কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ব্যথার লক্ষণ

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণসাধারণ ব্যথা এবং বাতের ব্যথার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ব্যথা কোন রোগ নয় এটি রোগের উপসর্গ মাত্র। তবে বাতের ব্যথা হলো একটি রোগ আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানব কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে -  বাতের ব্যথার লক্ষণ
বাতের ব্যথা এমন একটি রোগ যা নারী পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এই ব্যথার লক্ষণ বেশি দেখা যায়। দীর্ঘমেয়াদি এই ব্যথা থেকে বাঁচার অনেকগুলো উপায় রয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বাতের ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - ভূমিকা

বাতের ব্যথা সাধারণত পুরাতন রোগ। এই রোগটি বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করে। শরীরের প্রায় প্রত্যেকটি জয়েন্টেই ব্যথা অনুভব হতে পারে যা বাতের ব্যথা নামে পরিচিত। আজ আমরা এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানব;

বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়,বাতের ঔষধের নাম,কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ,বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়,বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়,বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়

আপনি কি বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। 
বাতের ব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কেউ যদি বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে।বাতের ব্যথা কয়েক ধরণের হয়ে থাকে। কারও শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, কারও আবার মেরুদন্ড ব্যথা হতে পারে, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্ত শরীর ব্যথা হতে পারে। 

এছাড়াও কাঁধে, হাটুতে, হাতের কবজি, পায়ের কবজি, কমড়ে প্রচন্ড ব্যথার পাশাপাশি ফুলে যেতে পারে। আশা করছি আপনি বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাতের ঔষধের নাম

আপনি কি বাতের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাতের ঔষধের নাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাতের ঔষধের নাম কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। 

অনেকেই বাতের ব্যথার যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান।বাত ব্যথার ক্ষেত্রে খুব বহুল প্রচলিত ওষুধ হল-টােইমোনিয়াম, হাইওসিন, বুটাইল, ব্রোমাইড, অক্সিফেনোনিয়াম ইত্যাদি। ব্যথার উপর নির্ভর করে দিনে ওষুধের মাত্রা কমানো বাড়ানো যায়। তবে এই সব ওষুধ খায়ার ফলে পায়খানা কষা হয়ে যেতে পারে। 

সকলকেই মনে রাখতে হবে অসুখ হলে চিকিৎসা আছে এই চিকিৎসা গ্রহণের পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান। তিনি আপনার রোগের উপর নির্ভর করে ওষুধ দিবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সকল প্রকার ওষুধ খাওয়া হতে বিরত থাকুন। আশা করছি আপনি বাতের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। 

এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। তাই একজন বাতের ব্যথার রোগীকে তার খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।বাত ব্যথা বা অর্থ্রাইটিস আক্রান্ত হলে প্রথমেই রোগীকে তার খাদ্যের দিকে নজর দিতে হবে। প্রাণিজ প্রোটিন জাতীয় খাবার পরিবর্তন করে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করতে হবে। যে সকল খাবার খেলে বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে তা হল নিম্নর:
  • ডিমের হলুদ অংশ খাওয়া যাবে না। কারণ ডিমের হলুদ অংশে অ্যারাকিডোনিক এসিড থাকে যা ব্যথা তৈরি করতে সহায়তা করে।
  • লাল মাংস খাওয়া যাবে না। কারণ লাল মাংসতে থাকে প্রচুর পিউরিন নামক পদার্থ যা ভেঙ্গে ইউরিক এসিড তৈরি হয় ও লাল মাংসতে থাকে টকসিন যা ব্যথা বাড়াতে অনেক সহায়তা করে।
  • চিনি অথবা কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ বাতের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিনি অথবা কৃত্রিম মিষ্টি খেলেও ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
  • দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
  • আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ডাল জাতীয় খাবার, চর্বিযুক্ত মাছ, রসুন, আদা, ব্রকলি, আখরেট, পালংশাক, শর্করা জাতীয় খাবার,উচ্চ লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাতের ব্যথার লক্ষণ

