হাত পা ফর্সা করার উপায় - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বক ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়মানুষের গায়ের রং ফর্সা বা কালো হওয়ার মূল কারণ হলো মেলানিন নামক পদার্থ। অর্থাৎ এই মেলানির নামক পদার্থটি যা শরীরে যত বেশি রয়েছে তার গায়ে রং তত কালো। আর যার শরীরে এই পদার্থটি কম রয়েছে তার গায়ের রং তত বেশি ফর্সা। আজ আমরা এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানব হাত পা ফর্সা করার উপায় - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই গায়ের রং ফর্সা ও উজ্জ্বল করে নেয়া যায়। যে বিষয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সমস্ত শরীর ফর্সা ও উজ্জ্বল করার কিছু উপায় সম্পর্কে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় - ভূমিকা
নারী-পুরুষ উভয়েরই চকচকে উজ্জ্বল ত্বক পছন্দ। সবাই চায় তার নিজের টক চকচকে ও উজ্জ্বল দেখাক। যে কারণে বিভিন্ন কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। তবে কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করার একপর্যায়ে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই ত্বক গ্লোয়িং করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়টাই সবার জন্য নিরাপদ।
আজ আমরা এই আরটিকালের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো জানব তা হল:৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়,কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়,হাত পা ফর্সা করার উপায়,১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়,স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়,১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়,৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে । বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি ৩ দিনের ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৩ দিনের ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ৩ দিনের ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। চকচকে ফর্সাতক সকলেই চায়।
যে কারণে ত্বকের যত্নে কেউ অবহেলা করে না। আজ একটা ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানাবো। এই প্যাকটা ব্যবহার করার ফলে তিন দিনে আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে। চলুন জেনে নেই ফেস মাস্কটি সম্পর্কে;৩ দিনে ত্বক ফর্সা করতে হলুদ ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকর উপায়।
হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করতে ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর তাকে বা মুখে প্যাকটি প্রয়োগ করুন। এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন তিনদিনে আপনার ত্বক হবে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ফর্সা ও চকচকে।
কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়
কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। ভেতর থেকে গায়ের রং ফর্সা ও উজ্জ্বল সকলেই চায়।
কারণ ভেতর থেকে ত্বকের রং ফর্সা হলে সেটা হবে দীর্ঘস্থায়ী। ভেতর থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে হলে অবশ্যই খাবারের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। কারণ কোন কিছু খাওয়ার ফলেই তো হবে ভেতর থেকে ফর্সা উজ্জ্বল। এরকম প্রকৃতিতে অনেক উপকরণ রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে ভেতর থেকে গায়ের রং ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে। চলুন জেনে নেই সেই সকল খাবার গুলো সম্পর্কে।
টক জাতীয় ফল: সব ধরনের টক জাতীয় ফলই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যে সকল ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে সেই সকল ফলগুলো বেশি উপকারী। আবার হ্যাটট্রিক এসিড রয়েছে এরকম ফলও ত্বকের জন্য উপকারী।
ডিম: ডিম খেলে হার ভালো থাকে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় এটা আমরা সকলেই জানি। তবে ডিম খেলে যে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এটা হয়তো খুব কম মানুষই জানি। নিয়মিত ডিম খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বলকরতে সাহায্য করবে।
সালাত: আমাদের ত্বকের সতেজতা ও স্বাস্থ্যজ্জল রাখতে ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন। কারণ এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত সালাত বেশি বেশি খাওয়া দরকার।
গ্রিন টি: সালাদের মত গ্রিনটিতেও আপনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। গ্রিন টি আপনার চেহারার কালো দাগ বা বলিরেখা পড়া থেকে বিরত রাখবে।
পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা আপনার চেহারার জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
হাত পা ফর্সা করার উপায়
আপনি কি হাত পা ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে হাত-পা ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা হাত-পা ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই। অধিকাংশ মানুষেরই হাত পায়ের তুলনায় মুখ অনেকটা ফর্সা থাকে।
অথবা বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে হাত পায়ের থেকে মুখ অনেকটা ফর্সা হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মুখের সাথে সাথে হাত-পা ফর্সা করা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ মুখের সঙ্গে মানানসই করতে হলে অবশ্যই হাত-পা ফর্সা হতে হবে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা লোশন কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করার ফলে ক্ষণিকের জন্য ফর্সা দেখা গেলেও পরবর্তীতে এর বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়। যে কারণে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। আজ আমরা জানব কিভাবে আপনি প্রাকৃতিকভাবে হাত পা ফর্সা করতে পারেন সেই উপায়।
১. সপ্তাহে অন্তত একদিন কুসুম গরম পানিতে আপনার হাত-পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
২. এরপর একটি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব তৈরি করতে একটা পরিষ্কার পাত্রে এক চামচ চিনি ও এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করে নিতে হবে। তবে আপনি যদি হাত পা দুটোতেই ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।
চিনি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং মধু ত্বকের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।স্ক্রাবটি আলতো হাতে আপনার হাত এবং পায়ে মাসাজ করতে থাকেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মতো রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার করে করলে তফাৎটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
৩. এরপর আপনি হাত ও পায়ের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন কাচা দুধ ও লেবুর রস। কাঁচা দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে ব্লিচিং প্রপার্টিজ যা আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
