নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি - নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালোনাপা টনসিল প্রদাহে বা ঠান্ডায় শ্বাসনালীতে জীবাণুর আক্রমণে, জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য খুব ভালো কাজ করে। ব্রংকাইটিস, গলার প্রদাহ, নিউমোনিয়া প্রভৃতি জীবাণু বা ভাইরাস আক্রমণে সৃষ্ট রোগে এন্টিবায়োটিক এর সাথে একযোগে ব্যবহার করা হয়। আজ আমরা এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানব নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি - নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
নাপা এমন একটি ঔষধ যা চেনে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কারণ জ্বর সর্দিতে সবার আগেই নাপার নামটি মুখে আসে। যে কারণে সবার কাছে খুবই পরিচিত একটি ঔষধ হলো নাপা।
পোস্ট সূচিপত্রঃআজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে নাপা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই না বা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি - ভূমিকা
নাপা সম্পূর্ণভাবে অন্ত্রপথে রক্তে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। নাপা একটি নিরাপদ ঔষধ। যা দিয়ে নির্বিঘ্নে চিকিৎসা করা যায়। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো নাপা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।
নাপা সিরাপ এর কাজ,নাপা সিরাপ দাম কত,নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায়,নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি,নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নাপা সিরাপ এর কাজ
আপনি কি নাপা সিরাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা সিরাপের কাজ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই নাপা সিরাপ এর কাজ সম্পর্কে। নাপা সিরাপে রয়েছে হ্রাসবেরি সাদযুক্ত ও চিনি মুক্ত উপাদান।
এই সিরাপটি সাধারণত জ্বর, মাথা ব্যথা, টিকাদানের পরবর্তী ব্যথা,ঠান্ডা, দাঁতের ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। নাপা সিরাপ সাধারণত বাচ্চাদের জন্য। ০ থেকে ১ বছর শিশুদের জন্য আড়াই থেকে ৫ মিলিগ্রাম দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার খাওয়াতে হবে।
১ থেকে ৫ বছর শিশুদের জন্য ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার খাওয়াতে হবে। ৬ থেকে ১২ বছর শিশুদের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম দৈনিক তিন থেকে চারবার রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে।
নাপা সিরাপ দাম কত
আপনি কি নাপা সিরাপ দাম কত সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা সিরাপ দাম কত সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা নাপা সিরাপের দাম সম্পর্কে জেনে নেই।
বর্তমান সময়ে বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে নাপা সিরাপের দাম ও বেড়ে গেছে। আগের থেকে কিছুটা বেশিতে নাপা সিরাপ বিক্রি হচ্ছে। নাপা সিরাপের বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ মিলি = ৫০ টাকা এবং ৫০ মিলি = ৩৫ টাকা। আশা করছি আপনি নাপা সিরাপ এর দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
আজকের আর্টিকেলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নাপা সিরাপ ছোটদের এবং বড়দের কি পরিমানে খাওয়াতে হবে, বয়স এবং ওজন অনুযায়ী তা বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। প্রথমেই আমরা জানব প্যারাসিটামল ড্রপ অর্থাৎ paracetamol paediatric drop ছোট বাচ্চাদের কি পরিমান দিতে হবে।
শিশুর বয়স যদি ০-৬ মাস হয় তাহলে ০.৫ মিলি. ৬ ঘন্টা পর পর দিতে হবে। ৬-৯ মাস হলে ০.৭ মিলি ছয় ঘন্টা পর পর দিতে হবে। ৯-১২ মাস হলে ১ মিলে ছয় ঘন্টা পর পর দিতে হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, জ্বর না থাকলে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র জ্বর থাকলে ৬ ঘন্টা পর পর এই প্যারাসিটামল ড্রপটি ব্যবহার করতে হবে।
