অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম জানুন
সুদবিহীন লোন সম্পর্কে জানুনঅনেক সময় বিভিন্ন কারণ যেমন চাকরি, ব্যবসা, ভর্তি , পারিবারিক ইত্যাদি কারণে অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে হয়। এই অঙ্গীকারনামা তৈরির বিষয়ে আজকে আমরা জানব অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
অনেক সময় দেখা যায় অঙ্গীকারনামা না করার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। যে কারণে অঙ্গীকারনামা খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম - ভূমিকা
অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন কারনে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলটিতে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কি কি জানতে পারবো সেই সম্পর্কে-
অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,পারিবারিক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম,চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্ট,কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,বিদেশে যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে । বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম
আপনি কি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে অঙ্গীকার নামা লেখা নিয়ম সম্পর্কে। চলো তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনি যেকোনো অঙ্গীকারনামা লেখেন না কেন-অঙ্গীকার না আমার লেখার পূর্ব শর্ত হলো অঙ্গীকারনামাটি স্ট্যাম্পে লিখতে হবে। স্ট্যাম্পে ছাড়া অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লিখলে কোনভাবেই সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই অবশ্যই আপনি যদি কোন কিছু নিয়ে অঙ্গীকারনামা লিখতে চান বা চুক্তি পত্র লিখতে চান সেক্ষেত্রে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে মোট সরকারি ব্যাংক কয়টি ২০২৪
প্রথমত একটি চুক্তিপত্রে যে সকল পক্ষ অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেকের নাম ঠিকানা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয় সে ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। যে সকল ব্যক্তির সাথে চুক্তি করছেন সেই চুক্তির শুরুর তারিখ থাকতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তি করে থাকেন সেক্ষেত্রে চুক্তির শুরুর এবং শেষের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় অবশ্যই সাক্ষীদের স্বাক্ষর থাকতে হবে। এছাড়াও চুক্তিপত্রে নাবালক, দেউলিয়া ব্যক্তি, পাগল, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারি কর্মচারী, বিদেশী রাষ্ট্রদূত, দেশদ্রোহী ব্যক্তি, বিদেশী শত্রুর সঙ্গে কোন চুক্তি করা যাবে না।
পারিবারিক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
আপনি কি পারিবারিক অঙ্গীকার নামাল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পারিবারিক অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই পারিবারিক অধিকার না আমার লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
- প্রথমে অঙ্গীকারনামা লেখার জন্য একটি স্টাম্প নিতে হবে।
- এরপর স্ট্যাম্পের সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামার তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামা গ্রহণকারীর দুই পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
- কি কারনে আপনারা অঙ্গীকারনামা করছেন সেই কারণটি উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামায় কোন পক্ষে বেশি ভূমিকা রাখবে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
- এছাড়াও অঙ্গীকারনামার শুরুর তারিখ এবং শেষের তারিখ অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার একটি অংশে অঙ্গীকারনামা সকল শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে।
- উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর দিতে হবে এবং সাথে তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- কোন পক্ষ যদি অঙ্গীকারনামার নিয়ম ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটি উল্লেখ থাকবে।
চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম
আপনি কি চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে চাকরির ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনারা যারা কোন কোম্পানির কাছে অঙ্গীকারনামা লিখবেন সে ক্ষেত্রে তাদের থেকে অঙ্গীকার নামা লেখার পলিসি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। এতে আপনার অঙ্গীকার নামা লিখতে সুবিধা হবে। চাকরি করার ক্ষেত্রে চাকরির অঙ্গীকারনামা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করেন না কেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। যে কারণে অঙ্গীকারনামার গুরুত্ব অনেক বেশি। কোন কোম্পানিতে চাকরি করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জামানত বা সনদপত্র জমা দিতে হবে কিনা সবকিছুই অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করা থাকবে।
অঙ্গীকারনামা নমুনা
নিজের নাম......... পিতার নাম...... মাতার নাম..... ঠিকানা........ স্থায়ী ঠিকানা........ ডাকঘর........... উপজেলা.......... জেলা.......... জাতীয়তা..........।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর ঢাকা, গত তারিখ.......... তারিখের....... নাম্বার অফিসে আদেশের আলোকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০২৪ অনুযায়ী (১৫,০০০/২০,০০০) বেতন স্কেলে বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব খাটভুক্ত অফিস সহকারি পদে নিয়োগ পাই। আমার রোল..........