আপনি কি বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাতের ব্যথার লক্ষণ বিভিন্ন ভাবে বোঝা যায়। কোন কোন ব্যক্তির সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভব করে যেমন: হাত, পা, কোমড়, মেরুদন্ড, কাঁধে প্রচন্ড ব্যথা করে ও জয়েন্ট ফুলে যাওয়া অনুভব করে। সকাল বাড়ার সাথে সাথে আবার সেই ব্যথা গুলো কিছুটা কমে আসে। 

আবার অনেক সময় ধরে সামনের দিকে ঝুকে কাজ করলে, অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে অথবা দীর্ঘ্য সময় ধরে কম্পিউটারে টাইপ করলে শরীরের জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা অনুবভ করে তাহলে এগুলো বাতের ব্যথার লক্ষণ। এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে তা হল:
  • হাতের কব্জি, কোনুই ও নখের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া।
  • পায়ের গোড়ালি ও কব্জিতে তীব্র ব্যথা অনুভব করা।
  • প্রচন্ড ব্যাথার কারণে অল্প অল্প জ্বর হওয়া।
  • ব্যথা কমে যাওয়ার পরেও ব্যথারস্থানে ফোলা অনুভব হওয়া।

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

আপনি কি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
  • বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে একজন রিউম্যাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ কাছে যেতে হবে। কারণ বাত রোগের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ১০০ টির বেশি অসুখ যার দ্বারা জয়েন্ট, হাড়, পেশী, লিগােমেন্ট এবং টেন্ডন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
  • নতুন অবস্থায় বাত বা আর্থ্রাইটিস ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যথা ও ফোলা অংশে আইস প্যাক চেপে ধরে কিছুটা ব্যথা কমানোর জন্য একটি প্রমাণিত পদ্ধতি।
  • বিকল্পভাবে, আক্রান্ত জয়েন্টে তাপ প্রয়োগ করে বাত ব্যথা প্রতিকার করা যায়। তাপ বরফের বিপরীতে কাজ করে। তাই প্রায়শই গরম জলের বোতলে বা হিট প্যাক ব্যবহার করার সর্বোত্তম সময় হল সকালে ঘুম থেকে উঠে। রাতের বেলায় ঘুমের কারণে বাতে আক্রান্ত ব্যক্তির জয়েন্টগুলি শক্ত হয়ে থাকে তাই উষ্ঞ তাপ দিলে প্রায়শই জয়েন্টগুলিকে আলগা করতে এবং দিনের বাকি সময় নমনীয়তা রাখতে সাহায্য করবে।
  • কিছু কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে বাতের ব্যথা প্রতিকার সম্ভব। গতিশীলতার স্তরের উপর নির্ভর করে যা একজন যন্ত্রণা ভোগ করতে পারে, তার সম্পূর্ণ পরিসরে ব্যায়াম করা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু ব্যায়াম এই রোগীদের ক্ষেত্রে সর্বত্তম। ব্যায়াম ছাড়া, হাড় এবং জয়েন্টগুলি দ্রুত শক্ত এবং অচল হয়ে যায় এবং একটি স্বাধীন এবং সক্রিয় জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নমনীয়তা পুনরুদ্ধার করার যে কোনও আশা ভাল জন্য অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।
  • বাত ব্যথার কমানোর জন্য ব্যায়াম, ডায়েট চার্ট এর সাথে প্রশান্তিদায়ক তেল দিয়ে প্রভাবিত জয়েন্টগুলিতে ম্যাসেজ করা যেতে পারে।

