সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ - সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
ঘামাচি কমানোর উপায় জানুনসিজার হল একটি জটিল পদ্ধতি। সাধারণত যাদের গর্ভকালীন অবস্থা ভালো না থাকে তাদের জন্য সিজার। কিন্তু এখন প্রায় অনেকের সিজারে সন্তান হয়ে থাকে। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানব সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ - সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সেই সম্পর্কে।
নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজারিয়ান ডেলিভারি অনেকটা জটিল হলেও বর্তমানে সিজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। যে কারণে এই বিষয়গুলো মানুষের জানা প্রয়োজন।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে সিজারিয়ান সেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ - ভূমিকা
অনেক সময় দেখা যায় নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা না হওয়ার কারণে সিজারিয়ান সেকশন করতে হয়। যে কারণে একজন মায়ের নানা ধরনের জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক নতুন মা আছে যারা সিজারের পর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্যই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হল:
সিজারের পর শোয়ার নিয়ম,সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম,সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ,সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয়,সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়,সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় ,সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে,সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সিজারের পর শোয়ার নিয়ম
আপনি কি সিজারের পর শোয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর শোয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর শোয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
সিজারের পর সঠিকভাবে শোয়া বা ঘুমানোর ফলে মায়ের ওপর অনেকটাই চাপ কমে যায়। তাই সিজারের পর ভাবে একজন মা শোবে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরী। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই সিজারের পর কিভাবে শুলে বা ঘুমালে একজন মা স্বস্তি পাবে সেই সম্পর্কে।
সোজা হয়ে শোয়া: প্রসবের পর বেশিরভাগ মায়েরাই সোজা হয়ে শুতে আরাম বোধ করেন। যেভাবে শুলে সেলাইয়ে কোন চাপ পড়ে না। হাটুর নিচে একটা বালিশ রেখে ঘুমাতে পারেন।
একদিকে কাত হয়ে শোয়া: সিজারের পর অনেকেই সাইট হয়ে শুয়ে আরাম পান। বাঁ দিকে ঘুরে শুলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং হজম ভালো হয়। পেটকে সাপোর্ট দিতে বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে শোয়ার সুবিধা হল কোনই ও হাতের ওপর ভর দিয়ে পরবর্তীতে উঠতে পারবেন।
পিঠ উঁচু করে শোয়া: সিজারের পর বালিশ সব থেকে বেশি আরাম দেয় মায়েদের। একটা নরম বালিশ নিয়ে পিঠের নিচে রেখে ঘুমান এরকম ভাবে ঘুমালে শ্বাস নিতে আপনার সুবিধা হবে।
সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
আপনি কি সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর বেল্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি প্রথমবার মা হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো ভাবছেন সিজারের এক থেকে দুই দিন পর থেকেই হয়তো ব্যবহার করতে হবে। তবে এটা একদমই করা যাবে না। এমনটা করলে সিজারের সেলাইয়ের চাপ পড়ে আপনার ব্যথা অনুভব হতে পারে আর গরমের সময় হলে জায়গাটি ঘেমেজে ইনফেকশনের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
একজন সিজারিয়ান মাকে বেল্ট ব্যবহার করতে হলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে তার সেলাই শুকানোর আগ পর্যন্ত। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার সেলাইটি পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে তাহলে আপনি আজ থেকে বেল্ট ব্যবহার করতে পারবেন। বেল্ট আপনি কোন জায়গায় ব্যবহার করবেন সেটা সম্পূর্ণই আপনার উপর নির্ভর করে।
সিজারের পর আপনি পেটের অংশে বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন, আপনার যদি মনে হয় যে পেটের নিচের অংশে বেল্ট ব্যবহার করলে আপনি একটু আরামবোধ করছেন তবে আপনি নিচের অংশেই বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি মনে হয় যে উপরের অংশে ব্যবহার করলে ভালো মনে হচ্ছে তবে আপনি উপরের অংশেও ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনি যদি সিজারের সেলাইয়ে বেল্ট ব্যবহার করেন তবে সেলাই এর জায়গায় হওয়ার সমস্যাগুলো থেকে সহজেই রেহাই পাবেন। তাই আমি আপনাকে সাজেস্ট করব একদম উপরে অর্থাৎ কাটা জায়গার উপর বেল্ট ব্যবহার করার জন্য।
