দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে - দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়মচিকন মানুষদের এই প্রশ্নটা সবথেকে বেশি জাগে যে কি খেলে মোটা হব? আজ আমরা এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানবো দ্রুত ওজন বারে কি খেলে-দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে।
স্বাস্থ্য আল্লাহর দেওয়া সবথেকে বড় নেয়ামত। এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে আর ন্যাচারাল ভাবে চিকন থেকে মোটা হবার কিছু উপায় আছে যেগুলো এই আর্টিকালে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে মোটা হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে - ভূমিকা
দ্রুত মোটা হবার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে, ঘুম শারীরিক ব্যায়াম সবকিছু মিলিয়ে ব্যালেন্স রাখতে হবে। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো জানব তা হল;
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে, কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে, সাত দিনের মোটা হওয়ার উপায়, দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়, ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়, সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে, কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই দ্রুত ওজন বারে কি খেলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
অতিরিক্ত ওজন যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি কম ওজন ও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই যাদের কম ওজন রয়েছে তারা ওজন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন।
আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের দ্রুত ওজন বারে কি খেলে তার একটি ডায়েট চার্ট তুলে ধরব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে তার একটি ডায়েট চার্ট দেখে নেই।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করবে। আপনি চাইলে পানির বদলে গাজর অথবা বিটরুটের জুসও খেতে পারেন।
- এরপরে চলে আসি ব্রেকফাস্টে, সকালবেলা আপনি যখনই ঘুম থেকে ওঠেন না কেন এরপর এক ঘন্টার মধ্যে আপনার ব্রেকফাস্টটা কমপ্লিট করে নিবেন।
- ব্রেকফাস্টে আপনি কলা অথবা ওটস এর স্মুদি নিতে পারেন, স্মুদিতে পুরো এক গ্লাস পানির সাথে একটি থেকে দুটি কলা নিতে পারেন, তার সাথে আপনারা সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখা একমুঠো বাদাম নিতে পারেন। দুটি থেকে তিনটি খেজুর নিতে পারেন এবং চাইলে আপনারা মধুও এড করতে পারেন। আপনি চাইলে এভাবে ওটস এর স্মুদি তৈরি করে নিতে পারেন।
- এছাড়াও যাদের সকালে রুটি বা পরোটা খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা চাইলে রুটি খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন রুটিটা যেন গমের আটার রুটি হয়। রুটি সাথে আপনি দুই তিন বাটি সবজি রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ব্রেকফাস্টে একটি ডিম রাখতে পারেন।
- সকালে আপনারা যারা ভাত খেতে অভ্যস্ত তারা চাইলে ভাত রাখতে পারেন সাথে দুই বাটি সবজি এবং ডিম রাখতে পারেন।
- সকাল এবং দুপুরের খাবারের মাঝখানে আপনারা যে কোন ফল খেতে পারেন। যেমন; আম, কলা, সফেদা ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন স্ন্যাকস যেমন স্যান্ডউইচ বা ব্রেডের সাথে পিনাট বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আমরা যেহেতু বাঙালি সেহেতু আমরা দুপুরের খাবারে ভাতটা বেশি খাই। সে ক্ষেত্রে দুপুরের খাবারে ভাত, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ডাল, ডিম/মাছ/মাংস খেতে পারি। আপনি চাইলে ভাতের সাথে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ভাত খাওয়ার পরে আপনি চাইলে লস্যি খেতে পারেন অথবা বাটার মিল্ক বা এক বাটি দইও খেতে পারেন।
- দুপুরের খাবারে যাদের রুটি খেয়ে অভ্যাস তারা চাইলে লাল আটার রুটি খেতে পারেন পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি,ডাল, ডিম/মাছ/মাংস খেতে পারেন।