তবে ত্বকের উপর সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভালো। কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে এরপর লেবুর রস ব্যবহার করতে হয়। তবে যাদের ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে তাদের ক্ষেত্রে লেবুর রস না ব্যবহার করাই ভালো। তিন থেকে চার চামচ দুধের মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার হাত-পায়ে মাসাজ করতে পারেন।
এরপর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার হাত ও পায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।
১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। উজ্জ্বল চকচকে ও ফর্সা গায়ের রং সকলেরই প্রত্যাশা।
তবে প্রাকৃতিকভাবেই কারো কারো গায়ের রং ফর্সা আবার কারো কারো গায়ের রং শ্যাম বর্ণের বা কালো। যারা শ্যাম বর্ণের বা কালো তারা চায় তাদের রঙ উজ্জ্বল করতে। এক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মুখের ক্ষতি করে ফেলে।
আমার জানা মতে পৃথিবীতে এমন কোন প্রোডাক্ট বা খাবার নেই যা এক রাতে ফর্সা করে দিবে আপনাকে। তবে হ্যাঁ ধৈর্য ধরে যদি আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন এবং ভালো ব্র্যান্ডের কিছু প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হতে শুরু করবে।
এছাড়াও প্রাকৃতিক অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনি ফর্সা হতে পারেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার কাঙ্খিত ত্বকের রং পেতে পারেন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। ভেতর থেকে ফর্সা ও চকচকে ত্বক সকলেই চায়।
তবে প্রাকৃতিকভাবে অনেকের ত্বকের রং অনেকটা কালচে বর্ণের হয়ে থাকে। যে কারণে তারা ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে বিভিন্ন উপায় খোঁজে। আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু প্রাকৃতিক উপায় শেয়ার করব, যার মাধ্যমে আপনি ভেতর থেকে স্থায়ী ফর্সা রং ধারণ করতে পারবেন।
আপনি যদি নিয়মিত এই হোম রেমেডি গুলো ফলো করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই স্থায়ী ফর্সা রং পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই হোম রেমেডি গুলো সম্পর্কে:
১. ভেতর থেকে রং উজ্জ্বল করতে দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহারের কথা অনেকেরই জানা। তবে জানেন কি এই উপকরণ দুটি আপনাকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে। রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।
আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। আপনি যদি এভাবে পান করতে না পারেন সেক্ষেত্রে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত যদি আপনি হলুদ মেশানো দুধ পান করেন তাহলে আপনার গায়ের রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।
আরও পড়ুনঃ মুলতানি মাটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়
২. হলুদ গায়ের রং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এ কথা সকলেরই জানা। শুধু দুধের সাথে নয় , বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর।
বাহ্যিক রূপচর্চাতে যেভাবে হলুদ ব্যবহার করবেন চলুন জেনে নেই;
তিন টেবিল চামচ দুধ, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি করুন। সমস্ত মুখে এই পেস্ট ভালোভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। এরপর অন্তত ১২ ঘন্টা রোদ থেকে দূরে থাকবেন। একটা কথা মাথায় রাখবেন প্যাক উঠানোর ক্ষেত্রে মুখ গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না।
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি হয়তো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উপকরণ এর মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে আজ আমি আপনাদের জানাবো প্রাকৃতিক একটা উপকরণ দিয়ে ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। সেই উপকরণটি হল থানকুনি পাতা যা আমরা কমবেশি সকলেই চিনি। থানকুনি পাতা যে একটা ঔষধি গাছ সে সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি।
থানকুনি গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে আজকে শুধু আমি জানাবো ১ মাসে কিভাবে আপনি এই থানকুনি পাতার মাধ্যমে ফর্সা হতে পারেন। প্রথমে আপনাকে থানকুনির পাতা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
থানকুনি পাতা ব্লেন্ড করার পর যে রসটা বের হবে সেই রসটা আপনি প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে খাবেন। এভাবে যদি আপনারা নিয়মিত এক মাস এই রস খেতে পারেন তাহলে নিজের পরিবর্তন নিজের চোখেই দেখবেন। একমাস এই থানকুনি রস খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।
৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
আজকে যে ফেসিয়ালটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেই ফেসিয়ালটি আপনি ৫ মিনিটেই করে নিতে পারবেন। যে কোন পার্টি, বিয়ে বাড়ি বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য ৫ মিনিটের এই ফেসিয়ালটি খুবই কার্যকর হবে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল ও ঝকঝকে করতে যে ফেসিয়ালটি করবেন তা হল:
প্রথম পর্যায়ে লাগবে এক টেবিল চামচ চিনি। কারণ তিনি স্কিনকে এক্সপোলিয়েট করে। স্কিনে স্ক্রাবিং করতে সাহায্য করে। চিনির সাথে মেশাতে হবে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল। এরপর লাগবে এক চা চামচ কাঁচা দুধ। এরপর এই তিনটা উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
তিনি সামান্য দানাদানা থাকা অবস্থায় এই স্ক্রাবটি মুখে স্ক্রাবিং করতে হবে। এক মিনিটের মতো স্ক্রাবিং করে মুখটা ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ স্ক্রাবিং করার পর দেখবেন আপনার ত্বক কতটা গ্লো করছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে যা করতে হবে তা হল, হাফ চা চামচ কস্তুরী হলুদ নিতে হবে। কস্তুরী হলুদ না থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনারা রান্নার হলুদও সামান্য পরিমাণ নিতে পারেন। এরপর নিতে হবে ২ টেবিল চামচ বেসন। এরপর দিতে হবে দুই চামচ কাঁচা দুধ। কাঁচা দুধের পরিবর্তে আপনারা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এরপর দিতে হবে এক চা চামচ লেবুর রস।
এরপর দিতে হবে হাফ চা চামচ ফেয়ার এন্ড লাভলী ক্রিম। সবগুলো উপকরণ দিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে মিশিয়ে নিলে তৈরি হয়ে যাবে ত্বক ফর্সাকারি উপটান ফেইস মাস্ক। ফেসপ্যাক টা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আলতো হাতে ফেসপ্যাক টা মাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দেখতে পাবেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও ফর্সা।
লেখকের মন্তব্য - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়,কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়,হাত পা ফর্সা করার উপায়,১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়,স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়,১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়,৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url