এখন আমরা জানব ওজন অনুযায়ী কি পরিমানে নাপা সিরাপ বাচ্চাদের বা শিশুদের দিতে হবে। যদি শিশুর ওজন ৮ কেজি হয় সে ক্ষেত্রে এক চা চামচ বা ৫ মিলি খাওয়াতে হবে। শিশুর ওজন যদি ১২ কেজি হয় সেক্ষেত্রে দের চা চামচ অর্থাৎ ৭.৫ মিলি খাওয়াতে হবে। শিশুর ওজন ১৬ কেজি হলে ২ চা চামচ অর্থাৎ ১০ মিলে খাওয়াতে হবে।
শিশুর ওজন ২০ কেজি হলে ১২.৫ মিলি খাওয়াতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখবেন যদি ৫ মিলি হয় সেক্ষেত্রে তা এক চা চামচ পরিমাণ হবে অর্থাৎ 5 ml = 1 tea spoonful. যদি বাচ্চার ওজন ৩০ কেজির উপরে হয় সে ক্ষেত্রে নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মিলি খেতে পারবে। আশা করছি আপনি আর্টিকেলের এই পর্বটি থেকে নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
নাপা সিরাপ সাধারণত শিশুদের জন্য। কারণ ছোট শিশুরা তো আর ট্যাবলেট খেতে পারে না। যে কারণে তাদের জন্য নাপাকিরা বা ড্রপ। তবে অনেকেই শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। তাই তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো।
আপনি যদি আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন শিশুদের নাপা সিরাপ কি পরিমানে খাওয়াতে হবে তার একটি ধারণা। যদিও সিরাপের গায়ে সুন্দর করে লেখা থাকে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম।
প্রথমেই আমরা জানব প্যারাসিটামল ড্রপ অর্থাৎ paracetamol paediatric drop ছোট বাচ্চাদের কি পরিমান দিতে হবে। শিশুর বয়স যদি ০-৬ মাস হয় তাহলে ০.৫ মিলি. ৬ ঘন্টা পর পর দিতে হবে। ৬-৯ মাস হলে ০.৭ মিলি ছয় ঘন্টা পর পর দিতে হবে। ৯-১২ মাস হলে ১ মিলে ছয় ঘন্টা পর পর দিতে হবে।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, জ্বর না থাকলে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র জ্বর থাকলে ৬ ঘন্টা পর পর এই প্যারাসিটামল ড্রপটি ব্যবহার করতে হবে। এখন আমরা জানব ওজন অনুযায়ী কি পরিমানে নাপা সিরাপ বাচ্চাদের বা শিশুদের দিতে হবে।
যদি শিশুর ওজন ৮ কেজি হয় সে ক্ষেত্রে এক চা চামচ বা ৫ মিলি খাওয়াতে হবে। শিশুর ওজন যদি ১২ কেজি হয় সেক্ষেত্রে দের চা চামচ অর্থাৎ ৭.৫ মিলি খাওয়াতে হবে। শিশুর ওজন ১৬ কেজি হলে ২ চা চামচ অর্থাৎ ১০ মিলে খাওয়াতে হবে।
শিশুর ওজন ২০ কেজি হলে ১২.৫ মিলি খাওয়াতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখবেন যদি ৫ মিলি হয় সেক্ষেত্রে তা এক চা চামচ পরিমাণ হবে অর্থাৎ 5 ml = 1 tea spoonful. যদি বাচ্চার ওজন ৩০ কেজির উপরে হয় সে ক্ষেত্রে নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মিলি খেতে পারবে।
নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায়
আপনি কি নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায় সেই সম্পর্কে।
সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় নাপা সিরাপ খোলার পর দু একবার বাচ্চাকে খাওয়ালে জ্বর ভালো হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে এই খোলা সিরাপ কতদিন ভালো থাকবে। সাধারণত একটি নাপা সিরাপ খোলার পর দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এর কার্যকারিতা ভালো থাকে। যদিও দুই সপ্তাহ পরেও এই খোলা সিরাপ খাওয়ানো যাবে তবে এর কার্যকারিতা অনেকাংশে কমে যাবে।
সব থেকে ভালো হয় দুই সপ্তাহ পর খোলা সিরাপ না খাওয়ানো। যদিও সিরাপের গায়ে লেখা থাকে এক মাস পর্যন্ত এই সিরাপ খোলা অবস্থায় ব্যবহার করা যায়। তবে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সিরাপের কার্যকারিতা ভালো থাকে। তাই দুই সপ্তাহ পর নাপা সিরাপ না খাওয়ানো উচিত।
নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি
আপনি কি নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলে এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। নাপা এক্সট্রা হলো একটি ব্র্যান্ড নেম।
যার জেনারিক নেম হলো প্যারাসিটামল প্লাস ক্যাফেইন। অর্থাৎ নাপাতে শুধু প্যারাসিটামল ছিল আর নাপা এক্সট্রা তে 65 mg ক্যাফেইন রয়েছে। নাপা এক্সট্রা স্বনামধন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির একটি ঔষধের নাম। প্যারাসিটামল এবং ক্যাফেইন একটি দ্রুত কার্যকর এবং ব্যথা নাশক ঔষধ। যা খুব দ্রুত জ্বর উপশমকারী কার্যকারিতা রয়েছে।
