কনডম কেন ব্যবহার করা হয় - নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানুনস্বল্পমাত্রার জন্মবিরতিকরণ হিসেবে পরিচিত হলো কনডম। কনডম ব্যবহার করার মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানব কনডম কেন ব্যবহার করা হয় - নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে।
কনডম কেন ব্যবহার করা হয় - নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি
যদিও অনেক ধরনের জন্ম বিরতি কারণ পদ্ধতি রয়েছে এগুলোর মধ্যে স্বল্পমাত্রার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো কনডম।

পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা কনডম বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি - ভূমিকা

জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে কনডম ব্যবহার করা হয়। তবে কনডম সম্পর্কে অনেকেরই অনেক বিষয় অজানা রয়েছে। তাই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কনডম সম্পর্কে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কনডম সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আপনারা জানতে পারবেন এই আর্টিকেল থেকে তা হল:

কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ,কনডম মূল্য,একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায়,কনডম কেন ব্যবহার করা হয়,নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি,কনডম ব্যবহার পদ্ধতি,কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ

আপনি কি কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। 

কনডম হলো স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ হিসেবে পরিচিত। কনডম ব্যবহার করার ফলে অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকা যায়। অনেক সময় দেখা যায় পিল খাওয়ার মাঝেও গর্ভধারণ হয়ে যায় তবে কনডম ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। কনডম ব্যবহারে তেমন কোন ঝুঁকি থাকে না। 
পিল বা ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর মহিলাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তবে কনডম ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় না। তবে কনডম ব্যবহারের একটা ভয় থেকে যায় তা হল কনডম ফেটে যাওয়া। 

অবশ্যই আপনাকে কনডম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি এবং আপনার সঙ্গী যদি কনডম ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তাহলে এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। আশা করছি আপনি কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কনডম মূল্য

আপনি কি কনডম মূল্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কনডম মূল্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা কনডমের মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কনডম রয়েছে। 

এই ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ডের কনডমের দামেরও পার্থক্য রয়েছে। আজ আমরা জানবো বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত এবং পরিচিত কিছু কনডমের দাম সম্পর্কে। আপনারা চাইলে যে কোন ফার্মেসি বা দোকান থেকে এই কনডমগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। যদিও পূর্বে এই সকল কনডমের দাম অনেকটা কম ছিল বর্তমানে এর দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

স্বল্পমাত্রার জন্ম বিরতিকরণ হিসেবে কনডম পরিচিত। যে কারণে যারা স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নিতে চান তাদের জন্য কনডম খুবই পরিচিত একটি মাধ্যম। বাংলাদেশে সবচেয়ে পরিচিত কনডম গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্যানথার, হিরো, নিরাপদ, সেন্সেশন কনডম। 

চলুন আমরা জেনে নেই কনডমের বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে: হিরো কনডম ৩ পিস এর বর্তমান বাজার মূল্য ১০ টাকা। প্যানথার কনডম ৩ পিস এর বর্তমান বাজার মূল্য ২০ টাকা। নিরাপদ কনডম ৩ পিস এর বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ টাকা। সেন্সেশন কনডম ৩ পিস এর বর্তমান বাজার মূল্য ৭৫ টাকা। আশা করছি আপনারা কনডমের মূল্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায়

আপনি কি একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে। 

চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সাধারণত কনডম হলো একটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যা পুরুষের লিঙ্গের উপরে পড়তে হয়। কনডম ব্যবহার করার ফলে সাধারণত গর্ভধারণ ও বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। 

বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে কনডম। কনডম সাধারণত রাবার দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই একটি কনডম একবার ব্যবহার করা উচিত। কারণ পুনরায় কনডম ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কারণ পুনরায় যদি আপনি কনডম ব্যবহার করেন তাহলে এটি গর্ভধারণ বা এসটিআই প্রতিরোধ করতে কার্যকর হবে না। 

তাই আপনি যদি পুনরায় কনডম ব্যবহার করতে চান তাহলে গর্ভধারণের ঝুঁকি এবং এসটিআই এর সংক্রমনের ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি আপনি একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কনডম কেন ব্যবহার করা হয়