- এখন আসি বিকেলের খাবারে। আপনি যদি হেলদি উপায়ে স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে বাহিরের আজেবাজে খাবার না খেয়ে এই সময়টাতে বিভিন্ন ধরনের ফল নিতে পারেন। অথবা পিনাট বাটার পাউরুটি খেতে পারেন।এছাড়াও আপনি চাইলে একটা বা দুটো কলার সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন।
- চলুন এবার জেনে নেই রাতের খাবার সম্পর্কে। দুপুরবেলা আপনি যে খাবারগুলো খেয়েছেন ঠিক একই খাবার আপনি চাইলে রাতের বেলায় রিপিট করতে পারেন।
- এরপর রাতে খাওয়ার পরে ঘুমোতে যাওয়া ঠিক আধঘন্টা আগে আপনি এক গ্লাস দেশি গরুর দুধ খেতে পারেন।
এগুলো হলো আমাদের দ্রুত ওজন বাড়ার খাদ্য তালিকা। এর সাথে একটু সময় বের করে হাটাহাটি করার বা ওয়ার্ক আউট করার যেমন পুষ আপ হতে পারে । এক্সারসাইজ করার ফলে আমরা যে খাবারগুলো খাব তার যে নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরে এবজর্ভ হবে খুব তাড়াতাড়ি। এগুলো আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে পাশাপাশি বডির টনিংএ হেল্প করবে।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কোন ভিটামিন খেলে ওজন বারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
ওজন বাড়া বা কমা এটা কোন ভিটামিন ঔষধের সাথে সম্পৃক্ত নয়। আপনার খাদ্য তালিকা টা কেমন সেটা খুব প্রয়োজনীয় এই বিষয়ে। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন না থাকে অর্থাৎ আপনার মাসল কে যে খাবারগুলো ডেভলপ করে সেই খাবারগুলো হল; দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, দই অর্থাৎ দুধের তৈরি খাবারগুলো।
উল্লেখিত এই খাবারগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে কখনোই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না। কারণ এই খাবারগুলোই সেল ডিভিশন ঘটায় আপনার ইস্কেলেটর গ্রোথ টাকে তৈরি করবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এই খাবারগুলোকে যোগ করে। ভিটামিন মিনারেলস তো অবশ্যই লাগবে যা ন্যাচারালি আপনি বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি থেকে পাবেন।
প্রচুর পরিমাণে সালাদ খেতে হবে। সালাদ থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল পাবেন। সবগুলো খাবার ইনসিওর করার পরেও যদি আপনি ভিটামিন মিনারেল কম পেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে কোন ডায়েটিশিয়ান এর শরণাপন্ন হয়ে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
স্পেসিফিক কোন ভিটামিন নেই যা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই আগে আপনার খাদ্য তালিকা ঠিক করেন এরপরে আপনি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন অথবা মিনারেলস নিতে পারেন।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই। আপনি যদি ন্যাচারাল ভাবে মোটা হতে চান তাহলে সময় লাগবে।
তবে আপনি চাইলে ঔষধ খেয়েও মোটা হতে পারেন কিন্তু সেটা তো আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে না। মোটা হওয়ার উপায় জানার আগে জানতে হবে কেন মানুষ চিকন দেহের অধিকারী হয়। সেটা আগে জানা দরকার তাহলে সমাধান করতে সুবিধা হবে। মানুষের দেহের ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম হওয়া মোটা না হওয়ার কারণ।
আরো কিছু কারণ আছে যেমন অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক্স কারণ আবার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, যক্ষা, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি কারণে মানুষের ওজন কম থাকে যে জন্য মানুষ মোটা দেহের অধিকারী হতে পারে না।
আপনি সাত দিনের মোটা হতে পারবেন ব্যাপারটা এমন না। এটার জন্য আপনাকে একমাস থেকে তিন মাস সময় দিতে হবে। আর বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সাত দিনে ওজন বৃদ্ধি করতে হলে নিচে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।
- ব্যায়াম করতে হবে।
- কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
- মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে।
- টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পরিমিত ঘুমাতে হবে।
- ডার্ক চকলেট এবং চিজ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