আমি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতেছি যে, আমি এই চাকরি অবস্থায় কোন রকম খারাপ ও অপরাধ মূলক কাজ করবো না। সর্বদাই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিধি মোতাবেক যেকোনো শাস্তি গ্রহণ করতে বাধিত থাকব।
আরও পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক ডিপিএস রেট ২০২৪
আমি আরো অঙ্গীকার করছি যে, উপরে বর্ণিত অঙ্গীকারনামায় আমি সশরীরে অসুস্থ মস্তিষ্কে বিবরণ পরিয়া নিম্মে স্বাক্ষর করিলাম।
সাক্ষী গনের স্বাক্ষর ও ঠিকানা
১।
২।
৩।
নাম পদবি
রাজস্ব
খাদ্যভুক্ত বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র ঢাকা
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্ট
আপনি কি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে অঙ্গীকার নামার লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নেই অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সম্পর্কে।
- একটি স্ট্যাম্পে সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামার তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- এরপর অঙ্গীকারনামা গ্রহণকারী দুই পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
- কি কারনে আপনারা অঙ্গীকারনামা করছেন সেই কারণটি উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামায় কোন পক্ষে বেশি ভূমিকা রাখবে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
- এছাড়াও অঙ্গীকারনামার শুরুর তারিখ এবং শেষের তারিখ অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার একটি অংশে অঙ্গীকারনামা সকল শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে।
- উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর দিতে হবে এবং সাথে তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- কোন পক্ষ যদি অঙ্গীকারনামার নিয়ম ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটি উল্লেখ থাকবে।
কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম
আপনি কি কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
অঙ্গীকারনামা
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২০২৫ সালের মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে............. বিষয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন প্রাথমিক আবেদন করতে ইচ্ছুক। এ লক্ষ্যে বিশ্বস্ততার সঙ্গে অঙ্গীকার করছি যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য কোন শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে আমি ভর্তি/অধ্যয়নরত নই। নিচে বর্ণিত আমার সকল তথ্য সঠিক ও সম্পূর্ণ।
নাম:
পিতার নাম:
মাতার নাম:
জন্মতারিখ:(এসএসসি সনদ অনুযায়ী)
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর:
স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার নাম:
পাশের সন:
রোল নম্বর:
রেজিস্ট্রেশন নম্বর:
বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের নাম:
প্রাপ্তি নম্বর/সিজিপিএ:
মোট নম্বর/স্কেল:
দ্বৈত ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় এর বিধান অনুযায়ী উভয় ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিতে রাজি থাকব।
বিদেশে যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
আপনি কি বিদেশ যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বিদেশ যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বিদেশ যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে।
- একটি স্ট্যাম্পে সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামার তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- এরপর অঙ্গীকারনামা গ্রহণকারী দুই পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
- কি কারনে আপনারা অঙ্গীকারনামা করছেন সেই কারণটি উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামায় কোন পক্ষে বেশি ভূমিকা রাখবে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
- এছাড়াও অঙ্গীকারনামার শুরুর তারিখ এবং শেষের তারিখ অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার একটি অংশে অঙ্গীকারনামা সকল শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে।
- উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর দিতে হবে এবং সাথে তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- কোন পক্ষ যদি অঙ্গীকারনামার নিয়ম ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটি উল্লেখ থাকবে।
লেখকের মন্তব্য - অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,পারিবারিক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম,চাকরির অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্ট,কলেজের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম,বিদেশে যাওয়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছে।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url