তিসি খাওয়ার নিয়ম - তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিডের উপকারিতা জানুনপ্রাচীনকাল থেকেই শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে তিসি বীজের ব্যবহার হচ্ছে।তিসি বীজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব তিসি খাওয়ার নিয়ম - তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
তিসি খাওয়ার নিয়ম - তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা
তিসি বীজ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিকস রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা তিসি বীজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা - ভূমিকা

তিসি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলে তিসি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তিসি বীজ সম্পর্কে যা জানবো তা হল:

তিসি আর তিল কি এক,তিসি গাছের ছবি,তিসি বীজের দাম,তিসি খাওয়ার নিয়ম,তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা,তিসি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

তিসি আর তিল কি এক

আপনি কি তিসি আর তিল কি এক সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেল এর এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তিসি আর তিল কি এক সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই তিসি আর তিল কি এক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তিসি এবং তিল উভয়কেই সুপারফুড বলা হয়। 

কারণ এই দুই বীজেই রয়েছে অত্যন্ত কার্যকর কিছু উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে অনেকেই আছেন যারা তিসি আর তিলের মধ্যে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন। কারণ দুইটা বীজই দেখতে একই রকম। কিছুটা পার্থক্য থাকলেও অনেকের চোখে তা পড়ে না। তাই তারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে চায় যে তিসি আর তিল কি এক নাকি। 
আপনাদের সুবিধার্থে জানাচ্ছি তিসি আর তিল এক নয়। এই দুইটা আলাদা আলাদা বীজ। উভয়েরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। উভয়ই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। তাই যারা জানেন না তাদের জন্য বলবো তিসি আর তিল এক জিনিস নয়। আশা করছি আপনারা জানতে পেরেছেন বিষয়টি সম্পর্কে।

তিসি গাছের ছবি

আপনি কি তিসি গাছের ছবি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদের সুবিধার্থে তিসি গাছের ছবি দেওয়া হয়েছে। আপনারা যারা তিসি গাছ চেনেন না তাদের জন্য এই ছবিটি অনেকটা উপকারী হবে। 

কারণ এই ছবিটি দেখে আপনারা খুব সহজেই তিসি গাছ দেখতে কেমন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। পরবর্তীতে অন্য কোথাও এই গাছ দেখলে খুব সহজেই বুঝে যাবেন যে এটি তিসি গাছ। তাহলে চলুন আর দেরি কনা করে আমরা তিসি গাছটি দেখে নেই।
তিসি গাছ

তিসি বীজের দাম

আপনি কি তিসি বীজের দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তিসি বীজের দাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা তিসি বীজের দাম সম্পর্কে জেনে নেই। তিসি এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

বিভিন্ন রোগ থেকে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত তিসি বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। তবে তিসি বীজ খাওয়ার পূর্বে আপনাকে এর দাম সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমানে অনলাইন এবং বিভিন্ন শপে তিসি বীজ বিক্রি হচ্ছে। তবে একেক জায়গায় একেক দাম থাকার কারণে আপনারা হয়তো কনফিউজড যে সঠিক দাম কোনটা। 

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি আপনাদের তিসি বীজের সঠিক দাম সম্পর্কে জানাবো। বর্তমানে ভালো কোয়ালিটির এক কেজি তিসি বীজের দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে আপনার অঞ্চল ভেদে এই দামের হেরফের হতে পারে। আপনি যেখান থেকেই তিসি বীজ নেন না কেন অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে ভালো মানের তিসি বীজ সংগ্রহ করবেন।

তিসি খাওয়ার নিয়ম

আপনি কি তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা সকলের জন্য জরুরী। 

কারণ সঠিকভাবে তিসির বীজ খেলে তবেই মিলবে উপকারিতা। তার জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন কোন নিয়মে তিসির বীজ খাওয়া উচিত। মূলত দুইভাবে তিসির বীজ খাওয়া যেতে পারে। প্রথমত দুই থেকে তিন চামচ করে তিসি বীজের গুড়া খেতে পারেন। তবে যদি আপনার তিসি বীজের গুড়া খেতে না ইচ্ছে করে তাহলে তিসির বীজ থেকে তেল তৈরি করে খেতে পারেন। 
তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস জেনে রাখা খুবই জরুরী তা হল দোকান থেকে কিনে তিসি বীজের পাউডার খেতে পারেন কিন্তু এই কেনা পাউডার বেশিদিন তাজা থাকে না। যার ফলে এ ধরনের জিনিস খেলে উপকারিতার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এই কারণেই নিয়মিত বাড়িতে তিসির বীজ গুড়ো করে খাওয়া উচিত। 

এখন প্রশ্ন হল আপনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ কতটা পরিমাণে তিসির বীজের গুড়া খেতে পারেন? গবেষকদের মতে, প্রতিদিন পাঁচ টেবিল চামচ বা ৫০ গ্রামের কম তিসির বীজ খাওয়া প্রয়োজন। আশা করছি আপনি তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কি তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আরটিকালের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

একাধিক গবেষণায় জানা যায়, মাত্র এক চামচ তিসি বীজ খেলেই শরীরের প্রবেশ করে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান। এছাড়াও তিসি বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান তো রয়েছে। 

