা ভালো একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন আমরা জানব কোন কোন ফলে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে।
এপ্রিকট: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে এপ্রিকট সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে। সালাত এবং ব্রেকফাস্টে যোগ করে আপনার আহারে এপ্রিকট রাখতে পারেন। এপ্রিকট খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।
ডুমুর: ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ডুমুর ফলের মধ্যে ৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
পেঁপে: পেপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম পেঁপের মধ্যে ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
কিউবি ফল: শুধুমাত্র ভিটামিন সি নয় কিউবি ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম কিউবি ফলে রয়েছে ৬০ গ্রাম ক্যালসিয়াম।
কলা: কলা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই আপনি যদি ক্যালসিয়াম জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে প্রতিদিন দুইটি করে কলা খান। আনুমানিক দুটি কলাতে প্রায় ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
বেরি জাতীয় ফল: বিভিন্ন বেড়ে জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। যেমন ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি।
কমলালেবু: ভিটামিন সি এর সাথে কমলা লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই আপনার যদি ক্যালসিয়ামের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি করে কমলালেবু রাখতে পারেন।
খেজুর: খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এক কাপ খেজুরের মধ্যে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
আনারস: আনারসের জুসে ভিটামিন এবং মিনারেলসের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে আনারসের জুস খেতে পারেন।
আঙ্গুর: আঙ্গুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। প্রতি ১০০ গ্রাম আঙ্গুরে রয়েছে ১১.৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। তাই খাদালিকায় সুস্বাদু এই ফলটি যোগ করতে পারেন।
ক্যালসিয়াম অভাব জনিত রোগ
আপনি কি ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। মানবদেহের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে হাইপোক্যালসেমিয়া হতে পারে। সাধারণত এই রোগটি ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ হিসেবেই পরিচিত। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের দীর্ঘমেয়াদি অভাবের জন্য হাড়ের ক্ষয়, দাঁতের সমস্যা, মস্তিষ্কের জটিলতা সহ ছানিও হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় সেক্ষেত্রে রিকেট নামক রোগ হতে পারে। যা শিশুদের হার হালকা ও দুর্বল করে দেয়। যার কারণে শিশুদের দুই পা ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বড়দের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে এর মধ্যে অস্টিওপোরোসিস অন্যতম।
অস্টিওপোরোসিস হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কারণে আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। আশা করছি আপনি ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ
আপনি কি ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেই। বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করা যায়।
কারণ খাবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পুষ্টি সমৃদ্ধ বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি ও ফলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এছাড়াও মাছ-মাংস, ডিম দুধেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম। আপনি চাইলে এ ধরনের খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন।
তবে অনেকেই রয়েছেন যাদের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ হয়ে ওঠে না। তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে বিভিন্ন ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। এখন আমরা জানবো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির কিছু ঔষধের নাম সম্পর্কে।
- এ-ক্যাল ডি (A-Cal D)
- ক্যালডিক্যাল-ডি (Caldical-D)
- ওভোক্যাল-ডি (Ovocal-D)
- ক্যালবোন-ডি (Calbon-D)
- ক্যালবো-ডি (Calbo-D)
- কোরালক্যাল-ডি (Coralcal-D)
- ক্যালসিন-ডি (Calcin-D)
- ক্যালকোরাল-ডি (Kalcoral-D)
- কোরালবেস্ট-ডি (Coralbest-D)
- কোরালক্যাল-ডিএক্স (Coralcal-Dx)
উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। তাই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি উপরে উল্লেখিত যে কোন ব্র্যান্ডের একটি ক্যালসিয়াম ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কোন ঔষধি সেবন করা উচিত নয়। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন।
লেখকের মন্তব্য - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়,ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ,ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো,ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল,ক্যালসিয়াম অভাব জনিত রোগ,ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url