নাপা এক্সট্রা মূলত যারা ব্যথা নাশক ঔষধ সহ্য করতে পারে না তাদের জন্য নির্দেশিত হয়ে থাকে। প্যারাসিটামলে ক্যাফিন এর উপস্থিতির কারণে এর কার্যকারিতা শুধু প্যারাসিটামল এর থেকে দ্বিগুণ হয়। নাপা এক্সট্রা সাধারণত মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, দাঁত ব্যথা, কানের ব্যথা, ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা,
স্নায়ু প্রদাহ জনিত ব্যথা, কোমরের ব্যথা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রসব পরবর্তী ব্যথা, ক্যান্সার জনিত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, শরীর ব্যথা, নিরালজিয়া, পেট ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা এবং ফ্লু জনিত ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। নাপা এক্সট্রা প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১২ বছরের উপরে রোগীদের জন্য একটি করে ট্যাবলেট দিনে তিনবার খাবার পর গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাধারণত নাপা এক্সট্রা তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে মাঝে মাঝে স্কিনর্যাশ ও এলার্জি দেখা দিতে পারে। তবে যাদের যকৃত এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদেরকে খুব সাবধানতার সাথে নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিডনি বা যকৃতের মারাত্মক অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে নাপা এক্সট্রা গ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করার পরামর্শ রয়েছে। নাপা এক্সট্রা মাত্রাতিরিক্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে বমি ভাব, বমি, ক্ষুধামন্দা এবং পেটব্যথা হতে পারে।
নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। সাধারণত আমরা জ্বরের ট্যাবলেট বলতে নাপাকেই বুঝে থাকি।
কারণ জ্বর, সর্দি, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা, ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা বেশি যন্ত্রণা এবং স্নায়ু ব্যথা সহ ইত্যাদিতে আমরা নাপা ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। কারণ নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায় এ ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে। তবে নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার একটা সঠিক নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যে কোন ঔষধ খাওয়া উচিত।
তাই নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। নাপা প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য দিনে তিন বেলা খাবার পর এই ট্যাবলেট টি খাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আশা করছি আপনি নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়
আপনি কি নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বেশি খাওয়ার ফলে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে।
নাপা ট্যাবলেট গ্রহণে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে কেউ যদি বেশি পরিমাণে নাপা ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন কিছু কিছু ক্ষেত্রে চর্মরোগ বা ফোসকা দেখা দিয়ে থাকে।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি প্রয়োগে বমি, পাকস্থলী বা অন্ত্রনালীর রক্তপাত, যকৃতের ক্ষতি, মস্তিষ্কের শোধ, বৃক্কের ক্ষতি, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি কমে যাওয়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার ক্ষুধামন্দা বা অত্যাধিক ঘামার লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য - নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো নাপা সিরাপ এর কাজ,নাপা সিরাপ দাম কত,নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,শিশুদের নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,নাপা সিরাপ খোলার পর কতদিন খাওয়া যায়,নাপা এক্সট্রা এর কাজ কি,নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url