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ
আপনি কি সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
নরমাল ডেলিভারির চেয়ে কষ্ট কম হওয়ায় বর্তমানে জন্মদানের বা সন্তান প্রসবের পদ্ধতি হিসেবে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিজারিয়ান ডেলিভারি। তবে সিজার করানোর আগে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত। যে কারণ গুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ইনফেকশন হয়েছে।
অপারেশনের সেনসিটিভ কাটা জায়গা অনেক কারণেই সিজারের পর ইনফেকশন হতে পারে। কারণ এই বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই কারণে সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
- সিজারের কাঁটার স্থান ফুলে যাবে এবং লাল হবে।
- সিজারের কাটা জায়গায় প্রচন্ড রকমের ব্যথা হবে।
- প্রচন্ড ব্যাথার কারণে জ্বর আসবে।
- সিজারের স্থান দিয়ে পুজ বা পানি বের হবে।
- প্রস্রাব করতে অসুবিধা হবে।
- পা ফুলে যাবে।
- মাসিকের রাস্তায় দুর্গন্ধযুক্ত তরল ও জমাট রক্ত আসবে।
সিজারের পর যদি আপনার ইনফেকশন হয় সেক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন তাহলে: সিজারের পর যদি আপনার ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে দ্রুত কাটা স্থানে ইনফেকশন সারিয়া তোলার জন্য সুষম খাবার এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খাবেন। যেমন: কমলালেবু, মাল্টা, আমলকি, কাগজি লেবু এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের সর্দি কাশি সারাতে ঘরোয়া উপায়
তার জন্য সিজারের পরে বেশি বেশি এই খাবারগুলো খাবেন। সিজারের পরে অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে কাটা স্থানে কোনভাবেই যেন ময়লা বা ধুলোবালি না লাগে। যদি কাটা স্থানে ময়লা বা ধুলোবালি লাগার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দিবে। এরপর এখান থেকে ইনফেকশনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তাই সিজারের পর কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হোক বা না হোক প্রতিনিয়ত সেখানে ড্রেসিং করতে হবে এবং পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পরে যদি ক্ষতস্থানে ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে কোনভাবে সেখানে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। কারণ ইনফেকশনের স্থানে সাবান ব্যবহার করলে পরবর্তীতে ইনফেকশন বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
অনেকেরই ধারণা রয়েছে ইনফেকশনের স্থান খোলা রাখলে সেখানে বাতাস চলাচল করবে এবং তাড়াতাড়ি ঘা শুকাবে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ইনফেকশনের স্থান যদি খোলা রাখা হয় সেখানে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে। যার ফলে ইনফেকশনের জটিলতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এই কারণেই কাঁটা স্থানে ইনফেকশন যেন না হয় সেজন্য কাটা স্থান শুকানোর আগ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করে রাখতে হবে। সবশেষে বলবো আপনার যদি কাটা স্থানে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কোন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত। তাহলে খুব দ্রুত ইনফেকশনের হাত থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।
সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয়
আপনি কি সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
নরমাল ডেলিভারি হোক আর সিজার দুইটা ডেলিভারিতেই ব্লিডিং হয়। সাধারণত ১ থেকে ৭ দিন ব্লিডিং বেশি থাকে। এরপর ধীরে ধীরে ব্লিডিং কমতে শুরু করে। অনেকের দেখা যায় এক মাস পর্যন্ত ব্লিডিং হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৪০ দিন পর্যন্ত ব্লিডিং হয়ে থাকে।
তবে ৪০ দিনের বেশি ব্লিডিং হয় না। কারো যদি ৪০ দিনের বেশি ব্লিডিং হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আশা করছি আপনি সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
আপনি কি সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