এই ধরনের পুষ্টিকর উপাদান গুলি শরীরে প্রবেশ করার ফলে ছোট বড় একাধিক রোগ-ব্যাধি ধারের কাছে ঘেষতে পারে না। যার কারনে খুব সহজেই সুস্থ থাকা যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে তিসি বীজ খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারেন নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই তিসি বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

তিসির উপকারিতা:

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করে: শরীরকে সবদিক থেকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের কোন বিকল্প হয় না। বিশেষ করে এনজাইটিভ প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ও ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে তিসির বীজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে নিয়মিত কয়েক চামচ তিসি বীজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোন ধরনের অটো ইমিউন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরে এই উপাদানটির মাত্রা বাড়তে থাকলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। 

বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। প্রায় ৬ হাজার জনের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, তিসি বীজে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকার পাশাপাশি আরো এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

ফাইবারের চাহিদা মেটায়: মাত্র এক চামচ তিসি বীজে রয়েছে কম বেশি ৩ গ্রাম ফাইবার। যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নানা রকম পেটের রোগের প্রকোপ কমতে যেমন সময় লাগে না তেমনি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। 

সেই সঙ্গে আরো কিছু উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। লিভারের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে সকল রোগের প্রকোপ চোখে পড়ার মতো বেড়ে চলেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হাই ব্লাড প্রেসার। 

তবে এইখানেই শেষ নয়, যে হারে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বাড়ছে তাতে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই রোগের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। 

এমন পরিস্থিতিতে ছেলে মেয়ে উভয়েরই তিসি বীজ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ৩০ গ্রাম তিসি বীজ রাখলে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা নিয়মিত তিসি বীজ খেতে পারেন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত তিন চামচ করে তিসি বীজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ২০% কমে যায়। অন্যদিকে উপকারী কোলেস্টেরল বা HDL এর মাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। 

যার কারনে আপনার হৃদযন্ত্রের কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। বর্তমান সময়ে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে প্রত্যেকের যে তিসি বীজ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: নিয়মিত কয়েক চামচ করে তিসি বীজ খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যার প্রভাবে ত্বকের শাস্তি উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা কমতেও সময় লাগে না। 

এর ফলে স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, নিয়মিত তিসি বীজ সেবন করলে স্কাল্পে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। এর ফলে মাত্রা অতিরিক্তভাবে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়।

খিদে কমায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে প্রতিদিন তিসি বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২.৫ গ্রাম তিসির পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে পেট ভরা থাকে ও খিদে দূর হয়। এর ফলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে তিসি বীজে উপস্থিত অ্যামাইনো এসিড,অ্যাসপার্টিক এসিড শরীরের প্রবেশ করার মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সময় লাগে না। যার কারনে ছোট বড় কোন রোগ দেহের কাছে আসার সাহস পায় না। 

সেই সঙ্গে কোন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এই প্রাকৃতিক উপাদানে মজুদ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা দেহের ভিতরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ১০ থেকে ২০ গ্রাম তিসি বীজ একমাস ধরে নিয়মিত খাবারের সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন তাহলে তাদের সুগার ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট কমে যায়। 

গবেষকদের মতে টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীদের খাদ্য তালিকায় তিসি বীজ অন্তর্ভুক্ত করলে ডায়াবেটিকস রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। তাই যারা ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত তাদের নিয়মিত তিসি বীজ খাওয়া উচিত।

উচ্চমানের আমিষ পাওয়া যায়: তিসি বীজ হল উদ্ভিজ্জ আমিষের একটি ভালো উৎস।তিসি বীজের আমি অনেক উচ্চ মান। এতে আছে প্রচুর আর্জেনিন নাম একটি অ্যামাইনো এসিড এবং গ্রুটামিক এসিড। তাছাড়া অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে,তিসি বীজের আমি কোলেস্টেরল কম করে এবং টিউমার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

তিসি খাওয়ার অপকারিতা

আপনি কি তিসি খাবার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আরটিকালের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে তিসি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা তিসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। 

শরীরকে সুস্থ রাখতে তিসি বীজের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে বেশি মাত্রায় যদি এই প্রাকৃতিক খাবারটা খাওয়া যায় তবে কিন্তু বিপদ হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারে। চলুন জেনে নেই সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে:

পেট খারাপ হতে পারে।তিসি বীজে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নানা রকম পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বেশি মাত্রায় তিসি বীজ খাওয়া শুরু করলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়রিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

তাই দিনে দুই থেকে তিন চামচের বেশি তিসি বীজ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও বেশ কিছু অসুবিধা হতে পারে। বেশি পরিমাণে তিসি বীজ খাওয়া শুরু করলে একদিকে ব্লাড প্রেসার বিপদসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ভয় থাকে। তেমনি এলার্জিক রিএকশন হতে পারে, সেইসঙ্গে হতে পারে তলপেটে ব্যথা, মাথা ঘুরানো এবং বারে বারে বমি। 

তাই বেশি পরিমাণে তিসি বীজ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও এর সাথে আমাদের আরও একটি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত তা হল গর্ভবতী মহিলাদের এই প্রাকৃতিক খাবারটি খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা। আশা করছি আপনারা তিসি বীজের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য - তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো তিসি আর তিল কি এক,তিসি গাছের ছবি,তিসি বীজের দাম,তিসি খাওয়ার নিয়ম,তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা,তিসি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url