আপনি কি কনডম কেন ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কনডম কেন ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কনডম কেন ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

আমরা আগেও জেনেছি কনডম হলো স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ ও বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগ ও যৌন সংক্রমক রোগ (এসটিআই ) থেকে মুক্ত থাকা যায়। 
অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘমেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে রাজি নন বা স্বল্পমাত্রারও কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে যেমন পিল যা খাওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যে কারণে মহিলারা ওই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে চান না। সে ক্ষেত্রে কনডম অনেকটা নিরাপদ। কনডম ব্যবহার করার ফলে মহিলাদের কোন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় না। 

যে কারণে কনডম ব্যবহার করতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাই আপনি যদি ইঞ্জেকশন বা পিল খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ না করেন সে ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে কনডমকে বেছে নিতে পারেন। যা আপনাকে ও নিরাপদ গর্ভধারণ এবং বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রমক রোগ থেকে নিরাপদে রাখবে। আশা করছি আপনি কনডম কেন ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি

আপনি কি নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলে এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। পুরুষদের জন্য কনডম খুবই পরিচিত একটি নাম। 

তবে অনেকেই জানেনা যে নারীদের জন্য ব্যবহৃত কনডম রয়েছে এবং নারীরাও কনডম ব্যবহার করতে পারে। কনডম মূলত একদিকে যেমন অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করছে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত যে রোগ জীবাণু রয়েছে সেগুলো সংক্রমণে প্রতিরোধ করছে। তাই আজকের মূলত নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। 

বাজারে নারীদের জন্য ব্যবহৃত যে কনডমগুলো রয়েছে এগুলো মূলত ইন্টারনাল কনডম হিসাবে পরিচিত। যেহেতু এটা যোনিপথের ভিতরে ব্যবহার করা হয় তাই এটাকে ইন্টারনাল কনডমও বলা হয়। পুরুষদের জন্য ব্যবহৃত কনডম মোটামুটি সকলেই চেনেন তবে মহিলাদের জন্য যে কনডম রয়েছে অর্থাৎ ফিমেল কনডম বা ইন্টারনাল কনডম এটাকে চেনেন না বা জানেন না। 

তাই আজকে আপনাদের নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো। নারীদের কনডম আপনি বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে নিতে পারেন অথবা অনলাইনে অর্ডার করেও নিতে পারেন। যদিও বাংলাদেশে এখনো নারীদের কনডম এতটা জনপ্রিয় নয় তাই আপনি চাইলে অনলাইন থেকে অর্ডার করে এই কনডমটি সংগ্রহ করতে পারেন। 

কনডম তুই হাতে পাওয়ার পর সর্বপ্রথম আপনাকে খেয়াল করতে হবে কনডমের তারিখটা ঠিক আছে কিনা অর্থাৎ কনডমটি ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা। এরপর পরিষ্কার হাতে প্যাকেটের ভিতরে যে কনডমের প্যাকেট রয়েছে সেটিকে বের করে নিবেন এবং খেয়াল করবেন যে পাশে চিহ্ন দেওয়া আছে সেই পাশ থেকে আস্তে করে প্যাকেটটা ছিড়ে কনডম বের করে নেওয়ার। 
নারীদের কনডমের মূলত দুটো প্রান্ত থাকে। একটি হচ্ছে ভেতরের এবং একটি হচ্ছে বাহিরের মূলত যে অংশটি খোলা সে অংশটি বাইরের। কনডমের যে অংশটি যোনিপথের ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে সেই অংশে একটি রিং এর মত আকৃতি রয়েছে। ওই রিংটা কে আস্তে করে কিছুটা ভাঁজ করে নিয়ে খুব সাবধানতার সাথে যোনিপথের ভিতর প্রবেশ করাতে হবে। 