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনি কি বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 
অনেকেই আছেন যারা বাতের ব্যথায় খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। তবে ভাবছেন যদি প্রাকৃতিকভাবে এই ব্যথা নির্মূল করা যায় তাহলে কেমন হয়। আজ আমরা জানবো বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে:
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনার ওজন বাত ব্যথার উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে আপনার জয়েন্টগুলিতে, বিশেষ করে আপনার হাঁটু, নিতম্ব এবং পায়ে চাপ পরে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বাত ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আপনার অতিরিক্ত ওজন কমানোর পরামর্শ দেয়। কারণ আপনার ওজন যত কমাবেন তত বেশি উপকার পাবেন। যেমন- আপনার গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, ব্যথা হ্রাস পাবে।
  • পর্যাপ্ত ব্যায়াম করুন। আপনার যদি বাত ব্যথা থাকে তাহলে ব্যায়াম আপনার জন্য খুবই উপকারী। বাত ব্যথায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদের জন্য কিছু ভাল ব্যায়ামের জন্য উপদেশ দেওয়া হয়। যেমন- হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা। ব্যায়ামের জন্য আপনাকে যে উপদেশ দেওয়া হল তা কেমন করে শুরু করবেন তা একজন রিউম্যাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ বা প্রশিক্ষকের সাথে কথা বলুন। তারা আপনার জন্য সঠিক একটি ব্যায়াম করার নিয়ম বলে দিতে পারবে।
  • গরম এবং ঠান্ডা থেরাপি নিন। গরম এবং ঠান্ডা চিকিৎসা বাত ব্যথা প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করে। যাদের সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে শরীরের জয়েন্ট ব্যথা করে তারা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন অথবা গরম সেক নিতে পারেন। ঠান্ডা চিকিৎসা জয়েন্টের ব্যথা, ফোলাভাব এবং প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করে। বাজার থেকে জেল আইস প্যাক অথবা ফ্রিজে রাখা বরফ কাপড় দিয়ে জড়িয়ে জয়েন্টের ব্যথা স্থানে বা ফোলা স্থানে কিছু সময় চাপ দিয়ে ধরে রাখলে ব্যথা কিছুটা উপশম করতে সাহায্য করে। কিন্তু সরাসরি ত্বকে বরফ লাগাবেন না।
  • আকুপাংচারের মাধ্যমে বাত ব্যথার উপশম করা যেতে পারে। এটা প্রাচীন চীনা চিকিৎসা যা আপনার শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে পাতলা সূঁচ ঢোকানোর মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এক গবেষণা জানা গিয়েছে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে বাতের ব্যথা উপশম করতে, জীবন এবং শারীরিক কার্যকারিতার মান উন্নত করতে সাহায়তা করে। এই চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভবনা যথেষ্ট কম। এই সব চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণের পূর্বে তাদের এবং কাজের জন্য সরকারী কোন লাইসেন্স আছে কিনা যা যাচাই করে নিতে ভুল করবেন না।
  • মননশীলতা ধ্যান করুন। কিছু শিথিলকরণ কৌশল মানসিক চাপ কমিয়ে বাতে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন- আপনি আপনার ধর্মীয় কাজ গুলো মেনে চলুন। মুসলিম হলে নিয়মিত নামাজ পড়ুন, যোগব্যায়ম করুন, শরীরকে ম্যাসেজ করুন।
  • স্বাস্থকর খাদ্য গ্রহণ করুন। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট যা তাজা ফল, শাকসবজি এবং পুরো খাবারে সমুদ্ধ আপনার ইমিউন সিস্টেম এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জয়েন্টের শক্ততা এবং ব্যথা কমাতে সাহয্য করে এগুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
  • খাবারে হলুদ যোগ করুন। হলুদ ভারত উপমহাদেশের প্রচলিত মশলা। কারকিউমিন নামক রাসায়নিক এতে থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বিশিষ্ট্য থাকে যা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ

আপনি কি বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। বাতের ব্যথা হলো এক ধরনের জয়েন্টের ব্যথা। 

কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে দাঁতের ব্যথা থেকে উপশম পেতে পারেন। যেমন; সরিষার তেল এবং কর্পূর, সরিষার তেল এবং রসুন, নারকেল তেল এবং কর্পূর। এই উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার ব্যথাযুক্ত জয়েন্টে মালিশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাতের ব্যথা অনেকটা উপশম পাবেন। 

তবে বাতের ব্যথার জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ কতটা ভালো তা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এখনও নিশ্চিত করেনি। বাত ব্যথা আপনার দৈনন্দিন কার্যাবলীকে প্রভাবিত করে তবে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলুন। তারা এমন একটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহয্য করতে পার যা আপনার জন্য সঠিক।

লেখকের মন্তব্য - বাতের ব্যথার লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়,বাতের ঔষধের নাম,কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ,বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়,বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়,বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url