উপরের এই নিয়ম মেনে চললে আপনি সাত দিনের মোটা না হলেও মাস তিনের মধ্যে আপনার ফলাফল দেখতে পাবেন। অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় হল নিয়মিত খাবার গ্রহণ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার, ক্যালরিযুক্ত খাবার, ড্রাই ফ্রুট, স পরিমিত ভূম ও ব্যায়াম করে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায়।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে নেই । ওজন বৃদ্ধি করার পূর্বে আপনার লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করতে হবে।
কারণ ওজন বাড়ানো এবং কমানো দুটোই একটা প্রসেস। প্রতি মাসে যদি আপনি এক থেকে দুই কেজি ওজন বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করতে হবে। লাইফ স্টাইল এর জায়গাগুলো এরকম, আপনার বডি যে ক্যালোরি এই মুহূর্তে পাচ্ছেন তার সাথে আরো ৫০০ ক্যালোরি যোগ করে নিতে হবে।
তাহলে আপনি মাস শেষে এক থেকে দুই কেজি ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নিচে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মানতে হবে;
- খাবারের টাইম ঠিক করতে হবে। ব্রেকফাস্টে দুধ, মাখন বেশি করে খান। শরীরকে হেলদি রাখার জন্য ওজন বাড়াতে এটি অত্যান্ত সহায়ক হবে।
- খাবারের মাপ ঠিক করতে হবে।কলাকে সম্পূর্ণ আহার বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন চারটে করে কলা খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- পানি খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করতে হবে। শরীরের ওজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে।
- স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অনেক সময় টেনশনের জন্য ওজন বৃদ্ধি হয় না। তাই ওজন বৃদ্ধি করতে হলে টেনশন থেকে দূরে থাকতে হবে।
- রাতের ঘুম ঠিক করতে হবে। খুব ভালো করে ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
- সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হলো ফিজিক্যাল এক্টিভিটিস করতে হবে। সকালে হালকা এক্সারসাইজ করুন। কারণ এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকবে এবং খিদে বাড়বে।
উপরে উল্লেখিত এই ছয়টি নিয়ম যখন আপনি আয়ত্তে আনতে পারবেন তখন দ্রুত ওজন বাড়ানো আপনার জন্য কোন প্রবলেম হবে না। যদি আপনার কোন ইনফেকশনাল ডিজিজ ডেফিশিয়েন্সি অফ ডিজিজ থাকে তাহলে আপনাকে আগে সেটা রিকভার করতে হবে। এই সমস্যা গুলো রিকভার না করলে আপনি ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন না।
আর একটা বিষয় হলো যে কোন খাবার আপনাকে ইনজয় করে খেতে হবে। আপনি যদি তৃপ্তি সহকারে খাবার না খান সে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন না। আশা করছি আপনি দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি ১৫ দিনে মোটা হতে পারবেন। তবে একটা ভালো রেজাল্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত এই নিয়মগুলো পালন করতে হবে।
ব্যায়াম করা
আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা ব্যায়াম করে ওজন কমানোর জন্য বা বডি বানানোর জন্য আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন সকালে অথবা বিকালে আধা ঘন্টা দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। আর ব্যাসিক শারীরিক ব্যায়াম করুন।
এছাড়াও অভিজ্ঞ জিম ট্রেনারের থেকে পরামর্শ নিন অথবা ইউটিউবের টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন যে কোন ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন বাড়বে। কিছুক্ষণ পরে পরে খাবার খেতে হবে, প্রতিটা মানুষের ২ ঘন্টা পর পর অল্প কিছু খাওয়া দরকার।
আর যারা শরীরের ওজন বাড়াতে চান তারা দুই ঘন্টা পর পর বেশি করে খাবার খাবেন। খাবারের ধরন হবে দুধ, দই, ছানা জাতীয় খাবার, ফল ও পুষ্টিগুণ বেশি এমন খাবার খেতে হবে বেশি করে। আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে এই খাবারগুলো খেতে হবে আর এটাই হবে মোটা হওয়ার উপায়।
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ
শরীরের ওজন বাড়াতে কার্বোহাইড্রেট খুব দরকারি, তাই এই সাতদিনে মোটা হওয়ার উপায় মাথায় রেখে খাবারে কার্বোহাইড্রেট যোগ করতে হবে। ভাত, রুটিতে অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে তাই প্রতিদিন দুই বেলা ভাত রুটি আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। ভাত রুটির পাশাপাশি ভালো কিছু কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন কলা, শাক-সবজি, ব্রাউন রাইস, হোলগ্রেইন।
ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ
ক্যালরিযুক্ত খাবার মোটা হতে সাহায্য করে। মোটা হওয়ার জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের মধ্যে ঘি, মাখন, ডিম, পনির, কোমল পানীয়, গরু বা খাসির মাংস, আলু ভাজা এর পাশাপাশি চকলেট, খেজুর, দই, কলা ইত্যাদি।
শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য এই খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে বেশি করে। আপনি যদি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাহলে ১৫ দিনে দেহে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ
দেহে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে ওজন বাড়ে না, তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সঠিক প্রোটিন রাখতে হবে এতে করে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে কিছু আছে চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মুরগি, চর্বিযুক্ত মাছ, গরুর মাংস, মটরশুঁটি, মসুর ইত্যাদি। ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় গুলোর ঠিকভাবে মেনে চললে আপনার শরীরে পরিবর্তন দ্রুত লক্ষ্য করবেন।
মোটা হওয়ার জন্য ড্রাই ফুড খান
ড্রাই ফ্রুটস কেন খাবেন কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে। যেটা আমাদের দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুইটা কাজুবাদাম আর দুইটা কিসমিস খাবেন এভাবে নিয়মিত ১৫ থেকে দুই মাস চলতে হবে শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য।
টেনশন না করা
মানুষ অতি টেনসনে রোগা হয়ে যায় এবং শারীরিক অসুখে পড়ে। অতি টেনসনে মানুষের ওজন কমে যায় তাই আমাদের টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। যদি মোটা হতে চান তাহলে টেনশন করা বাদ দিতে হবে।
পরিমিত ঘুম প্রয়োজন
ঘুম মানুষ কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, একজন মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। আর প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমাতে যেতে হবে আর খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে ইয়োগা বা যোগাসন করার মতো শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ঘুমানোর আগে মধু খেতে হবে।
আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে ঘুমাতে যাবেন। মধু হলো ক্যালরিযুক্ত ন্যাচারাল খাবার। অনেক পুষ্টি এই মধুতে, অনেক রোগ বালাই দূর হয় মধু খেলে। আপনি একটানা সাত দিন ঘুমানোর আগে মধু খেলে আপনার শরীরের ক্লান্তি স্থায়ীভাবে চলে যাবে।
ডার্ক চকলেট এবং চিজ খাবার গ্রহণ
আমরা ঘরের বাহিরের খাবার স্বাস্থ্য খারাপ হবে বলে খেতে চাই না। কিন্তু মোটা হবার জন্য আমাদের মাঝেমধ্যে বাজারের দোকানের ফাস্টফুড খেতে হবে, পিজ্জা, বার্গার ইত্যাদি খেলে দেহের ওজন বাড়ে।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি চিকন দেহের অধিকারী হয়ে থাকেন এবং ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাবেন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুট পাওয়া যায়।ড্রাই ফ্রুটস কেন খাবেন কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে। যেটা আমাদের দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুইটা কাজুবাদাম আর দুইটা কিসমিস খাবেন এভাবে নিয়মিত দুই মাস চলতে হবে শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য। আশা করছি সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
ন্যাচারাল ভাবে ওজন বৃদ্ধি করা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। কোন ঔষধের উপর ভরসা না করে চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য। তবে অনেকেই আছেন যাদের খাবার তালিকা ঠিক করার পরেও ওজন বৃদ্ধি হয় না।
তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন। এছাড়াও মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে হামদর্দ এর প্রোডাক্ট সিনকারা সিরাপ খেতে পারেন উপকার পাবেন।
লেখকের মন্তব্য - দ্রুত ওজন বারে কি খেলে
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে, দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url