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কনডমটি যেন ভাঁজ না পড়ে যায়। কনডমটি সাবধানতার সাথে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে বাহিরের অংশটা যোনিপথের বাহিরে ভালোভাবে সেট করে নিতে হবে। এরপর সহবাসের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটা যেন স্থানচ্যুত না হয়ে যায় এবং পেঁচিয়ে বা জিনিসটা যেন ভিতরে চলে না যায়। 

সহবাসের পরে কনডমের যে রিংটা রয়েছে সেটা ধরে আস্তে করে পেঁচিয়ে যোনিপথ থেকে ধীরে ধীরে বের করে নিতে হবে এরপর কনডমটি ব্যবহারের পরে ভালো করে কোন একটা প্যাকেটে মুড়িয়ে কনডমটি ফেলে দিতে হবে। আশা করছি আপনি নারীদের কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কনডম ব্যবহার পদ্ধতি

আপনি কি কনডম ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কনডম ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা কনডম ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। কনডম হলো স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 

এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে গর্ভ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। অনেক নতুন বিবাহিত পুরুষ রয়েছেন যারা কনডম ব্যবহার করতে জানেন না। তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই কনডম ব্যবহার করার পদ্ধতি সম্পর্কে:
  • সর্বপ্রথম খেয়াল করতে হবে কনডম ব্যবহার করার পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে নেওয়া। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
  • প্রত্যেকবার সংগ্রামের সময় একটি কনডম ব্যবহার করুন অর্থাৎ একই কনডম বারবার ব্যবহার করা যাবে না।
  • কনডমের প্যাকেট থেকে খুব সাবধানতার সাথে কনডম বের করে নিন খেয়াল রাখবেন কনডম যেন ছিড়ে বা ভেঙে না যায়।
  • পেনিস সম্পূর্ণ দাঁড়ানোর পরে কনডম ব্যবহার করুন।
  • অবশ্যই কনডম পড়ার সময় সামনের দিকে আধা ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রাখবেন বীর্য ধারণের জন্য।
  • কনডম পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন কোন প্রকার বাতাস যেন কনডমের ভিতর না থাকে সেক্ষেত্রে কনডম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পেনিস নরম হওয়ার আগেই পেনিস থেকে কনডম খুলে ফেলুন। কনডম খোলার সময় খেয়াল রাখবেন বীর্য যেন চারিদিকে ছড়িয়ে না যায় তাই খুব সাবধানতার মাধ্যমে কনডম খুলুন।
  • কনডম খোলার পর কখনো টয়লেট বা কমরে ফ্লাস করবেন না। অবশ্যই বাচ্চাদের নাগালের বাইরে কোন ডাস্টবিনে ফেলুন। তবে যেখানে সেখানে কনডম ফেলবেন না।

কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কি কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। 

কনডম হলো নিরাপদ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যদি আপনি সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ও বিভিন্ন যৌন সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

কনডম ব্যবহারের উপকারিতা:
আপনি যদি স্বল্পমাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কনডম ব্যবহার করতে পারেন। কারণ সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করলে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমত কনডম ব্যবহার করলে সবচেয়ে নিরাপদ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। 

এছাড়াও অনেক পুরুষের ডিরেক্টাল ডিসফাংশন অর্থাৎ দ্রুত বীর্যপাতের যে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত দেরিতে হওয়ায় সাহায্য করে কনডম।

কনডম ব্যবহারের অপকারিতা:
যদিও এখন পর্যন্ত কনডম ব্যবহারে তেমন কোন অপকারিতা পরিলক্ষিত হয়নি। তবুও কনডম যেহেতু পুরুষের লিঙ্গের উপরে একটা আবরণের মত কাজ করে তাই মিলনের যে আসল অনুভূতি তা অনেকেই অনুভব করতে পারে না। এছাড়াও কনডমে গায়ে ব্যবহার করা থাকে লুব্রিকেন্ট যা অনেক সময় এলার্জির কারণ হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য - নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো কনডম ব্যবহার কতটুকু নিরাপদ,কনডম মূল্য,একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায়,কনডম কেন ব্যবহার করা হয়,নারী কনডম এর ব্যবহার পদ্ধতি,কনডম ব্যবহার পদ্ধতি,কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url