যারা সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করান তাদের মনে অনেক প্রশ্ন থেকে যায় যে সিজারের কত দিন পর সেলাই শুকায় সেই সম্পর্কে। সাধারণত সিজারিয়ান সেকশন অনুযায়ী কসমেটিক সেলাই দেওয়া হয়ে থাকে। সিজারের সাতদিন পরেই ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়। ব্যান্ডেজ খোলার পর সাধারণত সে নরমালি গোসল করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে করণীয়
তবে ব্যান্ডেজ খোলার আগে গোসল করা বা কাটা স্থানে পানি লাগানো যাবে না। তবে ব্যান্ডেজ খোলার পর যে সাত দিনেই ঘা শুকিয়ে যাবে ব্যাপারটা তেমন না। ঘা শুকাতে ১০ দিন থেকে ১৪ দিনের মতো সময় লাগে। এরপর মোটামুটি ভাবে ঘা শুকিয়ে যায়। ব্যান্ডেজ খোলার পর একটা অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করতে বলে ডাক্তাররা।
যারা কসমেটিক সেলাই দেয় না নরমাল সেলাইয়ের ক্ষেত্রে সেলাই কাটতে একটু বেশি সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। এই সেলাই টা শুকাতে সাধারণত ১৪ থেকে ২১ দিনের মত সময় লাগে। এরপর সে নরমাল এক্টিভিটিজ করতে পারে। আশা করছি আপনি সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয়
আপনি কি সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলে এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
অনেক সময় দেখা যায় সিজারিয়ান সেকশনের পর অনেকদিন যাবত তলপেটে ব্যথা থেকে যায়। সিজারিয়ান সেকশনের ফলে যেহেতু পেটের অনেকগুলো লেয়ার কাটা হয় সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় পেটের নার্ভ কেটে যায়। যে কারণে সিজারের পরবর্তীতে ব্যথা হতে পারে।
আপনি যদি এই ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং কোন প্রকার ভারী কাজ করা যাবে না।আপনার তলপেটের ব্যথা যদি অতিরিক্ত তীব্র হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে
আপনি কি সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
যারা সিজার করিয়েছেন বা করাবেন তাদের মধ্যে একটা প্রশ্ন থাকে সিজারের পর পেটের ব্যথা কতদিন থাকে? আজ আর্টিকেলের এই পর্বে খুব সাধারণভাবে এই প্রশ্নের উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করব। আসলে সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে বা থাকবে এই বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করে সিজারিয়ান রোগীর লাইফ স্টাইল ও শরীরের বৈশিষ্ট্যের উপর।
কারণ আমাদের সকলের শরীরের ধরন এক নয়। কারো কারো কাঁটা স্থান শুখাতে কম সময় লাগে আবার কারো একটু বেশি সময় লাগে। আর এই কারণেই সিজারের পর একেকজনের ব্যথা কমতে কম বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত সিজার করার পর পুরোপুরি ব্যথা সারতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ অথবা এক মাস বা তার কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
বেশিরভাগ সময় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা কমে যেতে দেখা যায়। কিন্তু আপনার যদি সিজারের পর ইনফেকশন হয় কিংবা কাজকর্ম বেশি করেন সেই ক্ষেত্রে ব্যথা কমতে অনেক সময় লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আশা করছি সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে সেই ব্যাপারে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায়
আপনি কি সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সাধারনত সিজারের দেড় মাস পরেই সেলাইয়ের জায়গাটা জোড়া লেগে যায়। স্বাভাবিক কাজকর্ম ওই সময় কিছুটা করা যাবে। তবে তেমন কোন ভারী কাজ করা যাবে না। আপনি যদি ভারি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।
কারণ তিন মাস পরে আপনি মোটামুটি ভারী কাজ করতে পারবেন তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ভারী কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদিও এই ব্যাপারে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
আপনি যদি ভারী ব্যায়াম অথবা ভারী কোন কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আপনাকে নরমাল কাজ থেকে ভারী কাজের দিকে অগ্রসর হতে হবে। হুটহাট করে ভারী কাজ করবেন না। আশা করছি আপনি সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য-সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো সিজারের পর শোয়ার নিয়ম,সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম,সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ,সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয়,সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়,সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় ,সিজারের পর পেটে ব্যথা কতদিন থাকে,সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url